hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে আন-নাসায়ী

২৪. নিকাহ্‌

سنن النسائي

২৪/ পরিচ্ছেদঃ ভূমিকা

৩১৯৬

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: حَضَرْنَا مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ جَنَازَةَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَرِفَ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: هَذِهِ مَيْمُونَةُ إِذَا رَفَعْتُمْ جَنَازَتَهَا، فَلَا تُزَعْزِعُوهَا، وَلَا تُزَلْزِلُوهَا، «فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مَعَهُ تِسْعُ نِسْوَةٍ، فَكَانَ يَقْسِمُ لِثَمَانٍ، وَوَاحِدَةٌ لَمْ يَكُنْ يَقْسِمُ لَهَا»

আতা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ইবন্‌ আব্বাস (রাঃ)- এর ‘সারিফ১, নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর স্ত্রী মায়মূনা (রাঃ)- এর জানাযায় উপস্থিত হলাম। ইবন্‌ আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ ইনি মায়মূনা (রাঃ)। তোমরা যখন তাঁর জানাযা উঠাবে, অধিক ঝাঁকুনি দেবে না এবং হেলাবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নয়জন স্ত্রী ছিলেন, তিনি আট জনের জন্য (রাত্রি বাসের) সময় বণ্টন করতেন, আর একজনের জন্য বণ্টন করতেন না।
[১] মক্কা হতে দশ মেইল দুরত্তে অবস্থিত একটি স্থানে। এ একই স্থানে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বিবাহ করেন এবং মিলিত হন এবং এ স্থানেই তাঁর ওফাত হয়।

৩১৯৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ تِسْعُ نِسْوَةٍ يُصِيبُهُنَّ إِلَّا سَوْدَةَ، فَإِنَّهَا وَهَبَتْ يَوْمَهَا وَلَيْلَتَهَا لِعَائِشَةَ»

ইবন্‌ আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর ওফাতের সময় তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন, যাঁদের সাথে তিনি মিলিত হতেন, সওদা (রাঃ) ব্যতীত। কেননা তিনি তাঁর দিন-রাত (-এর পালা) আয়েশা (রাঃ) – কে দান করেছিলেন।

৩১৯৮

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، عَنْ يَزِيدَ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسًا، حَدَّثَهُمْ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ فِي اللَّيْلَةِ الْوَاحِدَةِ، وَلَهُ يَوْمَئِذٍ تِسْعُ نِسْوَةٍ»

কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই রাতে তাঁর সব স্ত্রীদের কাছে গমন করতেন। তখন তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন।

৩১৯৯

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ الْمُخَرَّمِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كُنْتُ أَغَارُ عَلَى اللَّاتِي وَهَبْنَ أَنْفُسَهُنَّ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقُولُ: أَوَتَهَبَ الْحُرَّةُ نَفْسَهَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {تُرْجِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَنْ تَشَاءُ} [الأحزاب: 51] قُلْتُ: «وَاللَّهِ مَا أَرَى رَبَّكَ إِلَّا يُسَارِعُ لَكَ فِي هَوَاكَ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে মহিলাগণ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর জন্য তাঁদের নিজেদের সমর্পণ করতেন, আমি তাঁদের এ কাজকে আত্মমর্যাদাবোধের হানি মনে করে বলতাম, কোন স্বাধীন নারী কি নিজেদের সমর্পণ করতে পারে। তখন আল্লাহ্‌ তা’আলা নাযিল করলেন: অর্থ: আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট থেকে দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট স্থান দিতে পারেন (৩৩:৫৫ )। তখন আমি বললামঃ আমি দেখছি, আপনার রব আপনার যা ইচ্ছা, তা দ্রুত পূর্ণ করেন।

৩২০০

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: أَنَا فِي الْقَوْمِ إِذْ قَالَتِ امْرَأَةٌ: إِنِّي قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَرَأْ فِيَّ رَأْيَكَ، فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: زَوِّجْنِيهَا، فَقَالَ: «اذْهَبْ، فَاطْلُبْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ»، فَذَهَبَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا وَلَا خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ: «أَمَعَكَ مِنْ سُوَرِ الْقُرْآنِ شَيْءٌ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَزَوَّجَهُ بِمَا مَعَهُ مِنْ سُوَرِ الْقُرْآنِ»

সাহ্‌ল ইব্‌ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সাহাবীগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় একজন মহিলা বলে উঠলোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি আমাকে আপনার জন্য দান করলাম, এখন আমার ব্যাপারে আপনার মতামত প্রয়োগ বাস্তবায়িত করুন। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললোঃ একে আমার বিবাহে দান করুন। তিনি বললেনঃ যাও, একটি লোহার আংটি হলেও (তা নিয়ে এসো)। সে ব্যক্তি গেল, কিন্তু কিছুই পেল না, একটি লোহার আংটিও না। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার কি কুরআনের সুরাসমূহ থেকে কিছু মুখস্ত আছে ? সে ব্যক্তি বললোঃ হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, তখন কুরআনের যে সব সূরা তার মুখস্ত ছিল, এর কারণে তাঁর কাছে বিবাহ দিলেন।
২৪/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর রাসূলের উপর যা ফরয (বিধিবদ্ধ) করেছেন এবং অন্যদের জন্য যা হারাম করেছেন – আল্লাহ্‌র ইচ্ছানুসারে তাঁর নৈকট্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে

৩২০২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ الْعَسْكَرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: «قَدْ خَيَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَهُ، أَوْكَانَ طَلَاقًا»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগণকে তাঁর দাম্পত্য বন্ধনে থাকা না থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বাধিকার দিয়েছিলেন। তা কি তালাক বিবেচিত হয়েছিল ? অর্থাৎ এতে তাঁরা তালাক হননি।

৩২০৩

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ إِسْمَعِيلَ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاخْتَرْنَاهُ، فَلَمْ يَكُنْ طَلَاقًا»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ‘ইখতিয়া’র দিলে আমরা তাঁকেই গ্রহন করলাম তা (কখনো) তালাক বলে গণ্য হয়নি।

৩২০৪

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: حَفِظْنَاهُ مِنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «مَا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أُحِلَّ لَهُ النِّسَاءُ»

আতা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওফাত লাভ করেন নি, যে পর্যন্ত না মহিলাদের (মধ্যে যাকে তিনি ইচ্ছা করেন ---- তাকে গ্রহণ করার)।

৩২০৫

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ وَهُوَ الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «مَا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَحَلَّ اللَّهُ لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ مِنَ النِّسَاءِ مَا شَاءَ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর ওফাত হয়নি যতক্ষন না আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর জন্য হালাল করে দিয়েছিলেন যে তিনি মহিলাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বিবাহ করতে পারবেন।

৩২০১

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدٍ النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى بْنِ أَعْيَنَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَهَا حِينَ أَمَرَهُ اللَّهُ أَنْ يُخَيِّرَ أَزْوَاجَهُ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَبَدَأَ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «إِنِّي ذَاكِرٌ لَكِ أَمْرًا، فَلَا عَلَيْكِ أَنْ لَا تُعَجِّلِي حَتَّى تَسْتَأْمِرِي أَبَوَيْكِ»، قَالَتْ: وَقَدْ عَلِمَ أَنَّ أَبَوَيَّ لَا يَأْمُرَانِي بِفِرَاقِهِ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ} [الأحزاب: 28]، فَقُلْتُ: فِي هَذَا أَسْتَأْمِرُ أَبَوَيَّ فَإِنِّي أُرِيدُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ

আবূ সালামা ইব্‌ন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা যখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে তাঁর স্ত্রীগণকে দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে ‘ইখতিয়ার’ (স্বাধিকার) প্রদানের আদেশ করলেন, আয়েশা (রাঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দিয়েই আরম্ভ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমার নিকট একটি কথা বলব, কিন্তু তুমি সে ব্যাপারে তোমার পিতামাতার পরামর্শ গ্রহনের পূর্বে (অবিলম্বে) সে সম্বন্ধে মতামত প্রকাশ করবে না। কারন তিনি জানতেন, আমার মাতাপিতা তাঁর কাছ থেকে বিচ্ছেদের পরামর্শ আমাকে দেবেন না। তারপর রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ (কুরআনের ভাষা অনুসারে) “হে নবী। আপনি আপনার স্ত্রীগণকে বলুন, যদি তোমরা পার্থিব জীবন এবং এর সাজসজ্জা কামনা কর; তবে আসো, আমি তোমাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় দেই (৩৩:২৮)। আমি বললামঃ এ ব্যাপারে আমি আমার পিতামাতার নিকট পরামর্শ করব ? আমি তো আল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌র রাসূল এবং আখিরাতের জীবন কামনা করি।
২৪/ পরিচ্ছেদঃ বিবাহে উদ্ধুদ্ধ করা

৩২১০

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ»، وَسَاقَ الْحَدِيثَ

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলেছেনঃ হে যুবক সম্প্রদায়। তোমাদের মধ্যে যে খরচাদি বহন করতে সক্ষম, সে যেন বিবাহ করে। অনুরূপ পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করলেন।

৩২০৬

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ ابْنِ مَسْعُودٍ وَهُوَ عِنْدَ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ عُثْمَانُ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى فِتْيَةٍ، قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «فَلَمْ أَفْهَمْ فِتْيَةً كَمَا أَرَدْتُ» فَقَالَ: «مَنْ كَانَ مِنْكُمْ ذَا طَوْلٍ فَلْيَتَزَوَّجْ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، وَمَنْ لَا، فَالصَّوْمُ لَهُ وِجَاءٌ»

আলকামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইবন্‌ মাসউদ (রাঃ)- এর সঙ্গে এর নিকট ছিলাম এবং তখন তিনি উসমান (রাঃ)- এর কাছে ছিলেন। তখন উসমান (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একদিন) বের হলেন ----- অর্থাৎ কয়েকজন যুবকদের নিকট। আবূ আবদুর রহমান বলেন, (আরবি) শব্দ দ্বারা কাদের বুঝানো হয়েছে, আমি তা উত্তম রূপে বুঝতে পারি নি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ধনবান (মোহরানা ও স্ত্রীর ঘোরপোষ বহনে সমর্থ) হয়, সে যেন বিবাহ করে। কেননা, তা দৃষ্টি সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের অধিক হিফাজত করে। আর যে ব্যক্তি ধনবান (সমর্থ) না হয়, সিয়াম পালন তার জন্য কামভাবের নিয়ন্ত্রক।

৩২০৮

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنِي هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ الْهَمْدَانِيُّ الْكُوفِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالْأَسْوَدُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ، فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «الْأَسْوَدُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ لَيْسَ بِمَحْفُوظٍ»

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলেছেনঃ তোমাদের যে ব্যক্তি বিবাহের করচাদির সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে; আর যে ব্যক্তি অসমর্থ, সে যেন সিয়াম পালন করে। ইহা তার যৌন শক্তির নিয়ন্ত্রক। আবূ আবদুর রহমান বলেনঃ এ হাদীসের আসওয়াদ বর্ণনাকারী মাহ্‌ফুজ (সুরক্ষিত) নয়।

৩২০৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، أَنَّ عُثْمَانَ، قَالَ لِابْنِ مَسْعُودٍ: هَلْ لَكَ فِي فَتَاةٍ أُزَوِّجُكَهَا؟ فَدَعَا عَبْدُ اللَّهِ، عَلْقَمَةَ فَحَدَّثَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَلْيَصُمْ، فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ»

আলকামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উসমান (রাঃ) ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)- কে বললেন: তোমার কি কোন যুবতীর প্রতি আগ্রহ আছে, আমি তাকে তোমার সাথে বিবাহ দিয়ে দেব। তখন আবদুল্লাহ্‌ ইবন্‌ মাসউদ (রাঃ) আলকামা (রহঃ)- কে ডেকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিবাহের খরচাদির সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে। কেননা তা দৃষ্টি সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের অধিক হিফাজত করে। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন সিয়াম পালন করে, কেননা তা-ই তার জন্য কামক্ষুধার নিয়ন্ত্রক।

৩২০৯

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَنْكِحْ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، وَمَنْ لَا، فَلْيَصُمْ، فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ»

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেছেনঃ হে যুবক দল। তোমাদের মধ্যে যে খরচ বহন করতে সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কেননা তা দৃষ্টি সংযতকারী এবং লজ্জাস্থানের অধিক হিফাজতকারী। আর যে অসমর্থ, সে যেন সিয়াম পালন করে; সিয়াম তার যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রক।

৩২১১

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بِمِنًى، فَلَقِيَهُ عُثْمَانُ، فَقَامَ مَعَهُ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَلَا أُزَوِّجُكَ جَارِيَةً شَابَّةً فَلَعَلَّهَا أَنْ تُذَكِّرَكَ بَعْضَ مَا مَضَى مِنْكَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: أَمَا لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ لَقَدْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ»

আলকামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি মিনায় আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ)- এর সঙ্গে হাঁটছিলাম। তাঁর সাথে উসমান (রাঃ)- এর সাক্ষাত হলো, তিনি তাঁর নিকট দাঁড়িয়ে তাঁর সংগে কথা বলতে লাগলেনঃ হে আবূ আবদুর রহমান। আমি কি তোমাকে একজন যুবতী মেয়ে বিবাহ করাব ? হয়তো তাঁর সংস্পর্শে তোমার বিগত জীবনের (যৌবনের) কিছুটা স্মরন করিয়ে দেবে। আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) বললেন, তুমি তো একথা বললে, অথচ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলেছেনঃ হে যুবক সম্প্রদায়। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিবাহের খরচাদির সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে।
২৪/ পরিচ্ছেদঃ চির-কুমার থাকার নিষিদ্ধতা

৩২১২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ: «لَقَدْ رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُثْمَانَ التَّبَتُّلَ»، وَلَوْ أَذِنَ لَهُ لَاخْتَصَيْنَا

সা’দ ইব্‌ন আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসমান ইব্‌ন মায্‌উনকে চির-কুমার থাকতে (অর্থাৎ বিবাহ না করে ও সংসার জীবন বর্জন করে সব ইবাদতে নিমগ্ন থাকতে) নিষেধ করেছেন, তিনি যদি তাকে অনুমতি দিতেন, তাহলে আমরা ‘খাসি’ হওয়া গ্রহন করতাম।

৩২১৩

সহিহ লিগাইরিহি
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ التَّبَتُّلِ» --- [حكم الألباني] صحيح لغيره

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিবাহ না করে সংসার বিরাগী জীবন যাপন (চির কৌমার্য) হতে নিষেধ করেছেন।

৩২১৪

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ نَهَى عَنِ التَّبَتُّلِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «قَتَادَةُ أَثْبَتُ وَأَحْفَظُ مِنْ أَشْعَثَ، وَحَدِيثُ أَشْعَثَ أَشْبَهُ بِالصَّوَابِ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ»

সামুরা ইব্‌ন জুন্দুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বিবাহ না করে সংসার ত্যাগী জীবন যাপন (চির কৌমার্য) হতে নিষেধ করেছেন। আবূ আবদুর রহমান বলেন, কাতাদা (রহঃ) আশআস (রহঃ) হতে অধিক দৃঢ় ও অধিক স্মরন শক্তির অধিকারী। আর আশআস (রহঃ)- এর হাদীস অত্যধিক বিশুদ্ধ। মহান আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ।

৩২১৫

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي رَجُلٌ شَابٌّ، قَدْ خَشِيتُ عَلَى نَفْسِيَ الْعَنَتَ، وَلَا أَجِدُ طَوْلًا أَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ، أَفَأَخْتَصِي؟ فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قَالَ ثَلَاثًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، جَفَّ الْقَلَمُ بِمَا أَنْتَ لَاقٍ، فَاخْتَصِ عَلَى ذَلِكَ، أَوْ دَعْ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «الْأَوْزَاعِيُّ لَمْ يَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ مِنَ الزُّهْرِيِّ» وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ قَدْ رَوَاهُ يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ

আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌ । আমি একজন যুবক ব্যক্তি। আমি নিজের ব্যাপারে ব্যভিচারের ভয় করি, অথচ বিবাহের খরচ বহনের সামর্থ্য ও আমার নাই। আমি কি ‘খাসি’ হওয়া গ্রহণ করব? (একথা শুনে) তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনবার এমন বলার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ হুরায়রা। তুমি কী (পরিস্থিতির) সম্মুখীন হবে তা (তোমার ভবিষ্যৎ কর্ম সম্বন্ধে) লিখিত হয়ে গেছে, এখন তুমি ইচ্ছা হয়, খাসি হতে পার বা তা পরিত্যাগ করতে পার। আবূ আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, আওযায়ী (রহঃ) এ হাদীস যুহরী (রহঃ) হতে শ্রবণ করেননি। এ হাদীসটি সহীহ্‌। এ হাদিসটি ইউনুস (রহঃ) যুহরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

৩২১৬

অন্যান্য
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخَلَنْجِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ نَافِعٍ الْمَازِنِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي الْحَسَنُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، قَالَ: قُلْتُ: إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكِ عَنِ التَّبَتُّلِ، فَمَا تَرَيْنَ فِيهِ؟ قَالَتْ: " فَلَا تَفْعَلْ، أَمَا سَمِعْتَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجًا وَذُرِّيَّةً} [الرعد: 38] فَلَا تَتَبَتَّلْ " --- [حكم الألباني] صحيح إن كان الحسن سمعه من سعد موقوف

সা’দ ইব্‌ন হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলেন। তিনি বলেন, আমি বললামঃ আমি আপনাকে সংসার ত্যাগী জীবন (কৌমার্য) সম্বন্ধে প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করি। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি? তিনি বললেনঃ তা করো না। তুমি কি শোন নি যে, মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেছেনঃ “আর আমি আপনার পূর্বেও অনেক রাসূল প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছিলাম”। (১৩:৩৮)। সুতরাং তুমি বিবাহ না করে সংসার ত্যাগী জীবন-যাপন কর না।

৩২১৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَفَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَعْضُهُمْ: لَا أَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا آكُلُ اللَّحْمَ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا أَنَامُ عَلَى فِرَاشٍ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: أَصُومُ فَلَا أُفْطِرُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَقُولُونَ كَذَا وَكَذَا، لَكِنِّي أُصَلِّي وَأَنَامُ، وَأَصُومُ وَأُفْطِرُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ، فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي»

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাহাবায়ে কিরাম-এর একদলের কেউ কেউ বললেনঃ আমি নারীদের বিয়ে করবো না। কেউ বললেনঃ আমি গোশত আহার করবো না। আর কেউ বললেনঃ আমি বিছানায় শয়ন করবো না। আবার কেউ বললেনঃ এমন সিয়াম পালন করব, আর কখনও সিয়াম ভঙ্গ করবো না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা শ্রবণ করে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করে বললেনঃ লোকদের কি হলো – যারা এমন এমন কথা বলে! কিন্তু আমি (রাতের) কিছু অংশে সালাত আদায় করি, আবার নিদ্রা যাই; সিয়াম পালন করি আবার ভঙ্গ করি এবং নারিদের বিয়ে করি। যে আমার সুন্নাত হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন