আবু বকর (রাঃ) তাঁকে যখন বাহরাইন পাঠালেন তখন এই নির্দেশটি দিয়ে পাঠালেনঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। এটি হল সাদকার ঐ বিধান যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসলিমদের উপর নির্ধারণ করেছেন এবং আল্লাহ তাঁর রাসূল কে নির্দেশ দিয়েছেন। ঐ নির্ধারণ অনুযায়ী যে মুসলমানের নিকট যাকাত চাওয়া হবে সে যেন তা দিয়ে দেয় এবং যার কাছে উক্ত বিধানের অতিরিক্ত কিছু চাওয়া হবে সে যেন তা না দেয়৷

চব্বিশটি উট কিংবা তার কম হলে বকরী দিয়ে যাকাত দিতে হবে। প্রতি পাঁচটি উটের জন্য একটি বকরী। উটের সংখ্যা যখন পঁচিশ থেকে পয়ত্রিশ হবে তখন তাতে একটি বিনতে মাখা (এক বছর বয়সের উষ্ট্রী) যাকাত বাবদ দিতে হবে। যখন উটের সংখ্যা ছত্রিশ থেকে পঁয়তাল্লিশে পৌছবে তখন তাতে বিনতে লাবৃন (দুই বছর বয়সের উদ্গ্রী) যাকাত বাবদ দিতে হবে। আর যখন ছিচল্লিশ থেকে ষাট পর্যন্ত পৌছবে তখন তাতে গর্ভধারণের উপযোগী একটি হিল্লাহ তথা (তিন বছর বয়সের উষ্ট্রী) যাকাত বাবদ দিতে হবে। আর যখন একষট্টি থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত পৌঁছবে তখন তাতে একটি জাযাআ (চার বছরের উটনী) যাকাত বাবদ দিতে হবে। আর যখন ছিয়াত্তর থেকে নব্বই পর্যন্ত পৌঁছবে তখন তাতে দু'টি বিনতে লাবূন যাকাত বাবদ দিতে হবে। আর যখন একানব্বই থেকে একশত বিশ হবে তখন তাতে গর্ভধারণের উপযোগী দু'টি হিল্লাহ দিতে হবে। যখন একশত বিশের অধিক হবে তখন প্রত্যেক চল্লিশের মধেও একটি করে বিনতে লাবূন আর প্রতি পঞ্চাশে একটি করে হিক্কাহ দিতে হবে। যার নিকট চারটি উট আছে তাতে কোন যাকাত নেই, তবে উটের মালিক যদি ইচ্ছা করে তবে দিতে পারে। উটের সংখ্যা যদি পাঁচটি হয় তবে তাতে একটি ছাগল দিতে হবে।

ছাগলের যাকাতের বিধান হল চল্লিশ থেকে একশত বিশটি বকরীর মধ্যে একটি বকরী যাকাত দিতে হবে। একশ বিশ থেকে দুইশ পর্যন্ত দু'টি বকরী দিতে হবে। দুইশ থেকে তিনশ পর্যন্ত তিনটি বকরী দিতে হবে। তিনশএর অধিক হলে প্রতি একশএর জন্য একটি বকরী দিতে হবে। কোন ব্যক্তির নিকট যদি বকরীর সংখ্যা চল্লিশের কম থাকে তবে তাতে যাকাত নেই, কিন্তু মালিক যদি ইচ্ছা করে তার কথা ভিন্ন।

রূপার মধ্যে চল্লিশ ভাগের একভাগ যাকাত দিতে হবে। কারো নিকট যদি একশ নিরানব্বইটি রূপার দিরহাম থাকে তাতে যাকাত নেই। তবে রূপার মালিক ইচ্ছা করলে তা থেকে যাকাত দিতে পারে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৭২৫)