hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

. জামা’আতে নামায আদায় করা

موطأ مالك

/ পরিচ্ছেদঃ একা একা নামায আদায়ের তুলনায় জামা’আতে নামায আদায়ের ফযীলত

২৮০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صَلَاةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلَاةَ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিতঃ

একা নামায আদায় অপেক্ষা জামা’আতে নামায আদায় করায় সাতাইশ গুণ ফযীলত বেশি। (বুখারী ৬৪৫, মুসলিম ৬৫০)

২৮১

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صَلَاةُ الْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاةِ أَحَدِكُمْ وَحْدَهُ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا.

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিতঃ

তোমাদের একজনের একা একা নামায আদায় হতে জামা’আতে নামায আদায় করা পঁচিশ গুণ উত্তম। (বুখারী ৬৪৮, মুসলিম ৬৪৯)

২৮৩

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ صَلَاتُكُمْ فِي بُيُوتِكُمْ إِلَّا صَلَاةَ الْمَكْتُوبَةِ.

যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নামাযের মধ্যে তোমাদের গৃহের নামাযই উত্তম, কেবল ফরয নামায ব্যতীত। (বুখারী ৭৩১, মুসলিম ৭৮১)

২৮২

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ.

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিতঃ

আমি মনস্থ করেছি কিছু কাঠ যোগাড় করার নির্দেশ প্রদান করি। তারপর নামাযের জন্য আযান বলার হুকুম করি। তারপর নামাযের জন্য আযান দেওয়া হোক। পরে কোন একজনকে (নামাযে) ইমামতি করার জন্য ঠিক করে দেই। তারপর যেসব লোক নামাযের জন্য বের হয়নি তাদের কাছে যাই ও তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেই। আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যদি তাদের এক ব্যক্তি জানতে পারত যে, ভাল মোটা হাড্ডি জুটিবে অথবা দুটি ভাল ক্ষুর পাবে তবে সে অবশ্য ইশার নামাযে হাজির হত। (বুখারী ৬৪৪, মুসলিম ৬৫১)
/ পরিচ্ছেদঃ ইশা ও ফজর-এর নামায

২৮৪

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسْلَمِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْمُنَافِقِينَ شُهُودُ الْعِشَاءِ وَالصُّبْحِ لَا يَسْتَطِيعُونَهُمَا أَوْ نَحْوَ هَذَا.

সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের আর মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্য হল ইশা ও ফজরের নামাযে উপস্থিত হওয়া। তারা ঐ দুই নামাযে উপস্থিত হতে পারে না অথবা অনুরূপ কোন বাক্য বলেছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২৮৫

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ إِذْ وَجَدَ غُصْنَ شَوْكٍ عَلَى الطَّرِيقِ فَأَخَّرَهُ فَشَكَرَ اللهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ وَقَالَ الشُّهَدَاءُ خَمْسَةٌ الْمَطْعُونُ وَالْمَبْطُونُ وَالْغَرِقُ وَصَاحِبُ الْهَدْمِ وَالشَّهِيدُ فِي سَبِيلِ اللهِ. وَقَالَ : لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النَّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا, وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَ سْتَبَقُوا إِلَيْهِ, وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا .

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি যখন কোন পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন রাস্তায় কাঁটাযুক্ত (বৃক্ষের) শাখা দেখতে পেয়ে সে তা তুলে ফেলল। আল্লাহ তা’আলা তার এই কাজটি গ্রহণ করলেন এবং তার গুনাহ মাফ করে দিলেন। [রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আরও বলেছেন, শহীদ পাঁচ প্রকার (১) প্লেগাক্রান্ত (বা মহামারীতে মৃত), (২) পেটের পীড়ায় মৃত, (৩) যে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে, (৪) ভূমিকম্পে কিছু চাপা পড়ে যার মৃত্যু হয়েছে এবং (৫) আল্লাহর পথে যে ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন। (বুখারী ৬৫২, মুসলিম ৪৩৭)

২৮৬

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَدَ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ غَدَا إِلَى السُّوقِ وَمَسْكَنُ سُلَيْمَانَ بَيْنَ السُّوقِ وَالْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ فَمَرَّ عَلَى الشِّفَاءِ أُمِّ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهَا لَمْ أَرَ سُلَيْمَانَ فِي الصُّبْحِ فَقَالَتْ إِنَّهُ بَاتَ يُصَلِّي فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ فَقَالَ عُمَرُ لَأَنْ أَشْهَدَ صَلَاةَ الصُّبْحِ فِي الْجَمَاعَةِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَقُومَ لَيْلَةً و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى صَلَاةِ الْعِشَاءِ فَرَأَى أَهْلَ الْمَسْجِدِ قَلِيلًا فَاضْطَجَعَ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ النَّاسَ أَنْ يَكْثُرُوا فَأَتَاهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ مَنْ هُوَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَنْ شَهِدَ الْعِشَاءَ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ لَيْلَةٍ وَمَنْ شَهِدَ الصُّبْحَ فَكَأَنَّمَا قَامَ لَيْلَةً.

আবূ বাকর ইবনু সুলায়মান ইবনু আবি হাস্মা (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) একদিন ইবনু উবন আবি হাসমাকে ফজরের নামাযে উপস্থিত পাননি। উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বাজারের দিকে গেলেন। আর সুলায়মানের বাসগৃহ বাজার ও মসজিদের মাঝপথে অবস্থিত। তিনি সুলায়মানের মা ‘শিফা’-এর কাছে গেলেন। তারপর তাঁকে বললেন, আমি ফজরের নামাযে সুলায়মানকে দেখলাম না যে? তিনি (উত্তরে) বললেন, সে রাত্রে জেগে থেকে নামায আদায় করেছিল, পরে ঘুমিয়ে পড়েছে। (এটা শুনে) উমার (রাঃ) বললেন, ফজরের নামাযের জামা’আতে হাজির হওয়া আমার কাছে সারারাত (নফল) নামায আদায় হতে পছন্দনীয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
আবদুর রহমান ইবনু আবি আমরাহ আনসারী (র) হতে বর্ণিত; উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) একবার ইশার নামাযে এলেন এবং মসজিদে অল্প মুসল্লি দেখতে পেলেন। তারপর তিনি অধিক লোক আসার অপেক্ষায় মসজিদের শেষভাগে শুলেন। অতঃপর তাঁর নিকট ইবনু আবি আমরা এলেন এবং তাঁর কাছে বসলেন। তিনি জানতে চাইলেন তুমি কে? তিনি পরিচয় দিলেন। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি পরিমাণ কুরআন কণ্ঠস্থ করেছ? তিনি তা জানালেন। তারপর উসমান (রাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাযে উপস্থিত হয়, সে যেন অর্ধরাত্র নামায আদায় করল, আর যে ফজরের নামায আদায় করল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নামায আদায় করল। (সহীহ, ইমাম মুসলিম মারফু সনদে বর্ণনা করেছেন ৬৫৬)
/ পরিচ্ছেদঃ ইমামের সাথে নামায পুনরায় আদায় করা

২৮৮

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ إِنِّي أُصَلِّي فِي بَيْتِي ثُمَّ أُدْرِكُ الصَّلَاةَ مَعَ الْإِمَامِ أَفَأُصَلِّي مَعَهُ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ نَعَمْ فَقَالَ الرَّجُلُ أَيَّتَهُمَا أَجْعَلُ صَلَاتِي فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ أَوَ ذَلِكَ إِلَيْكَ إِنَّمَا ذَلِكَ إِلَى اللهِ يَجْعَلُ أَيَّتَهُمَا شَاءَ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-কে প্রশ্ন করল আমি ঘরে নামায আদায় করি, যদি পরে ইমামের সাথে নামায পাই, তবে কি আমি পুনরায় তাঁর সাথে নামায আদায় করব? (জবাবে) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তাকে বললেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বলল, কোন নামাযকে আমি (ফরয) গণ্য করব? ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, এটা কি আমার বলার বিষয়? সে হল আল্লাহর ব্যাপার, তিনি যে নামাযকে (ফরয) গণ্য করতে পারেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২৮৯

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَقَالَ إِنِّي أُصَلِّي فِي بَيْتِي ثُمَّ آتِ الْمَسْجِدَ فَأَجِدُ الْإِمَامَ يُصَلِّي أَفَأُصَلِّي مَعَهُ فَقَالَ سَعِيدٌ نَعَمْ فَقَالَ الرَّجُلُ فَأَيُّهُمَا صَلَاتِي فَقَالَ سَعِيدٌ أَوَ أَنْتَ تَجْعَلُهُمَا إِنَّمَا ذَلِكَ إِلَى اللهِ.

ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক ব্যক্তি সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র)-এর নিকট প্রশ্ন করলেন আমি ঘরে নামায আদায় করি, পরে যদি মসজিদে এসে ইমামকে নামাযে পাই তবে আমি কি তাঁর সাথে নামায আদায় করব? সাঈদ (র) বললেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি তাঁর নিকট জিজ্ঞেস করলেন উভয় নামাযের কোনটিকে আমি (ফরয) নামায গণ্য করি? সাঈদ (র) তাঁকে বললেন, তা কি তুমি করবে? তা তো আল্লাহর কাজ। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২৯১

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ، مَنْ صَلَّى الْمَغْرِبَ أَوْ الصُّبْحَ ثُمَّ أَدْرَكَهُمَا مَعَ الْإِمَامِ فَلَا يَعُدْ لَهُمَا ৪৪قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى بَأْسًا أَنْ يُصَلِّيَ مَعَ الْإِمَامِ مَنْ كَانَ قَدْ صَلَّى فِي بَيْتِهِ إِلَّا صَلَاةَ الْمَغْرِبِ فَإِنَّهُ إِذَا أَعَادَهَا كَانَتْ شَفْعًا.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিব এবং ফজরের নামায আদায় করে, অতঃপর ঐ নামাযদ্বয় ইমামের সাথে পায়, তবে সে নামায (ইমামের সাথে) পুনরায় তাকে আদায় করতে হবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, যে ব্যক্তি নামায ঘরে আদায় করেছে, তার ইমামের সাথে (পুনরায়) নামায আদায় করাতে কোন ক্ষতি নেই্ তবে মাগরিবের নামায এর ব্যতিক্রম, কারণ মাগরিবের নামায পুনরায় আদায় করলে জোড় নামায হয়ে যাবে।

২৯০

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَفِيفٍ السَّهْمِيِّ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ فَقَالَ إِنِّي أُصَلِّي فِي بَيْتِي ثُمَّ آتِ الْمَسْجِدَ فَأَجِدُ الْإِمَامَ يُصَلِّي أَفَأُصَلِّي مَعَهُ فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ نَعَمْ فَصَلِّ مَعَهُ فَإِنَّ مَنْ صَنَعَ ذَلِكَ فَإِنَّ لَهُ سَهْمَ جَمْعٍ أَوْ مِثْلَ سَهْمِ جَمْعٍ.

আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আমার ঘরে নামায আদায় করি, তারপর মসজিদে আসি, তখন যদি ইমামকে নামাযে পাই তবে কি আমি তাঁর সাথে নামায আদায় করব? আবূ আইয়ূব (রাঃ) বললেন, তুমি তাঁর সাথে নামায আদায় কর, কেননা যে ব্যক্তি এইরূপ করবে সে জামা’আতের সওয়াব অথবা জামা’আতের তুল্য সওয়াব পাবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২৮৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي الدِّيلِ يُقَالُ لَهُ بُسْرُ بْنُ مِحْجَنٍ عَنْ أَبِيهِ مِحْجَنٍ أَنَّهُ كَانَ فِي مَجْلِسٍ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُذِّنَ بِالصَّلَاةِ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى ثُمَّ رَجَعَ وَمِحْجَنٌ فِي مَجْلِسِهِ لَمْ يُصَلِّ مَعَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ النَّاسِ أَلَسْتَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ فَقَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ وَلَكِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ فِي أَهْلِي فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جِئْتَ فَصَلِّ مَعَ النَّاسِ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ.

বুসর ইবনু মিহজান (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মজলিসে ছিলেন। তখন নামাযের আযান দেয়া হল। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিস হতে উঠলেন এবং নামায আদায় করলেন। (নামাযের পর) পুনরায় মজলিসে ফিরলেন। মিহজান (কিন্তু) তাঁর জায়গায় বসে রইলেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে প্রশ্ন করলেন লোকের সাথে নামায আদায় করতে কোন জিনিস তোমাকে বারণ করল? তুমি কি মুসলিম নও? তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রসূলাল্লাহ (আমি মুসলিম), তবে আমি আমার ঘরে নামায আদায় করে এসেছি। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, তুমি নামায (ঘরে) আদায় করে থাকলেও যখন (মসজিদে) আস তখন লোকের সাথে নতুন করে নামায আদায় করবে। (সহীহ, নাসাঈ ৮৫৭, হাদীসটিকে আল্লামা আলবানী সহীহ বলেছেন আস সিলসিলা আস সহীহা, ১৩৩৭)
/ পরিচ্ছেদঃ জামা’আতের নামাযে পালনীয় বিধি

২৯২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ بِالنَّاسِ فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِيهِمْ الضَّعِيفَ وَالسَّقِيمَ وَالْكَبِيرَ وَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِنَفْسِهِ فَلْيُطَوِّلْ مَا شَاءَ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেহ (ইমাম নিযুক্ত হয়ে) লোকদের নামায আদায় করালে, সে যেন নামায সংক্ষিপ্ত আদায় করে, কেননা তাদের মধ্যে আছে রুগ্ন, দুর্বল ও বৃদ্ধ ব্যক্তি। আর কোন ব্যক্তি একা নামায আদায় করলে সে যত ইচ্ছা লম্বা করতে পারবে। (বুখারী ৭০৩, মুসলিম ৪৬৭)

২৯৩

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّهُ قَالَ قُمْتُ وَرَاءَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فِي صَلَاةٍ مِنْ الصَّلَوَاتِ وَلَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ غَيْرِي فَخَالَفَ عَبْدُ اللهِ بِيَدِهِ فَجَعَلَنِي حِذَاءَهُ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আমি (পাঞ্জেগানা) নামাযসমূহের কোন এক নামাযে আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ)-এর পেছনে দাঁড়িয়েছিলাম। তাঁর সাথে আমি ভিন্ন আর কেহ ছিল না। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) পেছনে হাত বাড়িয়ে আমাকে ধরে ডান পার্শ্বে তাঁর বরাবরে দাঁড় করিয়ে দিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২৯৪

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَؤُمُّ النَّاسَ بِالْعَقِيقِ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَنَهَاهُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا نَهَاهُ لِأَنَّهُ كَانَ لَا يُعْرَفُ أَبُوهُ.

ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি আকিক নামক স্থানে লোকের ইমামতি করত। উমার ইবনু আবদুল আযীয (র) লোক পাঠিয়ে তাকে ইমামতি করতে নিষেধ করলেন।
মালিক (র) বললেন, তাকে তিনি নিষেধ করেন এই কারণে যে, তার পিতার পরিচয় ছিল না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন