hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

. নামাযের সময়

موطأ مالك

/ পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্তের সময়

সহিহ হাদিস
قَالَ عُرْوَةُ وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ.

উরওয়াহ (র) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আসর নামায আদায় করতেন তখনও সূর্যের আলো আয়েশার ঘরে থাকত, আলো ঘরের মেঝে হতে প্রাচীরে উঠার পূর্বে। (বুখারী ৫২২, ৫৪৫, মুসলিম ৬১১)

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ النِّسَاءُ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ مَا يُعْرَفْنَ مِنْ الْغَلَسِ.

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজর আদায় করতেন তখন মেয়েলোকেরা নামায আদায়ের পর তাদের চাদর গায়ে দিয়ে (ঘরের দিকে) ফিরতেন, অন্ধকারের জন্য তাঁদেরকে চেনা যেত না। (বুখারী ৩৭২ মুসলিম ৬৪৫)

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ وَعَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ, وعَنِ لأَ عْرَجِ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُونَه, عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ, أَنَّ رَسُولَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصُّبْحِ, قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الصُّبْحَ, وَمَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الْعَصْرَ .

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার পূর্বে ফজরের এক রাকাত পেয়েছে সে ফজর নামায পেয়েছে। আর যে ব্যক্তি সূর্য ডুবার আগে আসরের এক রাক‘আত পেয়েছে সে আসর নামায পেয়েছে। (বুখারী ৫৭৯, মুসলিম ৬০৮)

সহিহ হাদিস
قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثِيّ عَنْ مَالِك بْن أَنَس عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا وَهُوَ بِالْكُوفَةِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ: مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّىٗٗ فَصَلَّى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّىٗ فَصَلَّى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ بِهَذَا أُمِرْتُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ اعْلَمْ مَا تُحَدِّثُ بِهِ يَا عُرْوَةُ أَوَ إِنَّ جِبْرِيلَ هُوَ الَّذِي أَقَامَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتَ الصَّلَاةِ، قَالَ عُرْوَةُ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيْهِ.

ইবনু শিহাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু আবদুল আযীয (র) একদিন নামায দেরিতে আদায় করলেন। উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাঁর নিকট এসে খবর দিলেন যে, মুগীরা ইবনু শু’বা যখন কূফায় ছিলেন তখন তিনি একদিন নামায দেরিতে আদায় করলেন। তারপর আবূ মাসউদ আনসারী (র) তাঁর নিকট এসে বললেন, মুগীরা! এই দেরি কেন? আপনার জানা নেই কি জিবরাঈল (আ) অবতরণ করলেন, অতঃপর নামায আদায় করলেন? (তাঁর সাথে) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও নামায আদায় করলেন, অতঃপর জিবরাঈল (আ) নামায আদায় করলেন, (তাঁর সাথে) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও নামায আদায় করলেন, তারপর জিবরাঈল (আ) নামায আদায় করলেন, (তাঁর সাথে) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় করলেন। তারপর বললেন, আপনার প্রতি এরই (এভাবে নামায আদায় করার) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উমার ইবনু আবদুল আযীয (র) বললেন, উরওয়াহ! তুমি কী বর্ণনা করছ ভেবে দেখ। জিবরাঈল (আ)-ই কি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নামাযের সময় ঠিক করেন? উরওয়াহ বললেন, বাশীর ইবনু আবূ মাসঊদ আনসারী তাঁর পিতা হতে এরূপ হাদীস বর্ণনা করতেন। (বুখারী ৫২২, মুসলিম ৬১১)

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ وَقْتِ صَلَاةِ الصُّبْحِ قَالَ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ الْغَدِ صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ صَلَّى الصُّبْحَ مِنْ الْغَدِ بَعْدَ أَنْ أَسْفَرَ ثُمَّ قَالَ أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ قَالَ هَأَنَذَا يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ وَقْتٌ.

আতা ইবনু ইয়াসার (র) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল এবং ফজর নামাযের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলো। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রশ্নের উত্তর দানে বিরত থাকলেন। দ্বিতীয় দিন ফজর (সূবহে সাদিক) হলে তিনি ফজরের নামায আদায় করলেন। তারপরের দিন ফজর আদায় করলেন (ভোরের আলো) পূর্ণাঙ্গ প্রকাশিত হওয়ার পর। অতঃপর তিনি বললেন, নামাযের সময় সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? (সেইলোক) বলল, আমিই সেই ব্যক্তি ইয়া রসূলাল্লাহ। তিনি বললেন, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী মুহূর্তগুলিই ফজর নামাযের সময়। (নাসাঈ, আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত ৬৪২, আলবানী সহীহ বলেছেন। ইমাম মালিক মুরসাল ভাবে বর্ণনা করেছেন)

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ إِنَّ أَهَمَّ أَمْرِكُمْ عِنْدِي الصَّلَاةُ فَمَنْ حَفِظَهَا وَحَافَظَ عَلَيْهَا حَفِظَ دِينَهُ وَمَنْ ضَيَّعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا أَضْيَعُ ثُمَّ كَتَبَ أَنْ صَلُّوا الظُّهْرَ إِذَا كَانَ الْفَيْءُ ذِرَاعًا إِلَى أَنْ يَكُونَ ظِلُّ أَحَدِكُمْ مِثْلَهُ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ فَرْسَخَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ إِذَا غَابَ الشَّفَقُ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ وَالصُّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ.

নাফি (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাঁর (অধীনস্থ) কর্মকর্তাদের কাছে লিখেছেন, আমার মতে তোমাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নামায, অতএব যে এটার রক্ষণাবেক্ষণ করল এবং (নিষ্ঠার সাথে) বরাবর পালন করল সে নিজের দ্বীনের হিফাজত করল, আর যে নামাযকে নষ্ট করিল, সে নামায ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় দীনি কাজেরও অধিক নষ্টকারী হবে। তিনি আরও লিখলেন, তোমরা যোহরের নামায আদায় করো যখন ফাই (সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়ার পর যে ছায়া হয় তা) এক হাত হয়। এই নামাযের সময় তোমাদের প্রত্যেকের ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। আর আসরের নামায আদায় করো যখন সূর্য উর্ধ্বে উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে। (সেই সময় হতে) সূর্যাস্তের পূর্বে সওয়ারী ব্যক্তি দুই বা তিন ফরসখ চলতে পারে এতটুকু সময় পর্যন্ত। আর মাগরিব আদায় করো যখন সূর্য ডুবে যায়, আর ইশা আদায় করো (শফক) অদৃশ্য হওয়ার পর হতে এক-তৃতীয়াংশ রাত পর্যন্ত। আর যে (ইশা না আদায় করে) ঘুমাতে যায় তার চোখে যেন ঘুম না আসে, আর যে ঘুমাতে যায় তার চোখে যেন ঘুম না আসে, আর যে ঘুমাতে যায় তার চক্ষুর যেন ঘুম না আসে। আর ফজর (আদায় করো) যখন নক্ষত্রসমূহ পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরস্পর খাপিয়া যায়। (মুনকাতে ইমাঃ বাইহাকী, সুনানে কুবরা ১/৪৪৫, তাহাবী শরহে মানিল আসার ১/১৯৩, তিনি ইমাম মালেকের সনদে বর্ণনা করেন যা মুনকাতে সনদ)

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ أَنْ صَلِّ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ ثَلَاثَةَ فَرَاسِخَ وَأَنْ صَلِّ الْعِشَاءَ مَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ ثُلُثِ اللَّيْلِ فَإِنْ أَخَّرْتَ فَإِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ وَلَا تَكُنْ مِنْ الْغَافِلِينَ.

উরওয়া ইবনু যুবায়র (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ)-এর কাছ লিখেছেন, তুমি আসর আদায় করো যখন সূর্য উজ্জ্বল ও পরিষ্কার থাকে; আরোহী তিন ফরসখ পথ যেতে পারে সেই পরিমাণ সময় পর্যন্ত। আর ইশা আদায় কর তোমার সম্মুখে যখন ইশা উপস্থিত হয় সেই সময় হতে এক তৃতীয়াংশ রাত্রি পর্যন্ত। যদি তুমি আরও দেরি কর তবে অর্ধরাত্রি পর্যন্ত কর। তবে তুমি অলসদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) এককভাবে বর্ণনা করেন, পূর্বে এর সমর্থনে হাদীস রয়েছে)

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى أَنْ صَلِّ الظُّهْرَ إِذَا زَاغَتْ الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَهَا صُفْرَةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَأَخِّرْ الْعِشَاءَ مَا لَمْ تَنَمْ وَصَلِّ الصُّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ وَاقْرَأْ فِيهَا بِسُورَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ مِنْ الْمُفَصَّلِ.

মালিক ইবনু আসবাহী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ)-এর কাছে (পত্র) লিখেছেন, সূর্য ঢলিয়া পড়লে পর তুমি যোহর আদায় কর, আর আসর আদায় কর যখন সূর্য উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে, সেটাতে হলুদ বর্ণ প্রকাশ হওয়ার পূর্বে। সূর্যাস্তের পর মাগরিব আদায় কর। আর ইশা আদায় কর ঘুমানোর আগে। আর নক্ষত্রসমূহ যখন (ফজরের আলোতে) উদ্ভাসিত হয় এবং একে অপরের সাথে খাপিয়া যায় তখন ফজর আদায়। আর ফজর নামাযে মুফাছছল হতে দুইটি দীর্ঘ সূরা পাঠ কর। (নাফি ওমর (রাঃ) হতে হাদীস শুনেনি, মালিক (রঃ) একই বর্ণনা করেন তবে মুয়াত্তার ব্যাখ্যা গ্রন্থ শরহে যুরকানীতে ১/৩৬, এর সমর্থনে একাধিক মারফু ও মাওকুফ হাদীস রয়েছে, হাদীসটি ইমাম মালিক একাই বর্ণনা করেন, এই অধ্যায়ে শাহেদ মারফু ও মাওকুফ- হাদীস রয়েছে)

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَافِعٍ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَا أُخْبِرُكَ صَلِّ الظُّهْرَ إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَكَ وَالْعَصْرَ إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَيْكَ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ مَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ ثُلُثِ اللَّيْلِ وَصَلِّ الصُّبْحَ بِغَبَشٍ يَعْنِي الْغَلَسَ.

আবদুল্লাহ ইবনু রাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর কাছে নামাযের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলেন। উত্তরে আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি তোমাকে নামাযের সময়ের সংবাদ দিব, যোহর আদায় কর যখন তোমার ছায়া তোমার সমপরিমাণ হয়। আর আসর আদায় কর যখন তোমার ছায়া তোমার দ্বিগুণ হয়। মাগরিব আদায় কর যখন সূর্য অস্ত যায়। আর ইশা আদায় কর তোমার সম্মুখ (অর্থাৎ তোমার সামনে উপস্থিত ইশার প্রথম সময়) হতে এক তৃতীয়াংশ রাত্রি পর্যন্ত আর ফজর আদায় কর গাবস অর্থাৎ গলসে-রাত্রের অন্ধকার কিছুটা বাকি থাকিতে। (ইমাম মালিক (রঃ) এককভাবে বর্ণনা করেছেন, এ হাদীসের সমর্থনে আরো হাদীস রয়েছে)

১০

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ، كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ ثُمَّ يَخْرُجُ الْإِنْسَانُ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ فَيَجِدُهُمْ يُصَلُّونَ الْعَصْرَ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা আসর সালাত আদায় করতাম, অতঃপর লোকজন বের হতেন (কুবায় অবস্থিত) বনি ‘আমর ইবনু আউফ-এর বস্তির দিকে, সেখানে তাদেরকে এ অবস্থায় পেতেন যে, তাঁরা আসরের নামায আদায় করতেছেন। (বুখারী ৫৪৮, মুসলিম, ৬২১)

১১

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ، كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى قُبَاءٍ فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা আসর সালাত আদায় করতাম। অতঃপর গমনকারী কুবার দিকে গমন করতেন এবং তাঁদের (কুবাবাসীদের) কাছে এসে পৌঁছতেন (এমন সময় যে), সূর্য তখনও উঁচুতে। (বুখারী ৫৫০, ৫৫১, মুসলিম ৬২১)

১২

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ، مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ إِلَّا وَهُمْ يُصَلُّونَ الظُّهْرَ بِعَشِيٍّ.

কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

যোহরের নামায লোকদেরকে সূর্য ঢলার বেশ কিছুক্ষণ পর আদায় করতে আমি পেয়েছি। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
/ পরিচ্ছেদঃ জুম’আর সময়

১৩

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ، كُنْتُ أَرَى طِنْفِسَةً لِعَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ تُطْرَحُ إِلَى جِدَارِ الْمَسْجِدِ الْغَرْبِيِّ فَإِذَا غَشِيَ الطِّنْفِسَةَ كُلَّهَا ظِلُّ الْجِدَارِ خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَصَلَّى الْجُمُعَةَ قَالَ مَالِكٌ ثُمَّ نَرْجِعُ بَعْدَ صَلَاةِ الْجُمُعَةِ فَنَقِيلُ قَائِلَةَ الضَّحَاءِ.

আবূ সুহায়ল (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর পিতা মালিক (র) বলেছেন, আমি জুম’আর দিন আকীল ইবনু আবূ তালিবের একটি ছোট চাটাই (অথবা চাদর) দেখতে পেতাম। এটা মসজিদের পশ্চিম প্রাচীরের দিকে ফেলে রাখা হত। প্রাচীরের ছায়া যখন চাটাইকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে ফেলত, তখন উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বের হতেন এবং জুম’আ আদায় করাতেন। জুম’আর নামায শেষে আমরা ফিরে আসতাম এবং দুপুরের বিশ্রাম নিতাম। (মালিক (রঃ) একাই বর্ণনা করছেন)

১৪

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ عَنْ ابْنِ أَبِي سَلِيطٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ صَلَّى الْجُمُعَةَ بِالْمَدِينَةِ وَصَلَّى الْعَصْرَ بِمَلَلٍ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ لِلتَّهْجِيرِ وَسُرْعَةِ السَّيْرِ.

ইবনু আবী সালিত (র) থেকে বর্ণিতঃ

উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) জুম’আর সালাত মদীনায় আদায় করেছেন, আর আসরের সালাত ‘মলালা’ [১] নামক জায়গায়। মালিক (র) বলেন, ইহা তানজীর (সূর্য পশ্চিমে ঢলার পরপরই জুম’আ আদায় করা) ও দ্রুতগতিতে পথ অতিক্রমের জন্য। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] মদীনা এবং মলালা-এর মধ্যকার দূরত্ব বলা হয়েছে। মতান্তরে ২২, ১৮, ১৭ মাইল।
/ পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পায়

১৮

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ مَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ السَّجْدَةَ وَمَنْ فَاتَهُ قِرَاءَةُ أُمِّ الْقُرْآنِ فَقَدْ فَاتَهُ خَيْرٌ كَثِيرٌ ََََ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

মালিক (র) বলেন, তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলতেন, যে রুকূ পেয়েছে সে সিজদাও পেয়েছে। আর যাঁহার উম্মুল-কুরআন ফাউত হয়েছে (সূরা ফাতিহা চলে গেছে) তাঁর অনেক সওয়াব ফাউত হয়েছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে নামাযের এক রাকাত পেয়েছে সে অবশ্য নামায পেয়েছে। (বুখারী ৫৮০, মুসলিম ৬০৭)

১৬

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ كَانَ يَقُولُ، إِذَا فَاتَتْكَ الرَّكْعَةُ فَقَدْ فَاتَتْكَ السَّجْدَةُ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, যদি তোমার রুকূ ফাউত হয়ে গেল (পাওয়া গেল না) তবে তোমার সিজদাও ফাউত হয়ে গেল। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৭

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ وَزَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ كَانَا يَقُولَانِ مَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ السَّجْدَة.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার ও যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) তাঁরা দু’জনে বলতেন, যে লোক রুকূ পেয়েছে সে সিজদাও পেয়েছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
/ পরিচ্ছেদঃ ‘দুলুকুশ শামস ও গাসাকুল লাইল’-এর বর্ণনা

১৯

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ دُلُوكُ الشَّمْسِ مَيْلُهَاََََ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, ‘দুলুকুশ শাম্স’ হচ্ছে (মধ্যাকাশ হতে) সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়া। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২০

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالَ أَخْبَرَنِي مُخْبِرٌ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُوْلُ، دُلُوكُ الشَّمْسِ إِذَا فَاءَ الْفَيْءُ وَغَسَقُ اللَّيْلِ اجْتِمَاعُ اللَّيْلِ وَظُلْمَتُهََََُ.

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিতঃ

দুলুকুশ শাম্স’ যখন ছায়া (পশ্চিম দিকে) ঝুঁকে আর ‘গাসাকুল লাইল’ হচ্ছে রজনী ও তার অন্ধকার। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন