hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে আন-নাসায়ী

৪৪. কাসামাহ

سنن النسائي

৪৪/ পরিচ্ছেদঃ জাহিলী যুগে প্রচলিত কাসামাহ

৪৭০৬

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَطَنٌ أَبُو الْهَيْثَمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو يَزِيدَ الْمَدَنِيُّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: " أَوَّلُ قَسَامَةٍ كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، كَانَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ اسْتَأْجَرَ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ، مِنْ فَخِذِ أَحَدِهِمْ قَالَ: فَانْطَلَقَ مَعَهُ فِي إِبِلِهِ، فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ قَدِ انْقَطَعَتْ عُرْوَةُ جُوَالِقِهِ، فَقَالَ: أَغِثْنِي بِعِقَالٍ أَشُدُّ بِهِ عُرْوَةَ جُوَالِقِي لَا تَنْفِرُ الْإِبِلُ، فَأَعْطَاهُ عِقَالًا يَشُدُّ بِهِ عُرْوَةَ جُوَالِقِهِ، فَلَمَّا نَزَلُوا، وَعُقِلَتْ الْإِبِلُ إِلَّا بَعِيرًا وَاحِدًا، فَقَالَ الَّذِي اسْتَأْجَرَهُ: مَا شَأْنُ هَذَا الْبَعِيرِ، لَمْ يُعْقَلْ مِنْ بَيْنِ الْإِبِلِ؟ قَالَ: لَيْسَ لَهُ عِقَالٌ قَالَ: فَأَيْنَ عِقَالُهُ؟ قَالَ: مَرَّ بِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ قَدِ انْقَطَعَتْ عُرْوَةُ جُوَالِقِهِ فَاسْتَغَاثَنِي، فَقَالَ: أَغِثْنِي بِعِقَالٍ أَشُدُّ بِهِ عُرْوَةَ جُوَالِقِي، لَا تَنْفِرُ الْإِبِلُ، فَأَعْطَيْتُهُ عِقَالًا فَحَذَفَهُ بِعَصًا كَانَ فِيهَا أَجَلُهُ، فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ: أَتَشْهَدُ الْمَوْسِمَ؟ قَالَ: مَا أَشْهَدُ، وَرُبَّمَا شَهِدْتُ، قَالَ: هَلْ أَنْتَ مُبَلِّغٌ عَنِّي رِسَالَةً مَرَّةً مِنَ الدَّهْرِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: إِذَا شَهِدْتَ الْمَوْسِمَ فَنَادِ: يَا آلَ قُرَيْشٍ، فَإِذَا أَجَابُوكَ، فَنَادِ: يَا آلَ هَاشِمٍ، فَإِذَا أَجَابُوكَ، فَسَلْ عَنْ أَبِي طَالِبٍ، فَأَخْبِرْهُ أَنَّ فُلَانًا قَتَلَنِي فِي عِقَالٍ، وَمَاتَ الْمُسْتَأْجَرُ، فَلَمَّا قَدِمَ الَّذِي اسْتَأْجَرَهُ، أَتَاهُ أَبُو طَالِبٍ فَقَالَ: مَا فَعَلَ صَاحِبُنَا؟ قَالَ: مَرِضَ، فَأَحْسَنْتُ الْقِيَامَ عَلَيْهِ، ثُمَّ مَاتَ، فَنَزَلْتُ، فَدَفَنْتُهُ، فَقَالَ كَانَ ذَا أَهْلَ ذَاكَ مِنْكَ، فَمَكُثَ حِينًا، ثُمَّ إِنَّ الرَّجُلَ الْيَمَانِيَّ الَّذِي كَانَ أَوْصَى إِلَيْهِ أَنْ يُبَلِّغَ عَنْهُ، وَافَى الْمَوْسِمَ، قَالَ: يَا آلَ قُرَيْشٍ، قَالُوا: هَذِهِ قُرَيْشٌ، قَالَ: يَا آلَ بَنِي هَاشِمٍ، قَالُوا: هَذِهِ بَنُو هَاشِمٍ، قَالَ: أَيْنَ أَبُو طَالِبٍ؟ قَالَ: هَذَا أَبُو طَالِبٍ، قَالَ: أَمَرَنِي فُلَانٌ أَنْ أُبَلِّغَكَ رِسَالَةً، أَنَّ فُلَانًا قَتَلَهُ فِي عِقَالٍ، فَأَتَاهُ أَبُو طَالِبٍ، فَقَالَ: اخْتَرْ مِنَّا إِحْدَى ثَلَاثٍ إِنْ شِئْتَ أَنْ تُؤَدِّيَ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، فَإِنَّكَ قَتَلْتَ صَاحِبَنَا خَطَأً، وَإِنْ شِئْتَ يَحْلِفْ خَمْسُونَ مِنْ قَوْمِكَ أَنَّكَ لَمْ تَقْتُلْهُ، فَإِنْ أَبَيْتَ قَتَلْنَاكَ بِهِ. فَأَتَى قَوْمَهُ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُمْ، فَقَالُوا: نَحْلِفُ، فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ كَانَتْ تَحْتَ رَجُلٍ مِنْهُمْ قَدْ وَلَدَتْ لَهُ. فَقَالَتْ: يَا أَبَا طَالِبٍ، أُحِبُّ أَنْ تُجِيزَ ابْنِي هَذَا بِرَجُلٍ مِنَ الْخَمْسِينَ، وَلَا تُصْبِرْ يَمِينَهُ، فَفَعَلَ، فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ، فَقَالَ: يَا أَبَا طَالِبٍ، أَرَدْتَ خَمْسِينَ رَجُلًا أَنْ يَحْلِفُوا مَكَانَ مِائَةٍ مِنَ الْإِبِلِ، يُصِيبُ كُلَّ رَجُلٍ بَعِيرَانِ فَهَذَانِ بَعِيرَانِ فَاقْبَلْهُمَا عَنِّي، وَلَا تُصْبِرْ يَمِينِي حَيْثُ تُصْبَرُ الْأَيْمَانُ، فَقَبِلَهُمَا، وَجَاءَ ثَمَانِيَةٌ وَأَرْبَعُونَ رَجُلًا حَلَفُوا، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا حَالَ الْحَوْلُ وَمِنَ الثَّمَانِيَةِ وَالْأَرْبَعِينَ عَيْنٌ تَطْرِفُ

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সর্বপ্রথম জাহিলী যুগে যে কাসামাহ (শপথ গ্রহণ)-এর ঘটনা ঘটে, তা ছিল এইরূপ যে, কুরায়শের এক শাখা গোত্রের এক ব্যক্তি হাশেম গোত্রের এক ব্যক্তিকে অর্থের বিনিময়ে কাজ করার জন্য রেখেছিল। সে তার সাথে তার উটের স্থানে গেল। সেখানে অন্য এক লোকের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়, সেও বনূ হাসেমেরই লোক ছিল। সেই ব্যক্তির থলির রশি ছিঁড়ে গিয়েছিল। সেই লোক বললো, একটি রশি দ্বারা আমার সাহায্য করুন, যেন আমি আমার থলিটি বাঁধতে পারি। এমন না হয় যে, থলির মালামাল পড়ে যায় আর সে কারণে উট ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। হাশিম গোত্রীয় মজুর তাকে একখানা রশি দিয়ে দিল যাতে তার থলি বাঁধতে পারে। যখন তারা অবতরণ করল সকল উট তো বাঁধা হলো কিন্তু একটি উট থেকে গেল, তা বাঁধা গেল না। যে ব্যক্তি তাকে কাজে রেখেছিল, সে জিজ্ঞাসা করলোঃ এই উটের কি হলো ? একে বাঁধলে না কেন ? চাকর বললোঃ এর বাঁধার রশি নেই। সে জিজ্ঞাসা করলোঃ রশি কোথায় গেল ? চাকর বললোঃ বনী হাশিমের এক ব্যক্তির সাথে আমার সাক্ষাৎ হলে তার থলি বাঁধার রশি ছিঁড়ে গিয়েছিল, সে আমাকে বললোঃ একটি রশি দিয়ে আমার সাহায্য করুন, যা দ্বারা আমি আমার থলির মুখ বন্ধ করতে পারি যাতে আমার উট পালিয়ে না যায়। আমি তাকে বাঁধার জন্য রশি দিয়ে দেই। একথা শুনেই মালিক মজুরকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ফলে মজুরটি মারা যায়। সে যখন মুমূর্ষু, তখন ইয়ামেনী জনৈক ব্যক্তি তার নিকট দিয়া যাচ্ছিল। সে জিজ্ঞাসা করলো, আপনি হজ্জে যাবেন? সে বললোঃ পূর্বে একবার গিয়েছিলাম এবার যাব না। সে বললোঃ আপনি যখনই যাবেন, আমার একটি সংবাদ তখন পৌঁছাতে পারবেন কি? লোকটি বললোঃ হ্যাঁ। সে বললঃ আপনি হজ্জ মৌসুমে গেলে সেখানে হে কুরায়শ গোত্রের লোক! বলে ডাক দিবেন, তারা জবাব দিলে আবার ডাকবেন, হে হাশিম গোত্রের লোক! তারা জবাব দিলে আপনি আবূ তালিব সম্পর্কে খোঁজ নেবেন। তাঁকে বলবেন, ‘আমাকে অমুক ব্যক্তি একটি রশির কারণে হত্যা করেছে।’ এই বলেই সে মৃত্যুবরণ করলো। মালিক ব্যক্তি মক্কায় আসলে আবূ তালিব তাকে জিজ্ঞাসা করলঃ আমাদের লোক কোথায়? সে বললঃ তার অসুখ হয়েছিল, আমি তার উত্তমরূপে সেবা করি, কিন্তু সে মারা যায়। আমি অবতরণ করে তাকে দাফন করি। আবূ তালিব বললেনঃ তোমার থেকে সে এরূপ ব্যবহার পাওয়ারই উপযুক্ত ছিল। কিছুদিন পর ইয়ামন হতে ঐ ব্যক্তি আগমন করল, যাকে ঐ মজুর ব্যক্তি সংবাদ দেওয়ার ওসীয়ত করেছিল। সে বললঃ হে কুরায়শ গোত্র! তারা বললঃ এই যে আমরা। সে বললঃ হে বনী হাশেম! তারা বললঃ এই যে বনূ হাশেমের লোক। সে জিজ্ঞাশা করলোঃ আবূ তালিব কোথায়? তারা বললঃ এই যে আবূ তালিব। সে বললঃ আমাকে অমুক ব্যক্তি ওসীয়ত করেছিল, আপনাকে এই সংবাদ দেওয়ার জন্য যে, অমুক ব্যক্তি একটি রশির জন্য তাকে লাঠির আঘাতে হত্যা করেছে। আবূ তালিব সে ব্যক্তির নিকট গিয়ে বললেন, তুমি আমার গোত্রের লোককে হত্যা করেছ। এখন তিনটি প্রস্তাবের একটা গ্রহণ কর। যদি তুমি ইচ্ছা কর, তবে দিয়াতের একশত উট দিয়ে দাও। কেননা তুমি আমাদের লোককে ভুলবশত হত্যা করেছ। আর যদি তুমি ইচ্ছা কর, তা হলে তোমার গোত্রের পঞ্চাশ জন লোক কছম খেয়ে বলবে যে, তুমি তাকে হত্যা করনি। যদি তুমি এর কোন শর্ত গ্রহণ না কর, তবে আমরা তোমাকে ঐ ব্যক্তির পরিবর্তে হত্যা করবো। সে ব্যক্তি তার গোত্রের নিকটে গিয়ে একথা বললো। তখন তারা বললঃ আমরা শপথ করবো। এরপর বনূ হাশেম গোত্রের এক নারী যার সে গোত্রে বিয়ে হয়েছিল, পুত্র সন্তানও জন্ম দিয়েছিল, আবূ তালিবের নিকট এসে বললঃ হে আবূ তালিব! আমার ইচ্ছা আপনি পঞ্চাশজন লোকের একজন হিসাবে আমার এই ছেলেকে শপথ হতে নিষ্কৃতি দেবেন। আবূ তালিব তা মঞ্জুর করলেন। এরপর তাদের আরেক ব্যক্তি এসে বললঃ হে আবূ তালিব! আপনি একশত উটের পরিবর্তে ৫০ লোকের শপথ নিতে চান, তাতে একজনের জন্য দুই উট পড়ে। অতএব, এই দুই উট গ্রহণ করে আমাকে শপথ হতে রেহাই দিন। আবূ তালিব এটাও গ্রহণ করলেন। পড়ে আটচল্লিশজন লোক এসে কসম করলো। ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) আল্লাহ্‌র কসম! এক বছর শেষ না হতেই ঐ আটচল্লিশজন লোকের সবাই মারা গেল।
[১] কাউকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলে, তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যে কসম করা হয়, সেই কসমকে শরীয়তে ‘কাসামাহ’ বলা হয়।
[২] কোন কোন বর্ণনায় এ রকমই আছে। কিন্তু এটা ভুল ; সঠিক হচ্ছে (আরবি) যেমন নাসাঈ শরীফের হিন্দুস্থানী মুদ্রণে আছে। তা ছাড়া বুখারী শরীফের প্রসিদ্ধ বর্ণনাও তাই এবং ইব্ন হাজার (রহঃ) সেটাকেই বিশুদ্ধ বলেছেনঃ।
৪৪/ পরিচ্ছেদঃ শপথ

৪৭০৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَحْمَدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَنْصَارِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقَرَّ الْقَسَامَةَ عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক আনসারী সাহাবী থেকে বর্ণিত থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাসামাহ জাহিলী যুগে যেভাবে প্রচলিত ছিল সেভাবেই বহাল রাখেন।

৪৭০৮

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هَاشِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنَّ الْقَسَامَةَ كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَأَقَرَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَقَضَى بِهَا بَيْنَ أُنَاسٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي قَتِيلٍ ادَّعَوْهُ عَلَى يَهُودِ خَيْبَرَ خَالَفَهُمَا مَعْمَرٌ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কয়েকজন সাহাবী হতে বর্ণিত থেকে বর্ণিতঃ

কাসামাহ জাহিলী যুগে প্রচলিত ছিল। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একে বহাল রাখেন। তিনি আনসারদের মোকদ্দমায় কাসামাহ-এর আদেশ দেন, যখন তারা খায়বরের ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যার দাবি উত্থাপন করেছিল।

৪৭০৯

সহিহ লিগাইরিহি
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «كَانَتِ الْقَسَامَةُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، ثُمَّ أَقَرَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَنْصَارِيِّ الَّذِي وُجِدَ مَقْتُولًا فِي جُبِّ الْيَهُودِ» فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: الْيَهُودُ قَتَلُوا صَاحِبَنَا

ইব্‌ন মুসায়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ জাহিলী যুগে কাসামাহ প্রচলিত ছিল। পরে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একে সেই আনসারীর ক্ষেত্রে আরোপ করেন, যার লাশ ইয়াহুদীদের কূপে পাওয়া গিয়েছিল, কেননা আনসার দাবি করে যে, ইয়াহুদীরা আমাদের লোককে হত্যা করেছে।
৪৪/ পরিচ্ছেদঃ নিহতের অভিভাবকদের প্রথমে শপথ করানো

৪৭১০

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ، وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمَا، فَأُتِيَ مُحَيِّصَةُ فَأُخْبِرَ: أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَدْ قُتِلَ وَطُرِحَ فِي فَقِيرٍ أَوْ عَيْنٍ، فَأَتَى يَهُودَ فَقَالَ: أَنْتُمْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُوهُ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَحُوَيِّصَةُ وَهُوَ أَخُوهُ أَكْبَرُ مِنْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ فَذَهَبَ مُحَيِّصَةُ لِيَتَكَلَّمَ وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَبِّرْ كَبِّرْ» وَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ، ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ يُؤْذَنُوا بِحَرْبٍ» فَكَتَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبُوا: إِنَّا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ: «تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ؟» قَالُوا: لَا، قَالَ: «فَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ؟» قَالُوا: لَيْسُوا مُسْلِمِينَ. فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِمِائَةِ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمُ الدَّارَ، قَالَ سَهْلٌ: لَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ

সাহ্‌ল ইব্‌ন আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন সাহ্‌ল এবং মুহায়্যিসা তাঁদের অর্থ-কষ্টের দরুন খায়বরের দিকে রওয়ানা হন। পরে মুহায়্যিসার নিকট এক ব্যক্তি এসে বললঃ আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন সাহ্‌ল নিহত হয়েছে। আর তাকে এক অতি অন্ধকার কূপে ফেলে দেয়া হয়েছে। একথা শুনে মুহায়্যিসা ইয়াহূদীদের নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আল্লাহ্‌র শপথ! তোমরা তাকে হত্যা করেছ। তারা বললোঃ আল্লাহ্‌র শপথ! আমরা তাকে হত্যা করিনি। মুহায়্যিসা সেখান থেকে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করলেন। এরপর মুহায়্যিসা, তার বড় ভাই হুয়ায়্যিসা এবং আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলেন। মুহায়্যিসা, যিনি খায়বারে ছিলেন। আগে কথা বলতে চাইলে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বড়কে আগে কথা বলতে দাও। এরপর হুয়ায়্যিসা কথা বললেন, তারপর বললেন, মুহায়্যিসা। সব শুনে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইয়াহূদীদের উচিত তোমার ভাইয়ের দিয়াত আদায় করা, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হবে। তারপর তিনি ইয়াহূদীদেরকে এ ব্যপারে লিখলে তারা উত্তর দিল, আল্লাহ্‌র শপথ! আমরা হত্যা করিনি। এরপর রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুয়ায়্যিসা,মুহায়্যিসা এবং আবদূর রহমানকে বললেনঃ আচ্ছা, এখন তোমরা শপথ করে তোমাদের ভাইয়ের হত্যার প্রমাণ দাও। তখন তাঁরা বললেনঃ না, আমরা শপথ করবো না। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে ইয়াহূদীরা কসম করে বলবে যে, আমারা হত্যা করিনি, তারা বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! ইয়াহূদীরা তো মুসলমান নয় (তারা মিথ্যা কসম করবে)। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে তাদেরকে দিয়াত স্বরূপ একশত উট দিয়ে দেন। তারা উট নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। সাহ্‌ল (রাঃ) বলেনঃ এর একটি লাল উটনী আমাকে পদাঘাত করেছিল।

৪৭১১

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ وَرِجَالٌ كُبَرَاءُ مِنْ قَوْمِهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمْ، فَأَتَى مُحَيِّصَةُ فَأَخْبَرَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَدْ قُتِلَ وَطُرِحَ فِي فَقِيرٍ أَوْ عَيْنٍ، فَأَتَى يَهُودَ. وَقَالَ: أَنْتُمْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُوهُ، قَالُوا: وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ. فَأَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ، فَذَكَرَ لَهُمْ، ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ، فَذَهَبَ مُحَيِّصَةُ لِيَتَكَلَّمَ وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُحَيِّصَةَ: «كَبِّرْ كَبِّرْ» يُرِيدُ السِّنَّ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ، ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ يُؤْذَنُوا بِحَرْبٍ»، فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبُوا إِنَّا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ: «أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ؟» قَالُوا: لَا. قَالَ: «فَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ» قَالُوا: لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِمِائَةِ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمُ الدَّارَ، قَالَ سَهْلٌ: لَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ

সাহ্‌ল ইব্‌ন আবু হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল এবং মুহায়্যিসা (রাঃ) তাঁদের অভাবের দরুন খায়বরের যান। এরপর মুহায়্যিসা-এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বললঃ আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন সাহ্‌লকে হত্যা করা হয়েছে এবং একটি অন্ধকার কূপে তাকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। একথা শুনে মুহায়্যিসা ইয়াহূদীদের নিকট গিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! তোমরা তাকে হত্যা করেছ। তারা বললোঃ আল্লাহ্‌র শপথ! আমরা তাকে হত্যা করিনি। মুহায়্যিসা সেখান থেকে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে সকল ঘটনা তাঁকে অবহিত করেন। এরপর মুহায়্যিসা, তার বড় ভাই হুওয়ায়্যিসাহ এবং আবদুর রহমান ইব্‌ন সাহ্‌ল মিলিত হয়ে আসলেন। মুহায়্যিসা (রাঃ) খায়বরে প্রথম গমন করেন বিধায় তিনি প্রথমে কথা বলতে চাইলে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বড় ভাইকে সম্মান কর। পরে হুয়ায়্যিসা সকল ঘটনা বর্ণনা করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের ভাইয়ের দিয়াত দিয়ে দেওয়া ইয়াহূদীদের কর্তব্য, অন্যথায় তাদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হবে। এরপর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যপারে ইয়াহূদীদের লিখলে তারা জবাব দেয় যে, আল্লাহ্‌র কসম! আমরা তাঁকে হত্যা করি নাই। এরপর রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুয়ায়্যিসা, মুহায়্যিসা এবং আবদূর রহমানকে বললেনঃ এখন তোমরা শপথ করে তোমাদের ভাইয়ের হত্যা প্রমাণিত কর। তাঁরা বললেনঃ আমরা শপথ করতে পারি না (কারণ আমরা চাক্ষুষ দেখিনি)। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা হলে ইয়াহুদীরা তোমাদের বিপক্ষে শপথ করবে। তারা বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! তারা তো মুসলমান নয়। পরে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিয়াত নিজেই আদায় করেন এবং একশত উট তাদের নিকট পাঠিয়ে দেন। যা নিয়ে তারা তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। সাহ্‌ল বলেনঃ এর একটি লাল উটনী আমাকে পদাঘাত করেছিল।

৪৭১২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ: وَحَسِبْتُ قَالَ: وَعَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّهُمَا قَالَا: خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلِ بْنِ زَيْدٍ وَمُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ حَتَّى إِذَا كَانَا بِخَيْبَرَ تَفَرَّقَا فِي بَعْضِ مَا هُنَالِكَ، ثُمَّ إِذَا بِمُحَيِّصَةَ يَجِدُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَتِيلًا فَدَفَنَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ وَحُوَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَكَانَ أَصْغَرَ الْقَوْمِ، فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَتَكَلَّمُ قَبْلَ صَاحِبَيْهِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَبِّرِ الْكُبْرَ فِي السِّنِّ» فَصَمَتَ وَتَكَلَّمَ صَاحِبَاهُ، ثُمَّ تَكَلَّمَ مَعَهُمَا، فَذَكَرُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقْتَلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ، فَقَالَ لَهُمْ: «أَتَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا وَتَسْتَحِقُّونَ صَاحِبَكُمْ أَوْ قَاتِلَكُمْ؟» قَالُوا: كَيْفَ نَحْلِفُ وَلَمْ نَشْهَدْ؟ قَالَ: «فَتُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا» قَالُوا: وَكَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُ عَقْلَهُ

বুশায়র ইব্‌ন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাহ্‌ল ইব্‌ন আবু হাসমা এবং রাফি ইব্‌ন খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা বলেনঃ আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল এবং মুহায়্যিসা ইব্‌ন মাসউদ একত্রে বের হন। খায়বরের পৌঁছলে কোন এক স্থানে তারা পরস্পর পৃথক হয়ে যান। এরপর মুহায়্যিসা (রাঃ) আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন সাহ্‌লকে দেখলেন যে, তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি তাকে দাফন করলেন। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হন। তিনি নিজে, হুওয়ায়্যিসা ইব্‌ন মাসউদ এবং আবদুর রহমান ইব্‌ন সাহ্‌ল। আবদুর রহমান সকলের মধ্যে বয়সে ছোট ছিলেন। তিনি প্রথমে কথা বলতে আরম্ভ করলে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যারা বয়সে বড় তাদের সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রাখ। তখন তিনি চুপ হয়ে যান। তখন তার সাথীদ্বয় কথা বলতে থাকেন এবং তিনিও তাদের সাথে কথা বলছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ঐ স্থানের কথা বললেনঃ যেখানে আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল নিহত হন। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা পঞ্চাশ ব্যক্তি কি শপথ করতে পারবে যা দ্বারা তোমরা তোমাদের অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা বললেন, তোমাদের লোকের হত্যাকারীর বিচার লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে? তারা বললেনঃ যখন আমরা দেখিনি এবং আমরা উপস্থিতও ছিলাম না, তখন আমরা কী করে শপথ করতে পারি। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা হলে ইয়াহূদীদের পঞ্চাশ ব্যক্তি শপথ করে তোমাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে যাক? তারা বললেনঃ আমরা কাফিরদের কসম কীরূপে বিশ্বাস করবো? রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ অবস্থা দেখে নিজে দিয়াত আদায় করে দেন।
৪৪/ পরিচ্ছেদঃ এই হাদীসে সাহ্‌ল হতে বর্ণনাকারীর বর্ণনাগত পার্থক্য

৪৭১৩

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ، أَنَّ مُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ أَتَيَا خَيْبَرَ فِي حَاجَةٍ لَهُمَا، فَتَفَرَّقَا فِي النَّخْلِ، فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، فَجَاءَ أَخُوهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَحُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ابْنَا عَمِّهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَكَلَّمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فِي أَمْرِ أَخِيهِ، وَهُوَ أَصْغَرُ مِنْهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْكُبْرَ» لِيَبْدَأِ الْأَكْبَرُ فَتَكَلَّمَا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَكَرَ كَلِمَةً مَعْنَاهَا: «يُقْسِمُ خَمْسُونَ مِنْكُمْ» فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَمْرٌ لَمْ نَشْهَدْهُ كَيْفَ نَحْلِفُ؟ قَالَ: «فَتُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِأَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْهُمْ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَوْمٌ كُفَّارٌ، فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قِبَلِهِ، قَالَ: سَهْلٌ فَدَخَلْتُ مِرْبَدًا لَهُمْ فَرَكَضَتْنِي نَاقَةٌ مِنْ تِلْكَ الْإِبِلِ

বুশায়র ইব্‌ন ইয়াসার (রহঃ) সাহ্‌ল ইব্‌ন আবূ হাসমা এবং রাফি’ ইব্‌ন খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেনঃ মুহায়্যিসা ইব্‌ন মাসউদ এবং আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল তাদের কোন প্রয়োজনে খায়বর গমন করেন। সেখানে তারা খেজুর বাগানে পৃথক হয়ে যান। অতঃপর আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন সাহ্‌ল নিহত হন। সুতরাং তার ভাই আবদুর রহমান ইব্‌ন সাহ্‌ল এবং তার দুই চাচাতো ভাই হুওয়ায়্যিসাহ ও মুহায়্যিসা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলেন। আবদুর রহমান তার ভাই সম্পর্কে কথা বলা শুরু করেন। আর তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে বয়সে ছোট। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ যারা বয়সে বড় তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর। পরে তারা দুইজন তাদের সাথীর ব্যাপারে কথা বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটা কথা বললেন, যার অর্থ হল, তোমদের মধ্য হতে পঞ্চাশজন লোক কসম করবে। তখন তারা বললেনঃ আমরা যা প্রত্যক্ষ করিনি তার উপর আমরা কিরূপ শপথ করবো? তিনি বলেনঃ তা হলে ইয়াহূদীরা পঞ্চাশজন শপথ করে তোমাদের দাবি হতে রেহাই পেয়ে যাবে। তারা বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! তারা তো কাফির। এরপর রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের পক্ষ হতে দিয়াত আদায় করে দেন। সাহ্‌ল (রাঃ) বলেনঃ আমি উট রাখার স্থানে গেলে যে উট আমাদেরকে দেওয়া হয়েছিল তার একাটি আমাকে পদাঘাত করেছিল।

৪৭১৪

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرٌ وَهُوَ ابْنُ الْمُفَضَّلِ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ، وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودِ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُمَا أَتَيَا خَيْبَرَ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ صُلْحٌ، فَتَفَرَّقَا لِحَوَائِجِهِمَا، فَأَتَى مُحَيِّصَةُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ وَهُوَ يَتَشَحَّطُ فِي دَمِهِ قَتِيلًا، فَدَفَنَهُ ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَحُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَتَكَلَّمُ وَهُوَ أَحْدَثُ الْقَوْمِ سِنًّا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَبِّرْ الْكُبْرَ» فَسَكَتَ، فَتَكَلَّمَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَحْلِفُونَ بِخَمْسِينَ يَمِينًا مِنْكُمْ، فَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ أَوْ قَاتِلِكُمْ؟» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ نَحْلِفُ وَلَمْ نَشْهَدْ وَلَمْ نَرَ؟ قَالَ: «تُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ نَأْخُذُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ فَعَقَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ

বুশায়র ইব্‌ন ইয়াসার সাহ্‌ল ইব্‌ন আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল এবং মুহায়্যিসা ইব্‌ন মাসউদ ইব্‌ন যায়দ খায়বর গেলেন। এটা সেই সময়, যখন সেখানে সন্ধি স্থাপিত হয়ে গিয়েছিল। তারা তাদের কাজে সেখানে পরস্পর পৃথক হয়ে যান। এরপর মুহায়্যিসা আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন সাহ্‌লের নিকট গিয়ে দেখতে পান যে, তিনি নিহত হয়েছেন এবং তার দেহ রক্তে গড়াগড়ি খাচ্ছে। তিনি তাকে সেখানে দাফন করে মদীনায় ফিরে আসলেন। তারপর আবদুর রহমান ইব্‌ন সাহ্‌ল হুওয়ায়্যিসা ও মুহায়্যিসা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলেন। আবদুর রহমান ছিলেন সকলের ছোট। তিনি প্রথমে কথা বলতে আরম্ভ করলে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে বয়সে বড় তাকে সম্মান কর। সুতরাং তিনি চুপ হয়ে গেলেন। তারপর অন্য দু’জন কথা বললেন। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের পঞ্চাশজন কি শপথ করতে পারবে যে, যা দ্বারা তোমরা তোমাদের অভিযুক্ত ব্যক্তির কিংবা বললেন, তোমাদের লোকের হত্যাকারীকে হত্যা করার অধিকার লাভ করবে? তারা বললেনঃ আমরা সেখানে ছিলাম না এবং আমরা যখন দেখিনি, তখন আমারা কিভাবে তা করতে পারি? রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে ইয়াহূদীদের মধ্য হতে পঞ্চাশজন শপথ করবে। তারা বললেনঃ কাফিরদের শপথ আমরা কিরূপে মেনে নিতে পারি? এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে তাদের দিয়াত আদায় করে দেন।

৪৭১৫

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ قَالَ: انْطَلَقَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ زَيْدٍ إِلَى خَيْبَرَ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ صُلْحٌ، فَتَفَرَّقَا فِي حَوَائِجِهِمَا، فَأَتَى مُحَيِّصَةُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ وَهُوَ يَتَشَحَّطُ فِي دَمِهِ قَتِيلًا، فَدَفَنَهُ، ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَحُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَتَكَلَّمُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَبِّرْ الْكُبْرَ» وَهُوَ أَحْدَثُ الْقَوْمِ، فَسَكَتَ، فَتَكَلَّمَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَحْلِفُونَ بِخَمْسِينَ يَمِينًا مِنْكُمْ، وَتَسْتَحِقُّونَ قَاتِلَكُمْ أَوْ صَاحِبَكُمْ؟» فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ نَحْلِفُ، وَلَمْ نَشْهَدْ، وَلَمْ نَرَ؟ فَقَالَ: «أَتُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ؟» فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ نَأْخُذُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ فَعَقَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ

বুশায়র ইব্‌ন ইয়াসার সাহ্‌ল ইব্‌ন আবু হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল এবং মুহায়্যিসা ইব্‌ন মাসউদ ইব্‌ন যায়দ খায়বর গমন করেন। খায়বরে তখন সন্ধি স্থাপিত হয়ে গেছে। সেখানে যাওয়ার পর তারা কাজে পৃথক হয়ে যান। এরপর মুহায়্যিসা আবদুল্লাহ্‌র নিকট যান। দেখেন কি তিনি নিহত অবস্থায় রক্তের মধ্য গড়াগড়ি খাচ্ছেন। তিনি তাকে দাফন করে মদীনায় ফিরে আসেন। এরপর আবদুর রহমান ইব্‌ন সাহ্‌ল, হুওয়ায়্যিসা মুহায়্যিসা এবং ইব্‌ন মাসউদ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হন। প্রথমে আবদুর রহমান কথা বলতে শুরু করেন। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে বয়সে বড়, তাকে সম্মান কর। তিনি ছিলেন বয়সে ছোট। তিনি চুপ করলেন। এরপর তারা দু’জন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কথা বললেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা পঞ্চাশজন কি শপথ করবে যা দ্বারা তোমরা তোমাদের লোকের হত্যাকারীর বিচার করার অধিকার লাভ করবে? তারা বললেনঃ আমরা যখন দেখিনি, তখন আমরা কি করে শপথ করবো? তিনি বললেনঃ তাহলে ইয়াহূদীদের পঞ্চাশজন কসম করে তোমাদের দাবি মিথ্যা প্রমাণ করবে। তারা বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! কাফিরদের শপথ আমরা কি করে বিশ্বাস করবো? তখন তিনি নিজে তাদের দিয়াত আদায় করে দেন।

৪৭১৬

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ: سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ: أَخْبَرَنِي بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيَّ، وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ، خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ، فَتَفَرَّقَا فِي حَاجَتِهِمَا، فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيُّ، فَجَاءَ مُحَيِّصَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ أَخُو الْمَقْتُولِ وَحُوَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ حَتَّى أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَتَكَلَّمُ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْكُبْرَ الْكُبْرَ» فَتَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ وَحُوَيِّصَةُ، فَذَكَرُوا شَأْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا، فَتَسْتَحِقُّونَ قَاتِلَكُمْ؟» قَالُوا: كَيْفَ نَحْلِفُ، وَلَمْ نَشْهَدْ، وَلَمْ نَحْضُرْ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَتُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ قَالَ: فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: بُشَيْرٌ قَالَ لِي سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ: لَقَدْ رَكَضَتْنِي فَرِيضَةٌ مِنْ تِلْكَ الْفَرَائِضِ فِي مِرْبَدٍ لَنَا

সাহ্‌ল ইব্‌ন আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল আনসারী এবং মুহায়্যিসা ইব্‌ন মাসউদ খায়বার গমন করেন। পরে তারা উভয়ে তাদের কাজে পৃথক হয়ে যান এবং আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌ল আনসারী নিহত হন। এরপর মুহায়্যিসা ও আবদুর রহমান, নিহত ব্যক্তির ভাই এবং হুওয়ায়্যিসা ইব্‌ন মাসউদ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হন। আবদুর রহমান কথা বলতে উদ্যত হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ বয়সে যে বড় তার সম্মান কর। তখন মুহায়্যিসা ও হুওয়ায়্যিসা আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাহ্‌লের ঘটনা বর্ণনা করলেন। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা পঞ্চাশ ব্যক্তি শপথ কর এবং তোমাদের লোকের ঘাতকের বিচার লাভের অধিকার প্রমাণ কর। তারা বলেনঃ আমরা যখন দেখিনি এবং উপস্থিতও ছিলাম না, তখন আমরা কী করে শপথ করতে পারি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তবে তো তারা পঞ্চাশজন শপথ করে তোমাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। তখন তারা বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! কাফিরদের শপথ আমরা কিভাবে মেনে নিতে পারি? রাবী বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে দিয়াত আদায় করে দেন। সাহ্‌ল ইব্‌ন আবূ হাসমা (রাঃ) বলেনঃ ঐ সকল উটের একাটি আমাকে আমাদের উট রাখার স্থানে পদাঘাত করেছিল।

৪৭১৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ قَالَ: وُجِدَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ قَتِيلًا، فَجَاءَ أَخُوهُ وَعَمَّاهُ حُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ وَهُمَا عَمَّا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَتَكَلَّمُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْكُبْرَ الْكُبْرَ» قَالَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا وَجَدْنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَتِيلًا فِي قَلِيبٍ مِنْ بَعْضِ قُلُبِ خَيْبَرَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَتَّهِمُونَ؟» قَالُوا: نَتَّهِمُ الْيَهُودَ. قَالَ: «أَفَتُقْسِمُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا أَنَّ الْيَهُودَ قَتَلَتْهُ؟» قَالُوا: وَكَيْفَ نُقْسِمُ عَلَى مَا لَمْ نَرَ؟ قَالَ: «فَتُبَرِّئُكُمُ الْيَهُودُ بِخَمْسِينَ أَنَّهُمْ لَمْ يَقْتُلُوهُ» قَالُوا: وَكَيْفَ نَرْضَى بِأَيْمَانِهِمْ وَهُمْ مُشْرِكُونَ؟ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ أَرْسَلَهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ

সাহ্ল ইব্‌ন আবু হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইব্ন সাহ্লকে মৃতাবস্থায় পাওয়া গেল, তখন তার ভাই এবং দুই চাচা হুওয়াইয়্যিসা এবং মুহাইয়্যিসা, যারা আবদুল্লাহ (রাঃ)-এরও চাচা ছিলেন, রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলেন। আবদুর রহমান প্রথমে কথা বলতে শুরু করলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বয়সে যে বড় তাকে সম্মান কর। তারা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আবদুল্লাহ্ ইব্ন সাহ্লকে মৃতাবস্থায় পেয়েছি। আর তাকে হত্যা করে ইয়াহূদীদের এক কূপে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা কাকে সন্দেহ কর? তারা বললেনঃ ইয়াহূদীদের উপরই আমাদের সন্দেহ হয়। তিনি বললেনঃ তোমরা কি কসম করে বলতে পার যে, ইয়াহূদীরা তাকে হত্যা করেছে। তারা বললেনঃ আমরা যখন চোখে দেখিনি তখন আমরা কিরূপে কসম করতে পারি। তিনি বলেনঃ তা হলে ইয়াহূদীরা পঞ্চাশজন শপথ করে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তখন তারা বললেনঃ আমরা তাদের শপথ কিরূপে বিশ্বাস করবো ? কেননা তারা তো মুশরিক। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে তাদের দিয়াত আদায় করে দেন।

৪৭১৮

সহিহ লিগাইরিহি
قَالَ الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيَّ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ، فَتَفَرَّقَا فِي حَوَائِجِهِمَا، فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، فَقَدِمَ مُحَيِّصَةُ، فَأَتَى هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِيَتَكَلَّمَ لِمَكَانِهِ مِنْ أَخِيهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَبِّرْ كَبِّرْ» فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ، فَذَكَرُوا شَأْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا، وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ أَوْ قَاتِلِكُمْ؟» قَالَ مَالِكٌ: قَالَ يَحْيَى: فَزَعَمَ بُشَيْرٌ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَاهُ مِنْ عِنْدِهِ «خَالَفَهُمْ سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّائِيُّ»

বুশায়র ইব্ন ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইব্ন সাহ্ল আনসারী এবং মুহায়্যিসা ইব্ন মাসউদ খায়বর গমন করার পর নিজ নিজ কাজের জন্য পৃথক হয়ে যান। তারপর আবদুল্লাহ ইব্ন সাহ্ল নিহত হন। মুহায়্যিসা সেখান থেকে ফিরে আসেন। এরপর তিনি, তাঁর ভাই হুওয়ায়্যিসা এবং আবদুর রহমান ইব্ন সাহ্ল রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হন। আবদুর রহমান তাঁর ভাই হিসাবে প্রথমে কথা শুরু করেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বয়সে যে বড়, তাকে সম্মান কর। তখন হওয়ায়্যিসা এবং মুহায়্যিসা কথা বলতে শুরু করেন। তারা আবদুল্লাহ ইব্ন সাহলের অবস্থা বর্ণনা করলে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বললেনঃ তোমরা পঞ্চাশজন শপথ করে কি তোমাদের লোকের হত্যাকারীর বিচার লাভের অধিকার সাব্যস্ত করতে পারবে? ইমাম মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইয়াহ্ইয়া বলেছেনঃ বুশায়র মনে করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে দিয়াত আদায় করে দেন।

৪৭১৯

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّائِيُّ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، زَعَمَ أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ: سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ أَخْبَرَهُ، أَنَّ نَفَرًا مِنْ قَوْمِهِ انْطَلَقُوا إِلَى خَيْبَرَ، فَتَفَرَّقُوا فِيهَا فَوَجَدُوا أَحَدَهُمْ قَتِيلًا، فَقَالُوا لِلَّذِينَ وَجَدُوهُ عِنْدَهُمْ: قَتَلْتُمْ صَاحِبَنَا. قَالُوا: مَا قَتَلْنَاهُ، وَلَا عَلِمْنَا قَاتِلًا. فَانْطَلَقُوا إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، انْطَلَقْنَا إِلَى خَيْبَرَ فَوَجَدْنَا أَحَدَنَا قَتِيلًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْكُبْرَ الْكُبْرَ» فَقَالَ لَهُمْ: «تَأْتُونَ بِالْبَيِّنَةِ عَلَى مَنْ قَتَلَ؟». قَالُوا: مَا لَنَا بَيِّنَةٌ. قَالَ: «فَيَحْلِفُونَ لَكُمْ». قَالُوا: لَا نَرْضَى بِأَيْمَانِ الْيَهُودِ، وَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَبْطُلَ دَمُهُ فَوَدَاهُ مِائَةً مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ «خَالَفَهُمْ عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ»

বুশায়র ইব্ন ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাহ্ল ইব্ন আবূ হাসমা নামক এক আনসারী তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তার গোত্রের কয়েকজন খায়বরে গমন করেন। সেখানে তারা পৃথক হয়ে যান পরে তারা তাদের একজনকে নিহত অবস্থায় পেলেন। তারা যে স্থানে নিহত ব্যক্তিকে পেলেন, সেখানকার লোকজনকে বললেন, তোমরা আমাদের লোককে হত্যা করেছ। তারা বললোঃ না, আমরা তাকে হত্যা করিনি এবং হত্যাকারীকে আমরা চিনিও না। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা খায়বার গিয়েছিলাম, সেখানে আমরা আমাদের এক ব্যক্তিকে নিহত পেয়েছি। তিনি বললেনঃ বয়সে বড় ব্যক্তির সম্মান কর। তিনি বললেনঃ তোমরা কি সাক্ষী উপস্থিত করতে পারবে যে, কে হত্যা করেছে? তারা বললেনঃ আমাদের কোন সাক্ষী নেই। তিনি বললেনঃ তা হলে ইয়াহূদীরা তোমাদের সামনে শপথ করবে। তারা বললেন, আমরা ইয়াহূদীর শপথ বিশ্বাস করি না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ঐ ব্যক্তির রক্ত বৃথা যাওয়া পছন্দ হলো না। কাজেই তিনি সাদকার উট থেকে একশত উট দিয়াত স্বরূপ তাদের দিয়ে দেন।

৪৭২০

শায
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَخْنَسِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ ابْنَ مُحَيِّصَةَ الْأَصْغَرَ أَصْبَحَ قَتِيلًا عَلَى أَبْوَابِ خَيْبَرَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقِمْ شَاهِدَيْنِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ، أَدْفَعْهُ إِلَيْكُمْ بِرُمَّتِهِ» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمِنْ أَيْنَ أُصِيبُ شَاهِدَيْنِ، وَإِنَّمَا أَصْبَحَ قَتِيلًا عَلَى أَبْوَابِهِمْ؟ قَالَ: «فَتَحْلِفُ خَمْسِينَ قَسَامَةً» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَكَيْفَ أَحْلِفُ عَلَى مَا لَا أَعْلَمُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَنَسْتَحْلِفُ مِنْهُمْ خَمْسِينَ قَسَامَةً» فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ نَسْتَحْلِفُهُمْ وَهُمُ الْيَهُودُ؟ فَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِيَتَهُ عَلَيْهِمْ وَأَعَانَهُمْ بِنِصْفِهَا

আমর ইব্ন শুআয়ব তার পিতার সূত্রে তার দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ

মুহায়্যিসার ছোট ছেলে খায়বারের লোকালয়ের সামনে নিহত হন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি হত্যাকারী সম্পর্কে দুইজন সাক্ষী পেশ কর; আমি তাকে তার রশিসহ তোমাদের নিকট সোপর্দ করবো। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি দুইজন সাক্ষী কোথা হতে আনবো ? এতো তাদের দুয়ারে মৃতাবস্থায় পতিত ছিল। তিনি বললেনঃ তবে তুমি পঞ্চাশবার শপথ করবে। তিনি বললেনঃ আমি যা জানি না, তার কসম আমি কি করে করবো ? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা হলে ইয়াহূদীদের মধ্য হতে পঞ্চাশজন থেকে আমরা শপথ নিই ? তিনি বললেনঃ আমরা তাদের থেকে শপথ নেব, যখন তারা ইয়াহূদী ? তখন রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিয়াত তাদের মধ্যে ভাগ করে দেন; আর অর্ধেক দিয়াত নিজের পক্ষ হতে দিয়ে তাদের সাহায্য করেন।[১]
[১] ইয়াহূদীরা দিয়াত আদায় করতে অস্বীকার করলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বয়ংদিয়ত আদায় করে দেন।

৪৭২১

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ، النَّفْسُ بِالنَّفْسِ، وَالثَّيِّبُ الزَّانِي، وَالتَّارِكُ دِينَهُ الْمُفَارِقُ»

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কোন মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ নয়, তিনটি কারণ ব্যতীত ; প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, যে ব্যক্তি বিবাহের পরও ব্যভিচার করে এবং ঐ ব্যক্তি যে দ্বীন ইসলাম পরিত্যাগ করে মুসলিম সমষ্টি হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

৪৭২২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ، وَاللَّفْظُ لِأَحْمَدَ قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قُتِلَ رَجُلٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرُفِعَ الْقَاتِلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَفَعَهُ إِلَى وَلِيِّ الْمَقْتُولِ. فَقَالَ الْقَاتِلُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَا وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ قَتْلَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَلِيِّ الْمَقْتُولِ: «أَمَا إِنَّهُ إِنْ كَانَ صَادِقًا، ثُمَّ قَتَلْتَهُ، دَخَلْتَ النَّارَ فَخَلَّى سَبِيلَهُ» قَالَ: وَكَانَ مَكْتُوفًا بِنِسْعَةٍ، فَخَرَجَ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ، فَسُمِّيَ ذَا النِّسْعَةِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে এক ব্যক্তি এক ব্যক্তিকে হত্যা করলে, হত্যাকারীকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আনা হয়। তিনি তাকে নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসের নিকট দিয়ে দেন। তখন হত্যাকারী বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহু! আল্লাহর কসম! আমি তাকে হত্যা করার ইচ্ছা করিনি। তিনি নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসকে বললেনঃ যদি এই ব্যক্তি সত্যবাদী হয়, অতঃপর তুমি তাকে হত্যা কর, তবে তুমি জাহান্নামী হবে। তখন সেই ব্যক্তি তাকে ছেড়ে দিল। ঐ ব্যক্তি রশিতে বাঁধা ছিল, সে তার রশি টানতে টানতে চলে গেল। সেদিন হতে তাকে রশিওয়ালা ব্যক্তি বলা হতো।

৪৭২৩

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ، عَنْ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: جِيءَ بِالْقَاتِلِ الَّذِي قَتَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جَاءَ بِهِ وَلِيُّ الْمَقْتُولِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَعْفُو؟» قَالَ: لَا، قَالَ: «أَتَقْتُلُ؟» قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: «اذْهَبْ» فَلَمَّا ذَهَبَ دَعَاهُ، قَالَ: «أَتَعْفُو؟» قَالَ: لَا. قَالَ: «أَتَأْخُذُ الدِّيَةَ؟» قَالَ: لَا. قَالَ: «أَتَقْتُلُ؟» قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: «اذْهَبْ» فَلَمَّا ذَهَبَ قَالَ: «أَمَا إِنَّكَ إِنْ عَفَوْتَ عَنْهُ، فَإِنَّهُ يَبُوءُ بِإِثْمِكَ وَإِثْمِ صَاحِبِكَ» فَعَفَا عَنْهُ، فَأَرْسَلَهُ قَالَ: فَرَأَيْتُهُ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ

ওয়ায়ল হায্‌রামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ যে ঘাতক কাউকে হত্যা করেছিল, তাকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে আসা হল। নিহত ব্যক্তির অভিভাবকই তাকে উপস্থিত করলো। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি তাকে ক্ষমা করে দেবে ? সে বললোঃ না। তিনি বললেনঃ তাকে হত্যা করবে ? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ যাও, তাকে হত্যা কর। সে রওয়ান হলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, যদি তুমি তাকে ক্ষমা কর, তবে সে তোমার গুনাহ এবং তোমার বন্ধুর গুনাহ বহন করবে। তখন সে তাকে ক্ষমা করলো এবং তাকে ছেড়ে দিল। সে ব্যক্তি তার রশি টানতে টানতে চলে গেল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন