hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

৩১. ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত

موطأ مالك

৩১/ পরিচ্ছেদঃ বায়নার বিক্রয়

১২৬৬

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ الثِّقَةِ عِنْدَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْعُرْبَانِ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ أَوْ يَتَكَارَى الدَّابَّةَ ثُمَّ يَقُولُ لِلَّذِي اشْتَرَى مِنْهُ أَوْ تَكَارَى مِنْهُ أُعْطِيكَ دِينَارًا أَوْ دِرْهَمًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَقَلَّ عَلَى أَنِّي إِنْ أَخَذْتُ السِّلْعَةَ أَوْ رَكِبْتُ مَا تَكَارَيْتُ مِنْكَ فَالَّذِي أَعْطَيْتُكَ هُوَ مِنْ ثَمَنِ السِّلْعَةِ أَوْ مِنْ كِرَاءِ الدَّابَّةِ وَإِنْ تَرَكْتُ ابْتِيَاعَ السِّلْعَةِ أَوْ كِرَاءَ الدَّابَّةِ فَمَا أَعْطَيْتُكَ لَكَ بَاطِلٌ بِغَيْرِ شَيْءٍ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَنْ يَبْتَاعَ الْعَبْدَ التَّاجِرَ الْفَصِيحَ بِالْأَعْبُدِ مِنْ الْحَبَشَةِ أَوْ مِنْ جِنْسٍ مِنْ الْأَجْنَاسِ لَيْسُوا مِثْلَهُ فِي الْفَصَاحَةِ وَلَا فِي التِّجَارَةِ وَالنَّفَاذِ وَالْمَعْرِفَةِ لَا بَأْسَ بِهَذَا أَنْ تَشْتَرِيَ مِنْهُ الْعَبْدَ بِالْعَبْدَيْنِ أَوْ بِالْأَعْبُدِ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ إِذَا اخْتَلَفَ فَبَانَ اخْتِلَافُهُ فَإِنْ أَشْبَهَ بَعْضُ ذَلِكَ بَعْضًا حَتَّى يَتَقَارَبَ فَلَا يَأْخُذْ مِنْهُ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ اخْتَلَفَتْ أَجْنَاسُهُمْ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْ ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يُسْتَثْنَى جَنِينٌ فِي بَطْنِ أُمِّهِ إِذَا بِيعَتْ لِأَنَّ ذَلِكَ غَرَرٌ لَا يُدْرَى أَذَكَرٌ هُوَ أَمْ أُنْثَى أَحَسَنٌ أَمْ قَبِيحٌ أَوْ نَاقِصٌ أَوْ تَامٌّ أَوْ حَيٌّ أَوْ مَيْتٌ وَذَلِكَ يَضَعُ مِنْ ثَمَنِهَا قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبْتَاعُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ بِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَنْدَمُ الْبَائِعُ فَيَسْأَلُ الْمُبْتَاعَ أَنْ يُقِيْلَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ يَدْفَعُهَا إِلَيْهِ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَيَمْحُو عَنْهُ الْمِائَةَ دِينَارٍ الَّتِي لَهُ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِذَلِكَ وَإِنْ نَدِمَ الْمُبْتَاعُ فَسَأَلَ الْبَائِعَ أَنْ يُقِيلَهُ فِي الْجَارِيَةِ أَوْ الْعَبْدِ وَيَزِيدَهُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ الْأَجَلِ الَّذِي اشْتَرَى إِلَيْهِ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَنْبَغِي وَإِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَائِعَ كَأَنَّهُ بَاعَ مِنْهُ مِائَةَ دِينَارٍ لَهُ إِلَى سَنَةٍ قَبْلَ أَنْ تَحِلَّ بِجَارِيَةٍ وَبِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ السَّنَةٍ فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ بَيْعُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ إِلَى أَجَلٍ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبْتَاعُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ بِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَنْدَمُ الْبَائِعُ فَيَسْأَلُ الْمُبْتَاعَ أَنْ يُقِيْلَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ يَدْفَعُهَا إِلَيْهِ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَيَمْحُو عَنْهُ الْمِائَةَ دِينَارٍ الَّتِي لَهُ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِذَلِكَ وَإِنْ نَدِمَ الْمُبْتَاعُ فَسَأَلَ الْبَائِعَ أَنْ يُقِيلَهُ فِي الْجَارِيَةِ أَوْ الْعَبْدِ وَيَزِيدَهُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ الْأَجَلِ الَّذِي اشْتَرَى إِلَيْهِ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَنْبَغِي وَإِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَائِعَ كَأَنَّهُ بَاعَ مِنْهُ مِائَةَ دِينَارٍ لَهُ إِلَى سَنَةٍ قَبْلَ أَنْ تَحِلَّ بِجَارِيَةٍ وَبِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ السَّنَةٍ فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ بَيْعُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ إِلَى أَجَلٍ

আমার ইবন শু’আইব থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উরবান (বায়না) বিক্রয় হতে নিষেধ করেছেন। [যঈফ, আবূ দাঊদ ৩৫০২, ইবনু মাজাহ ২১৯২, ২১৯৩, আলবানী হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন (যয়ীফ আল জামে) ৬০৬০]
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের মতে (আল্লাহ সর্বজ্ঞাত) যেমন (বায়না) এই, কোন ব্যক্তি ক্রীতদাস অথবা ক্রীতদাসী ক্রয় করলে অথবা কোন পশু ভাড়া নিল। অতঃপর ক্রেতা অথবা যার নিকট হইতে ভাড়া নিল তাকে বলল, আমি আপনাকে এক দীনার অথবা এক দিরহাম কিংবা উহার চাইতে কম বা বেশি, এই শর্তে দিলাম যে, যদি আমি (ক্রীত) দ্রব্য গ্রহণ করি, কিংবা আপনার নিকট হতে ভাড়া নেওয়া পশুর উপর আরোহণ করি, তবে যা আমি আপনাকে দিলাম, তা দ্রব্যের মূল্য অথবা পশুর ভাড়া হতে কর্তন করা হবে। আর যদি আমি দ্রব্য ক্রয় না করি কিংবা ভাড়ায় লওয়া পশুটি ব্যবহার না করে ফিরিয়ে দেই অর্থাৎ ভাড়া না নেই, তবে যা আমি আপনাকে দিয়েছি তা কোন বিনিময় ছাড়া আপনার হবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট হুকুম এই, ব্যবসায়ী ও শুদ্ধভাষী গোলামকে হাবশী কয়েকজন গোলাম অথবা বিভিন্নজাত হতে অন্য কোন জাতের গোলামের বিনিময়ে যারা বাকপটুতায় ব্যবসায় কার্য সম্পাদনে এবং অভিজ্ঞতায় এর তুল্য নয়। [এইরূপ গোলামের বিনিময়ে] বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। একজন গোলামকে দুইজনের অথবা কয়েকজন গোলামের বিনিময়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (বাকী) ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদি [উভয় প্রকার গোলামের মধ্যে] পার্থক্য থাকে এবং সেই পার্থক্য হয় স্পষ্ট, আর যদি [তাদের মধ্যে] এক গোলাম অপর গোলামের সদৃশ হয় (এমন কি একে অপরের) কাছাকাছি হয় তবে তা হতে এক গোলামের বিনিময়ে দুই গোলাম বাকী গ্রহণ করবে না, যদিও বা তাদের জাত ভিন্ন ভিন্ন হয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, তুমি উহা হতে যা ক্রয় করেছ তা কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করাতে কোন বাধা নেই যদি মূল্য নগদ আদায় কর এবং যার নিকট হতে উহাকে ক্রয় করেছ তাকে ছাড়া ভিন্ন লোকের নিকট বিক্রয় কর।
মালিক (রহঃ) বলেন, [অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীর] পেটের বাচ্চাকে বাদ দিয়ে [২] মাকে বিক্রয় করা বৈধ নয়, এটা ধোঁকা হবে, কারণ জানা নাই বাচ্চা ছেলে না মেয়ে, সুশ্রী না কুশ্রী, সম্পূর্ণ না অসম্পূর্ণ, জীবিত না মৃত। উপরিউক্ত গুণাবলির পার্থক্যের দ্বারা মূল্যের তারতম্য হয়ে থাকে।
মালিক (রহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি দাসী অথবা দাসকে বিক্রয় করল একশত দীনারে নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে, অতঃপর বিক্রেতা লজ্জিত হল এবং ক্রেতাকে অনুরোধ করল দশ দীনার গ্রহণ করে, যা বিক্রেতা ক্রেতাকে দিবে নগদ অথবা নির্ধারিত সময়ে বিক্রিত বস্তু ফেরত দিতে। তার নিকট বিক্রেতা (গোলামের মূল্য বাবদ) যে একশত দীনার পাবে তা সে আর গ্রহণ করল না। মালিক (রাঃ) বলেন- এইরূপ করাতে কোন দোষ নেই। যদি ক্রেতা লজ্জিত হয় এবং সে দাস-দাসীকে ফেরত নেওয়ার জন্য বিক্রেতার নিকট অনুরোধ করে এবং যেই নির্ধারিত সময়ে সে মূল্য পরিশোধ করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া গোলাম বা বাঁদী ক্রয় করেছিল সে সময়ের অধিক সময়ে পরিশোধ করবে বলে সময় নির্ধারিত করে অথবা নগদ দশ দীনার বিক্রেতাকে বর্ধিত করে দেয়; তবে তা বৈধ নয়। এটা এজন্য মাকরূহ্ যে, বিক্রেতা যেন ক্রেতার নিকট এক বৎসর মেয়াদে একশত দীনার বিক্রয় করল ক্রীতদাসী ফেরত লওয়ার পূর্বে এবং দশ দীনার নগদ অথবা বাকী এক বৎসর হতে দূরবর্তী মেয়াদে লাভ করবে এই শর্তে। এইভাবে ইহা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ [নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে] ধারে বিক্রয় করার মতো হল। [যা বৈধ নয়, কাজেই এটাও বৈধ হবে না।]
মালিক (রহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নির্দিষ্ট মেয়াদে একশত দীনার আদায়ের বিনিময়ে অন্য ব্যক্তির নিকট নিজ ক্রীতদাসী বিক্রয় করল, অতঃপর যে মেয়াদে বিক্রয় করেছিল তার চাইতে দূরবর্তী মেয়াদে এবং উহার নিকট যে মূল্যে বিক্রয় করেছিল সেই মূল্য হতে অধিক মূল্যে সেই ক্রীতদাসীকে উহা হতে খরিদ করল।
এটা বৈধ নয়, এটা মাকরূহ্ হওয়ার ব্যাখ্যা হচ্ছে এই, এক ব্যক্তি নিজের দাসীকে বিক্রয় করল নির্দিষ্ট মেয়াদে [অর্থ আদায় করবে বলে ধার্য্য করে] অতঃপর উহাকে এই মেয়াদ হতে লম্বা মেয়াদে খরিদ করল। বিক্রয় করেছিল এক মাস মেয়াদে ত্রিশ দীনারের বিনিময়ে, অতঃপর ক্রয় করল এক বৎসর মেয়াদে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে ষাট দীনার মূল্যে। এটা এইরূপ হল যেন তার পণ্যদ্রব্য অবিকল তার দিকে প্রত্যাবর্তন করল এবং সে (ক্রেতা) বিক্রেতাকে দিল ত্রিশ দীনার এক মাসের মেয়াদে। অতঃপর ষাট দীনারের বিনিময়ে ক্রেতা উহাকে পুনরায় গ্রহণ করল এক বৎসরে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে। এটা বৈধ নয়।
[১] শু’আইবের পিতার নাম মুহাম্মাদ, তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ (রা), তাঁর পিতার নাম আমার ইবনুল ‘আস (রা)।
[২] অর্থাৎ সন্তান যখন ভূমিষ্ঠ হবে তখন উহাকে পৃথকভাবে বিক্রি করার জন্য রেখে দেওয়া।
৩১/ পরিচ্ছেদঃ দাসের মাল প্রসঙ্গে যখন উহাকে বিক্রয় করা হয়

১২৬৭

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ مَنْ بَاعَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ فَمَالُهُ لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهُ الْمُبْتَاعُ، ২২৬৫-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُبْتَاعَ إِنْ اشْتَرَطَ مَالَ الْعَبْدِ فَهُوَ لَهُ نَقْدًا كَانَ أَوْ دَيْنًا أَوْ عَرْضًا يُعْلَمُ أَوْ لَا يُعْلَمُ وَإِنْ كَانَ لِلْعَبْدِ مِنْ الْمَالِ أَكْثَرُ مِمَّا اشْتَرَى بِهِ كَانَ ثَمَنُهُ نَقْدًا أَوْ دَيْنًا أَوْ عَرْضًا وَذَلِكَ أَنَّ مَالَ الْعَبْدِ لَيْسَ عَلَى سَيِّدِهِ فِيهِ زَكَاةٌ وَإِنْ كَانَتْ لِلْعَبْدِ جَارِيَةٌ اسْتَحَلَّ فَرْجَهَا بِمِلْكِهِ إِيَّاهَا وَإِنْ عَتَقَ الْعَبْدُ أَوْ كَاتَبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَإِنْ أَفْلَسَ أَخَذَ الْغُرَمَاءُ مَالَهُ وَلَمْ يُتَّبَعْ سَيِّدُهُ بِشَيْءٍ مِنْ دَيْنِهِ.

‘আবদুল্লাহ্ ইবন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি দাসকে বিক্রয় করেছে, আর দাসের রয়েছে সম্পদ, তবে তার সম্পদ বিক্রেতার জন্য হবে। কিন্তু যদি ক্রেতা উহা শর্ত করে থাকে [তবে স্বতন্ত্র কথা-মাল ক্রেতা পাবে।] (বুখারী ২৩৭৯, মুসলিম ১৫৪৩)
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, ক্রেতা যদি গোলামের মালের (নিজের জন্য) শর্ত করে থাকে তবে মাল তার হবে, মাল নগদ অর্থ হোক বা ঋণ হোক কিংবা সামগ্রী হোক, জ্ঞাত হোক বা অজ্ঞাত, যদি তাকে যে মূল্যে খরিদ করেছে উহার চাইতে বেশি মালও হয়, তার মূল্য নগদ আদায় করা হোক বা ধারে বিক্রয় অথবা আসবাবপত্রের বিনিময়ে। [সর্বাবস্থায় একই প্রকার হুকুম অর্থাৎ শর্ত করলে মাল ক্রেতা পাবে]। এটা এজন্য যে, দাসের মালের জন্য কর্তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয় না। আর যদি গোলামের কোন ক্রীতদাসী থাকে যার সাথে সঙ্গম করেছে, উহার মালিক হওয়ার দরুন। আর যদি দাস কর্তৃক কোন গোলাম আযাদ করা হয়ে থাকে অথবা কোন গোলামকে মুকাতব করা হয়ে থাকে তবে উহার মাল তার জন্য থাকবে। আর যদি গোলাম কাঙ্গাল গরীব হয়ে যায় তবে ঋণদাতাগণ তার মাল কব্জা করবে, তার ঋণের জন্য কর্তাকে দায়ী করবে না।
৩১/ পরিচ্ছেদঃ বিক্রিত গোলাম ফেরত দেওয়ার সময়সীমা

১২৬৮

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنَّ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ وَهِشَامَ بْنَ إِسْمَعِيلَ كَانَا يَذْكُرَانِ فِي خُطْبَتِهِمَا عُهْدَةَ الرَّقِيقِ فِي الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ مِنْ حِينِ يُشْتَرَى الْعَبْدُ أَوْ الْوَلِيدَةُ وَعُهْدَةَ السَّنَةِ، ২২৬৮-قَالَ مَالِك مَا أَصَابَ الْعَبْدُ أَوْ الْوَلِيدَةُ فِي الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ مِنْ حِينِ يُشْتَرَيَانِ حَتَّى تَنْقَضِيَ الْأَيَّامُ الثَّلَاثَةُ فَهُوَ مِنْ الْبَائِعِ وَإِنَّ عُهْدَةَ السَّنَةِ مِنْ الْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَالْبَرَصِ فَإِذَا مَضَتْ السَّنَةُ فَقَدْ بَرِئَ الْبَائِعُ مِنْ الْعُهْدَةِ كُلِّهَا. قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ عَبْدًا أَوْ وَلِيدَةً مِنْ أَهْلِ الْمِيرَاثِ أَوْ غَيْرِهِمْ بِالْبَرَاءَةِ فَقَدْ بَرِئَ مِنْ كُلِّ عَيْبٍ وَلَا عُهْدَةَ عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلِمَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ فَإِنْ كَانَ عَلِمَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ لَمْ تَنْفَعْهُ الْبَرَاءَةُ وَكَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ مَرْدُودًا وَلَا عُهْدَةَ عِنْدَنَا إِلَّا فِي الرَّقِيْقِ.

আবান ইবন উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবান ইবন উসমান (রাঃ) ও হিশাম ইবন ইসমাঈল (রহঃ) তাঁরা উভয়ে খুতবাতে উল্লেখ করতেন দাস বা দাসীকে ক্রয় করার সময় হতে তিন দিনের দায়িত্বের কথা। তাঁরা স্মরণ করিয়ে দিতেন এক বৎসরের দায়িত্বের কথা। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেন, দাস বা দাসীকে ক্রয় করার সময় হতে তিন দিনের ভিতরে দাস বা দাসীর মধ্যে কোন দোষ পাওয়া গেলে উহা বিক্রেতার দায়িত্বের মধ্যে গণ্য হবে। আর এক বৎসর কালের দায়িত্ব (যেমন) উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ, ধবলকুষ্ঠ, [ইত্যাদি জটিল রোগ]-এর ব্যাপারে এক বৎসর অতিবাহিত হয়ে গেলে বিক্রেতা সম্পূর্ণ দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন দাস বা দাসীকে বিক্রয় করল, বিক্রেতা উত্তরাধিকারী হোক বা অন্য কেউ। বিক্রয়ের সময় দাস-দাসীর দোষের ব্যাপারে দায়িত্বমুক্ত হওয়ার কথা বিক্রেতা কর্তৃক উল্লেখ করলে তবে বিক্রেতা দাস-দাসীর যাবতীয় দোষের কথা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও গোপন করে তবে বিক্রয়ের সময় দায়িত্বমুক্ত হওয়ার শর্ত করলেও এই শর্ত তার উপকারে আসবে না। এই বিক্রয় বাতিল হয়ে যাবে। আর আমাদের নিকট একমাত্র দাস-দাসীর মধ্যেই বিক্রেতার দায়িত্ব থাকবে।
[১] কোন ব্যক্তি দাস বা দাসীকে ক্রয় করলে এবং বিক্রেতা কর্তৃক তাদের দোষমুক্ত হওয়ার শর্ত না করলে বিক্রিত দাস-দাসীর মধ্যে তিন দিনের মধ্যে কোন দোষ পাওয়া গেলে উহার দায়িত্ব বিক্রেতা বহন করবে। আর এক বৎসরের দায়িত্ব হল দাস-দাসীর জটিল রোগ ইত্যাদির ব্যাপারে। অর্থাৎ বিক্রিত দাস-দাসীর যদি এক বৎসরের মধ্যে কোন জটিল রোগ প্রকাশ পায় তবে তার দায়িত্ব বিক্রেতা বহন করিবে।
৩১/ পরিচ্ছেদঃ ক্রীতদাসের খুঁত

১২৬৯

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ بَاعَ غُلَامًا لَهُ بِثَمَانِ مِائَةِ دِرْهَمٍ وَبَاعَهُ بِالْبَرَاءَةِ فَقَالَ الَّذِي ابْتَاعَهُ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ بِالْغُلَامِ دَاءٌ لَمْ تُسَمِّهِ لِي فَاخْتَصَمَا إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَالَ الرَّجُلُ بَاعَنِي عَبْدًا وَبِهِ دَاءٌ لَمْ يُسَمِّهِ وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بِعْتُهُ بِالْبَرَاءَةِ فَقَضَى عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنْ يَحْلِفَ لَهُ لَقَدْ بَاعَهُ الْعَبْدَ وَمَا بِهِ دَاءٌ يَعْلَمُهُ فَأَبَى عَبْدُ اللهِ أَنْ يَحْلِفَ وَارْتَجَعَ الْعَبْدَ فَصَحَّ عِنْدَهُ فَبَاعَهُ عَبْدُ اللهِ بَعْدَ ذَلِكَ بِأَلْفٍ وَخَمْسِ مِائَةِ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ كُلَّ مَنْ ابْتَاعَ وَلِيدَةً فَحَمَلَتْ أَوْ عَبْدًا فَأَعْتَقَهُ وَكُلَّ أَمْرٍ دَخَلَهُ الْفَوْتُ حَتَّى لَا يُسْتَطَاعَ رَدُّهُ فَقَامَتْ الْبَيِّنَةُ إِنَّهُ قَدْ كَانَ بِهِ عَيْبٌ عِنْدَ الَّذِي بَاعَهُ أَوْ عُلِمَ ذَلِكَ بِاعْتِرَافٍ مِنْ الْبَائِعِ أَوْ غَيْرِهِ فَإِنَّ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ يُقَوَّمُ وَبِهِ الْعَيْبُ الَّذِي كَانَ بِهِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ فَيُرَدُّ مِنْ الثَّمَنِ قَدْرُ مَا بَيْنَ قِيمَتِهِ صَحِيحًا وَقِيمَتِهِ وَبِهِ ذَلِكَ الْعَيْبُ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْعَبْدَ ثُمَّ يَظْهَرُ مِنْهُ عَلَى عَيْبٍ يَرُدُّهُ مِنْهُ وَقَدْ حَدَثَ بِهِ عِنْدَ الْمُشْتَرِي عَيْبٌ آخَرُ إِنَّهُ إِذَا كَانَ الْعَيْبُ الَّذِي حَدَثَ بِهِ مُفْسِدًا مِثْلُ الْقَطْعِ أَوْ الْعَوَرِ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْعُيُوبِ الْمُفْسِدَةِ فَإِنَّ الَّذِي اشْتَرَى الْعَبْدَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يُوضَعَ عَنْهُ مِنْ ثَمَنِ الْعَبْدِ بِقَدْرِ الْعَيْبِ الَّذِي كَانَ بِالْعَبْدِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ وُضِعَ عَنْهُ وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَغْرَمَ قَدْرَ مَا أَصَابَ الْعَبْدَ مِنْ الْعَيْبِ عِنْدَهُ ثُمَّ يَرُدُّ الْعَبْدَ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ مَاتَ الْعَبْدُ عِنْدَ الَّذِي اشْتَرَاهُ أُقِيمَ الْعَبْدُ وَبِهِ الْعَيْبُ الَّذِي كَانَ بِهِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ فَيُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُهُ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ الْعَبْدِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ بِغَيْرِ عَيْبٍ مِائَةَ دِينَارٍ وَقِيمَتُهُ يَوْمَ اشْتَرَاهُ وَبِهِ الْعَيْبُ ثَمَانُونَ دِينَارًا وُضِعَ عَنْ الْمُشْتَرِي مَا بَيْنَ الْقِيمَتَيْنِ وَإِنَّمَا تَكُونُ الْقِيمَةُ يَوْمَ اشْتُرِيَ الْعَبْدُ২২৭৪-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ رَدَّ وَلِيدَةً مِنْ عَيْبٍ وَجَدَهُ بِهَا وَكَانَ قَدْ أَصَابَهَا أَنَّهَا إِنْ كَانَتْ بِكْرًا فَعَلَيْهِ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِهَا وَإِنْ كَانَتْ ثَيِّبًا فَلَيْسَ عَلَيْهِ فِي إِصَابَتِهِ إِيَّاهَا شَيْءٌ لِأَنَّهُ كَانَ ضَامِنًا لَهَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِيمَنْ بَاعَ عَبْدًا أَوْ وَلِيدَةً أَوْ حَيَوَانًا بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَهْلِ الْمِيرَاثِ أَوْ غَيْرِهِمْ فَقَدْ بَرِئَ مِنْ كُلِّ عَيْبٍ فِيمَا بَاعَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلِمَ فِي ذَلِكَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ فَإِنْ كَانَ عَلِمَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ لَمْ تَنْفَعْهُ تَبْرِئَتُهُ وَكَانَ مَا بَاعَ مَرْدُودًا عَلَيْهِ قَالَ مَالِك فِي الْجَارِيَةِ تُبَاعُ بِالْجَارِيتَيْنِ ثُمَّ يُوجَدُ بِإِحْدَى الْجَارِيَتَيْنِ عَيْبٌ تُرَدُّ مِنْهُ، قَالَ تُقَامُ الْجَارِيَةُ الَّتِي كَانَتْ قِيمَةَ الْجَارِيَتَيْنِ فَيُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُهَا ثُمَّ تُقَامُ الْجَارِيتَانِ بِغَيْرِ الْعَيْبِ الَّذِي وُجِدَ بِإِحْدَاهُمَا تُقَامَانِ صَحِيحَتَيْنِ سَالِمَتَيْنِ ثُمَّ يُقْسَمُ ثَمَنُ الْجَارِيَةِ الَّتِي بِيعَتْ بِالْجَارِيتَيْنِ عَلَيْهِمَا بِقَدْرِ ثَمَنِهِمَا حَتَّى يَقَعَ عَلَى كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا حِصَّتُهَا مِنْ ذَلِكَ عَلَى الْمُرْتَفِعَةِ بِقَدْرِ ارْتِفَاعِهَا وَعَلَى الْأُخْرَى بِقَدْرِهَا ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى الَّتِي بِهَا الْعَيْبُ فَيُرَدُّ بِقَدْرِ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا مِنْ تِلْكَ الْحِصَّةِ إِنْ كَانَتْ كَثِيرَةً أَوْ قَلِيلَةً وَإِنَّمَا تَكُونُ قِيمَةُ الْجَارِيَتَيْنِ عَلَيْهِ يَوْمَ قَبْضِهِمَا قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْعَبْدَ فَيُؤَاجِرُهُ بِالْإِجَارَةِ الْعَظِيمَةِ أَوْ الْغَلَّةِ الْقَلِيلَةِ ثُمَّ يَجِدُ بِهِ عَيْبًا يُرَدُّ مِنْهُ إِنَّهُ يَرُدُّهُ بِذَلِكَ الْعَيْبِ وَتَكُونُ لَهُ إِجَارَتُهُ وَغَلَّتُهُ وَهَذَا الْأَمْرُ الَّذِي كَانَتْ عَلَيْهِ الْجَمَاعَةُ بِبَلَدِنَا وَذَلِكَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا ابْتَاعَ عَبْدًا فَبَنَى لَهُ دَارًا قِيمَةُ بِنَائِهَا ثَمَنُ الْعَبْدِ أَضْعَافًا ثُمَّ وَجَدَ بِهِ عَيْبًا يُرَدُّ مِنْهُ رَدَّهُ وَلَا يُحْسَبُ لِلْعَبْدِ عَلَيْهِ إِجَارَةٌ فِيمَا عَمِلَ لَهُ فَكَذَلِكَ تَكُونُ لَهُ إِجَارَتُهُ إِذَا آجَرَهُ مِنْ غَيْرِهِ لِأَنَّهُ ضَامِنٌ لَهُ وَهَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ ابْتَاعَ رَقِيقًا فِي صَفْقَةٍ وَاحِدَةٍ فَوَجَدَ فِي ذَلِكَ الرَّقِيقِ عَبْدًا مَسْرُوقًا أَوْ وَجَدَ بِعَبْدٍ مِنْهُمْ عَيْبًا إِنَّهُ يُنْظَرُ فِيمَا وُجِدَ مَسْرُوقًا أَوْ وَجَدَ بِهِ عَيْبًا فَإِنْ كَانَ هُوَ وَجْهَ ذَلِكَ الرَّقِيقِ أَوْ أَكْثَرَهُ ثَمَنًا أَوْ مِنْ أَجْلِهِ اشْتَرَى وَهُوَ الَّذِي فِيهِ الْفَضْلُ فِيمَا يَرَى النَّاسُ كَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ مَرْدُودًا كُلُّهُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي وُجِدَ مَسْرُوقًا أَوْ وُجِدَ بِهِ الْعَيْبُ مِنْ ذَلِكَ الرَّقِيقِ فِي الشَّيْءِ الْيَسِيرِ مِنْهُ لَيْسَ هُوَ وَجْهَ ذَلِكَ الرَّقِيقِ وَلَا مِنْ أَجْلِهِ اشْتُرِيَ وَلَا فِيهِ الْفَضْلُ فِيمَا يَرَى النَّاسُ رُدَّ ذَلِكَ الَّذِي وُجِدَ بِهِ الْعَيْبُ أَوْ وُجِدَ مَسْرُوقًا بِعَيْنِهِ بِقَدْرِ قِيمَتِهِ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي اشْتَرَى بِهِ أُولَئِكَ الرَّقِيْقَ.

বর্ণণাকারী থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) তাঁর এক দাস বিক্রয় করলেন বারাআত [১] -এর শর্তে আটশত দিরহাম মূল্যে। অতঃপর ক্রেতা বললেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ)-এর গোলামের মধ্যে একটি রোগ রয়েছে, আপনি আমার নিকট উহা চিহ্নিত করেননি। তারপর তারা উভয়ের বিবাদ নিয়ে উপস্থিত হলেন উসমান ইবন আফফান (রাঃ)-এর নিকট। ক্রেতা ব্যক্তি বললেন- তিনি আমার নিকট গোলাম বিক্রয় করলেন অথচ তার রয়েছে একটি রোগ যার কথা তিনি আমার নিকট বলেননি। আবদুল্লাহ্ বললেনঃ আমি গোলাম বিক্রয় করেছি বারাআত (দায়িত্বমুক্ত থাকা)-এর শর্তে। উসমান (রাঃ) ফয়সালা দিলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) শপথ করে বলবে- ক্রেতার নিকট তিনি যে গোলাম বিক্রয় করেছেন তার মধ্যে কোন রোগ আছে বলে তিনি জানতেন না। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) এইরূপ শপথ করতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং গোলাম তিনি ফেরত গ্রহণ করলেন। অতঃপর উক্ত গোলাম সুস্থ হয়ে গেল। তারপর আবদুল্লাহ্ (রাঃ) তাকে দেড় হাজার দিরহাম মূল্যে বিক্রয় করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত ফয়সালা হল এই, যে ব্যক্তি কোন দাসী ক্রয় করল এবং তার দ্বারা উহা অন্তঃসত্ত্বা হল, অথবা দাস ক্রয় করে উহাকে আযাদ করল এবং এই জাতীয় যে কোন প্রকার ক্ষমতা পরিচালনা [২] বা কার্য সম্পাদন করে যাতে সেই দাসী বা দাসকে আর ফেরত দেওয়া চলে না। অতঃপর (এই মর্মে) প্রমাণ উপস্থিত হয়েছে যে, বিক্রেতার কাছে থাকা কালে উহার মধ্যে খুঁত ছিল অথবা খুঁত প্রকাশিত হয়েছে বিক্রেতার স্বীকারোক্তির দ্বারা কিংবা অন্য কোন উপায়ে, [এইরূপ হয়ে থাকলে] তবে খুঁতসহ বিক্রয়ের দিন সেই দাস অথবা দাসীর কত মূল্য হতে পারে তা নির্ণয় করা হবে, তারপর ত্রুটি মুক্তাবস্থায় উহার যা মূল্য হবে এবং খুঁত অবস্থায় যা উহার মূল্য হতে পারে এতদুভয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধানিক মূল্যের অর্থটি ক্রেতাকে ফেরত দিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছে সর্বসম্মত ফয়সালা এই, সেই ব্যক্তি সম্বন্ধে যে ব্যক্তি কোন ক্রীতদাস ক্রয় করেছে। অতঃপর উহা হতে এমন কোন খুঁত প্রকাশ পেয়েছে, [যে খুঁত প্রকাশ পাওয়ার দরুন] যাতে উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত দেয়া যেতে পারে।
কিন্তু ক্রেতার নিকট (থাকাবস্থায়) অন্য নতুন খুঁত সৃষ্টি হয়েছে। যদি নব্যসৃষ্ট খুঁত যা ক্রেতার নিকট পয়দা হয়েছে উহা নষ্টকারী হয় যেমন (কোন অংশ) কর্তন করা কিংবা কানা হওয়া অথবা এই জাতীয় নষ্টকারক খুঁতসমূহ হতে অন্য কোন খুঁত। তবে দুই বিষয়ের যে কোন উত্তম বিষয়কে গ্রহণ করার ইখতিয়ার ক্রেতার থাকবে। যদি দাসের ক্রটিসহ যে দিন উহাকে ক্রয় করেছে সেই দিন যা মূল্য হতে পারে [এবং নিখুঁতঅবস্থায় উহার মূল্য হয় উভয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধানিক মূল্য] তা হতে বাদ দেওয়াকে তিনি পছন্দ করেন তবে (যেই পরিমাণ) অর্থ উহা হতে বাদ দেয়া হবে অথবা সে যদি পছন্দ করে তবে ক্রীতদাসের যেই পরিমাণ ক্ষতি তার কাছে থাকতে হয়েছে উহার খেসারত প্রদান করবে, অতঃপর গোলাম ফেরত দেয়া হবে (তিনি ইচ্ছা করলে এরূপ করা যাবে)। আর যদি ক্রীতদাস ক্রেতার নিকট মারা যায় তবে খুঁতসহ যেই দিন উহাকে বিক্রয় করা হয়েছিল সেই দিন উহার মূল্য কত ছিল তা নির্ণয় করা হবে, যদি ক্রয়ের দিন দোষ মুক্তাবস্থায় উহার মূল্য একশত দীনার থাকে, আর দোষসহ উহার মূল্য ক্রয়ের দিন আশি দীনার হয়, তবে ক্রেতার উপর হতে উভয় মূল্যের মধ্যে ব্যবধানিক মূল্য বাদ দেয়া হবে। মূল্য ধার্য করা হবে ক্রয়ের দিনেরই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দাসীকে উহাতে খুঁত পাওয়ার কারণে ফেরত দেয় (অথচ) সে উহার সাথে সহবাস করেছে। তবে দাসী যদি কুমারী হয় তবে (সহবাস করাতে) যতটুকু উহার মূল্য হতে কমেছে ততটুকু মূল্য তাকে আদায় করতে হবে আর যদি দাসী কুমারী না হয়, তবে উহার সাথে সঙ্গম করাতে ক্রেতাকে কিছু দিতে হবে না, কারণ সে উহার জামিনস্বরূপ ছিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যে, যে ব্যক্তি কোন দাস বা দাসীকে অথবা কোন প্রাণীকে বিক্রয় করেছে বারাআতের শর্তে সে আহলে-মীরাস হোক বা আহলে-মীরাস ব্যতীত অন্য কেহ হোক, তবে সে বিক্রীত বস্তুতে যেকোন প্রকার দোষ পাওয়া যায় উহার দায়-দায়িত্ব হতে মুক্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যদি কোন দোষ জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও গোপন করে থাকে তবে তার দায়িত্ব মুক্তির শর্ত করা কোন কাজে লাগবে না এবং তার বিক্রীত বস্তু তার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যেই দাসীকে দুইজন দাসীর বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়েছে, অতঃপর দাসীদ্বয়ের একজনের মধ্যে এমন দোষ পাওয়া গিয়েছে যা সহ মালিকের নিকট ফেরত দেওয়া চলে। তবে সেই দাসীর মূল্য নির্ণয় করা হবে যেই ক্রীতদাসীকে দুই দাসীর বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়েছিল। তারপর দেখতে হবে উহার মূল্য কত। অতঃপর দাসীদ্বয়ের মূল্য নির্ণয় করতে হবে যাদের একজনের মধ্যে দোষ পাওয়া গিয়েছে। উভয়ে সুস্থ ও নিখুঁত থাকলে কি মূল্য দাসীদ্বয়ের হতে পারে তা নির্ণয় করবে। অতঃপর যেই দাসীকে এতদুভয়ের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল উহার মূল্যকে উভয় দাসীর মধ্যে উহাদের মূল্য অনুযায়ী বন্টন করে দেবে, যেন দাসীদ্বয়ের প্রত্যেকের উপর স্ব স্ব হিসসা বর্তিত হয়। নিখুঁত ও উত্তমার অংশে উহার মূল্য এবং অপর ত্রুটিযুক্ত অংশে তার মূল্য বর্তিত হবে। তারপর লক্ষ্য করা হবে ত্রুটিযুক্ত দাসীর দিকে এবং যেই পরিমাণ মূল্য উহার অংশে নির্ধারিত হল তা বিক্রেতা কর্তৃক ক্রেতাকে ফেরত দিতে হবে। যেই দিন ক্রেতা দাসীদ্বয়ের নিজ দখলে এনেছে উভয়ের সেই দিনের মূল্য নির্ণয় করবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি দাস ক্রয় করল অতঃপর উহাকে ইজারাতে কাজে লাগাল, বড় ইজারাতে কিংবা [৩] কর মারফতে। তারপর সেই দাসে খুঁত পাওয়া গেল, যে খুঁতের কারণে উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া যায়। (এইরূপ অবস্থা হলে) তবে সেই দাসকে খুঁতসহ ফেরত দিবে, ইজারা (লব্ধ অর্থ) ও কর [মারফত আদায়কৃত বস্তু] তার [ক্রেতার] প্রাপ্য হবে। অনুরূপ মতই পোষণ করতেন আমাদের (পবিত্র) শহরের (মদীনার) উলামা সম্প্রদায়। ইহা এইজন্য যে, (যেমন) এক ব্যক্তি একটি দাস খরিদ করল। সে দাস তার (ক্রেতার) উদ্দেশ্যে একটি গৃহ নির্মাণ করল। যে গৃহের নির্মাণ খরচ গোলামের মূল্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশি হবে, অতঃপর সেই দাসের কোন দোষ পাওয়া গেল যে দোষের কারণে উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া চলে। (এইরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে) তবে উহাকে (বিক্রেতার নিকট) ফেরত দিবে এবং গোলামের শ্রমের কারণে ক্রেতার উপর কোন মজুরী হিসাব করা হবে না।
অনুরূপ দাসের ইজারালব্ধ অর্থ ক্রেতা পাবে যদি অন্যের নিকট উহাকে ইজারা দিয়ে থাকে কারণ ক্রেতাই উহার জামিন। মালিক (রহঃ) বলেন, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, এক ব্যক্তি এক দফাতে একসঙ্গে কয়েক জন দাসকে বিক্রয় করেছে। অতঃপর সেইসব দাসের মধ্যে একজন পাওয়া গিয়েছে চোরাইকৃত দাস কিংবা উহাদের এক জনের মধ্যে খুঁত পাওয়া গিয়েছে। মালিক (রহঃ) বলেন, এমতাবস্থায় দেখতে হবে- চোরাইকৃত দাস কিংবা যার মধ্যে খুঁত পাওয়া গিয়েছে সেই দাস যদি বিক্রীত দাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয় অথবা অধিক মূল্যের হয় এবং ক্রেতা উহার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সবাইকে ক্রয় করেছে, উহাতে রয়েছে শ্রেষ্ঠত্ব ও গুণ, সাধারণ লোকের ধারণায়। তবে এইরূপ বিক্রয় সম্পূর্ণ রদ করে দেয়া হবে। মালিক (রহঃ) বলেন, চোরাইকৃত গোলাম কিংবা যার মধ্যে দোষ পাওয়া গিয়েছে মামুলী ধরনের [বড় রকমের দোষ নয়], আর দাসদের মধ্যে সেই গোলাম অতি শ্রেষ্ঠও নয় এবং উহার উদ্দেশ্যে সবাইকে ক্রয়ও করা হয়নি। আর লোক-দৃষ্টিতে উহার বিশেষ কোন গুণও নাই। তবে ত্রুটিযুক্ত কিংবা চোরাইকৃত সেই ক্রীতদাসকেই বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া হবে; ক্রীতদাসদেরকে যেই মূল্যে খরিদ করা হয়েছে, হারাহারিভাবে এই দাসের যা মূল্য হবে সেই মূল্য অনুপাতে (অর্থ বাদ দিয়ে)।
[১] বারাআত অর্থাৎ এই দাসের কোন প্রকার দোষ-ত্রুটির জন্য আমি দায়ী থাকব না- এই শর্তে বিক্রয় করছি। একে বারাআত বলা হয়।
[২] যেমন দান করে দেয়া, হারিয়ে ফেলা, মুকাতাব, মুদাব্বার করা ইত্যাদি।
[৩] কর, যা শস্য, ফল ও দুগ্ধ ইত্যাদি হতে আদায় করা হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন