hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত

موطأ مالك

৩৭/ পরিচ্ছেদঃ ওসীয়্যতের নির্দেশ

১৪৫১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ. قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُوصِيَ إِذَا أَوْصَى فِي صِحَّتِهِ أَوْ مَرَضِهِ بِوَصِيَّةٍ فِيهَا عَتَاقَةُ رَقِيْقٍ مِنْ رَقِيقِهِ أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ فَإِنَّهُ يُغَيِّرُ مِنْ ذَلِكَ مَا بَدَا لَهُ وَيَصْنَعُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ حَتَّى يَمُوْتَ. وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَطْرَحَ تِلْكَ الْوَصِيَّةَ وَيُبْدِلَهَا فَعَلَ إِلَّا أَنْ يُدَبِّرَ مَمْلُوكًا فَإِنْ دَبَّرَ فَلَا سَبِيلَ إِلَى تَغْيِيرِ مَا دَبَّرَ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ قَالَ مَالِك فَلَوْ كَانَ الْمُوصِي لَا يَقْدِرُ عَلَى تَغْيِيرِ وَصِيَّتِهِ وَلَا مَا ذُكِرَ فِيهَا مِنْ الْعَتَاقَةِ كَانَ كُلُّ مُوصٍ قَدْ حَبَسَ مَالَهُ الَّذِي أَوْصَى فِيهِ مِنْ الْعَتَاقَةِ وَغَيْرِهَا وَقَدْ يُوصِي الرَّجُلُ فِي صِحَّتِهِ وَعِنْدَ سَفَرِهِ قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ يُغَيِّرُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ غَيْرَ التَّدْبِيْرِ.

আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলমানের নিকট কিছু সম্পদ থাকলে যার সম্বন্ধে ওসীয়্যত করা তার কর্তব্য, তবে সেই ক্ষেত্রে ওসীয়্যতের বিষয় না লিখে তার জন্য দুই রাত্রিও অতিবাহিত করা উচিত নায় (কেননা মৃত্যু আসার আশংকা রয়েছে)। (বুখারী ২৭৩৮, মুসলিম ১৬২৭)
মালিক (র) বলেন ইহা আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিষয় যে, যদি কোন মুসলমান সুস্থ অথবা অসুস্থ অবস্থায় কোন ওসীয়্যত করে যায় যেমন গোলাম আযাদ করা কিংবা অন্যান্য বিষয়, তবে সে মারা যাওয়ার পূর্বে তার মধ্যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে এবং ওসীয়্যতকে স্থগিতও করতে পারবে। অন্য কোন ওসীয়্যতও করতে পারবে। কিন্তু কোন গোলামকে যদি মুদাব্বার করে থাকে তবে তাতে আর কোন পরিবর্তন করতে পারবে না, কেননা রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলমানের এমন কিছু থাকলে যা ওসীয়্যত করা কর্তব্য, তবে ওসীয়্যত করা ব্যতীত দুই রাত অতিবাহিত করা তার উচিত নয়।
মালিক (র) বলেন যদি ওসীয়্যতকারীর নিজ ওসীয়্যতে পরিবর্তন করার ক্ষমতা না থাকত তবে তার ইখতিয়ার হতে বের হয়ে আটক থাকত। যেমন গোলাম আযাদের কথা অথচ মানুষ কোন সময় ভ্রমণে যাওয়ার সময় ওসীয়্যত করে আবার সুস্থ থাকাকালীন ওসীয়্যত করে।
মালিক (র) বলেন আমাদের নিকট প্রত্যেক ওসীয়্যতই বদলানো যায় কিন্তু গোলামকে মুদাব্বার করা হলে তা পরিবর্তনের ইখতিয়ার নাই।
৩৭/ পরিচ্ছেদঃ দুর্বল, বালক, পাগল ও নির্বোধের ওসীয়্যত বৈধ

১৪৫২

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَمْرَو بْنَ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ قِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِنَّ هَاهُنَا غُلَامًا يَفَاعًا لَمْ يَحْتَلِمْ مِنْ غَسَّانَ وَوَارِثُهُ بِالشَّامِ وَهُوَ ذُو مَالٍ وَلَيْسَ لَهُ هَاهُنَا إِلَّا ابْنَةُ عَمٍّ لَهُ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَلْيُوصِ لَهَا قَالَ فَأَوْصَى لَهَا بِمَالٍ يُقَالُ لَهُ بِئْرُ جُشَمٍ قَالَ عَمْرُو بْنُ سُلَيْمٍ فَبِيعَ ذَلِكَ الْمَالُ بِثَلَاثِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَابْنَةُ عَمِّهِ الَّتِي أَوْصَى لَهَا هِيَ أُمُّ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ.

আবূ বাকর ইব্নু হাযম (র) থেকে বর্ণিতঃ

আমর ইব্নু সুলায়ম যুরাকী বলেছেন, উমার (রা)-কে বলা হল, এখানে গাস্সান গোত্রের একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে আছে, তার ওয়ারিস সিরিয়াতে এবং তার সম্পত্তিও আছে মদীনাতে, এখানে তার এক চাচাতো বোন ব্যতীত আর কোন ওয়ারিস নেই। উমার (রা) বললেন, তার জন্যই ওসীয়্যত করা চাই। অবশেষে ঐ ছেলে নিজ মালের ওসীয়্যত চাচাতো বোনের জন্য করেছিল। তার সম্পত্তির নাম ছিল বীরে জুশাম। আমর (রা) বলেন যে, ঐ সম্পত্তি ত্রিশ হাজার দিরহামে বিক্রয় হয়েছিল। আর তার চাচাতো বোনের নাম ছিল উম্মে আমর ইব্নু সুলাইম যুরাকী ছিল। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৪৫৩

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ غُلَامًا مِنْ غَسَّانَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ بِالْمَدِينَةِ وَوَارِثُهُ بِالشَّامِ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ فُلَانًا يَمُوتُ أَفَيُوصِي قَالَ فَلْيُوصِ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ الْغُلَامُ ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ أَوْ اثْنَتَيْ عَشَرَةَ سَنَةً قَالَ فَأَوْصَى بِبِئْرِ جُشَمٍ فَبَاعَهَا أَهْلُهَا بِثَلَاثِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ. قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَا لِكًا يَقُولُ الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الضَّعِيفَ فِي عَقْلِهِ وَالسَّفِيهَ وَالْمُصَابَ الَّذِي يُفِيقُ أَحْيَانًا تَجُوزُ وَصَايَاهُمْ إِذَا كَانَ مَعَهُمْ مِنْ عُقُولِهِمْ مَا يَعْرِفُونَ مَا يُوصُونَ بِهِ فَأَمَّا مَنْ لَيْسَ مَعَهُ مِنْ عَقْلِهِ مَا يَعْرِفُ بِذَلِكَ مَا يُوصِي بِهِ وَكَانَ مَغْلُوبًا عَلَى عَقْلِهِ فَلَا وَصِيَّةَ لَهُ.

আবূ বাকর ইব্নু হাযম (র) থেকে বর্ণিতঃ

মাদীনাতে গাসসান বংশের একটি ছেলের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হল, আর তার ওয়ারিস ছিল সিরিয়াতে । তার কথা উমার (রা)-এর কাছে বলা হল এবং জিজ্ঞেস করা হল যে, সে ওসীয়্যত করবে কি? তিনি বললেন হ্যাঁ, সে যেন ওসীয়্যত করে। আবূ বাকর বলেন, ঐ ছেলের বয়স দশ অথবা বার বৎসর ছিল। অতঃপর সে তার বীরে জুশাম নামক সম্পত্তি ওসীয়্যত করে গেল, যার বিক্রয়মূল্য বাবদ প্রাপ্ত হয়েছিল ত্রিশ হাজার দিরহাম। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন এটা আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিষয় যে, দুর্বল বুদ্ধির লোক, নির্বোধ, পাগল যার মাঝে মাঝে হুশ ফিরে আসে এমন লোকদের ওসীয়্যত শুদ্ধ হবে যখন তার এতদূর আকল থাকে যে, সে যা কিছু ওসীয়্যত করছে তা সে বুঝে। আর যদি এতদুর আকলও না থাকে যে, সে কি ওসীয়্যত করল তা বুঝতে পারে না। তবে তার ওসীয়্যত শুদ্ধ হবে না।
৩৭/ পরিচ্ছেদঃ এক-তৃতীয়াংশের অধিক ওসীয়াতের ফয়সালা

১৪৫৪

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ جَاءَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ مِنْ وَجَعٍ اشْتَدَّ بِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ بَلَغَ بِي مِنْ الْوَجَعِ مَا تَرَى وَأَنَا ذُو مَالٍ وَلَا يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ لِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا فَقُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ لَا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللهِ إِلَّا أُجِرْتَ حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فِي امْرَأَتِكَ قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَأُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلًا صَالِحًا إِلَّا ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً وَلَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ اللهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلَا تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنْ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ. قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَا لِكًا يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يُوصِي بِثُلُثِ مَالِهِ لِرَجُلٍ وَيَقُولُ غُلَامِي يَخْدُمُ فُلَانًا مَا عَاشَ ثُمَّ هُوَ حُرٌّ فَيُنْظَرُ فِي ذَلِكَ فَيُوجَدُ الْعَبْدُ ثُلُثَ مَالِ الْمَيِّتِ قَالَ فَإِنَّ خِدْمَةَ الْعَبْدِ تُقَوَّمُ ثُمَّ يَتَحَاصَّانِ يُحَاصُّ الَّذِي أُوصِيَ لَهُ بِالثُّلُثِ بِثُلُثِهِ وَيُحَاصُّ الَّذِي أُوصِيَ لَهُ بِخِدْمَةِ الْعَبْدِ بِمَا قُوِّمَ لَهُ مِنْ خِدْمَةِ الْعَبْدِ فَيَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ خِدْمَةِ الْعَبْدِ أَوْ مِنْ إِجَارَتِهِ إِنْ كَانَتْ لَهُ إِجَارَةٌ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ فَإِذَا مَاتَ الَّذِي جُعِلَتْ لَهُ خِدْمَةُ الْعَبْدِ مَا عَاشَ عَتَقَ الْعَبْدُ. قَالَ و سَمِعْت مَا لِكًا يَقُولُ فِي الَّذِي يُوصِي فِي ثُلُثِهِ فَيَقُولُ لِفُلَانٍ كَذَا وَكَذَا وَلِفُلَانٍ كَذَا وَكَذَا يُسَمِّي مَالًا مِنْ مَالِهِ فَيَقُولُ وَرَثَتُهُ قَدْ زَادَ عَلَى ثُلُثِهِ فَإِنَّ الْوَرَثَةَ يُخَيَّرُونَ بَيْنَ أَنْ يُعْطُوا أَهْلَ الْوَصَايَا وَصَايَاهُمْ وَيَأْخُذُوا جَمِيعَ مَالِ الْمَيِّتِ وَبَيْنَ أَنْ يَقْسِمُوا لِأَهْلِ الْوَصَايَا ثُلُثَ مَالِ الْمَيِّتِ فَيُسَلِّمُوا إِلَيْهِمْ ثُلُثَهُ فَتَكُونُ حُقُوقُهُمْ فِيهِ إِنْ أَرَادُوا بَالِغًا مَا بَلَغَ.

সা‘আদ ইব্নু আবি ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের বৎসর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার অসুখের সময় আমাকে দেখতে আসেন, আমার অসুখ খুব কঠিন ছিল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি দেখতেছেন যে, আমার অবস্থা কি এবং আমি খুব সম্পদশালী, আমার কোন ওয়ারিস নেই এক মেয়ে ব্যতীত। এখন আমি আমার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ সাদাকাহ্ করে দিতে পারব কি? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘না’। আমি বললাম, তা হলে অর্ধেক দান করে দেই? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, না। অতঃপর তিনি নিজেই বললেন এক-তৃতীয়াংশ দান কর। যদিও এটাও অনেক। মনে রেখ, তুমি তোমার ওয়ারিসদেরকে ধনী রেখে যাওয়া উত্তম তাদেরকে দরিদ্র এবং লোকের কাছে ভিক্ষা করুক এমন অবস্থায় রেখে যাওয়ার চাইতে। তুমি যা কিছু আল্লাহ্ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য খরচ করবে তার বিনিময় পাবে, চাই নিজ স্ত্রীর মুখে লোকমা উঠিয়ে দাও না কেন। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি কি আমার সঙ্গীদের পিছনে থেকে যাব? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তুমি তাদের পেছনে থেকে যাও এবং সাওয়াবের কাজ করতে থাক তবে তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এমনও হতে পারে যে, তুমি জীবিত থাকবে এবং তোমার দ্বারা আল্লাহ্ তা‘আলা বহু লোককে উপকৃত করবেন, আর এক দল তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। (বুখারী ১২৯৬, মুসলিম ১৬২৮)
হে আল্লাহ্! আমার সাহাবীগণের হিজরত পূর্ণ কর এবং তাদেরকে পশ্চাদপসরণ করো না। কিন্তু বেচারা সা‘আদ ইব্নু খাওলা যার জন্য রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তর ব্যথিত হয়েছিল, কেননা তিনি মক্কায় ইন্তিকাল করেছিলেন।
মালিক (র) বলেন যদি কেউ কারো জন্য এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তির ওসীয়্যত করে যায় এবং এটাও বলে যে, আমার অমুক গোলাম আজীবন অমুকের খেদমত করবে, অতঃপর সে আযাদ। তার পর যদি গোলামের মূল্য সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ হয় তবে গোলামের খেদমত গ্রহণ করা হবে এবং গোলামের ভাগ বন্টন করা হবে; যার জন্য সম্পদের ওসীয়্যত করা হয়েছে তার হিস্যা হবে এবং যার জন্য খেদমত করার ওসীয়্যত করা হয়েছে তারও হিস্যা খেদমতের মূল্য অনুযায়ী হবে এবং এই দুইজন লোকই ঐ গোলামের কামাই ও খেদমত হতে নিজ হিস্যা প্রাপ্ত হবে। যখন ঐ ব্যক্তি মারা যাবে যার খেদমতের কথা বলা হয়েছে, তখন গোলাম আযাদ হয়ে যাবে।
মালিক (র) বলেন যদি কেউ কয়েক ব্যক্তির নাম নিয়ে বলে যে, অমুককে এত ‘অমুককে এত দিনার ওসীয়্যত করলাম; অতঃপর তার ওয়ারিসগণ বলে যে, ওসীয়্যত এক-তৃতীয়াংশের চাইতে অধিক হয়েছে তবে ওয়ারিসগণের ইখতিয়ার থাকবে, হয় তারা যাদের জন্য ওসীয়্যত করা হয়েছে তাদের প্রত্যেককেই ঐ পরিমাণ বিনিময় দেবে এবং পূর্ণ সম্পদ নিজেরা নিয়ে নিবে অথবা তাদেরকে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ দিয়ে দেবে যেন তারা বন্টন করে নিতে পারে।
৩৭/ পরিচ্ছেদঃ গর্ভবতী, রোগী ও মুজাহিদ সম্পর্কে হুকুম কতটুকু ওসীয়্যত করতে পারবে

নির্ণীত নয়
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَا لِكًا يَقُولُ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي وَصِيَّةِ الْحَامِلِ وَفِي قَضَايَاهَا فِي مَالِهَا وَمَا يَجُوزُ لَهَا أَنَّ الْحَامِلَ كَالْمَرِيضِ فَإِذَا كَانَ الْمَرَضُ الْخَفِيفُ غَيْرُ الْمَخُوفِ عَلَى صَاحِبِهِ فَإِنَّ صَاحِبَهُ يَصْنَعُ فِي مَالِهِ مَا يَشَاءُ وَإِذَا كَانَ الْمَرَضُ الْمَخُوفُ عَلَيْهِ لَمْ يَجُزْ لِصَاحِبِهِ شَيْءٌ إِلَّا فِي ثُلُثِهِ. قَالَ وَكَذَلِكَ الْمَرْأَةُ الْحَامِلُ أَوَّلُ حَمْلِهَا بِشْرٌ وَسُرُورٌ وَلَيْسَ بِمَرَضٍ وَلَا خَوْفٍ لِأَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ { فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَقَ يَعْقُوبَ } وَقَالَ { حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَتْ دَعَوَا اللهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَنَكُونَنَّ مِنْ الشَّاكِرِيْنَ } فَالْمَرْأَةُ الْحَامِلُ إِذَا أَثْقَلَتْ لَمْ يَجُزْ لَهَا قَضَاءٌ إِلَّا فِي ثُلُثِهَا فَأَوَّلُ الْإِتْمَامِ سِتَّةُ أَشْهُرٍ قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِي كِتَابِهِ { وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ }. وَقَالَ { وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا } فَإِذَا مَضَتْ لِلْحَامِلِ سِتَّةُ أَشْهُرٍ مِنْ يَوْمَ حَمَلَتْ لَمْ يَجُزْ لَهَا قَضَاءٌ فِي مَالِهَا إِلَّا فِي الثُّلُثِ ২৮৩قَالَ و سَمِعْت مَا لِكًا يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَحْضُرُ الْقِتَالَ إِنَّهُ إِذَا زَحَفَ فِي الصَّفِّ لِلْقِتَالِ لَمْ يَجُزْ لَهُ أَنْ يَقْضِيَ فِي مَالِهِ شَيْئًا إِلَّا فِي الثُّلُثِ وَإِنَّهُ بِمَنْزِلَةِ الْحَامِلِ وَالْمَرِيضِ الْمَخُوفِ عَلَيْهِ مَا كَانَ بِتِلْكَ الْحَالِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

গর্ভবতীর হুকুম ও অসুস্থ মানুষের হুকুম একই। যখন সাধারণ অসুখ হয়, মৃত্যুর ভয় না থাকে তখন রোগী তার সম্পত্তির মধ্যে যা খুশী তাই করতে পারে। আর যদি অসুখ সাংঘাতিক ধরনের হয়, যার বাঁচবার আশা খুব কম, তবে সম্পত্তির মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি বিক্রয় করতে পারবে না। গর্ভবতীর হুকুমও অনুরূপ। গর্ভবতীর প্রথমাবস্থায় যখন সে খুব আনন্দে থাকে তখন তার সম্পত্তিতে যা ইচ্ছা সে তাই করতে পারে, কেননা আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন, “আমি তাকে (বিবি সারাকে) ইসহাকের সুসংবাদ দিলাম, আর ইসহাকের পরে ইয়া‘কুবের সুসংবাদ দিলাম। আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন যে, “যখন আদম হাওয়ার সাথে সহবাস করল তখন হাওয়ার সামান্য গর্ভের সঞ্চার হল এবং চলাফেরা করতে লাগল। অতঃপর যখন গর্ভ অধিক ভারী হয়ে গেল তখন দুইজনেই আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট দু‘আ করলেন যে, যদি আমাদেরকে নেক সন্তান দেন তবে আপনার কৃতজ্ঞ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।” সুতরাং যখন গর্ভবতীর গর্ভ বেশি ভারী হয়ে যায় তখন সে তার সম্পদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশির মধ্যে কিছুই করতে পারবে না। এই অবস্থা ছয়মাস পরে হয়। যেমন আল্লাহ্ তা‘আলা নিজ কিতাবে বলেছেন যে, মাতাগণ সন্তানদেরকে পূর্ণ দুই বৎসরে দুগ্ধ পান করাবে। যে ব্যক্তি দুগ্ধপানকে পূর্ণ করাতে চায়। পুনরায় বলেন যে, গর্ভ ধারণ ও দুধ ছাড়ানো ত্রিশ মাস। সুতরাং যখন গর্ভবতী ছয়মাস অতিবাহিত হয়ে যায় গর্ভ সঞ্চারের দিন হতে, তখন সে তার সম্পত্তিতে এক-তৃতীয়াংশের বেশিতে কিছুই করতে পারবে না।
মালিক (র) বলেন যে ব্যক্তি লড়াইয়ের ময়দানে (যোদ্ধাদের) কাতারের মধ্যে থাকে সেও তার মালের এক-তৃতীয়াংশের বেশি কিছু করতে পারবে না। তার হুকুমও গর্ভবতী এবং রোগীর হুকুমের মতো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন