hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

২৮. বিবাহ

موطأ مالك

২৮/ পরিচ্ছেদঃ বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায়

১০৮৫

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي قَوْلِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى { وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُمْ بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ أَوْ أَكْنَنْتُمْ فِي أَنْفُسِكُمْ عَلِمَ اللهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَكِنْ لَا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّا أَنْ تَقُولُوا قَوْلًا مَعْرُوفًا } أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلْمَرْأَةِ وَهِيَ فِي عِدَّتِهَا مِنْ وَفَاةِ زَوْجِهَا إِنَّكِ عَلَيَّ لَكَرِيمَةٌ وَإِنِّي فِيكِ لَرَاغِبٌ وَإِنَّ اللهَ لَسَائِقٌ إِلَيْكِ خَيْرًا وَرِزْقًا وَنَحْوَ هَذَا مِنْ الْقَوْلِ.

আবদুর রহমান ইবনু কাসেম (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলতেন, “আল্লাহ তা‘আলার এই বাণীর ব্যাখ্যা এই কোন পুরুষ কর্তৃক কোন মহিলাকে তার স্বামীর ওফাতের ইদ্দত পালনের সময়ে এইরূপ বলা “তুমি আমার নিকট সম্মানিত”, “আমি তোমাকে পছন্দ করি”, “আল্লাহ তা‘আলা নিশ্চয়ই তোমার জন্য মংগল ও জীবিকা প্রেরণ করবেন।” আরও এই জাতীয় উক্তি। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১০৮৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيْهِ.

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেউ যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। (সহীহ, বুখারী ৫১৪৪)

১০৮৪

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيْهِ ১৯১১-قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ أَنْ يَخْطُبَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ فَتَرْكَنَ إِلَيْهِ وَيَتَّفِقَانِ عَلَى صَدَاقٍ وَاحِدٍ مَعْلُومٍ وَقَدْ تَرَاضَيَا فَهِيَ تَشْتَرِطُ عَلَيْهِ لِنَفْسِهَا فَتِلْكَ الَّتِي نَهَى أَنْ يَخْطُبَهَا الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلَمْ يَعْنِ بِذَلِكَ إِذَا خَطَبَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ فَلَمْ يُوَافِقْهَا أَمْرُهُ وَلَمْ تَرْكَنْ إِلَيْهِ أَنْ لَا يَخْطُبَهَا أَحَدٌ فَهَذَا بَابُ فَسَادٍ يَدْخُلُ عَلَى النَّاسِ.

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেউ যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। (বুখারী ৫১৪৪, মুসলিম ১৪১৩)
মালিক (র) বলেন : আমাদের মতে (আল্লাহ সর্বজ্ঞ) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী “কেউ যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। এর ব্যাখ্যা এই যদি কোন পুরুষ কোন মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়।” মহিলাটি তার প্রস্তাবের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং উভয়ে একটি নির্দিষ্ট মোহরের উপর ঐকমত্যে পৌঁছে। উভয়ে এইভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার উপর রাজি হয়েছে এবং উক্ত মহিলা তাকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাবকারীর উপর শর্ত করেছেন। এমতাবস্থায় কোন পুরুষের পক্ষে তার ভাইয়ের এই প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেওয়া নিষেধ। এক ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দিল। কিন্তু উক্ত মহিলা তার এই প্রস্তাবের প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করেনি এবং তার দিকে আকৃষ্টও হয়নি। এরূপ মহিলার বিবাহের জন্য কেউ প্রস্তাব দিবে না। এই হাদীসের অর্থ ইহা নয়। কারণ এতে লোকের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টির দরজা উন্মুক্ত হবে।
২৮/ পরিচ্ছেদঃ কুমারী ও তালাকপ্রাপ্ত এবং বিধবা হতে বিবাহের সম্মতি নেয়ার বিধান

১০৮৭

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَا تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ إِلَّا بِإِذْنِ وَلِيِّهَا أَوْ ذِي الرَّأْيِ مِنْ أَهْلِهَا أَوْ السُّلْطَانِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

অভিভাবক বা উক্ত পরিবারের বুদ্ধিমান ব্যক্তি অথবা রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলাকে যেন বিবাহ দেওয়া না হয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১০৮৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا.

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আইয়্যেম [১] তার ব্যাপারে অভিভাবকের তুলনায় অধিক হকদার এবং কুমারীর বিবাহের ব্যাপারে তার অনুমতি নিতে হবে। চুপ থাকাই হচ্ছে তার অনুমতি। (সহীহ, মুসলিম ১৪২১)
[১] আভিধানিক অর্থে আইয়্যেম বলা হয় স্বামীবিহীন মহিলা এবং স্ত্রীবিহীন পুরুষকে। হাদীসে উল্লিখিত আইয়্যেমের ব্যাখ্যায় হিজাজের ফকীহ্ ও আলিমগণ বলেছেন- এর অর্থ তালাকপ্রাপ্তা অথবা বিধবা মহিলা।

১০৮৮

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ كَانَا يُنْكِحَانِ بَنَاتِهِمَا الْأَبْكَارَ وَلَا يَسْتَأْمِرَانِهِنَّ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي نِكَاحِ الْأَبْكَارِ ১৯১৭-قَالَ مَالِك وَلَيْسَ لِلْبِكْرِ جَوَازٌ فِي مَالِهَا حَتَّى تَدْخُلَ بَيْتَهَا وَيُعْرَفَ مِنْ حَالِهَا.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ (র) ও সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র) তাঁরা উভয়ে নিজেদের কুমারী কন্যাদেরকে তাদের অনুমতি না নিয়ে বিবাহ দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন : কুমারীদের বিবাহের ব্যাপারে আমাদের নিকটও ইহা পছন্দনীয়।
মালিক (র) বলেন : স্বামীর গৃহে না আসা (স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন না করা) এবং তার যোগ্যতার যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কুমারী মেয়ে তার সম্পদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী হয় না।

১০৮৯

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ كَانُوا يَقُولُونَ فِي الْبِكْرِ يُزَوِّجُهَا أَبُوهَا بِغَيْرِ إِذْنِهَا إِنَّ ذَلِكَ لَازِمٌ لَهَا.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ (র) সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র)-ও সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (র) তাঁরা সকলেই কুমারীর ব্যাপারে বলতেন, তার পিতা তার অনুমতি না চেয়ে তাকে বিবাহ দিলে সে বিবাহ প্রযোজ্য হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
২৮/ পরিচ্ছেদঃ মহর ও উপঢৌকন

১০৯০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ فَقَامَتْ قِيَامًا طَوِيلًا فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ زَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ تُصْدِقُهَا إِيَّاهُ فَقَالَ مَا عِنْدِي إِلَّا إِزَارِي هَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ أَعْطَيْتَهَا إِيَّاهُ جَلَسْتَ لَا إِزَارَ لَكَ فَالْتَمِسْ شَيْئًا فَقَالَ مَا أَجِدُ شَيْئًا قَالَ الْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ فَالْتَمَسَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ شَيْءٌ فَقَالَ نَعَمْ مَعِي سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا لِسُوَرٍ سَمَّاهَا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَنْكَحْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ.

সাহ্ল ইবনু সা’দ সায়িদী (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একজন মহিলা এসে বললঃ ইয়া রসূলুল্লাহ ! আমি আমার সত্তাকে আপনার জন্য হিবা (দান) করলাম। ইহা বলার পর সে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করল। অতঃপর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল : ইয়া রসূলুল্লাহ ! আপনার প্রয়োজন না থাকলে এই মহিলাকে আমার নিকট বিবাহ দিন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এই মহিলাকে মোহরানা বাবদ দিবার মত তোমার কাছে কিছু আছে কি ? লোকটি বলল : আমার নিকট আমার এই তাহ্বন্দ্ (পরিচ্ছেদ-লুঙ্গী অথবা পায়জামা) ব্যতীত আর কিছু নেই। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার এই তাহ্বন্দ্ উহাকে প্রদান করলে তোমার নিকট কোন পরিচ্ছেদ থাকবে না। তাই তুমি অন্য কিছু তালাশ কর। সে ব্যক্তি বলল : আমি কিছু পাব না। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তুমি একটি লোহার আংটিও পাও কিনা দেখ। সে তালাশ করল। কিন্তু কিছুই পেল না। অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন : কুরআনের কিছু অংশ তোমার জানা আছে কি? সে সূরার নাম উল্লেখ করে বলল : অমুক অমুক সূরা আমার কণ্ঠস্থ আছে। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : কুরআন শরীফের যে কয়টি সূরা তোমার কণ্ঠস্থ আছে সেইগুলির বিনিময়ে এই মহিলাকে আমি তোমার নিকট বিবাহ দিলাম। অর্থাৎ এ সূরাগুলো তুমি তাকে শিখিয়ে দিবে। (বুখারী ৫১৩৪, মুসলিম ১৪২৫)

১০৯২

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَةَ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ وَأُمُّهَا بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ كَانَتْ تَحْتَ ابْنٍ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فَمَاتَ وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا وَلَمْ يُسَمِّ لَهَا صَدَاقًا فَابْتَغَتْ أُمُّهَا صَدَاقَهَا فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ لَيْسَ لَهَا صَدَاقٌ وَلَوْ كَانَ لَهَا صَدَاقٌ لَمْ نُمْسِكْهُ وَلَمْ نَظْلِمْهَا فَأَبَتْ أُمُّهَا أَنْ تَقْبَلَ ذَلِكَ فَجَعَلُوا بَيْنَهُمْ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَقَضَى أَنْ لَا صَدَاقَ لَهَا وَلَهَا الْمِيرَاثُ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

উবায়দুল্লাহ ইবনু উমার (রা)-এর কন্যা আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা)-এর পুত্রের স্ত্রী ছিলেন এবং তার মাতা ছিলেন যাইদ ইবনু খাত্তাব (রা)-এর কন্যা। তাঁর সাথে তলব সহবাসের পূর্বে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হল। অথচ তাঁর মহর ধার্যকৃত ছিল না। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর মাতা মোহরানা করলেন। আবদুল্লাহ ইব্নু উমার (রা) বললেন : তিনি মহর পাবেন না। যদি তাঁর পাওনা থাকত, তবে আমরা অবশ্যই দিতাম এবং তার হক আদায় করতে কোন প্রকার ক্রটি করতাম না। কন্যার মাতা এই কথা মানলেন না। যাইদ ইব্নু সাবিত (রা) তাদের উভয়ের মীমাংসাকারী নিযুক্ত হলেন। তিনি রায় দিলেন যে, কন্যা মোহরানা পাবেন না। তিনি স্বামীর সম্পদে উত্তরাধিকারিণী হবেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১০৯১

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَيُّمَا رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَبِهَا جُنُونٌ أَوْ جُذَامٌ أَوْ بَرَصٌ فَمَسَّهَا فَلَهَا صَدَاقُهَا كَامِلًا وَذَلِكَ لِزَوْجِهَا غُرْمٌ عَلَى وَلِيِّهَا ১৯২২-قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا يَكُونُ ذَلِكَ غُرْمًا عَلَى وَلِيِّهَا لِزَوْجِهَا إِذَا كَانَ وَلِيُّهَا الَّذِي أَنْكَحَهَا هُوَ أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ مَنْ يُرَى أَنَّهُ يَعْلَمُ ذَلِكَ مِنْهَا فَأَمَّا إِذَا كَانَ وَلِيُّهَا الَّذِي أَنْكَحَهَا ابْنَ عَمٍّ أَوْ مَوْلًى أَوْ مِنْ الْعَشِيرَةِ مِمَّنْ يُرَى أَنَّهُ لَا يَعْلَمُ ذَلِكَ مِنْهَا فَلَيْسَ عَلَيْهِ غُرْمٌ وَتَرُدُّ تِلْكَ الْمَرْأَةُ مَا أَخَذَتْهُ مِنْ صَدَاقِهَا وَيَتْرُكُ لَهَا قَدْرَ مَا تُسْتَحَلُّ بِهِ.

সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রা) বলেছেন : যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করল যে মহিলার পাগলামী, কুষ্ঠ ও শ্বেত রোগ রয়েছে, উক্ত ব্যক্তি সে মহিলার সাথে সহবাস করলে সে মহিলা পূর্ণ মোহরানার হকদার হবে এবং উক্ত মহিলার অভিভাবকের উপর সেই মোহরানার অর্থ দণ্ড বর্তাবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন : যদি উক্ত মহিলার অভিভাবক, যে তাকে বিবাহ দিয়েছে তার পিতা বা ভাই অথবা এমন কোন আত্মীয় হয়, যে মহিলার রোগের খবর জানে, তবে তার স্বামীকে মোহরানার অর্থ ফেরৎ দিতে হবে। পক্ষান্তরে যদি উক্ত মহিলার অভিভাবক তার চাচাত ভাই অথবা তার আযাদকৃত গোলাম অথবা তার গোত্রের অন্য কোন লোক হয়, যার সম্পর্কে ধারণা করা যায় যে, সে তার রোগের খবর জানে না। তবে তার উপর অর্থদন্ড বর্তাবে না। উক্ত মহিলা মোহরানার নিম্নতম পরিমাণ অর্থ রেখে মোহরানার অবশিষ্ট অংশ স্বামীকে ফেরৎ দিবে।

১০৯৩

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ فِي خِلَافَتِهِ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ أَنَّ كُلَّ مَا اشْتَرَطَ الْمُنْكِحُ مَنْ كَانَ أَبًا أَوْ غَيْرَهُ مِنْ حِبَاءٍ أَوْ كَرَامَةٍ فَهُوَ لِلْمَرْأَةِ إِنْ ابْتَغَتْهُ ১৯২৫-قَالَ مَالِك فِي الْمَرْأَةِ يُنْكِحُهَا أَبُوهَا وَيَشْتَرِطُ فِي صَدَاقِهَا الْحِبَاءَ يُحْبَى بِهِ إِنَّ مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ يَقَعُ بِهِ النِّكَاحُ فَهُوَ لِابْنَتِهِ إِنْ ابْتَغَتْهُ وَإِنْ فَارَقَهَا زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا فَلِزَوْجِهَا شَطْرُ الْحِبَاءِ الَّذِي وَقَعَ بِهِ النِّكَاح.

মালিক (র)- থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইব্নু আবদুল আযীয (র) তাঁর খিলাফতকালে জনৈক কর্মকর্তার নিকট এই মর্মে পত্র লিখলেন যে, বিবাহ প্রদানকারী তিনি পিতা হোক বা অন্য কেউ স্বামীর নিকট হতে কোন প্রকার উপঢৌকন বা সম্মানীর শর্ত করে থাকলে স্ত্রী দাবী করলে সে তা পাবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) সেই মহিলা সম্পর্কে বলেন, যে মহিলাকে তার পিতা বিবাহ দিয়েছে এবং কন্যার মোহরানাতে কন্যার পিতা নিজের জন্য কিছু উপঢৌকনের শর্ত করেছে। তবে যেসব শর্তে বিবাহ সংঘটিত হয়েছে, সেই সব প্রাপ্য হবে কন্যার, যদি সে দাবি করে। আর যদি তার স্বামী সহবাসের পূর্বে তাকে তালাক দেয় তবে শর্তকৃত উপঢৌকন স্বামীকে পরিশোধ করতে হবে না।
মালিক (র) বলেন : যে ব্যক্তি তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রকে বিবাহ দেয়, যে পুত্র কোন সম্পদের মালিক নয়। বিবাহ অনুষ্ঠানে যদি সে পুত্র সম্পদের মালিক না থাকে তবে মহর ওয়াজিব হবে তার পিতার উপর। আর যদি পুত্র সম্পদের মালিক থাকে তবে পিতা স্বয়ং মহর-এর দায়িত্ব গ্রহণ না করে থাকে তবে পুত্রের সম্পদ হতে মহর আদায় করতে হবে। কেননা পুত্র পিতার কর্তৃত্বাধীন থাকলে এবং পুত্র অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে এই বিবাহ পুত্রের জন্য অপরিহার্য হবে।
মালিক (র) বলেন : কোন ব্যক্তি সহবাসের পূর্বে তার কুমারী স্ত্রীকে তালাক দিল। কন্যার পিতা তার কন্যার অর্ধেক মহর মাফ করে দিল। কন্যার পিতা যে পরিমাণ মহর মাফ করে দিল সে পরিমাণ মহর না দেওয়া স্বামীর জন্য বৈধ হবে।
মালিক (র) বলেন, উপরিউক্ত মাস‘আলার দলীল এই যে, আল্লাহ তা’আলা কুরআনুল করীমে ইরশাদ করেছে, إِلَّا أَنْ يَعْفُوْنَ “যদি না স্ত্রী মাফ করে দেয়।” এতে ঐ সকল স্ত্রীলোকের কথা বলা হয়েছে যাদের সাথে তাদের স্বামীগণ সহবাস করেছে।
أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ.
“অথবা যার হাতে বিবাহ বন্ধন রয়েছে সে মাফ করে দেয়।” [১]
আয়াতে উল্লেখিত, “যার হাতে বিবাহ বন্ধন রয়েছে” দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, কুমারী কন্যার পিতা এবং ক্রীতদাসীর মালিক যাদের হাতে বিবাহ বন্ধনের অধিকার রয়েছে।”
মালিক (র) বলেন : এই বিষয়ে আমি এইরূপই শুনেছি এবং আমাদের মদীনাবাসীর আমলও অনুরূপ।
মালিক (র) বলেন, ইহুদী অথবা খ্রিস্টান মহিলা ইহুদী অথবা খ্রিস্টান স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকলে এবং ইহুদী অথবা খ্রিস্টান মহিলা স্বামীর সহিত সহবাসের পূর্বে মুসলমান হলে তবে মহর তাদের প্রাপ্য হবে না।
মালিক (র) বলেন : দীনার-এর এক-চতুর্থাংশের কম পরিমাণ মহর-এর বিনিময়ে মহিলাকে বিবাহ দেওয়া আমি বৈধ মনে করি না। এই পরিমাণই হচ্ছে সর্বনিম্ন পরিমাণ যাতে চোরের হাত কাটা হয়।
[১] পূর্ণ আয়াতটি এই, তোমরা যদি তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দাও অথচ মহর ধার্য করে থাক তবে যা তোমরা ধার্য করেছ তার অর্ধেক যদি না স্ত্রী অথবা যার হাতে বিবাহ বন্ধন রয়েছে সে মাফ করে দেয়; এবং মাফ দেওয়াই তাকওয়ার নিকটতর। তোমরা নিজেদের মধ্যে সদাশয়তার কথা বিস্মৃত হইও না। তোমরা যা কর আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
২৮/ পরিচ্ছেদঃ পর্দা টাঙানো

১০৯৪

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَضَى فِي الْمَرْأَةِ إِذَا تَزَوَّجَهَا الرَّجُلُ أَنَّهُ إِذَا أُرْخِيَتْ السُّتُورُ فَقَدْ وَجَبَ الصَّدَاقُ.

সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রা) ফায়সালা দিয়েছেন যে, কোন মহিলাকে কোন পুরুষ বিবাহ করলে এবং বিবাহের পর (স্বামী স্ত্রী গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর) পর্দা টাঙ্গান হলে তবে স্বামীর উপর মহর ওয়াজিব হবে। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] ‘পর্দা টাঙান হলে’-এর অর্থ স্বামী-স্ত্রী একান্তে মিলিত হওয়া এবং সহবাসের মতো নির্জন পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া।

১০৯৫

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ كَانَ يَقُولُ إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بِامْرَأَتِهِ فَأُرْخِيَتْ عَلَيْهِمَا السُّتُورُ فَقَدْ وَجَبَ الصَّدَاقُ ১৪-و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَانَ يَقُولُ إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بِالْمَرْأَةِ فِي بَيْتِهَا صُدِّقَ الرَّجُلُ عَلَيْهَا وَإِذَا دَخَلَتْ عَلَيْهِ فِي بَيْتِهِ صُدِّقَتْ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك أَرَى ذَلِكَ فِي الْمَسِيسِ إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا فِي بَيْتِهَا فَقَالَتْ قَدْ مَسَّنِي وَقَالَ لَمْ أَمَسَّهَا صُدِّقَ عَلَيْهَا فَإِنْ دَخَلَتْ عَلَيْهِ فِي بَيْتِهِ فَقَالَ لَمْ أَمَسَّهَا وَقَالَتْ قَدْ مَسَّنِي صُدِّقَتْ عَلَيْهِ.

ইবনু শিহাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর নিকট প্রবেশ করার পর পর্দা টাঙ্গানো হলে তার মহরানা ওয়াজিব হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন : তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) বলতেন : কোন ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সহিত স্ত্রীর গৃহে মিলিত হলে সঙ্গম সম্পর্কে স্বামীর কথাই সত্য বলে গণ্য হবে। আর যদি স্ত্রী স্বামীর গৃহে আগমন করে এবং মিলিত হয় সেই ক্ষেত্রে স্ত্রীর কথাই গ্রাহ্য করা হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন : আমি মনে করি, উহা হচ্ছে স্পর্শ করার ব্যাপার স্বামী স্ত্রীর গৃহে তার সাথে মিলিত হলে তবে স্ত্রী যদি বলে, “সে আমাকে স্পর্শ (সহবাস) করেছে” আর স্বামী বলে, “আমি তাকে স্পর্শ করিনি।” এমতাবস্থায় স্বামীর দাবী বিশ্বাসযোগ্য হবে। পক্ষান্তরে যদি স্ত্রী স্বামীর গৃহে মিলিত হয়, অতঃপর (সহবাসের ব্যাপারে) স্বামী দাবি করে, “আমি তাকে স্পর্শ করিনি।” স্ত্রী দাবি করে, “আমাকে সে স্পর্শ করেছে।” এই ক্ষেত্রে স্ত্রীর দাবি বিশ্বাসযোগ্য হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন