hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে আবু দাউদ

১৪. সওম (রোজা)

سنن أبي داود

১৪/ পরিচ্ছেদঃ সওম ফারয হওয়ার সূচনা

২৩১৩

হাসান সহিহ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شَبُّويَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏{‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ ‏}‏ فَكَانَ النَّاسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّوُا الْعَتَمَةَ حَرُمَ عَلَيْهِمُ الطَّعَامُ وَالشَّرَابُ وَالنِّسَاءُ وَصَامُوا إِلَى الْقَابِلَةِ فَاخْتَانَ رَجُلٌ نَفْسَهُ فَجَامَعَ امْرَأَتَهُ وَقَدْ صَلَّى الْعِشَاءَ وَلَمْ يُفْطِرْ فَأَرَادَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَجْعَلَ ذَلِكَ يُسْرًا لِمَنْ بَقِيَ وَرُخْصَةً وَمَنْفَعَةً فَقَالَ سُبْحَانَهُ ‏{‏ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَخْتَانُونَ أَنْفُسَكُمْ ‏}‏ ‏.‏ وَكَانَ هَذَا مِمَّا نَفَعَ اللَّهُ بِهِ النَّاسَ وَرَخَّصَ لَهُمْ وَيَسَّرَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আল্লাহর বাণী) “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম পালন ফারয করা হয়েছে যেমন ফারয করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৩)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময় (ইসলামের প্রথম যুগে) লোকেরা যখন এশার সলাত আদায় করতো তখন থেকে তাদের উপর খানাপিনা ও স্ত্রী-সহবাস হারাম হয়ে যেতো এবং তারা পরবর্তী রাত পর্যন্ত সওম পালন করতো। কিন্তু এক ব্যক্তি নফসের উপর খিয়ানত করে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলে, অথচ সে এশার সলাত আদায় করেছে কিন্তু তখনও সে পূর্বের সওমের ইফতার করেনি। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ যেসব সাহাবী এ অন্যায়ে লিপ্ত হয়নি তাদের প্রতি সহনশীল ও কল্যাণ প্রদর্শনের ইচ্ছা করলেন এবং বললেনঃ “আল্লাহ জানেন, তোমরা নিজেদের নফসের সাথে খিয়ানাত করেছিলে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৭)। এর দ্বারা আল্লাহ মানুষের উপকার করেছেন এবং এটা তাদের জন্য সহজ ও ঐচ্ছিক করে দিয়েছেন।

২৩১৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ الْجَهْضَمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ إِذَا صَامَ فَنَامَ لَمْ يَأْكُلْ إِلَى مِثْلِهَا وَإِنَّ صِرْمَةَ بْنَ قَيْسٍ الأَنْصَارِيَّ أَتَى امْرَأَتَهُ وَكَانَ صَائِمًا فَقَالَ عِنْدَكِ شَىْءٌ قَالَتْ لاَ لَعَلِّي أَذْهَبُ فَأَطْلُبُ لَكَ شَيْئًا ‏.‏ فَذَهَبَتْ وَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ فَجَاءَتْ فَقَالَتْ خَيْبَةً لَكَ ‏.‏ فَلَمْ يَنْتَصِفِ النَّهَارُ حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ وَكَانَ يَعْمَلُ يَوْمَهُ فِي أَرْضِهِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ ‏{‏ أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ‏}‏ قَرَأَ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ مِنَ الْفَجْرِ ‏}‏ ‏.‏

আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা যখন সওম পালন করতো তখন তাদের কেউ যদি কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়তো তাহলে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে কিছুই খেতে পারতো না। সিরমা ইবনু ক্বায়িস আল-আনসারী (রাঃ) সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীকে এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে কিছু আছে কি? স্ত্রী বললেন, না, তবে আমি খুঁজে দেখি আপনার জন্য কিছু যোগার করতে পারি কিনা। স্ত্রী খাবারের সন্ধানে গেলে স্বামী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো। স্ত্রী ফিরে এসে এ অবস্থা দেখে বললেন, তোমার জন্য বঞ্চনা। (ক্ষুধার কারণে) পরদিন দুপুর না হতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ দিন তিনি নিজ ভূমিতে কাজকর্ম করছিলেন। বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উল্লেখ করা হলে আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ “রমাযানের রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো” তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়াতটির ‘ভোর পর্যন্ত’ তিলাওয়াত করেন।
১৪/ পরিচ্ছেদঃ “যারা সওম পালনে সক্ষম তারা ফিদ্ইয়া দিবে” এই বিধান রহিত

২৩১৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ - عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى سَلَمَةَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‏}‏ كَانَ مَنْ أَرَادَ مِنَّا أَنْ يُفْطِرَ وَيَفْتَدِيَ فَعَلَ حَتَّى نَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي بَعْدَهَا فَنَسَخَتْهَا ‏.‏

সালামাহ ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ)–এর আযাদকৄত গোলাম ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (আল্লাহর বাণী) “যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর আমাদের কারোর ইচ্ছে হলে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতে চাইলে তাই করতো। অতঃপর পরবর্তী আয়াত (২: ১৮৫ ) দ্বারা উপরের প্রথম বিধানটি মানসূখ হয়ে যায়।

২৩১৬

হাসান হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏{‏ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‏}‏ فَكَانَ مَنْ شَاءَ مِنْهُمْ أَنْ يَفْتَدِيَ بِطَعَامِ مِسْكِينٍ افْتَدَى وَتَمَّ لَهُ صَوْمُهُ فَقَالَ ‏{‏ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ ‏}‏ وَقَالَ ‏{‏ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ‏}‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

“যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর যে লোক প্রতিদিন খাওয়াতে সক্ষম ছিলো সে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতো, এভাবে তার সিয়াম পূর্ণ হতো। অতঃপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “আর যে ব্যক্তি অধিক সদাক্বাহ করবে তা তার জন্য উত্তম। আর যদি তোমরা সওম পালন করো তবে তা অধিক উত্তম”। আল্লাহ আরো বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে যারা এ মাসে উপনীত হবে তারা সওম পালন করবে। কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করবে”।
১৪/ পরিচ্ছেদঃ যিনি বলেন, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীর জন্য উক্ত বিধান বহাল আছে

২৩১৮

শায
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏{‏ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‏}‏ قَالَ كَانَتْ رُخْصَةً لِلشَّيْخِ الْكَبِيرِ وَالْمَرْأَةِ الْكَبِيرَةِ وَهُمَا يُطِيقَانِ الصِّيَامَ أَنْ يُفْطِرَا وَيُطْعِمَا مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا وَالْحُبْلَى وَالْمُرْضِعُ إِذَا خَافَتَا - قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي عَلَى أَوْلاَدِهِمَا - أَفْطَرَتَا وَأَطْعَمَتَا ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর বাণীঃ “যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪)। তিনি বলেন এ আয়াতে অতিবৃদ্ধ ও বৃদ্ধার জন্য সওম ভঙ্গের বিধান রয়েছে। এরা উভয়ে যখন সওম পালনের শক্তি হারিয়ে ফেলেছে, এমতাবস্থায় সওম না রেখে প্রত্যেক দিন একজন মিসকীনকে খাবার দিবে। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করলে তাদের জন্যও সওম ভঙ্গের অনুমতি আছে। [২৩১৮]

শাযঃ ইরওয়া (৯১২)।
২৩১৮ বায়হাক্বী।

২৩১৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ عِكْرِمَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ أُثْبِتَتْ لِلْحُبْلَى وَالْمُرْضِعِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

গর্ভবতী ও দুগ্ধ প্রদানকারিণী মহিলার জন্যে ফিদ্ইয়া প্রদানের বিধান বহাল রয়েছে।
১৪/ পরিচ্ছেদঃ মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়

২৩১৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَمْرٍو، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ - عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ الشَّهْرُ هَكَذَا وَ هَكَذَا وَهَكَذَا ‏"‏ ‏.‏ وَخَنَسَ سُلَيْمَانُ أُصْبَعَهُ فِي الثَّالِثَةِ يَعْنِي تِسْعًا وَعِشْرِينَ وَثَلاَثِينَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমরা ‘উম্মী জাতি, লিখতে জানি না, হিসাব করতেও জানি না। তবে মাস এতো দিনে, এতো দিনে এবং এতো দিনে হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, সুলায়মান তৃতীয় বারে আঙ্গুল গুটিয়ে নেন। অর্থাৎ মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনে এবং কখনো ত্রিশ দিনে হয়।

২৩২১

সহিহ মাকতু
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنِي أَيُّوبُ، قَالَ كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ بَلَغَنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَادَ وَإِنَّ أَحْسَنَ مَا يُقَدَّرُ لَهُ إِذَا رَأَيْنَا هِلاَلَ شَعْبَانَ لِكَذَا وَكَذَا فَالصَّوْمُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لِكَذَا وَكَذَا إِلاَّ أَنْ تَرَوُا الْهِلاَلَ قَبْلَ ذَلِكَ ‏.‏

আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) বাসরাহ্ অধিবাসীদের কাছে লিখে পাঠালেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে যেভাবে হাদীস বর্ণনা করেছেন তা হুবহু অমুক অমুক তারিখে আমাদের নিকট পৌঁছেছে। তবে গণনার উত্তম পন্থা হলো, যখন আমরা শা‘বানের চাঁদ দেখবো তখন ইনশাআল্লাহ সওম রাখাবো। তবে যদি এক দিন পূর্বেই (ঊনত্রিশে শা‘বানের পর) চাঁদ দেখা যায় তাহলে সেই হিসেবে সওম রাখবো।

২৩২৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ شَهْرَا عِيدٍ لاَ يَنْقُصَانِ رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ ‏"‏ ‏.‏

‘আবদূর রহমান ইবনু আবূ বাকরাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুই ঈদের মাস সাধারণত ঊনত্রিশ দিনে হয় না। তা হলো রমাযান এবং যিলহাজ্জ মাস।

২৩২০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَلاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ ثَلاَثِينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا كَانَ شَعْبَانُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ نُظِرَ لَهُ فَإِنْ رُؤِيَ فَذَاكَ وَإِنْ لَمْ يُرَ وَلَمْ يَحُلْ دُونَ مَنْظَرِهِ سَحَابٌ وَلاَ قَتَرَةٌ أَصْبَحَ مُفْطِرًا فَإِنْ حَالَ دُونَ مَنْظَرِهِ سَحَابٌ أَوْ قَتَرَةٌ أَصْبَحَ صَائِمًا ‏.‏ قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُفْطِرُ مَعَ النَّاسِ وَلاَ يَأْخُذُ بِهَذَا الْحِسَابِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনে হয়। সুতরাং চাঁদ না দেখে তোমরা সওম পালন করবেনা এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম পালন বন্ধও করবে না। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে তোমরা মাস ত্রিশদিন পুরা করবে। নাফি‘ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) শা‘বানের ঊনত্রিশ দিনে পৌঁছুলে আকাশের দিকে তাকাতেন, যদি চাঁদ দেখতে পেতেন তাহলে সওম রাখতেন। কিন্তু যদি না দেখতে পেতেন অথচ আকাশ মেঘ বা কুয়াশামুক্ত রয়েছে, তাহলে সওম রাখতেন না। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অথবা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতো তাহলে তিনি পরদিন সওম রাখতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) সেদিন সওম সমাপ্ত করতেন যেদিন লোকেরা ইফতার করতো (মাস শেষ করতো)।

২৩২২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عِيسَى بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ لَمَا صُمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تِسْعًا وَعِشْرِينَ أَكْثَرُ مِمَّا صُمْنَا مَعَهُ ثَلاَثِينَ ‏.‏

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ত্রিশ দিন সওম পালনের তুলনায় বেশিরভাগই ঊনত্রিশ দিন সওম পালন করেছি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন