hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে আবু দাউদ

. সালাত (নামায)

سنن أبي داود

/ পরিচ্ছেদঃ সলাত ফরয হওয়ার বর্ণনা

৩৯১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرَ الرَّأْسِ يُسْمَعُ دَوِيُّ صَوْتِهِ وَلاَ يُفْقَهُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنِ الإِسْلاَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُنَّ قَالَ ‏"‏ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صِيَامَ شَهْرِ رَمَضَانَ قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُ قَالَ ‏"‏ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّدَقَةَ ‏.‏ قَالَ فَهَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا قَالَ ‏"‏ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏

আবূ সুহাইল ইবনু মালিক থেকে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ত্বালহা ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, উষ্কখুস্ক চুল বিশিষ্ট নাজদের জনৈক অধিবাসী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসল। তখন তার মুখ হতে গুনগুন শব্দ শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু কথাগুলো বোঝা যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকটবর্তী হয়ে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ (ইসলাম হচ্ছে) দিবা-রাত্রে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করা। লোকটি বললো, এছাড়া আরও (সলাত) আছে কি? তিনি বললেন, না, তবে তুমি নফল (সলাত) আদায় করতে পার। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উদ্দেশে রমাযান মাসের সিয়ামের কথা উল্লেখ করলেন। লোকটি বলল, আমার উপর এছাড়া আরও (সিয়াম) আছে কি? তিনি বললেনঃ না, তবে তুমি নফল (সিয়াম) পালন করতে পার। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে যাকাতের কথাও বললেন। লোকটি বলল, আমাকে এছাড়াও কোন দান করতে হবে কি? তিনি বললেনঃ না, তবে নফল হিসেবে (দান) করতে পার। অতঃপর লোকটি এই বলতে বলতে চলে যেতে লাগল যে, আল্লাহর শপথ! আমি এর চেয়ে বেশীও করব না কমও করব না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন লোকটি সত্য বলে থাকলে অবশ্যই সফলকাম হয়ে গেল।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

৩৯২

শায
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَدَنِيُّ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، نَافِعِ بْنِ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ‏ "‏ أَفْلَحَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ ‏"‏ ‏.

আবূ সুহাইল নাফি‘ ইবনু মালিক ইবনু আবূ ‘আমির থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন) তার পিতার শপথ! [১] সে অবশ্যই সফলকাম হবে যদি সত্য বলে থাকে। তার পিতার শপথ! সে সত্য বলে থাকলে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [৩৯২]

শাযঃ “তার পিতার শপথ” কথাটি অতিরিক্ত যোগে।
[১] ‘তার পিতার শপথ! সে অবশ্যই সফলকাম হবে’- এটি ইসলামের প্রাথমিক যুগের কথা। হয়ত তৎকালীন আরবের প্রথানুসারে এরূপ বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে শপথ করা নিষেধ করা হয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারোর নামে কসম করল সে শিরক করল”। (হাদীস)

[৩৯২] মুসলিম (অধ্যায়ঃ ঈমান, অনুঃ ইসলামরে অন্যতম স্তম্ভ সলাত সম্পর্কে বর্ণনা), ইবনু খুযাইমাহ (অনুঃ পাঁচ ওয়াক্ত সলাত ফরয, হাঃ ৩০৬), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (২/৪৬৬), সকলেই আবূ সুহাইল সূত্রে।
/ পরিচ্ছেদঃ সলাতের ওয়াক্তসমূহের বর্ণনা

৩৯৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ وَقْتُ الظُّهْرِ مَا لَمْ تَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَوَقْتُ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَسْقُطْ فَوْرُ الشَّفَقِ وَوَقْتُ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ ‏"‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আসরের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যুহরের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে। সূর্য হলুদ রং ধারণ না করা পর্যন্ত ‘আসরের ওয়াক্ত থাকে। মাগরিবের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে (পশ্চিমাকাশে) লাল রংয়ের আভা বিলোপ না হওয়া পর্যন্ত। ‘ইশার ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে অর্ধরাত পর্যন্ত। আর ফাজ্‌র সলাতের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত।

৩৯৩

হাসান সহিহ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ فُلاَنِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ - عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَمَّنِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ عِنْدَ الْبَيْتِ مَرَّتَيْنِ فَصَلَّى بِيَ الظُّهْرَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَكَانَتْ قَدْرَ الشِّرَاكِ وَصَلَّى بِيَ الْعَصْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّهُ مِثْلَهُ وَصَلَّى بِيَ - يَعْنِي الْمَغْرِبَ - حِينَ أَفْطَرَ الصَّائِمُ وَصَلَّى بِيَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ وَصَلَّى بِيَ الْفَجْرَ حِينَ حَرُمَ الطَّعَامُ وَالشَّرَابُ عَلَى الصَّائِمِ فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ صَلَّى بِيَ الظُّهْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّهُ مِثْلَهُ وَصَلَّى بِيَ الْعَصْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّهُ مِثْلَيْهِ وَصَلَّى بِيَ الْمَغْرِبَ حِينَ أَفْطَرَ الصَّائِمُ وَصَلَّى بِيَ الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ وَصَلَّى بِيَ الْفَجْرَ فَأَسْفَرَ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ هَذَا وَقْتُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِكَ وَالْوَقْتُ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ ‏"‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বাইতুল্লাহর নিকট জিবরীল (‘আলাইহিস সালাম) দু’বার আমার সলাতে ইমামতি করেছেন। (প্রথমবার) সূর্য (পশ্চিম আকাশে) ঢলে যাওয়ার পর আমাকে নিয়ে তিনি যুহর সলাত আদায় করলেন। তখন (পূর্ব দিকে) জুতার ফিতার সমান ছায়া দেখা দিয়েছিল। অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে ‘আসরের সলাত আদায় করলেন, যখন (প্রত্যেক বস্তুর) ছায়া তার সমান হয়। এরপর আমাকে নিয়ে তিনি মাগরিবের সলাত আদায় করলেন, যখন ছায়া তার দ্বিগুণ হলো। তিনি আমাকে নিয়ে মাগরিবের সলাত আদায় করলেন, যখন সিয়াম পালনকারীর ইফতারের সময় হয়। তিনি আমাকে নিয়ে ‘ইশা সলাত আদায় করলেন রাতের তৃতীয়াংশে এবং ফাজ্‌র সলাত আদায় করলেন ভোরের আলো ছড়িয়ে যাওয়ার পর। অতঃপর জিবরীল (‘আলাইহিস সালাম) আমার দিকে ফিরে বললেন, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! এটাই হচ্ছে আপনার পূর্ববর্তী নাবীগণের সলাতের ওয়াক্ত এবং সলাতের ওয়াক্তসমূহ এ দু’সময়ের মাঝখানেই নিহিত। [৩৯৩]

৩৯৪

অন্যান্য
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ اللَّيْثِيِّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ قَاعِدًا عَلَى الْمِنْبَرِ فَأَخَّرَ الْعَصْرَ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَخْبَرَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِوَقْتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ اعْلَمْ مَا تَقُولُ ‏.‏ فَقَالَ عُرْوَةُ سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ نَزَلَ جِبْرِيلُ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَنِي بِوَقْتِ الصَّلاَةِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ‏"‏ ‏.‏ يَحْسُبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَهَا الصُّفْرَةُ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ مِنَ الصَّلاَةِ فَيَأْتِي ذَا الْحُلَيْفَةِ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ حِينَ تَسْقُطُ الشَّمْسُ وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ حِينَ يَسْوَدُّ الأُفُقُ وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ وَصَلَّى الصُّبْحَ مَرَّةً بِغَلَسٍ ثُمَّ صَلَّى مَرَّةً أُخْرَى فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ كَانَتْ صَلاَتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ التَّغْلِيسَ حَتَّى مَاتَ وَلَمْ يَعُدْ إِلَى أَنْ يُسْفِرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ مَعْمَرٌ وَمَالِكٌ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَشُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُمْ لَمْ يَذْكُرُوا الْوَقْتَ الَّذِي صَلَّى فِيهِ وَلَمْ يُفَسِّرُوهُ وَكَذَلِكَ أَيْضًا رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ وَحَبِيبُ بْنُ أَبِي مَرْزُوقٍ عَنْ عُرْوَةَ نَحْوَ رِوَايَةِ مَعْمَرٍ وَأَصْحَابِهِ إِلاَّ أَنَّ حَبِيبًا لَمْ يَذْكُرْ بَشِيرًا وَرَوَى وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقْتَ الْمَغْرِبِ قَالَ ثُمَّ جَاءَهُ لِلْمَغْرِبِ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ - يَعْنِي مِنَ الْغَدِ - وَقْتًا وَاحِدًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ثُمَّ صَلَّى بِيَ الْمَغْرِبَ يَعْنِي مِنَ الْغَدِ وَقْتًا وَاحِدًا وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ مِنْ حَدِيثِ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

উসামাহ ইবনু যায়িদ আল-লাইসী থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু শিহাব (রহঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, একদা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) মিম্বারের উপর বসে (কর্মব্যস্ত) ছিলেন। ফলে তিনি ‘আসরের সলাত আদায়ে কিছুটা বিলম্ব করলেন। তখন ‘উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর (রহঃ) তাকে বললেন, আপনি জানেন না, জিবরীল (‘আলাইহিস সালাম) মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন? ‘উমার (রাঃ) বললেন, আপনি যা বলছেন, বুঝে শুনে বলুন। ‘উরওয়াহ বললেন, আমি বাশীর ইবনু আবূ মাসঊদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আবূ মাসঊদ আনসারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ জিবরীল (‘আলাইহিস সালাম) অবতরণ করে আমাকে সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন। আমি তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি, অতঃপর আবার তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি, অতঃপর আবার তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি, অতঃপর আবার তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি, অতঃপর আবার তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি। এভাবে তিনি আঙ্গুলে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত গণনা করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সূর্য ঢলে পড়ার সাথে সাথেই যুহরের সলাত আদায় করতে দেখেছি। প্রচণ্ড গরমের দিনে তিনি কখনো দেরী করেও আদায় করেছেন। আমি তাকে ঐ সময় ‘আসরের সলাত আদায় করতে দেখেছি যখন সূর্য উপরে উজ্জ্বল অবস্থায় থাকত, তখনো তাতে হলুদ রং আসেনি। কোন ব্যক্তি ‘আসরের সলাত আদায় করে সূর্য ডোবার পূর্বেই যুলহুলায়ফাহ্ নামক স্থানে পৌঁছে যেত। তিনি মাগরিবের সলাত আদায় করতেন সূর্য ডোবার পরপরই, আর ‘ইশার সলাত আদায় করতেন যখন (পশ্চিম আকাশ) কালো রঙে আচ্ছাদিত হত, অবশ্য তিনি কখনো লোকজনের একত্র হওয়ার আশায় তা বিলম্বেও আদায় করতেন। একবার তিনি ফাজরের সলাত অন্ধকারে আদায় করেন, অতঃপর পরের বার আদায় করেন ভোরের আলো প্রকাশ হওয়ার পর। পরবর্তীতে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সর্বদা ফজরের সলাত অন্ধকারেই আদায় করেন, পুনরায় আর কখনোই তিনি ভোরের আলো প্রকাশ হওয়ার অপেক্ষা করেননি।

হাসান।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি যুহরী (রহঃ) সূত্রে মা’মার, মালিক, ইবনু উয়াইনাহ, শু’আইব ইবনু আবূ হামযাহ ও লাইস ইবনু সা’দ প্রমুখ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা সলাত আদায়ের সময় উল্লেখ করেননি, এবং তার কোন ব্যাখ্যাও দেননি।
ওয়াহ্হাব ইবনু কায়সান (রহঃ) জাবির (রহঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে মাগরিবের ওয়াক্ত সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ পরের দিন সূর্যাস্তের পরে একই সময়ে জিবরীল (‘আলাইহিস সালাম) মাগরিবের সলাত আদায় করতে আসলেন।

সহীহ।

আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) হতেও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেনঃ আমাকে নিয়ে জিবরীল (‘আলাইহিস সালাম) পরের দিন একই সময়ে মাগরিবের সলাত আদায় করলেন।

৩৯৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا بَدْرُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّ سَائِلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا حَتَّى أَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ لِلْفَجْرِ حِينَ انْشَقَّ الْفَجْرُ فَصَلَّى حِينَ كَانَ الرَّجُلُ لاَ يَعْرِفُ وَجْهَ صَاحِبِهِ أَوْ إِنَّ الرَّجُلَ لاَ يَعْرِفُ مَنْ إِلَى جَنْبِهِ ثُمَّ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الظُّهْرَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ حَتَّى قَالَ الْقَائِلُ انْتَصَفَ النَّهَارُ ‏.‏ وَهُوَ أَعْلَمُ ثُمَّ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ صَلَّى الْفَجْرَ وَانْصَرَفَ فَقُلْنَا أَطَلَعَتِ الشَّمْسُ فَأَقَامَ الظُّهْرَ فِي وَقْتِ الْعَصْرِ الَّذِي كَانَ قَبْلَهُ وَصَلَّى الْعَصْرَ وَقَدِ اصْفَرَّتِ الشَّمْسُ - أَوْ قَالَ أَمْسَى - وَصَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ وَصَلَّى الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلاَةِ الْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَغْرِبِ بِنَحْوِ هَذَا قَالَ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ قَالَ بَعْضُهُمْ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِلَى شَطْرِهِ ‏.‏ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ ابْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি তার কোন জবাব না দিয়ে বিলালকে (ইক্বামাতের) নির্দেশ দিলেন। বিলাল সুবহি সাদিক হওয়ার পরপরই ফজর সলাতের জন্য ইক্বামাত দিলেন। তারপর তিনি এমন সময় ফজর সলাত আদায় করলেন যখন (অন্ধকারের কারণে) একজন আরেকজনকে চিনতে পারত না অথবা একজন তার পার্শ্ববর্তী লোককে চিনতে পারত না। অতঃপর সূর্য (পশ্চিমাকাশে) ঢলে পড়লে তিনি বিলালকে নির্দেশ দিলে বিলাল যুহর সলাতের জন্য ইক্বামাত দিলেন। তখন কেউ বলল, দুপুর হয়েছে। অথচ (সূর্য ঢলে পড়া সম্পর্কে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিক জ্ঞাত। অতঃপর তিনি বিলালকে নির্দেশ দিলে বিলাল ‘আসর সলাতের জন্য ইক্বামাত দিলেন। তখন সূর্য সাদা ও উঁচুতে ছিল। অতঃপর সূর্য ডুবে গেলে তিনি বিলালকে মাগরিব সলাতের জন্য ইক্বামাতের নির্দেশ দিলে বিলাল ইক্বামাত দিলেন। অতঃপর পশ্চিমাকাশের লাল আভা (শাফাক্ব) দূরীভূত হলে তিনি বিলালকে ‘ইশা সলাত আদায়ের জন্য ইক্বামাত দেয়ার নির্দেশ দিলে বিলাল ইক্বামাত দিলেন। পরের দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের সলাত আদায় শেষে প্রত্যাবর্তন করলে আমরা বললাম, সূর্য উদয় হয়েছে কি? (এ দিন) তিনি যুহর সলাত আদায় করলেন পূর্বের দিনের ‘আসরের ওয়াক্তে। তিনি ‘আসরের সলাত আদায় করলেন যখন সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করে। তিনি মাগরিবের সলাত আদায় করলেন আকাশের লালিমা (শাফাক্ব) দূরীভূত হওয়ার পূর্বে। আর তিনি ‘ইশার সলাত আদায় করলেন রাতের এক তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর। অতঃপর বললেন, সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? এই দু’ সময়সীমার মধ্যবর্তী সময়ই হচ্ছে সলাতের ওয়াক্ত (অর্থাৎ পূর্বের দিন ও পরের দিন যে যে সময়ে সলাত আদায় করা হয়েছে তার মাঝামাঝি সময়)।

সহীহঃ মুসলিম।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, জাবির (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে মাগরিব (সলাতের ওয়াক্ত) সম্পর্কে এরূপই বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, কারো মতে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইশার সলাত আদায় করেছেন রাতের এক তৃতীয়াংশে, আবার কারো মতে অর্ধরাতে।

সহীহ
/ পরিচ্ছেদঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাতের ওয়াক্ত ও তাঁর সলাত আদায় করার নিয়ম

৩৯৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، - وَهُوَ ابْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - قَالَ - سَأَلْنَا جَابِرًا عَنْ وَقْتِ، صَلاَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَاجِرَةِ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ إِذَا كَثُرَ النَّاسُ عَجَّلَ وَإِذَا قَلُّوا أَخَّرَ وَالصُّبْحَ بِغَلَسٍ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু "আমর ইবনু হাসান ইবনু "আলী ইবনু আবূ ত্বালিব থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা জাবির (রাঃ) -কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তিনি যুহরের সলাত আদায় করতেন ঠিক দ্বিপ্রহরের পরপরই। আর "আসরের সলাত আদায় করতেন ঐ সময় যখন সূর্য জীবন্ত থাকত। মাগরিবের সলাত আদায় করতেন সূর্যাস্তের পরপরই। লোকজন জড়ো হলে "ইশার সলাত তাড়াতাড়ি (প্রথম ওয়াক্তে) আদায় করতেন, আর লোকজনের উপস্থিতি কম হলে বিলম্বে আদায় করতেন। তিনি ফাজরের সলাত অন্ধকারে আদায় করতেন।

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।

৩৯৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الظُّهْرَ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ وَيُصَلِّي الْعَصْرَ وَإِنَّ أَحَدَنَا لَيَذْهَبُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَيَرْجِعُ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ وَنَسِيتُ الْمَغْرِبَ وَكَانَ لاَ يُبَالِي تَأْخِيرَ الْعِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ قَالَ إِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا وَكَانَ يُصَلِّي الصُّبْحَ وَمَا يَعْرِفُ أَحَدُنَا جَلِيسَهُ الَّذِي كَانَ يَعْرِفُهُ وَكَانَ يَقْرَأُ فِيهَا مِنَ السِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ ‏.‏

আবূ বারযা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়লে যুহরের সলাত আদায় করতেন, 'আসরের সলাত আদায় করতেন ঐ সময় যখন আমাদের কেউ মাদীনাহর শেষ প্রান্তে গিয়ে ফিরে আসতে পারত এবং সূর্যের প্রখরতা বিদ্যমান থাকত। মাগরিবের কথা আমি ভুলে গেছি। "ইশার সলাত রাতের তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করতে তিনি পরোয়া করতেন না, কখনো বা অরধরাত পর্যন্ত। "ইশার সলাতের পূর্বে ঘুমানো ও পরে কথাবার্তা বলা তিনি অপছন্দ করতেন। তিনি ফাজরের সলাত এমন সময় আদায় করতেন যখন আমাদের কেউ তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারত না। ফাজরের সলাতে তিনি ষাট আয়াত থেকে একশত আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
/ পরিচ্ছেদঃ যুহরের সলাতের ওয়াক্ত

৪০৩

হাসান সহিহ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ بِلاَلاً، كَانَ يُؤَذِّنُ الظُّهْرَ إِذَا دَحَضَتِ الشَّمْسُ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সূর্য (পশ্চিম আকাশে) ঢলে পেলে বিলাল (রাঃ) যুহরের সলাতের আযান দিতেন।

হাসান সহীহঃ মুসলিম।

৩৯৯

হাসান হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي الظُّهْرَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَآخُذُ قَبْضَةً مِنَ الْحَصَى لِتَبْرُدَ فِي كَفِّي أَضَعُهَا لِجَبْهَتِي أَسْجُدُ عَلَيْهَا لِشِدَّةِ الْحَرِّ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে যুহরের সলাত আদায় করতাম। আমি এক মুষ্ঠি পাথর কণা তুলে নিতাম, যেন সেগুলো আমার হাতে ঠাণ্ডা হয়ে যায়। আমি সাজদাহ্‌র সময় প্রচণ্ড গরমের কারণে সেগুলো কপালের নিচে রেখে সেগুলোর উপর সাজদাহ করতাম।

৪০০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنِ الأَسْوَدِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَتْ قَدْرُ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّيْفِ ثَلاَثَةَ أَقْدَامٍ إِلَى خَمْسَةِ أَقْدَامٍ وَفِي الشِّتَاءِ خَمْسَةَ أَقْدَامٍ إِلَى سَبْعَةِ أَقْدَامٍ ‏.‏

আসওয়াদ থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, গ্রীষ্মকালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর (যুহর) সলাত আদায়ের সময় ছিল (ছায়ার) তিন কদম হতে পাঁচ কদম পর্যন্ত। আর শীতকালে ছিল পাঁচ কদম হতে সাত কদম পর্যন্ত।

৪০২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، أَنَّ اللَّيْثَ، حَدَّثَهُمْ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ مَوْهَبٍ ‏"‏ بِالصَّلاَةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ ‏"‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অত্যধিক গরমে তোমরা যুহরের সলাত ঠাণ্ডা করে (বিলম্বে) আদায় করবে। কারণ অত্যধিক গরম জাহান্নামের নিঃশ্বাসের অংশ বিশেষ।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

৪০১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي أَبُو الْحَسَنِ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو الْحَسَنِ هُوَ مُهَاجِرٌ - قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ وَهْبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ، يَقُولُ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَرَادَ الْمُؤَذِّنُ أَنْ يُؤَذِّنَ الظُّهْرَ فَقَالَ ‏"‏ أَبْرِدْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُؤَذِّنَ فَقَالَ ‏"‏ أَبْرِدْ ‏"‏ ‏.‏ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا حَتَّى رَأَيْنَا فَىْءَ التُّلُولِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَإِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا بِالصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.

যায়িদ ইবনু ওয়াহহাব থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ যার (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলাম। মুয়াজ্জিন যুহরের আযানের জন্য প্রস্তুত হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, থাম, ঠাণ্ডা হোক। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু'বার অথবা তিনবার এরূপ বললেন। এমনকি আমরা টিলা সমূহের ছায়া দেখতে পেলাম। অতঃপর তিনি বললেন, গ্রীষ্মের খরতাপ জাহান্নামের অংশ বিশেষ। কাজেই প্রচণ্ড গরমে ঠাণ্ডা করে (বিলম্বে) সলাত আদায় করবে।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন