hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

. নামায

موطأ مالك

/ পরিচ্ছেদঃ নামাযের প্রতি আহ্বান

১৪৭

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ.

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা আযান শোন তখন মুয়াযযিনের অনুরূপ তোমরাও বল। (বুখারী ৬১১, মুসলিম ৩৮৩)

১৪৯

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ عَنْ أَبِيهِ وَإِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ فَلَا تَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا وَعَلَيْكُمْ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا فَإِنَّ أَحَدَكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا كَانَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلَاةِ.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন নামাযের ইকামত বলা হয় তখন তাড়া-হুড়া না করে ধীরে সুস্থে আসবে। অতঃপর জামাতের সাথে যতখানি পাবে তা আদায় করে অবশিষ্ট নামায নিজে নিজে পুরণ করবে। কেননা তোমাদের কেউ নামাযের উদ্দেশ্যে বের হলে তাকে নামাযে গণ্য করা হয়। (বুখারী ৬৩৬, মুসলিম ৬০২)

১৪৬

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ، كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَرَادَ أَنْ يَتَّخِذَ خَشَبَتَيْنِ يُضْرَبُ بِهِمَا لِيَجْتَمِعَ النَّاسُ لِلصَّلَاةِ فَأُرِيَ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ ثُمَّ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ خَشَبَتَيْنِ فِي النَّوْمِ فَقَالَ إِنَّ هَاتَيْنِ لَنَحْوٌ مِمَّا يُرِيدُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ أَلَا تُؤَذِّنُونَ لِلصَّلَاةِ فَأَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَذَانِ.

ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি কাঠ তৈরী করাবার ইচ্ছা করেছিলেন, যেন একটির দ্বারা অপরটির উপর আঘাত করে ধ্বনি সৃষ্টি করে মানুষকে নামাযের জামাতের উদ্দেশ্যে একত্র করা যায়। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ আনসারী এবং বনি হারিস ইবনু খাযরাযী (রাঃ) স্বপ্নে দুটি কাঠ দেখতে পেয়ে বললেন, এ দুটি অনুরূপ কাঠই যেরূপ কাঠ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৈরী করতে চেয়েছেন। তারপর তাঁকে বলা হলো, তোমরা নামাযের জন্য আযান দাও না কেন? ঘুম হতে জাগার পর তিনি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমীপে উপস্থিত হয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা আরয করলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযানের জন্য হুকুম দিলেন। (হাসান, আবূ দাঊদ ৪৯৯, তিরমিযী ১৮৯, ইবনু মাজাহ ৭০৬, আল্লামা আলবানী (রঃ) ইরওয়া ২৪৬ গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, আর ইমাম মালিক কর্তৃক হাদীসটি মুরসাল)

১৪৮

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الْأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لَاسْتَهَمُوا وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لَاسْتَبَقُوا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ যদি জানত আযান ও প্রথম কাতারে কী (বরকত ও মঙ্গল) রয়েছে, তবে তা পাবার জন্য লটারী ছাড়া উপায় না থাকলে তারা এর জন্য লটারী করত। আর যদি তারা জানত দ্বিপ্রহরের নামাযে (যোহর ও জুম’আয়) প্রথম সময়ে জাওয়াতে কী রয়েছে তবে তার দিকে দ্রুত গতিতে ধাবিত হত। আর তাঁরা যদি জানত ‘ইশা ও ফজরের নামাযে কী রয়েছে তা হলে উভয় নামাযের জন্য অবশ্যই আসত, এমনকি হামাগুড়ি দিয়েও। (বুখারী ৬১৫, ৬৫৪, মুসলিম ৪৩৭)

১৫০

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الْأَنْصَارِيِّ ثُمَّ الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سَعِيْدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ لَهُ إِنِّي أَرَاكَ تُحِبُّ الْغَنَمَ وَالْبَادِيَةَ فَإِذَا كُنْتَ فِي غَنَمِكَ أَوْ بَادِيَتِكَ فَأَذَّنْتَ بِالصَّلَاةِ فَارْفَعْ صَوْتَكَ بِالنِّدَاءِ فَإِنَّهُ لَا يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلَا إِنْسٌ وَلَا شَيْءٌ إِلَّا شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَبُو سَعِيْدٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

আবদুর রহমান ইবনু আবি ‘সা’সা’আ’ আনসারী মাযনী (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি দেখতেছি তুমি মাঠ ও বকরীকে ভালবাস। তুমি যখন তোমার বকরীর সঙ্গে থাক অথবা মাঠে থাক এবং নামাযের জন্য আযান দাও তবে তার স্বরে আযান দিও। কারণ আযানের স্বর মানুষ, জিন এবং অন্য যে কেউ শুনতে পায়, সে মুয়াযযিনের জন্য কিয়ামত দিবসে সাক্ষ্য দেবে।
আবূ সাঈদ (রা) বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ শুনেছি। (বুখারী ৬০৯, এবং ৩২৯৬)

১৫১

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لَا يَسْمَعَ النِّدَاءَ فَإِذَا قُضِيَ النِّدَاءُ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ يَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ إِنْ يَدْرِي كَمْ صَلَّى.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাযের জন্য আযান দেওয়ার সময় শয়তান সশব্দে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালায়, যেন সে আযানের শব্দ না শোনে। আযান শেষ হলে সে আবার আসে। ইকামত আরম্ভ হলে আবার পলায়ন করে। ইকামত বলা শেষ হলে পুনরায় উপস্থিত হয় এবং ‘ওয়াস্ওয়াসা’ ঢেলে নামাযী ব্যক্তি ও তাঁর অভীষ্ট লক্ষের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে; যে সকল বিষয় তার স্মরণ ছিল না সে সবের প্রতি আকৃষ্ট করে সে বলতে থাকে অমুক বিষয় স্মরণ কর, অমুক বিষয় স্মরণ কর। ফলে সে ব্যক্তি কত রাকা’আত নামায আদায় করেছে তা পর্যন্ত ভুলে যায়। (বুখারী ৬০৮, মুসলিম ৩৮৯)

১৫৩

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْمُؤَذِّنَ جَاءَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يُؤْذِنُهُ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ فَوَجَدَهُ نَائِمًا فَقَالَ الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنْ النَّوْمِ فَأَمَرَهُ عُمَرُ أَنْ يَجْعَلَهَا فِي نِدَاءِ الصُّبْحِ ৯و حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ، مَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ النَّاسَ إِلَّا النِّدَاءَ بِالصَّلَاةِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

মালিক (র) বলেছেন, তাঁর নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে, ফজরের নামাযের সংবাদ দেয়ার জন্য মুয়াযযিন উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর কাছে আসলেন এবং তাঁকে ঘুমন্ত পেয়ে বললেন الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنْ النَّوْمِ.

উমার (রাঃ) শুনে বাক্যটিকে ফজরের আযানের অন্তর্ভূক্ত করবার নির্দেশ দিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র)-এর চাচা আবূ সুহায়ল ইবনু মালিক (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, লোকদেরকে (পূর্বযুগে) যেরূপ পেয়েছি, এখন নামাযের আযান ব্যতীত আর অন্য কিছুই সেরূপ দেখছি না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৫৪

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ سَمِعَ الْإِقَامَةَ وَهُوَ بِالْبَقِيعِ فَأَسْرَعَ الْمَشْيَ إِلَى الْمَسْجِدِ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) ইকামত শুনে ‘বকী’ নামক স্থান হতে মসজিদের দিকে ত্বরিত ধাবিত হয়েছিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৫২

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ قَالَ، سَاعَتَانِ يُفْتَحُ لَهُمَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَقَلَّ دَاعٍ تُرَدُّ عَلَيْهِ دَعْوَتُهُ حَضْرَةُ النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ وَالصَّفُّ فِي سَبِيلِ اللهِ ২২৫و سُئِلَ مَالِك عَنْ النِّدَاءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ هَلْ يَكُونُ قَبْلَ أَنْ يَحِلَّ الْوَقْتُ فَقَالَ لَا يَكُونُ إِلَّا بَعْدَ أَنْ تَزُولَ الشَّمْسُ ২২৬و سُئِلَ مَالِك عَنْ تَثْنِيَةِ الْأَذَانِ وَالْإِقَامَةِ وَمَتَى يَجِبُ الْقِيَامُ عَلَى النَّاسِ حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغْنِي فِي النِّدَاءِ وَالْإِقَامَةِ إِلَّا مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ عَلَيْهِ فَأَمَّا الْإِقَامَةُ فَإِنَّهَا لَا تُثَنَّى وَذَلِكَ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَأَمَّا قِيَامُ النَّاسِ حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ فَإِنِّي لَمْ أَسْمَعْ فِي ذَلِكَ بِحَدٍّ يُقَامُ لَهُ إِلَّا أَنِّي أَرَى ذَلِكَ عَلَى قَدْرِ طَاقَةِ النَّاسِ فَإِنَّ مِنْهُمْ الثَّقِيلَ وَالْخَفِيفَ وَلَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَكُونُوا كَرَجُلٍ وَاحِدٍ ২২৭و سُئِلَ مَالِك عَنْ قَوْمٍ حُضُورٍ أَرَادُوا أَنْ يَجْمَعُوا الْمَكْتُوبَةَ فَأَرَادُوا أَنْ يُقِيمُوا وَلَا يُؤَذِّنُوا قَالَ مَالِك ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُمْ وَإِنَّمَا يَجِبُ النِّدَاءُ فِي مَسَاجِدِ الْجَمَاعَاتِ الَّتِي تُجْمَعُ فِيهَا الصَّلَاةُ ২২৮و سُئِلَ مَالِك عَنْ تَسْلِيمِ الْمُؤَذِّنِ عَلَى الْإِمَامِ وَدُعَائِهِ إِيَّاهُ لِلصَّلَاةِ وَمَنْ أَوَّلُ مَنْ سُلِّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ التَّسْلِيمَ كَانَ فِي الزَّمَانِ الْأَوَّلِ ২২৯قَالَ يَحْيَى و سُئِلَ مَالِك عَنْ مُؤَذِّنٍ أَذَّنَ لِقَوْمٍ ثُمَّ انْتَظَرَ هَلْ يَأْتِيهِ أَحَدٌ فَلَمْ يَأْتِهِ أَحَدٌ فَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَصَلَّى وَحْدَهُ ثُمَّ جَاءَ النَّاسُ بَعْدَ أَنْ فَرَغَ أَيُعِيدُ الصَّلَاةَ مَعَهُمْ قَالَ لَا يُعِيدُ الصَّلَاةَ وَمَنْ جَاءَ بَعْدَ انْصِرَافِهِ فَلْيُصَلِّ لِنَفْسِهِ وَحْدَهُ ২৩قَالَ يَحْيَى و سُئِلَ مَالِك عَنْ مُؤَذِّنٍ أَذَّنَ لِقَوْمٍ ثُمَّ تَنَفَّلَ فَأَرَادُوا أَنْ يُصَلُّوا بِإِقَامَةِ غَيْرِهِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِقَامَتُهُ وَإِقَامَةُ غَيْرِهِ سَوَاءٌ ২৩১قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك لَمْ تَزَلْ الصُّبْحُ يُنَادَى لَهَا قَبْلَ الْفَجْرِ فَأَمَّا غَيْرُهَا مِنْ الصَّلَوَاتِ فَإِنَّا لَمْ نَرَهَا يُنَادَى لَهَا إِلَّا بَعْدَ أَنْ يَحِلَّ وَقْتُهَا.

সাহ্ল ইবনু সা’আদ সায়েদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

দুটি মুহূর্ত এরূপ আছে সে সময় অসমানের দরওয়াজা খোলা হয় এবং সে মুহূর্তদ্বয়ে প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা ক্বচিৎ ফেরত দেয়া হয়; নামাযের আযানের মুহূর্ত এবং আল্লাহর পথে জিহাদের কাতার ঠিক করার মুহূর্ত। (সহীহ, আবূ দাঊদ ২৪৫০, আল্লামা আলবানী সহীহ ও যঈফ সুনানে আবূ দাঊদ গ্রন্থে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)
ইয়াহ্ইয়া (র) বলেছেন, মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হল জুম’আর দিন সময়ের পূর্বে আযান দেয়া যায় কি? তিনি উত্তর দিলেন, না, যায় না। সূর্য পশ্চিম দিকে ঝুঁকার পরই আযানের সময় হয়।
ইয়াহ্ইয়া (র) বর্ণনা করেন, মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হল আযান ও ইকামত-এর (বাক্যগুলি) দুই দুইবার বলা প্রসঙ্গে এবং ইকামতের সময় মানুষের কোন সময় দাঁড়াতে হবে সে প্রসঙ্গে। তিনি উত্তর দিলেন আযান ও ইকামতের বিষয় আমি লোকজনক যে পর্যায়ে পেয়েছি এর চেয়ে বেশি কিছু আমার কাছে পৌঁছেনি। ইকামত অবশ্য দুই দুইবার বলতে নাই। আমাদের শহরের (মদীনা শরীফ) বিজ্ঞ আলিমগণ এই মতই পোষণ করতেন। ইকামতের সময় দাঁড়ানোর সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন সীমা আমি জ্ঞাত নই। তবে আমার মতে এটা অনেকটা লোকের শক্তি-সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করে। কারণ সব লোক এক রকমের নয়; তাদের মধ্যে সবল ও দুর্বল সকল প্রকারের লোকই থাকে।
ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হল, যারা প্রবাসী নয় বরং মুকীম (স্বদেশে বা বিদেশে শরীয়তসম্মত স্থায়ী বসবাসকারী) তারা ফরয নামায জামাত সহকারে আযান ছাড়া শুধু ইকামত বলে আদায় করতে চাইলে-এই বিষয়ে আপনার মত কি? তিনি বললেন, কেবল ইকামত বললেও চলবে। কেননা আযান ওয়াজিব হয় সেই মসজিদের জন্য যেসব মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং লোকজনকে নামাযের জন্য আহ্বান করা হয়।
ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মুয়াযযিন কর্তৃক ইমামকে সালাম দেওয়া, নামাযের জন্য তাকে আহ্বান করা এবং সর্বপ্রথম কোন আমীরের প্রতি এইরূপ করা হয়েছিল এই বিষয়ে মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, এইরূপ সালাম দেওয়ার রীতি প্রথম যুগে ছিল বলে আমি অবগত নই।
ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মুয়াযযিন আযান দিয়ে অপেক্ষা করল, কিন্তু নামায আদায়ের জন্য কেউ আসল না। অতএব, সে ইকামত বলে একা একাই নামায আদায় করল। নামায শেষ হলে কিছু লোক আসল। এমতাবস্তায় সে কি পুনরায় আগন্তুকদের সাথে নামায আদায় করবে? মালিক (র)-এর নিকট এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, না, পরে যারা আসবে তারা পৃথক পৃথকভাবে নামায আদায় করবে ।
ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র) কে প্রশ্ন করা হলো মুয়াযযিন আযান দেবার পর নফল নামায শুরু করল। লোকজন এসে অন্যের দ্বারা ইকামত বলে জামাত সহকারে নামায আদায়ের ইচ্ছা করল, এইরূপ করা চলে কি ? তিনি উত্তর দিলেন যায়, এটা বৈধ। ইকামত বলার ব্যাপারে মুয়াযযিন এবং অন্য ব্যক্তি এক সমান।
ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র) কে প্রশ্ন করা হলো ফজরের আযান প্রায়ই ‘সুবহে-সাদিক’-এর আগে দেয়া হত। কিন্তু অন্যসব নামাযের আযান আমরা সময় হওয়ার পূর্বে দিতে দেখিনি।
/ পরিচ্ছেদঃ সফরে আযান দেওয়া এবং ওযূ ছাড়া আযান দেওয়া

১৫৬

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ لَا يَزِيدُ عَلَى الْإِقَامَةِ فِي السَّفَرِ إِلَّا فِي الصُّبْحِ فَإِنَّهُ كَانَ يُنَادِي فِيهَا وَيُقِيمُ وَكَانَ يَقُولُ إِنَّمَا الْأَذَانُ لِلْإِمَامِ الَّذِي يَجْتَمِعُ النَّاسُ إِلَيْهِ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) সফরে শুধু ইকামত বলতেন। অবশ্য ফজরের সময় আযান ও ইকামত দু’টোরই ব্যবস্থা করা হত। তিনি বলতেন, আযান বলতে হয় সেই ইমামের বেলায় যাঁর সাথে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে লোকজন একত্রিত হয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৫৭

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّ أَبَاهُ قَالَ لَهُ إِذَا كُنْتَ فِي سَفَرٍ فَإِنْ شِئْتَ أَنْ تُؤَذِّنَ وَتُقِيمَ فَعَلْتَ وَإِنْ شِئْتَ فَأَقِمْ وَلَا تُؤَذِّنْ ২৩৯قَالَ يَحْيَى سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ لَا بَأْسَ أَنْ يُؤَذِّنَ الرَّجُلُ وَهُوَ رَاكِبٌ.

হিশাম ইবনু উরওয়া (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর পিতা বলেছেন, তুমি সফরে থাকাবস্থায় চাইলে আযান ও ইকামত দুটোই বলতে পার, আর যদি চাও, আযান না দিয়ে শুধু ইকামতও বলতে পার।
ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; আমি মালিক (র)-কে বলতে শুনেছি, ‘আরোহী’ আযান দিলে কোন সমস্যা নেই। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৫৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ أَذَّنَ بِالصَّلَاةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ فَقَالَ أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ ذَاتُ مَطَرٍ يَقُولُ أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

এক শীতল রজনীতে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) আযান দিতে নির্দেশ দিলেন। আযানের পর বললেন, أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ-তোমরা নিজ নিজ আবাসে নামায আদায় কর। তারপর তিনি বললেন, শীতল ও বর্ষণশীলা রজনীতে أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ বলবার জন্য রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াযযিনকে নির্দেশ দিতেন। (বুখারী ৬৬৬, ৬৩২, মুসলিম ৬৯৭)

১৫৮

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ، مَنْ صَلَّى بِأَرْضٍ فَلَاةٍ صَلَّى عَنْ يَمِينِهِ مَلَكٌ وَعَنْ شِمَالِهِ مَلَكٌ فَإِذَا أَذَّنَ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ أَوْ أَقَامَ صَلَّى وَرَاءَهُ مِنْ الْمَلَائِكَةِ أَمْثَالُ الْجِبَالِ.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাঠে নামায আদায় করে তাঁর ডানে একজন ও বামে একজন ফেরেশতা নামাযে দাঁড়ান। আর যদি সে আযান ও ইকামত দিয়ে নামায আদায় করে তবে তাঁর পিছনে পাহাড় পরিমাণ (বহু) ফেরেশতা নামাযে শামিল হন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
/ পরিচ্ছেদঃ আযানের পর সাহরী খাওয়া

১৫৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ.

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিলাল রাত অবশিষ্ট থাকতে আযান দেয়। অতএব ইবনু উম্মি-মাকতুম আযান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার করতে পার। (বুখারী ৬২০, মুসলিম ১০৯২)

১৬০

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ قَالَ وَكَانَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ رَجُلًا أَعْمَى لَا يُنَادِي حَتَّى يُقَالَ لَهُ أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ.

সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিলাল রাত (অবশিষ্ট থাকতে) আযান দেয়। অতঃপর তোমরা পানাহার করতে থাক যতক্ষণ ইবনু উম্মি মাকতুম আযান না দেয়।
তিনি (রেওয়ায়ত বর্ণনাকারী) বলেছেন, ইবনু উম্মি মাকতুম ছিলেন অন্ধ ব্যক্তি। তাঁর উদ্দেশ্যে (ভোর হয়েছে) না বলা পর্যন্ত তিনি আযান দিতেন না। (বুখারী ৬১৭, মুসলিম ১০৯৩, তবে ইমাম মালিক (রঃ) কর্তৃক হাদীসটি মুরসাল)
/ পরিচ্ছেদঃ নামাযের আরম্ভ

১৬১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا كَذَلِكَ أَيْضًا وَقَالَ، سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَكَانَ لَا يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السُّجُودِ.

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শুরু করার সময় উভয় হাত কাঁধ বরাবর তুলতেন এবং যখন রুকূ হতে মাথা তুলতেন তখনও দুই হাত অনুরূপভাবে তুলতেন এবং বলতেন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ অবশ্য সিজদার সময় তিনি হাত তুলতেন না। (বুখারী ৭৩৫, মুসলিম ৩৯০)

১৬২

নির্ণীত নয়
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শুরু করার সময় উভয় হাত কাঁধ বরাবর তুলতেন এবং যখন রুকূ হতে মাথা তুলতেন তখনও দুই হাত অনুরূপভাবে তুলতেন এবং বলতেন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ অবশ্য সিজদার সময় তিনি হাত তুলতেন না। (বুখারী ৭৩৫, মুসলিম ৩৯০)

আলী ইবনু হুসায়ন আলী ইবনু আবি তালিব (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের মধ্যে যখন নিচের দিকে ঝুঁকতেন ও মাথা উপরে তুলতেন তখন ‘তাকবীর’ বলতেন। তিনি আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়া পর্যন্ত এভাবে নামায আদায় করেছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৬৫

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُكَبِّرُ فِي الصَّلَاةِ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ.

নাফি (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) যখন নিচের দিকে ঝুঁকতেন ও মাথা উপরে তুলতেন তখন ‘তাকবীর’ বলতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
২২و حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا دُونَ ذَلِكَ.
নাফি’ (র) হতে বর্ণিত; আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) নামায শুরু করার সময় দু’হাত কাঁধ বরাবর তুলতেন। আর যখন রুকূ হতে মাথা তুলতেন তখন দু’হাত কাঁধের একটু নিচ পর্যন্ত তুলতেন।

১৬৩

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الصَّلَاةِ.

সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযে দু হাত উপরে তুলতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৬৪

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَإِذَا انْصَرَفَ قَالَ وَاللهِ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

আবি সালমা ইবনু আবদুর রহমান ইবনু আওফ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাঁদের (শিক্ষাদানের) উদ্দেশ্যে নামায আদায় করতেন এবং তিনি যতবার নিচের দিকে ঝুঁকতেন ও মাথা উপরে তুলতেন ততবার তাকবীর বলতেন। নামায শেষ করার পর তিনি বলতেন, তোমাদের মধ্যে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামাযের সাথে আমি অধিকতর সামঞ্জস্য-রক্ষাকারী। (বুখারী ৭৮৫, মুসলিম ৩৯২)

১৬৬

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ التَّكْبِيرَ فِي الصَّلَاةِ قَالَ فَكَانَ يَأْمُرُنَا أَنْ نُكَبِّرَ كُلَّمَا خَفَضْنَا وَرَفَعْنَا.

আবূ নুঈম ওয়াহব ইবনু কায়সার (র) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁদেরকে নামাযের ‘তাকবীর’ শিক্ষা দিতেন। তিনি আরও বর্ণনা করেন, নিচের দিকে ঝুঁকাবার ও মাথা উপরে তুলবার সময় ‘তাকবীর’ বলার জন্য তিনি [জাবির (রাঃ)] আমাদেরকে নির্দেশ দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৬৭

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ، إِذَا أَدْرَكَ الرَّجُلُ الرَّكْعَةَ فَكَبَّرَ تَكْبِيرَةً وَاحِدَةً أَجْزَأَتْ عَنْهُ تِلْكَ التَّكْبِيرَةُ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ إِذَا نَوَى بِتِلْكَ التَّكْبِيرَةِ افْتِتَاحَ الصَّلَاةِ ২৫৩و سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ مَعَ الْإِمَامِ فَنَسِيَ تَكْبِيرَةَ الْافْتِتَاحِ وَتَكْبِيرَةَ الرُّكُوعِ حَتَّى صَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ كَبَّرَ تَكْبِيرَةَ الْافْتِتَاحِ وَلَا عِنْدَ الرُّكُوعِ وَكَبَّرَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ قَالَ يَبْتَدِئُ صَلَاتَهُ أَحَبُّ إِلَيَّ وَلَوْ سَهَا مَعَ الْإِمَامِ عَنْ تَكْبِيرَةِ الْافْتِتَاحِ وَكَبَّرَ فِي الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ رَأَيْتُ ذَلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ إِذَا نَوَى بِهَا تَكْبِيرَةَ الْافْتِتَاحِ ২৫৫قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يُصَلِّي لِنَفْسِهِ فَنَسِيَ تَكْبِيرَةَ الْافْتِتَاحِ إِنَّهُ يَسْتَأْنِفُ صَلَاتَهُ و قَالَ مَالِك فِي إِمَامٍ يَنْسَى تَكْبِيرَةَ الْافْتِتَاحِ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ صَلَاتِهِ قَالَ أَرَى أَنْ يُعِيدَ وَيُعِيدُ مَنْ خَلْفَهُ الصَّلَاةَ وَإِنْ كَانَ مَنْ خَلْفَهُ قَدْ كَبَّرُوا فَإِنَّهُمْ يُعِيدُونَ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি এক রাকআত নামায পায় এবং একবার তাকবীর বলে তার জন্য ঐ এক ‘তাকবীর’ যথেষ্ট হবে।
ইয়াহইয়া (র) মালিক (র) হতে বর্ণনা করেন; ঐ এক ‘তাকবীর’ই যথেষ্ট হবে যদি সে উক্ত তাকবীর দ্বারা ‘তাকবীর-এ তাহরীমা’-এর নিয়ত করে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হল এক ব্যক্তি ইমামের সাথে নামাযে শরীক হল কিন্তু সে ‘তাকবীর-এ তাহরীমা’ ও রুকূর তাকবীর বলেনি। অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে সে ‘তাকবীর’ বলল। তার কি করা উচিত ? তিনি উত্তর দিলেন সে ব্যক্তির জন্য নামায শুরু হতে নতুন করে আদায় করা আমি ভাল মনে করি। আর যদি কোন ব্যক্তি ইমামের সাথে ‘তাকবীর’-এ-তাহরীমা’ বলতে ভুলে যায়, প্রথম রুকূর সময় ‘তাকবীর’ বলে, রুকূর তাকবীরের সাথে ‘তাকবীর-এ-তহরীমা’রও নিয়ত করে, তবে আমার মতে উক্ত রুকূর ‘তাকবীর’ই তার জন্য যথেষ্ট হবে।
ইয়াহইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র)-বলেছেন, যে ব্যক্তি একা একা নামায আদায় করেছে সে ‘তাকবীর-এ-তাহরীমা’ ভুলে গেলে তাকে নামায নতুন করে আদায় করতে হবে।
ইয়াহইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র)-বলেছেন, ইমাম যদি ‘তাকবীর-এ-তাহরীমা’ বলতে ভুলে গেলেন এবং নামায সমাপ্ত করলেন, তবে আমার মতে ইমাম ও ‘মুকতাদী’ দু’জনের নামায পুনরায় পড়া উচিত, এমন কি মুকতাদীগণ ‘তাকবীর’ বলে থাকলেও। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন