hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

১৭. যাকাত

موطأ مالك

১৭/ পরিচ্ছেদঃ কি ধরনের এবং কি পরিমাণ সম্পদে যাকাত দেয়া ওয়াজিব

৫৬১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ.

আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পাঁচটির কম উটে যাকাত ওয়াজিব হয় না। পাঁচ উকিয়া হতে কম রৌপ্য এবং পাঁচ অছক হতে কম পরিমাণ শস্যেও যাকাত (উশর) ফরয হয় না। [১] (বুখারী ১৪৪৭, মুসলিম ৯৭৯)
[১] চল্লিশ দিরহামে এক উকিয়া এবং পাঁচ উকিয়ায় হয় দুইশত দিরহাম বা সাড়ে বায়ান্না তোলা রৌপ্য। ষাট ছা’য়ে হয় এক অছক।

৫৬২

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الْأَنْصَارِيِّ ثُمَّ الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ مِنْ التَّمْرِ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقِيَّ مِنْ الْوَرِقِ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ مِنْ الْإِبِلِ صَدَقَةٌ.

আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পাঁচ অছক হতে কম পরিমাণ খেজুরে যাকাত (উশর) নাই। পাঁচ উকিয়া হতে কম পরিমাণ রৌপ্য এবং পাঁচটির কম উটে যাকাত ফরজ হয় না। (সহীহ, বুখারী ১৪৫৯)

৫৬৩

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَى عَامِلِهِ عَلَى دِمَشْقَ فِي الصَّدَقَةِ إِنَّمَا الصَّدَقَةُ فِي الْحَرْثِ وَالْعَيْنِ وَالْمَاشِيَةِ ৮৩৫-قَالَ مَالِك وَلَا تَكُونُ الصَّدَقَةُ إِلَّا فِي ثَلَاثَةِ أَشْيَاءَ فِي الْحَرْثِ وَالْعَيْنِ وَالْمَاشِيَةِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, উমার ইবনু আবদুল আযীয্ (র) দামেশকে নিযুক্ত শাসনকর্তাকে লিখে পাঠালেন স্বর্ণ, রৌপ্য, শস্য এবং পশুপালে যাকাত ধার্য করা হয়ে থাকে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন, তিন প্রকার বস্তুতে যাকাত ধার্য হয় ক্ষেতের শস্য, স্বর্ণ-রৌপ্য এবং পশুপালে।
১৭/ পরিচ্ছেদঃ স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত

৫৬৬

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ، لَا تَجِبُ فِي مَالٍ زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) বলতেন, সম্পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন সম্পদে যাকাত ফরয হয় না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

৫৬৫

নির্ণীত নয়
- و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عُمَرَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ قُدَامَةَ عَنْ أَبِيهَا أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ إِذَا جِئْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أَقْبِضُ عَطَائِي سَأَلَنِي هَلْ عِنْدَكَ مِنْ مَالٍ وَجَبَتْ عَلَيْكَ فِيهِ الزَّكَاةُ قَالَ فَإِنْ قُلْتُ نَعَمْ أَخَذَ مِنْ عَطَائِي زَكَاةَ ذَلِكَ الْمَالِ وَإِنْ قُلْتُ لَا دَفَعَ إِلَيَّ عَطَائِي.

আয়েশা বিনতে কোদামা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

আয়েশা বিনতে কোদামা (রা) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেছেন, বাৎসরিক ভাতা নেওয়ার জন্য উসমান ইবনু আফ্ফান (রা)-এর নিকট যখন আসতাম তখন তিনি জিজ্ঞেস করতেন যাকাত ধার্য হওয়ার মত কোন সম্পদ আপনার কাছে রয়েছে কি ?
আমি হ্যাঁ-সূচক জবাব প্রদান করলে তিনি এই ভাতা হতে যাকাত পরিমাণ অংক কেটে রাখতেন, আর না বললে সম্পূর্ণ ভাতা দিয়ে দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

৫৬৪

নির্ণীত নয়
- حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ مَوْلَى الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ مُكَاتَبٍ لَهُ قَاطَعَهُ بِمَالٍ عَظِيمٍ هَلْ عَلَيْهِ فِيهِ زَكَاةٌ فَقَالَ الْقَاسِمُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ لَمْ يَكُنْ يَأْخُذُ مِنْ مَالٍ زَكَاةً حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ قَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَعْطَى النَّاسَ أَعْطِيَاتِهِمْ يَسْأَلُ الرَّجُلَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ مَالٍ وَجَبَتْ عَلَيْكَ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِذَا قَالَ نَعَمْ أَخَذَ مِنْ عَطَائِهِ زَكَاةَ ذَلِكَ الْمَالِ وَإِنْ قَالَ لَا أَسْلَمَ إِلَيْهِ عَطَاءَهُ وَلَمْ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মদ ইবনু উকবা (র) কাসিম ইবনু মুহাম্মদ (র)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার মুকাতাব (কোন কিছুর বিনিময়ে আযাদ হওয়ার চুক্তি সম্পাদনকারী ক্রীতদাসকে ‘মুকাতাব’ বলা হয়) চুক্তিকৃত দাসের সঙ্গে একটি বিরাট অংকের টাকার বিনিময়ে ‘মুকতাআ’ [১] করে ফেলেছি। এতেও কি যাকাত দিতে হবে ?
কাসিম (র) উত্তরে বললেন, পূর্ণ এক বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত আবূ বক্‌র (রা) কোন মালের যাকাত নিতেন না। কাসিম ইবনু মুহাম্মদ (র) বলেন, কাউকেও সরকারী ভাতা প্রদানের সময় আবূ বক্‌র সিদ্দীক (রা) জিজ্ঞেস করে নিতেন, আপনার এমন ধন-সম্পদ আছে কি যাতে যাকাত দেয়া ওয়াজিব হয় ? ঐ ব্যক্তি স্বীকারোক্তি করলে তিনি দেয় ভাতা হতে এটা কেটে রাখতেন। স্বীকার না করলে ভাতা সম্পূর্ণটাই দিয়ে যেতেন। কিছুই রেখে দিতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] চুক্তি করার সময় কিস্তিবন্দী অনুসারে টাকা দেওয়ার শর্ত হয়েছিল কিন্তু পরে মালিকের সম্মতিতে ‘মুকাতিব’-কে দেয় মোট অংক হতে কমে এককালীন টাকা আদায় করে আযাদ হয়ে গেলে ইহাকে ‘মুকতাআ’ বলা হয়।

৫৬৭

নির্ণীত নয়
- و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ أَوَّلُ مَنْ أَخَذَ مِنْ الْأَعْطِيَةِ الزَّكَاةَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ ৮৪১قَالَ مَالِك السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا أَنَّ الزَّكَاةَ تَجِبُ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا كَمَا تَجِبُ فِي مِائَتَيْ دِرْهَمٍ ৮৪২قَالَ مَالِك لَيْسَ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا نَاقِصَةً بَيِّنَةَ النُّقْصَانِ زَكَاةٌ فَإِنْ زَادَتْ حَتَّى تَبْلُغَ بِزِيَادَتِهَا عِشْرِينَ دِينَارًا وَازِنَةً فَفِيهَا الزَّكَاةُ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا الزَّكَاةُ وَلَيْسَ فِي مِائَتَيْ دِرْهَمٍ نَاقِصَةً بَيِّنَةَ النُّقْصَانِ زَكَاةٌ فَإِنْ زَادَتْ حَتَّى تَبْلُغَ بِزِيَادَتِهَا مِائَتَيْ دِرْهَمٍ وَافِيَةً فَفِيهَا الزَّكَاةُ فَإِنْ كَانَتْ تَجُوزُ بِجَوَازِ الْوَازِنَةِ رَأَيْتُ فِيهَا الزَّكَاةَ دَنَانِيرَ كَانَتْ أَوْ دَرَاهِمَ ৮৪৩قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ عِنْدَهُ سِتُّونَ وَمِائَةُ دِرْهَمٍ وَازِنَةً وَصَرْفُ الدَّرَاهِمِ بِبَلَدِهِ ثَمَانِيَةُ دَرَاهِمَ بِدِينَارٍ أَنَّهَا لَا تَجِبُ فِيهَا الزَّكَاةُ وَإِنَّمَا تَجِبُ الزَّكَاةُ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ. ৮৪৪قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ خَمْسَةُ دَنَانِيرَ مِنْ فَائِدَةٍ أَوْ غَيْرِهَا فَتَجَرَ فِيهَا فَلَمْ يَأْتِ الْحَوْلُ حَتَّى بَلَغَتْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ أَنَّهُ يُزَكِّيهَا وَإِنْ لَمْ تَتِمَّ إِلَّا قَبْلَ أَنْ يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ بِيَوْمٍ وَاحِدٍ أَوْ بَعْدَ مَا يَحُولُ عَلَيْهَا الْحَوْلُ بِيَوْمٍ وَاحِدٍ ثُمَّ لَا زَكَاةَ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ زُكِّيَتْ ৮৪৫و قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ فَتَجَرَ فِيهَا فَحَالَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ وَقَدْ بَلَغَتْ عِشْرِينَ دِينَارًا أَنَّهُ يُزَكِّيهَا مَكَانَهَا وَلَا يَنْتَظِرُ بِهَا أَنْ يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ بَلَغَتْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ لِأَنَّ الْحَوْلَ قَدْ حَالَ عَلَيْهَا وَهِيَ عِنْدَهُ عِشْرُونَ ثُمَّ لَا زَكَاةَ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ زُكِّيَتْ ৮৪৬قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي إِجَارَةِ الْعَبِيدِ وَخَرَاجِهِمْ وَكِرَاءِ الْمَسَاكِينِ وَكِتَابَةِ الْمُكَاتَبِ أَنَّهُ لَا تَجِبُ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الزَّكَاةُ قَلَّ ذَلِكَ أَوْ كَثُرَ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ مِنْ يَوْمِ يَقْبِضُهُ صَاحِبُهُ ৮৪৭و قَالَ مَالِك فِي الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ يَكُونُ بَيْنَ الشُّرَكَاءِ إِنَّ مَن بَلَغَتْ حِصَّتُهُ مِنْهُمْ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَعَلَيْهِ فِيهَا الزَّكَاةُ وَمَنْ نَقَصَتْ حِصَّتُهُ عَمَّا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ وَإِنْ بَلَغَتْ حِصَصُهُمْ جَمِيعًا مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ وَكَانَ بَعْضُهُمْ فِي ذَلِكَ أَفْضَلَ نَصِيبًا مِنْ بَعْضٍ أُخِذَ مِنْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ إِذَا كَانَ فِي حِصَّةِ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ مِنْ الْوَرِقِ صَدَقَةٌ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ ৮৪৮قَالَ مَالِك وَإِذَا كَانَتْ لِرَجُلٍ ذَهَبٌ أَوْ وَرِقٌ مُتَفَرِّقَةٌ بِأَيْدِي أُنَاسٍ شَتَّى فَإِنَّهُ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُحْصِيَهَا جَمِيعًا ثُمَّ يُخْرِجَ مَا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنْ زَكَاتِهَا كُلِّهَا ْ، ৮৪৯قَالَ مَالِك وَمَنْ أَفَادَ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا إِنَّهُ لَا زَكَاةَ عَلَيْهِ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ أَفَادَهَا ْْْْ

ইবনু শিহাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

সর্বপ্রথম মুয়াবিয়া (রা)-ই বেতন যাকাত আদায় করেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন, আমাদের নিকট সর্বসম্মত প্রচলিত পদ্ধতি হল দুই শত দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) পরিমাণ অংকে যেমন যাকাত ধার্য করা হয়ে থাকে তেমনি বিশ দীনার [১] (স্বর্ণমুদ্রা) পরিমাণ অংকেও যাকাত ফরয হবে।
মালিক (র) বলেন, দীনার ওজনে কম হলে এবং প্রকৃত মূল্য বিশ দীনার না হলে এতে যাকাত ধার্য হবে না। অনুরূপ বিশ দীনারের বেশি হলে এবং প্রকৃত মূল্য বিশ দীনার পরিমাণ হলে এতে যাকাত ধার্য হবে।
মালিক (র) বলেন, বিশ দীনার হতে কম পরিমাণ অংকে যাকাত ফরয হয় না।
মালিক (র) বলেন, দুই শত দিরহাম পরিমাণ অংক ওজনে হালকা হলে এবং প্রকৃত মূল্য দুইশত দিরহাম না হলে তাতে যাকাত ধার্য হবে না। সংখ্যায় দুই শতের বেশি হলেও যদি প্রকৃত মূল্য দুইশত দিরহামের হয়, তবে তাতে যাকাত ধার্য হবে।
মালিক (র) বলেন, কারো নিকট যদি এক শত ষাট দিরহাম থাকে এবং সে যে অঞ্চলে বসবাস করে সে শহরে এক দীনার সমান আট দিরহাম হিসেবে হলেও (যদি সে অনুপাতে একশত ষাট দিরহাম সমান বিশ দীনার হয়ে যায় তবুও) এতে যাকাত ধার্য হবে না। কেননা যাকাত ফরয হওয়ার জন্য কারো নিকট বিশ দীনার বা দুইশত দিরহাম থাকতে হবে। [২]
মালিক (র) বলেন, পাঁচ দীনার পরিমাণ অর্থ নিয়ে একজন ব্যবসা শুরু করল। বৎসর শেষ হতে না হতেই সে যাকাত পরিমাণ দীনারের মালিক হয়ে পড়লে তাকে যাকাত আদায় করতে হবে। বৎসর সম্পূর্ণ হওয়ার একদিন পূর্বে বা পরে ঐ পরিমাণ দীনারের মালিক হলেও যাকাত দিতে হবে। পরে এই যাকাত প্রদানের দিন হতে দ্বিতীয় এক বৎসর পূর্ণ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত আর তাকে যাকাত দিতে হবে না।
মালিক (র) বলেন, কেউ দশ দীনার নিয়ে ব্যবসা শুরু করল, পূর্ণ বৎসর অতিক্রান্ত হতে না হতে সে বিশ দীনারের মালিক হল। তার উপর যাকাত ধার্য করা হবে। যেদিন বিশ দীনারের মালিক হল সেদিন হতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত হতে হবে, এরূপ নয়। কেননা বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার সময় সে বিশ দীনারের মালিক। পরে দ্বিতীয় এক বৎসর পূর্ণ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত আর তার উপর যাকাত ধার্য হবে না।
মালিক (র) বলেন, আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল, ক্রীতদাস কর্তৃক উপার্জিত মজুরি, ভাড়া এবং কিতাবত-চুক্তির বিনিময়ে প্রদত্ত অর্থ বা সম্পদে কম হোক বা বেশি হোক যাকাত ধার্য হবে না, যতদিন মালিক কর্তৃক অর্থপ্রাপ্তির দিন হতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হবে।
মালিক (র) বলেন, স্বর্ণ বা রৌপ্যে যদি কয়েকজনের হিস্যা থাকে তবে যার হিস্যা বিশ দীনার (স্বর্ণ হলে) বা দুইশত দিরহাম (রৌপ্য হলে) পরিমাণ হবে তার উপর যাকাত ধার্য হবে। যার হিস্যা এর চেয়ে কম হবে তার উপর যাকাত ফরয হবে না। সকলের হিস্যাই যদি নিসাব পরিমাণ হয় কিন্তু কারো কম আর কারো বেশি হয় তবে প্রত্যেকের উপরই নিজ নিজ হিস্যানুসারে যাকাত ফরয হবে। উহা এ জন্য যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, রৌপ্য পাঁচ উকিয়ার কম হলে যাকাত ওয়াজিব নয়।
মালিক (র) বলেন, আমি এ বিষয়ে যা কিছু শুনেছি তাদের মধ্যে উল্লেখিত ফয়সালাটি আমার পছন্দনীয়।
মালিক (র) বলেন, কারো মালিকানাধীন স্বর্ণ ও রৌপ্য বিভিন্নজনের নিকট বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে থাকলে সাকল্য টাকা হিসেব করে যাকাত দিতে হবে।
মালিক (র) বলেন, স্বর্ণ বা রৌপ্য যদি কেউ প্রাপ্ত হয়, তবে প্রাপ্তির দিন হতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত এতে যাকাত ধার্য হবে না।
[১] সাধারণত এক দীনার সমান দশ দিরহাম হয়ে থাকে
[২] উল্লেখ্য, যদি এই কম ওজন সমান দিরহাম বা দীনার যথার্থ ওজনের দিরহাম বা দীনারের মতই চালু থাকে তবে এতেও যাকাত ধার্য হবে।
১৭/ পরিচ্ছেদঃ খনিজ দ্রব্যের যাকাত

৫৬৮

দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَطَعَ لِبِلَالِ بْنِ الْحَارِثِ الْمُزَنِيِّ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ وَهِيَ مِنْ نَاحِيَةِ الْفُرُعِ فَتِلْكَ الْمَعَادِنُ لَا يُؤْخَذُ مِنْهَا إِلَى الْيَوْمِ إِلَّا الزَّكَاةُْْْْ ৮৫২-قَالَ مَالِك أَرَى وَاللهُ أَعْلَمُ أَنَّهُ لَا يُؤْخَذُ مِنْ الْمَعَادِنِ مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهَا شَيْءٌ حَتَّى يَبْلُغَ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا قَدْرَ عِشْرِينَ دِينَارً عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ فَفِيهِ الزَّكَاةُ مَكَانَهُ وَمَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ أُخِذَ بِحِسَابِ ذَلِكَ مَا دَامَ فِي الْمَعْدِنِ نَيْلٌ فَإِذَا انْقَطَعَ عِرْقُهُ ثُمَّ جَاءَ بَعْدَ ذَلِكَ نَيْلٌ فَهُوَ مِثْلُ الْأَوَّلِ يُبْتَدَأُ فِيهِ الزَّكَاةُ كَمَا ابْتُدِئَتْ فِي الْأَوَّلِ قَالَ مَالِك وَالْمَعْدِنُ بِمَنْزِلَةِ الزَّرْعِ يُؤْخَذُ مِنْهُ مِثْلُ مَا يُؤْخَذُ مِنْ الزَّرْعِ يُؤْخَذُ مِنْهُ إِذَا خَرَجَ مِنْ الْمَعْدِنِ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ وَلَا يُنْتَظَرُ بِهِ الْحَوْلُ كَمَا يُؤْخَذُ مِنْ الزَّرْعِ إِذَا حُصِدَ الْعُشْرُ وَلَا يُنْتَظَرُ أَنْ يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُْْْْ.

রবীআ ইবনু আবূ আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ

রবীআ ইবনু আবূ আবদুর রহমান (র) হতে একাধিকজন বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘ফুরআ’ অঞ্চলে অবস্থিত কাবালিয়্যা খনিসমূহ বিলাল ইবনু হারিস মুযানীকে জায়গীর হিসেবে দিয়েছিলেন। এগুলো হতে আজ পর্যন্ত যাকাত ব্যতীত আর কিছুই নেয়া হয় না। [১] (যয়ীফ, আবূ দাঊদ ৩০৬১, আলবানী হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন [আল-ইরওয়া ৮৩০])
মালিক (র) বলেন, খনি হতে উত্তোলিত দ্রব্যের মূল্য দুইশত দিরহাম বা বিশ দীনারের পরিমাণ না হওয়া পর্যন্ত উহাতে যাকাত ধার্য হবে না। কিন্তু ঐ পরিমাণ হলে উহাতে যাকাত ধার্য করা হবে। এর বেশি হলে সে অনুপাতে যাকাত নেওয়া হবে। খনি মাঝখানে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যদি আবার চালু হয় তবে সর্বপ্রথম চালু হওয়ার সময় যেমন যাকাত ধার্য করা হয়েছিল তেমনি এতে পুনরায় যাকাত ধার্য করা হবে।
মালিক (র) বলেন, খনি শস্যক্ষেত্রের মতই, শস্যক্ষেত্রে যেমন ফসল উৎপন্ন হলে তাতে যাকাত ধার্য হয়, তেমনি খনি হতে খনিজদ্রব্য উত্তোলিত হলে এটা হতে যাকাত নেওয়া হবে। পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার অপেক্ষা করা হবে না।
[১] মদীনা হতে পাঁচ দিনের পথ দূরত্বে অবস্থিত একটি সুবিস্তৃত অঞ্চল হল ‘ফুরআ’ আর কাবালিয়্যা এর প্রান্তে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম।
১৭/ পরিচ্ছেদঃ রিকায বা ভূগর্ভে প্রোথিত গুপ্তধনের যাকাত

৫৬৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ ৮৫৬-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا وَالَّذِي سَمِعْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ يَقُولُونَهُ إِنَّ الرِّكَازَ إِنَّمَا هُوَ دِفْنٌ يُوجَدُ مِنْ دِفْنِ الْجَاهِلِيَّةِ مَا لَمْ يُطْلَبْ بِمَالٍ وَلَمْ يُتَكَلَّفْ فِيهِ نَفَقَةٌ وَلَا كَبِيرُ عَمَلٍ وَلَا مَئُونَةٍ فَأَمَّا مَا طُلِبَ بِمَالٍ وَتُكُلِّفَ فِيهِ كَبِيرُ عَمَلٍ فَأُصِيبَ مَرَّةً وَأُخْطِئَ مَرَّةً فَلَيْسَ بِرِكَازٍ.

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ভূগর্ভে প্রোথিত সম্পদে এক-পঞ্চমাংশ যাকাত ধার্য হবে। (বুখারী ১৪৯৯, মুসলিম ১৭১০)
মালিক (র) বলেন, বিজ্ঞ আলিমদের কাছে যা শুনেছি এবং যাতে কোন দ্বিমত নেই তা এই তাঁরা বলতেন, রিকায হল পরিশ্রম ও টাকা ব্যয় ব্যতিরেকে হস্তগত অমুসলিম কর্তৃক ভূগর্ভে প্রোথিত সম্পদ। এটা হস্তগত করতে বিরাট শ্রম ও টাকার প্রয়োজন হলে এবং কখনও কৃতকার্য কখনও অকৃতকার্য হলে আর এটা রিকায বলে গণ্য হবে না। এটাতে তখন হিসাবানুসারে কেবল যাকাত ধার্য হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন