hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

২১. জিহাদ সম্পর্কিত

موطأ مالك

২১/ পরিচ্ছেদঃ জিহাদের জন্য উৎসাহ প্রদান

وَاَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ. অর্থ: তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি, মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেবার জন্য যাহ তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছিল, যাতে তারা চিন্তা করে। (আল কুরআন ১৬ : ৪৪)

৯৫৫

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَادَةُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي الْيُسْرِ وَالْعُسْرِ وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ وَأَنْ لَا نُنَازِعَ الْأَمْرَ أَهْلَهُ وَأَنْ نَقُولَ أَوْ نَقُومَ بِالْحَقِّ حَيْثُمَا كُنَّا لَا نَخَافُ فِي اللهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ.

উবাদা ইবনু সামিত (রা) থেকে বর্ণিতঃ

সচ্ছল ও অসচ্ছল সকল অবস্থায় এবং সুখে ও দুঃখে কথা শোনার, আনুগত্য প্রদর্শন করার, উপযুক্ত মুসলিম প্রশাসকদের সাথে বিবাদ না করার, সকল স্থানে সত্য বলার এবং আল্লাহর কাজে নিন্দুকের নিন্দা গ্রাহ্য না করার উপরে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাতে আমরা বায়’আত করিয়াছি। (বুখারী ৭১৯৯, মুসলিম ১৭০৯)

৯৫১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَثَلُ الْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللهِ كَمَثَلِ الصَّائِمِ الْقَائِمِ الدَّائِمِ الَّذِي لَا يَفْتُرُ مِنْ صَلَاةٍ وَلَا صِيَامٍ حَتَّى يَرْجِعَ.

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহর পথে জিহাদরত ব্যক্তি যতদিন বাড়ি ফিরে না আসে ততদিন তার উদাহরণ হল এমন এক ব্যক্তি, যে ক্লান্তিহীনভাবে অনবতর রোযা রাখে এবং নামায পড়ে। (বুখারী ২৭৮৭, মুসলিম ১৮৭৫)

৯৫২

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَكَفَّلَ اللهُ لِمَنْ جَاهَدَ فِي سَبِيْلِهِ لَا يُخْرِجُهُ مِنْ بَيْتِهِ إِلَّا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِهِ وَتَصْدِيقُ كَلِمَاتِهِ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ إِلَى مَسْكَنِهِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ مَعَ مَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ أَوْ غَنِيْمَةٍ.

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করে আর শুধুমাত্র জিহাদ এবং আল্লাহর কথার উপর অপরিসীম আস্থাই তাকে বাড়ি হতে বের করে নিয়ে আসে, আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তির জিম্মাদার হয়ে যান। হয় তাকে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করাবেন অথবা সওয়াব ও গনীমতের সম্পদসহ তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনবেন। (বুখারী ২৭৮৭, মুসলিম ১৮৭৬)

৯৫৪

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ مَنْزِلًا رَجُلٌ آخِذٌ بِعِنَانِ فَرَسِهِ يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللهِ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ مَنْزِلًا بَعْدَهُ رَجُلٌ مُعْتَزِلٌ فِي غُنَيْمَتِهِ يُقِيمُ الصَّلَاةَ وَيُؤْتِي الزَّكَاةَ وَيَعْبُدُ اللهَ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا.

আতা ইবনু ইয়াসার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন : সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ব্যক্তির কথা তোমাদেরকে বলব কি? যে ব্যক্তি স্বীয় ঘোড়ার লাগাম হাতে নিয়ে আল্লাহর রাহে জিহাদে লিপ্ত থাকে, সেই ব্যক্তি হল সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। অতঃপর সর্বোচ্চ মর্যাদা হল ঐ ব্যক্তির যে ব্যক্তি বকরীর এক পাল নিয়ে এক কোণে পড়ে থাকে, নামায পড়ে, যাকাত দেয়, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইবাদতে লিপ্ত হয়ে থাকে আর কাউকেও তাঁর শরীক করেনি। (সহীহ, তিরমীযী ১৬৫২, নাসাঈ ২৫৬৯, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব ১২৯৮, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)

৯৫৬

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ كَتَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَذْكُرُ لَهُ جُمُوعًا مِنْ الرُّومِ وَمَا يَتَخَوَّفُ مِنْهُمْ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ مَهْمَا يَنْزِلْ بِعَبْدٍ مُؤْمِنٍ مِنْ مُنْزَلِ شِدَّةٍ يَجْعَلْ اللهُ بَعْدَهُ فَرَجًا وَإِنَّهُ لَنْ يَغْلِبَ عُسْرٌ يُسْرَيْنِ وَأَنَّ اللهَ تَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ }.

যাইদ ইবনু আসলাম (রা) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ উবায়দা ইবনুল জার্‌রাহ (রা) রোমক বাহিনীর শক্তিমত্তা ও নিজেদের আশংকাজনক অবস্থার কথা উল্লেখ করে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-এর কাছে চিঠি লিখলে উমার (রা) উত্তরে লিখেছিলেন, হামদ ও সালাতের পর। জেনে রাখুন, মু’মিনের উপর যখনই কোন বিপদ আসুক না কেন আল্লাহ তা দূরীভূত করে দেন। মনে রাখবেন, একবারের কষ্ট কখনো দুইবারের সুখ ও আরামের উপর প্রাধান্য লাভ করতে পারে না। আল্লাহ তা’আলা কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ.
ওহে মু’মিনগণ, তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং প্রতিরক্ষায় দৃঢ় হয়ে থাক, আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

৯৫৩

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْخَيْلُ لِرَجُلٍ أَجْرٌ وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ فَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ فَأَطَالَ لَهَا فِي مَرْجٍ أَوْ رَوْضَةٍ فَمَا أَصَابَتْ فِي طِيَلِهَا ذَلِكَ مِنْ الْمَرْجِ أَوْ الرَّوْضَةِ كَانَ لَهُ حَسَنَاتٌ وَلَوْ أَنَّهَا قُطِعَتْ طِيَلَهَا ذَلِكَ فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ كَانَتْ آثَارُهَا وَأَرْوَاثُهَا حَسَنَاتٍ لَهُ وَلَوْ أَنَّهَا مَرَّتْ بِنَهَرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلَمْ يُرِدْ أَنْ يَسْقِيَ بِهِ كَانَ ذَلِكَ لَهُ حَسَنَاتٍ فَهِيَ لَهُ أَجْرٌ وَرَجُلٌ رَبَطَهَا تَغَنِّيًا وَتَعَفُّفًا وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِي رِقَابِهَا وَلَا فِي ظُهُورِهَا فَهِيَ لِذَلِكَ سِتْرٌ وَرَجُلٌ رَبَطَهَا فَخْرًا وَرِيَاءً وَنِوَاءً لِأَهْلِ الْإِسْلَامِ فَهِيَ عَلَى ذَلِكَ وِزْرٌ وَسُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْحُمُرِ فَقَالَ لَمْ يُنْزَلْ عَلَيَّ فِيهَا شَيْءٌ إِلَّا هَذِهِ الْآيَةُ الْجَامِعَةُ الْفَاذَّةُ { فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ.

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন : ঘোড়া তিন ধরনের। একজনের জন্য এটা সওয়াবের, আর একজনের জন্য এটা ঢালস্বরূপ এবং একজনের জন্য এটা গুনাহর কারণ হয়ে থাকে। এটা সওয়াবের কারণ হয় ঐ ব্যক্তির জন্য, যে ব্যক্তি এটাকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের নিয়তে লালন-পালন করে। কোন চারণক্ষেত্রে বা বাগানে এটাকে দীর্ঘ রজ্জুর সাহায্যে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। যতদূর পর্যন্ত এই ঘোড়াটি ঘাস খাবে তার আমলনামায় সওয়াব লেখা হবে। কোন নদীর কাছে গিয়ে যদি এটা পানি পান করে, তবে মালিক ইচ্ছা করে পানি পান না করানো সত্ত্বেও এর সওয়াব লেখা হবে। আর এটা ঢালস্বরূপ হল ঐ ব্যক্তির জন্য, যে ব্যক্তি এটাকে উপার্জনের এবং পরমুখাপেক্ষী না হওয়ার উদ্দেশ্যে লালন-পালন করে এবং এর যাকাত আদায় করে। আর পাপের কারণ হল ঐ ব্যক্তির জন্য, যে অহংকার ও রিয়াকারী এবং মুসলমানদের সহিত শত্রুতা করার উদ্দেশ্যে এটাকে লালন-পালন করে। গাধা সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন : এই সম্পর্কে আমার উপর নিম্নের এই স্বয়ংসম্পূর্ণ আয়াতটি ব্যতীত অন্য কোন হুকুম অবতীর্ণ হয়নি। আয়াতটি হল এই
فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ .
অর্থ : সামান্য পরিমাণ নেক আমল করলে তাতেও সে দেখতে পাবে আর সামান্য পরিমাণ মন্দ আমল করলে তাও সে দেখতে পাবে। (আল-কুরআন ৯৯ : ৭-৮) (বুখারী ২৩৭১, মুসলিম ৯৮৭)
২১/ পরিচ্ছেদঃ শত্রুর দেশে কুরআনুল কারীম নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ

৯৫৭

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ. قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا ذَلِكَ مَخَافَةَ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ.

নাফি (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) বলেছেন, শত্রুর দেশে কুরআন নিয়ে যেতে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিষেধ করেছেন। (বুখারী ২৯৯০, মুসলিম ১৮৬৯)
মালিক (রা) বলেন : এই নিষেধাজ্ঞার কারণ হল, শত্রুরা যেন কুরআন শরীফের অবমাননা করার সুযোগ না পায়।
২১/ পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধে নারী ও শিশু হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা

৯৬১

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَى عَامِلٍ مِنْ عُمَّالِهِ أَنَّهُ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً يَقُولُ لَهُمْ اغْزُوا بِاسْمِ اللهِ فِي سَبِيلِ اللهِ تُقَاتِلُونَ مَنْ كَفَرَ بِاللهِ لَا تَغُلُّوا وَلَا تَغْدِرُوا وَلَا تُمَثِّلُوا وَلَا تَقْتُلُوا وَلِيدًا وَقُلْ ذَلِكَ لِجُيُوشِكَ وَسَرَايَاكَ إِنْ شَاءَ اللهُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ.

মালিক (রা) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু আবদুল আযীয (রা) তাঁর জনৈক শাসনকর্তাকে লিখেছিলেন : আমি জানতে পেরেছি রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন কোন দিকে সৈন্যদল প্রেরণ করতেন তখন তাদেরকে উপদেশ দিয়ে বলতেন : তোমরা আল্লাহর নামে আল্লাহরই পথে জিহাদ করে যাও। যারা আল্লাহকে অস্বীকার করেছে, কুফরী করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই তোমরা এই জিহাদ করতেছ। খেয়ানত করো না, ওয়াদা ভঙ্গ করো না, কারো নাক-কান কেটে বিকৃত করো না, শিশু ও নারীদেরকে হত্যা করো না। অন্য সেনাদল ও বাহিনীকেও এই কথাগুলো শুনিয়ে দিও। আল্লাহ তোমাদের উপর শাস্তি বর্ষণ করুন, তোমাদেরকে নিরাপদে রাখুন। (সহীহ, ইমাম মুসলিম মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেছেন, ১৮৩১)

৯৫৯

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ امْرَأَةً مَقْتُولَةً فَأَنْكَرَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ.

ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন এক যুদ্ধে একজন স্ত্রীলোককে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেন এবং যুদ্ধে নারী ও শিশুহত্যা নিষিদ্ধ করেন। (বুখারী ৩০১৫, মুসলিম ১৭৪৪)

৯৫৮

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنٍ لِكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّهُ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِينَ قَتَلُوا ابْنَ أَبِي الْحُقَيْقِ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ قَالَ فَكَانَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يَقُولُ بَرَّحَتْ بِنَا امْرَأَةُ ابْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ بِالصِّيَاحِ فَأَرْفَعُ السَّيْفَ عَلَيْهَا ثُمَّ أَذْكُرُ نَهْيَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَكُفُّ وَلَوْلَا ذَلِكَ اسْتَرَحْنَا مِنْهَا .

আবদুর রহমান ইবনু কা’ব (রা) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আবুল হুকাইককে যারা হত্যা করতে গিয়েছিলেন, রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে নারী ও শিশু হত্যা করতে নিষেধ করে দিয়েছিলেন। ইবনু কা’ব বলেন: ঐ কার্যে নিয়োজিতদের একজন বলেছেন : ইবনু আবুল হুকাইকের স্ত্রী চিৎকার করে আমাদের তৎপরতা ফাঁস করে দিয়েছিল। আমি তাকে হত্যা করার জন্য তলোয়ার উঠিয়েছিলাম। কিন্তু রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিষেধাজ্ঞা মনে পড়তেই আবার নামিয়ে ফেলেছিলাম। আর তা না হলে তাকেও সেখানে শেষ করে আসতাম! [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] ইবনু আবুল হুকাইক খায়ববের এক ইহুদী। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল, তাকে হত্যা করার জন্য রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচ সদস্যের একটি কমান্ডো দল প্রেরণ করেছিলেন। এর বিস্তারিত বর্ণনা বুখারী শরীফে রয়েছে।

৯৬০

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ بَعَثَ جُيُوشًا إِلَى الشَّامِ فَخَرَجَ يَمْشِي مَعَ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَكَانَ أَمِيرَ رُبْعٍ مِنْ تِلْكَ الْأَرْبَاعِ فَزَعَمُوا أَنَّ يَزِيدَ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ إِمَّا أَنْ تَرْكَبَ وَإِمَّا أَنْ أَنْزِلَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا أَنْتَ بِنَازِلٍ وَمَا أَنَا بِرَاكِبٍ إِنِّي أَحْتَسِبُ خُطَايَ هَذِهِ فِي سَبِيلِ اللهِ ثُمَّ قَالَ لَهُ إِنَّكَ سَتَجِدُ قَوْمًا زَعَمُوا أَنَّهُمْ حَبَّسُوا أَنْفُسَهُمْ لِلَّهِ فَذَرْهُمْ وَمَا زَعَمُوا أَنَّهُمْ حَبَّسُوا أَنْفُسَهُمْ لَهُ وَسَتَجِدُ قَوْمًا فَحَصُوا عَنْ أَوْسَاطِ رُءُوسِهِمْ مِنْ الشَّعَرِ فَاضْرِبْ مَا فَحَصُوا عَنْهُ بِالسَّيْفِ وَإِنِّي مُوصِيكَ بِعَشْرٍ لَا تَقْتُلَنَّ امْرَأَةً وَلَا صَبِيًّا وَلَا كَبِيرًا هَرِمًا وَلَا تَقْطَعَنَّ شَجَرًا مُثْمِرًا وَلَا تُخَرِّبَنَّ عَامِرًا وَلَا تَعْقِرَنَّ شَاةً وَلَا بَعِيرًا إِلَّا لِمَأْكَلَةٍ وَلَا تَحْرِقَنَّ نَحْلًا وَلَا تُغَرِّقَنَّهُ وَلَا تَغْلُلْ وَلَا تَجْبُنْ.

ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বক্‌র সিদ্দীক (রা) সিরিয়ায় এক সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেছিলেন। উক্ত বাহিনীর এক-চতুর্থাংশের অধিনায়ক ছিলেন ইয়াযিদ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রা)। বিদায়ের সময় তিনি তাঁর সঙ্গে কিছুদূর পায়ে হেটে যান। তখন ইয়াযিদ (রা) বললেন : আমীরুল মু’মিনীন! হয় আপনি সওয়ারীতে আরোহণ করে চলুন, না হয় আমি নেমে পড়ি এবং আমিও হেঁটে চলি। আবূ বক্‌র সিদ্দীক (রা) বললেন : তুমিও হেঁটে চলতে পার না আর আমিও সওয়ার হতে পারব না। আমার এই হাঁটাকে আমি আল্লাহর পথে কদম ফেলা বলে বিশ্বাস করি। অতঃপর তিনি আরো বললেন : সেখানে কিছু এমন ধরনের লোক তুমি দেখবে যারা নিজেদেরকে আল্লাহর ধ্যানে নিবেদিত বলে মনে করে (অর্থাৎ খৃস্টান পাদ্রী)। তাদেরকে তাদের অবস্থায় ছেড়ে দিও। কিন্তু এমন লোক দেখবে যারা মধ্যভাগে মাথা মুন্ডন করে (তৎকালে অগ্নি উপাসকদের এই রীতি ছিল।) তাদেরকে সেখানেই তালোয়ার দিয়ে উড়িয়ে দিবে। দশটি বিষয়ে তোমাকে আমি বিশেষ উপদেশ দিচ্ছি। উহার প্রতি লক্ষ্য রেখ। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদেরকে হত্যা করবে না। ফলন্ত বৃক্ষ কেটো না, আবাদ ভূমিকে ধ্বংস করো না, খাওয়ার উদ্দেশ্যে ভিন্ন বকরী বা উট হত্যা করো না, মৌমাছির মৌচাক পোড়ায়ে দিও না অথবা পানিতে ডুবিয়ে দিও না, গনীমত বা যুদ্ধলদ্ধ মাল হতে কিছু চুরি করো না, হতোদ্যম বা ভীরু হইও না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
২১/ পরিচ্ছেদঃ নিরাপত্তা চুক্তি

৯৬২

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَى عَامِلِ جَيْشٍ كَانَ بَعَثَهُ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ رِجَالًا مِنْكُمْ يَطْلُبُونَ الْعِلْجَ حَتَّى إِذَا أَسْنَدَ فِي الْجَبَلِ وَامْتَنَعَ قَالَ رَجُلٌ مَطْرَسْ يَقُولُ لَا تَخَفْ فَإِذَا أَدْرَكَهُ قَتَلَهُ وَإِنِّي وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا أَعْلَمُ مَكَانَ وَاحِدٍ فَعَلَ ذَلِكَ إِلَّا ضَرَبْتُ عُنُقَهُ قَالَ يَحْيَى سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ لَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ بِالْمُجْتَمَعِ عَلَيْهِ وَلَيْسَ عَلَيْهِ الْعَمَلُ ১৬৩১-و سُئِلَ مَالِك عَنْ الْإِشَارَةِ بِالْأَمَانِ أَهِيَ بِمَنْزِلَةِ الْكَلَامِ فَقَالَ نَعَمْ وَإِنِّي أَرَى أَنْ يُتَقَدَّمَ إِلَى الْجُيُوشِ أَنْ لَا تَقْتُلُوا أَحَدًا أَشَارُوا إِلَيْهِ بِالْأَمَانِ لِأَنَّ الْإِشَارَةَ عِنْدِي بِمَنْزِلَةِ الْكَلَامِ وَإِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالَ مَا خَتَرَ قَوْمٌ بِالْعَهْدِ إِلَّا سَلَّطَ اللهُ عَلَيْهِمْ الْعَدُوَّ

মালিক (রা) থেকে বর্ণিতঃ

কুফার জনৈক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন উমার ইবনু খাত্তাব (রা) জনৈক সেনাধ্যক্ষকে লিখেছিলেন : জানতে পারলাম, আনারব কাফেরদের মধ্যে কেউ যুদ্ধ বন্ধ করে পাহাড়ে আশ্রয় নিলে তোমাদের কেউ তাকে ডেকে বলে, “তোমাদের কোন ভয় নেই”, পরে হাতের মুঠোয় পেয়ে আবার তাকে হত্যা করে ফেলে। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, সত্যই যদি কাউকেও আমি কোনদিন এমন (ওয়াদা ভঙ্গ) করতে দেখতে পাই, তবে তার গর্দান উড়িয়ে দেব। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন: এই হাদীসটি সম্পর্কে আলিমগণ একমত নন এবং এর উপর আমল নাই। [১]
মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ইশারা ইঙ্গিতে যদি কেউ কাউকে আমান বা নিরাপত্তা প্রদান করে, তবে কি তা গ্রহণযোগ্য হবে? তিনি বললেন; হ্যাঁ, আমি মনে করি সৈন্যদেরকে যেন বলে দেওয়া হয় যে, ইশারা করে যাকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে তাকে যেন হত্যা না করে। কারণ আমার মতে ইশারাও ভাষার মতোই্। আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা) বলেছেন: যে জাতি চুক্তি ভঙ্গ করে, সেই জাতির উপর আল্লাহ তায়ালা শত্রু চাপিয়ে দেন।
[১] কাজটি হারাম বটে, কিন্তু কাফেরের বদলায় মুসলমানকে হত্যা করা অন্য একটি সহীহ হাদীসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন