আমার ইবন শু’আইব থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উরবান (বায়না) বিক্রয় হতে নিষেধ করেছেন। [যঈফ, আবূ দাঊদ ৩৫০২, ইবনু মাজাহ ২১৯২, ২১৯৩, আলবানী হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন (যয়ীফ আল জামে) ৬০৬০]
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের মতে (আল্লাহ সর্বজ্ঞাত) যেমন (বায়না) এই, কোন ব্যক্তি ক্রীতদাস অথবা ক্রীতদাসী ক্রয় করলে অথবা কোন পশু ভাড়া নিল। অতঃপর ক্রেতা অথবা যার নিকট হইতে ভাড়া নিল তাকে বলল, আমি আপনাকে এক দীনার অথবা এক দিরহাম কিংবা উহার চাইতে কম বা বেশি, এই শর্তে দিলাম যে, যদি আমি (ক্রীত) দ্রব্য গ্রহণ করি, কিংবা আপনার নিকট হতে ভাড়া নেওয়া পশুর উপর আরোহণ করি, তবে যা আমি আপনাকে দিলাম, তা দ্রব্যের মূল্য অথবা পশুর ভাড়া হতে কর্তন করা হবে। আর যদি আমি দ্রব্য ক্রয় না করি কিংবা ভাড়ায় লওয়া পশুটি ব্যবহার না করে ফিরিয়ে দেই অর্থাৎ ভাড়া না নেই, তবে যা আমি আপনাকে দিয়েছি তা কোন বিনিময় ছাড়া আপনার হবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট হুকুম এই, ব্যবসায়ী ও শুদ্ধভাষী গোলামকে হাবশী কয়েকজন গোলাম অথবা বিভিন্নজাত হতে অন্য কোন জাতের গোলামের বিনিময়ে যারা বাকপটুতায় ব্যবসায় কার্য সম্পাদনে এবং অভিজ্ঞতায় এর তুল্য নয়। [এইরূপ গোলামের বিনিময়ে] বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। একজন গোলামকে দুইজনের অথবা কয়েকজন গোলামের বিনিময়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (বাকী) ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদি [উভয় প্রকার গোলামের মধ্যে] পার্থক্য থাকে এবং সেই পার্থক্য হয় স্পষ্ট, আর যদি [তাদের মধ্যে] এক গোলাম অপর গোলামের সদৃশ হয় (এমন কি একে অপরের) কাছাকাছি হয় তবে তা হতে এক গোলামের বিনিময়ে দুই গোলাম বাকী গ্রহণ করবে না, যদিও বা তাদের জাত ভিন্ন ভিন্ন হয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, তুমি উহা হতে যা ক্রয় করেছ তা কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করাতে কোন বাধা নেই যদি মূল্য নগদ আদায় কর এবং যার নিকট হতে উহাকে ক্রয় করেছ তাকে ছাড়া ভিন্ন লোকের নিকট বিক্রয় কর।
মালিক (রহঃ) বলেন, [অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীর] পেটের বাচ্চাকে বাদ দিয়ে [২] মাকে বিক্রয় করা বৈধ নয়, এটা ধোঁকা হবে, কারণ জানা নাই বাচ্চা ছেলে না মেয়ে, সুশ্রী না কুশ্রী, সম্পূর্ণ না অসম্পূর্ণ, জীবিত না মৃত। উপরিউক্ত গুণাবলির পার্থক্যের দ্বারা মূল্যের তারতম্য হয়ে থাকে।
মালিক (রহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি দাসী অথবা দাসকে বিক্রয় করল একশত দীনারে নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে, অতঃপর বিক্রেতা লজ্জিত হল এবং ক্রেতাকে অনুরোধ করল দশ দীনার গ্রহণ করে, যা বিক্রেতা ক্রেতাকে দিবে নগদ অথবা নির্ধারিত সময়ে বিক্রিত বস্তু ফেরত দিতে। তার নিকট বিক্রেতা (গোলামের মূল্য বাবদ) যে একশত দীনার পাবে তা সে আর গ্রহণ করল না। মালিক (রাঃ) বলেন- এইরূপ করাতে কোন দোষ নেই। যদি ক্রেতা লজ্জিত হয় এবং সে দাস-দাসীকে ফেরত নেওয়ার জন্য বিক্রেতার নিকট অনুরোধ করে এবং যেই নির্ধারিত সময়ে সে মূল্য পরিশোধ করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া গোলাম বা বাঁদী ক্রয় করেছিল সে সময়ের অধিক সময়ে পরিশোধ করবে বলে সময় নির্ধারিত করে অথবা নগদ দশ দীনার বিক্রেতাকে বর্ধিত করে দেয়; তবে তা বৈধ নয়। এটা এজন্য মাকরূহ্ যে, বিক্রেতা যেন ক্রেতার নিকট এক বৎসর মেয়াদে একশত দীনার বিক্রয় করল ক্রীতদাসী ফেরত লওয়ার পূর্বে এবং দশ দীনার নগদ অথবা বাকী এক বৎসর হতে দূরবর্তী মেয়াদে লাভ করবে এই শর্তে। এইভাবে ইহা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ [নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে] ধারে বিক্রয় করার মতো হল। [যা বৈধ নয়, কাজেই এটাও বৈধ হবে না।]
মালিক (রহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নির্দিষ্ট মেয়াদে একশত দীনার আদায়ের বিনিময়ে অন্য ব্যক্তির নিকট নিজ ক্রীতদাসী বিক্রয় করল, অতঃপর যে মেয়াদে বিক্রয় করেছিল তার চাইতে দূরবর্তী মেয়াদে এবং উহার নিকট যে মূল্যে বিক্রয় করেছিল সেই মূল্য হতে অধিক মূল্যে সেই ক্রীতদাসীকে উহা হতে খরিদ করল।
এটা বৈধ নয়, এটা মাকরূহ্ হওয়ার ব্যাখ্যা হচ্ছে এই, এক ব্যক্তি নিজের দাসীকে বিক্রয় করল নির্দিষ্ট মেয়াদে [অর্থ আদায় করবে বলে ধার্য্য করে] অতঃপর উহাকে এই মেয়াদ হতে লম্বা মেয়াদে খরিদ করল। বিক্রয় করেছিল এক মাস মেয়াদে ত্রিশ দীনারের বিনিময়ে, অতঃপর ক্রয় করল এক বৎসর মেয়াদে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে ষাট দীনার মূল্যে। এটা এইরূপ হল যেন তার পণ্যদ্রব্য অবিকল তার দিকে প্রত্যাবর্তন করল এবং সে (ক্রেতা) বিক্রেতাকে দিল ত্রিশ দীনার এক মাসের মেয়াদে। অতঃপর ষাট দীনারের বিনিময়ে ক্রেতা উহাকে পুনরায় গ্রহণ করল এক বৎসরে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে। এটা বৈধ নয়।