HADITH.One
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সিলসিলা সহিহা
১. উত্তম চরিত্র, অনুকম্পা ও (আত্মীয়তার) সম্পর্ক বজায় রাখা প্রসংগ
سلسلة صحيحة
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আবূ মাসউদ বদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
কা’ব ইবনু উজহার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
আলবানী (রহঃ) বলেনঃ “হাদীসটির সানাদ হাসান এবং এর সমস্ত বর্ণনাকারী ছিক্বাহ।” তাছাড়া হাদীসটির আরো সাক্ষ্য থাকার কথা তিনি (রহঃ) উল্লেখ করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবনু জিহাদাহ থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি যঈফ।
উসামা ইবনু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
রবিয়াহ আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আবূ বকর (রাঃ) জমি ছেড়ে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট গেলেন। আমিও তাঁর পিছনে পিছনে চললাম। তখন আসলাম গোত্রের মানুষজন আসলো। তারা বলল, আল্লাহ্ তায়ালা আবূ বকর (রাঃ)-এর উপরে রহম করুন। তিনি [আবূ বকর (রাঃ)] কোন ব্যাপারে আপনার বিপক্ষে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর সাহায্য প্রার্থনা করছে। আর তিনি আপনাকে কী বলেছে? আমি বললাম, আপনারা জানেন না ইনি কে? (অর্থাৎ তাঁর মর্যাদা কত অধিক) ইনি আবূ বাকার সিদ্দীক। তিনি দুজনের দ্বিতীয়জন (অর্থাৎ হিজরাতকালে রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর গুহায় অবস্থানকালের সঙ্গী) তিনি মুসলমানদের মর্যাদাবান ব্যক্তি। তোমরা তার বিপক্ষে আমাকে সাহায্য করার ব্যাপারে সাবধান হও! তিনি দেখলে রাগান্বিত হবেন (অর্থাৎ, তোমরা আমাকে সাহায্য করা হতে বিরত থাক) এবং রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর নিকটে গেলে তিনিও তাঁর রাগের দরুণ রাগান্বিত হবেন। আর তাঁদের রাগান্বিত হওয়ার কারণে আল্লাহ্ তায়ালাও রাগান্বিত হবেন। ফলে রাবিয়াহ ধ্বংস হবে। তারা (গোত্রের লোকেরা) বলল, আপনি আমাদের কী করতে বলছেন? তিনি (রাবিয়াহ) বললেন, তোমরা ফিরে যাও। আবু বকর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর নিকটে গেলেন। আমি একাকী তাঁর পিছু পিছু চলতে লাগলাম। তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে ঘটনাটি আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার দিকে মাথা উঠিয়ে বললেন, হে রাবিয়াহ! তোমার ও তোমার বন্ধুর কী হয়েছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এমন এমন হয়েছে। তিনি (আবূ বাকার) আমাকে এমন এক কথা বলেছেন যা আমি অপছন্দ করি। তিনি আমাকেও ঐরূপ কথা বলতে বলেন, যেন তা বদলা (প্রতিশোধ) হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ঠিক আছে। তুমি তার প্রতিশোধ নিও না বরং তুমি বল, হে আবূ বাকার! আল্লাহ্ তোমাকে ক্ষমা করুন। হে আবূ বাকার আল্লাহ্ তোমাকে ক্ষমা করুন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেনঃ আবূ বকর (রাঃ) কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলেন। (আস্-সহীহাহ- ৩২৫৮)
হাদীসটি সহীহ্।
শু‘আয়িব আল-আরনাউত বলেনঃ হাদীসটি আল-মুবারক বিন ফাযালাতের গোপনীয়তার কারণে যঈফুন জিদ্দান। তিনি ব্যাপকভাবে তাদলীস করতেন। যা তাদলীসের ক্ষেত্রে খুবই নিকৃষ্ট। আর তিনি ‘আন‘আনাহ করেছেন। (তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদে আহমাদ- ৪/১৬৬২৭)
উল্লেখ্য যে, হাদীসটি ‘আন শব্দে বর্ণিত হয় নি। বরং হাদ্দাছানা শব্দে বর্ণিত হয়েছে। এ কারণে আলবানী (রহঃ) বলেনঃ “এর সানাদ সহীহ্ ও বর্ণনাকারীগণ ছিক্বাহ। নিশ্চয় এতে ইবনু ফাযালাতের ‘আন‘আনাহ’র ভয় থাকে। এ পর্যায়ে সঠিকভাবেই বর্ণনা এসেছে। তাছাড়া সবাই ছিক্বাহ। ইমাম আবূ যুর‘আহ বলেনঃ যখন হাদ্দাছানা বলে তখন সে ছিক্বাহ। হায়ছামী (রহঃ) বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান (মাজমায়ুয যাওয়ায়িদ- ৯/৪৫)। (আস্-সহীহাহ্-৩১৪৫)
হাসান থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি যঈফ।
তিনি সহীহাতেও যঈফ বলার সাথে সাথে অপর একটি বর্ণনা সম্পর্কে বলেছেনঃ ইবনু জারীর ও আবাদ বিন হুমায়িদ ক্বাতাদাহ থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, অতঃপর লিখেছেন- (এটি হাসান মানে উত্তীর্ণ)।
শেষে লিখেছেনঃ হাদীসটি (সূরা আন-নিসা- ১) আয়াতের ব্যাখ্যা করে। (আস্-সহীহাহ্ হা. ৮৬৯) অবলম্বনে।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এক সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আলী ইবনু হুসাইন থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি মুরসাল।
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি যঈফুন জিদ্দান।
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ ।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি সহীহ।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ ।
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
ইয়াযিদ ইবনু জারিয়াহ থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি সহীহ।
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি সহীহ।
আলবানী (রহঃ) বলেন: “এর বর্ণনাকারীগণ ছিক্বাহ, যদিও ওয়ালিদ ‘আন’আনাহ বর্ণনা করেছেন।” অতঃপর এর সমর্থনে অন্যান্য মুত্তাসিল ও সহীহ্ সানাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন।
উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
হামযাহ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি হাসান।
আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান ।
ইসহাক ইবনু সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি সহীহ।
আব্বাস ইবনু জুলাইদ আল হাজরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
মুয়াজ ইবনু জাবাল থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি হাসান লিগাইরিহী।
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি হাসান লিগাইরিহী।
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান ।
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
হাকিম বলেছেনঃ হাদীসটি সহীহ্ মুসলিমের শর্তে সহীহ্। যাহাবী চুপ থেকেছেন।
শাইখ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ বরং এটি হাসান হাদীস। কেননা, মুহাম্মদ বিন ‘আমর সামান্য যঈফ। আর এটি সহীহ্ মুসলিমের শর্তে উত্তীর্ণ। সুতরাং তিনি এটিকে সমার্থক (হাদীস) হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
শাইখ আলবানী (রহঃ) বিভিন্ন সানাদে বর্ণিত হাদীসগুলো দুর্বলতার উল্লেখ করার পর লেখেন- (আরবী) “উক্ত বাক্যে সম্মিলিতভাবে সাক্ষ্যস্বরূপ হাদীসটি সহীহ্- আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।”
আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান লিগাইরিহী।
শাইখ আলবানী (রহঃ) হাদীসটির বিভিন্ন রাবীর দুর্বলতার কথা উল্লেখ করেছেন।
সহীহ্ আত্-তারগীব (৩/৪৬/২৮২০) তিনি হাদীসটিকে ‘হাসান লিগাইরিহী’ বলেছেন। সম্ভবত অনেক হাদীসে সমার্থক ও সাক্ষ্য হিসেবে তিনি হাদীসের উক্ত হুকুমটি দিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ্।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অপর এক বর্ণনায় এসেছে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমন এক সম্প্রদায়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যারা (পরস্পরে) কুস্তিতে মত্ত ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ কী? তারা (সাহাবীগণ) বললেন, এ অমুক কুস্তিগীর। তার সাথে যে কুস্তিতে লড়ে সে-ই ভুপাতিত হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আমি কি তোমাদের ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদ দিব না? যে তার (ঐ কুস্তিগীরের) চেয়ে অধিক শক্তিশালী? (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জবাবে বলেন) ঐ ব্যক্তি যার উপর অন্য ব্যক্তি অত্যাচার করেছে অতঃপর সে রাগ নিয়ন্ত্রণ করেছে। ফলে সে তার শত্রুর উপর বিজয়ী হয়েছে এবং তার শাইত্বনের উপর বিজয়ী হয়েছে এবং তার বন্ধুর শাইত্বনের উপরও বিজয়ী হয়েছে। (আস্-সহীহাহ-৩২৯৫)
হাদীসটি হাসান।
ইমাম হায়ছামী (রহঃ) তাঁর ‘মাজমা‘উয যাওয়ায়েদে’ ৮/৬৮ বলেনঃ হাদীস দু’টি বায্যার একই সানাদে বর্ণনা করেছেন। এতে শু‘আয়িব বিন বায়ান ও ইমরান কাত্তান আছেন। উভয়ে ইবনু হিব্বানের নিকট সহীহ্। তবে অন্যান্যরা যঈফ বলেছেন। বাকী বর্ণনাকারীগণ সহীহ্।
আমি (আলবানী) বলছি, “বরং এর সানাদ হাসান। যেভাবে হাফিয ইবনু হাজার ‘ফাতহুল বারী’তে (১০/৫১৯) বলেছেন।” অতঃপর আলবানী সাক্ষ্যস্বরূপ আরো হাদীস উল্লেখ করেন।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
শাইখ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ হাদীসটি হাসান বা (আরবী) (হাসানের কাছাকাছি) বলেছেন। আর হাদীসটির একাধিক (আরবী) হাদীস রয়েছে যার আলোকে (আরবী) পর্যন্ত উত্তীর্ণ।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীছটি সহীহ।
আব্দুল্লাহ ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান লিগাইরিহী।
শাইখ আলবানী (রহঃ) হাদীসগুলোর বিভিন্ন সাক্ষ্য উল্লেখ করার সাথে সাথে ত্রুটিগুলোও উল্লেখ করেছেন।
সহীহ আত-তারগীব (৩/৭৩/২৯৪৩) তিনি হাদীসটিকে ‘হাসান লিগাইরিহী’ বলেছেন।
ইয়াজ ইবনু হিমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, হে আমার রব! (যখন আমি তাদের জ্বালাতে যাব) তখন তারা আমার মাথা পিষে ফেলবে এবং তারা তা আটা বানিয়ে ফেলবে। তিনি (আল্লাহ) বলেন, তাদের বের করে দাও যেমন তারা তোমাকে (দেশ থেকে) বের করে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; আমি তোমাকে সাহায্য করব। তুমি ব্যয় (আল্লাহর পথে খরচ) কর। সত্বর আমি তোমাকে খরচে সাহায্য করব। (তাদের বিপক্ষে) বাহিনী প্রেরণ কর আমি (তোমার) পাঁচগুণ (বাহিনী) প্রেরণ করব। যারা তোমার অনুগত তাদের সাথে নিয়ে তোমার অবাধ্যদের বিপক্ষে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও। তিনি বলেন, জান্নাতের বাসিন্দা তিন প্রকার- (ক) ক্ষমতার অধিকারী, ন্যায়পরায়ণ, দানবীর ও (আল্লাহর পক্ষ হতে) সাহায্যপ্রাপ্ত। (খ) দয়ালু ব্যক্তি- প্রত্যেক নিকটাত্মীয় ও মুসলিমের প্রতি সুহৃদয়বান ব্যক্তি ও (গ) সচ্চরিত্র (দানবান) ও পরিবার-পরিজনের অধিকারী।
আর জাহান্নামের অধিবাসী পাঁচ প্রকার- (ক) ঐ দুর্বল ব্যক্তি; যার কোন জ্ঞান নেই। যারা তোমাদের (সমাজের) মধ্যে অনুগত (অর্থাৎ অন্যের আনুগত্যকারী) পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদের ধার ধারে না। (খ) ঐ খিয়ানাতকারী যার লোভ-লালসা গোপন হয় না (মিটে না) যদি সামান্য বস্তু (আমানাত হিসেবে) রাখা হয় তথাপি সে খিয়ানত করে। (গ) এবং ঐ ব্যক্তি যে সকাল-সন্ধ্যায় (সদা-সর্বদা) তোমার পরিবার-পরিজন অর্থ-সম্পদের (যাবতীয়) ব্যাপারে তোমাকে ধোঁকা দেয়। (ঘ) আর তিনি কৃপণতা কিংবা মিথ্যাবাদীতার কথা উল্লেখ করেন (অর্থাৎ বখীল ও মিথ্যুকদের জাহান্নামীদের মধ্যে গণ্য করেছে)। (ঙ) এবং অসচ্চরিত্রের অধিকারী অশ্রাব্যভাষী।
আল্লাহ তায়ালা আমার নিকট ওহী প্রেরণ করেন যে, তোমরা বিনয়ী হও একজন অন্যজনের উপর যেন গর্ব না করে এবং একে অন্যের প্রতি অত্যাচার না করে। (আস্-সহীহাহ-৩৫৫৯)
হাদীসটি সহীহ্।
বিশর ইবনু আকরবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি হাসান।
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অর্থাৎ, হে মানব সম্প্রদায়! আমি তোমাদের (কাউকে) পুরুষ (আবার কাউকে) মহিলা হিসেবে সৃষ্টি করেছি। তোমাদের বিভিন্ন গোত্র ও দলে বিভক্ত করেছি। যেন তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার।
এক পর্যায়ে আয়াতটি পড়েন। অতঃপর বলেন, আমি (এ বক্তব্য) বললাম এবং আমার জন্য ও তোমাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (আস-ছহীহাহ-২৮০৩)
হাদীসটি সহীহ।
শাইখ আলবানী (রহঃ) বলেন: এর সানাদ সহীহ। মাকহুল ও তাঁর শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ বিন ইয়াযীদ ছাড়া অন্যান্যরা সহীহ মুসলীমের রাবী। তারা দু’জনে মা’রূফ(প্রসিদ্ধ)। এই হাদীসটির অপর একটি সূত্র ইবনু দিনার বর্ণনা করেছেন।
ইয়াজ ইবনু হিমার থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
আর আল্লামা আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
হায়ছামী (রহঃ) তার ‘মাজমা’উয যাওয়ায়েদে’ ১/৫৮ বলেনঃ ‘এটি বাযযার বর্ননা করেছেন। এর বর্ননাকারীগন ছিক্বাহ।’
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যদি আমি তোমার অনুগামী হতাম তবে তোমার সাথে অবস্থান করতাম অলংকারে ঝলমলে, কিংবা তোমাকে পেতাম গলায় রশি বদ্ধাবস্থায়। প্রেমিকের কি অধিকার নেই যে (প্রেমিকাকে) শান্তি ও মিলনের প্রাপ্য দিবে।
(রমণীটি) বলল: হ্যা, আমাকে আমি তোমার জন্য উৎসর্গ করলাম। অতঃপর তারা (সৈন্যবাহিনী) অগ্রসর হয়ে তার গর্দান কেটে ফেলে। অতঃপর মহিলাটি তার নিকট এসে উচ্চ আওয়াজে চিৎকার করে মৃত্যুবরন করে। যখন তারা (সৈন্যবাহিনী) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়সাল্লাম)-এর নিকট আসে তখন তাকে এ ব্যাপারে অবহিত করানো হয়। তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেন, তোমাদের মধ্যে কি কোন দয়ালু ব্যাক্তি ছিল না? (আস-সহীহাহ-১৫৯৪)
হাদীসটি হাসান।
তাবারানী বলেন: “এই সনদটি ছাড়া ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে আর কিছু বর্ণিত হয়নি। মুহাম্মাদ বিন ‘আলী বিন হারব একক বর্ননাকারী।” শাইখ আলবানী (রহঃ) বলেন: নাসাঈ তাকে ছিক্বাহ বলেছেন। হাদীসটি হাসান, যেভাবে হায়ছামী (রহঃ) তার ‘মাজমাউয যাওয়ায়েদ’-এ ৬/২১০ বলেছেন।
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অপর এক রিওয়ায়াতে এসেছে, কারণ এই বাক্যটি জান্নাতের খনিসমূহ হতে একটি খনি। (আস-সহঅহাহ-২১৬৬)
হাদীসটি সহীহ।
আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
অতঃপর শাইখ আলাবানী (রহঃ) হাদীসটির বিভিন্ন সনদের বিশ্লেষণ শেষে বলেন “বিভিন্ন ইমামদের এই সমস্ত বক্তব্য দ্বারা বুঝা যায়, হাদীছটি যঈফুন জিদ্দান। যাকে কোন সাক্ষ্যমূলক হাদীস দ্বারা সংশোধন করা যায় না। সুতরাং পরবর্তী কথার উপরই নির্ভর করতে হবে।”
শাইখ আলবানী (রহঃ) তার ‘সহীহ জামেউস সগীরে’-ও (হাদীস নং ১৮০১) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(আরবী) তোমরা কি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে (সত্য হতে ফিরে যাবে) যে, যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে? (তবে জেনে রেখ) ঐ সকল ব্যক্তিদের আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের অভিশাপ দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টি অন্ধ করে দিয়েছেন। তারা কুরআন অনুধাবন করে না নাকি তাদের অন্তরে মোহর মারা হয়েছে? (আস-সহীহাহ- ২৭৪১)
হাদীসটি সহীহ।
শাইখ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ “এর সানাদ সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের শর্তে সহীহ।”
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি সহীহ।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।