তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের নামায আদায়ের জন্য ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হলেন। নামায শেষে মানুষদের লক্ষ্য করে নসীহত করলেন এবং তাদেরকে সাদকাহ করার আদেশ দিলেন। তিনি বলতে লাগলেনঃ হে লোক সকল! তোমরা সাদকাহ কর। অতঃপর তিনি মহিলাদের নিকট গমণ করে বললেনঃ হে নারী সমাজ! তোমরা সাদকাহ কর। কারণ আমাকে দেখানো হয়েছে যে, জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীই তোমরা। তারা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! কোন অপরাধের কারণে? তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ করে থাক এবং স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক। হে নারী সমাজ! তোমরা জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সচেতন ও বুদ্ধিমান পুরুষের জ্ঞানকে তোমাদের চেয়ে অধিক হরণকারী আর কাউকে দেখিনি। অতঃপর তিনি ঘরে ফিরলেন। তিনি যখন ঘরে পৌছলেন তখন ইবনে মাসউদের স্ত্রী যায়নাব এসে তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তাঁকে বলা হলঃ এই তো যায়নাব আগমণ করেছে। নবী (ﷺ) বললেনঃ কোন যায়নাব? তাঁকে বলা হল ইবনে মাসউদের স্ত্রী যায়নাব। তখন তিনি বললেনঃ তাকে আসার অনুমতি দাও। তাকে অনুমতি দেয়া হলে তিনি এসে বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আজ আপনি তো সাদকাহ করার আদেশ করেছেন। আমার নিকট কিছু নিজস্ব অলঙ্কার রয়েছে। আমি তা সাদকাহ করার মনস্থ করেছি। কিন্তু ইবনে মাসউদ মনে করেন আমি যাদেরকে দান করতে চাই তাদের চেয়ে তিনি এবং তাঁর সন্তানরাই এর অধিক হকদার। নবী (ﷺ) তখন বললেনঃ ইবনে মাসউদ সত্যই বলেছে। যাদেরকে তুমি ওটা দান করতে চাও তাদের চেয়ে তোমার স্বামী এবং তোমার সন্তানই অধিক হকদার। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৭২৯)