hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

৪০. মুদাব্বার অধ্যায়

موطأ مالك

৪০/ পরিচ্ছেদঃ মুদাব্বার-এর সন্তানদের ব্যাপারে ফয়সালা

১৫০০

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ قَالَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ دَبَّرَ جَارِيَةً لَهُ فَوَلَدَتْ أَوْلَادًا بَعْدَ تَدْبِيرِهِ إِيَّاهَا ثُمَّ مَاتَتْ الْجَارِيَةُ قَبْلَ الَّذِي دَبَّرَهَا إِنَّ وَلَدَهَا بِمَنْزِلَتِهَا قَدْ ثَبَتَ لَهُمْ مِنْ الشَّرْطِ مِثْلُ الَّذِي ثَبَتَ لَهَا وَلَا يَضُرُّهُمْ هَلَاكُ أُمِّهِمْ فَإِذَا مَاتَ الَّذِي كَانَ دَبَّرَهَا فَقَدْ عَتَقُوا إِنْ وَسِعَهُمْ الثُّلُثُ و قَالَ مَالِك كُلُّ ذَاتِ رَحِمٍ فَوَلَدُهَا بِمَنْزِلَتِهَا إِنْ كَانَتْ حُرَّةً فَوَلَدَتْ بَعْدَ عِتْقِهَا فَوَلَدُهَا أَحْرَارٌ وَإِنْ كَانَتْ مُدَبَّرَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُعْتَقَةً إِلَى سِنِينَ أَوْ مُخْدَمَةً أَوْ بَعْضَهَا حُرًّا أَوْ مَرْهُونَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ فَوَلَدُ كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ عَلَى مِثَالِ حَالِ أُمِّهِ يَعْتِقُونَ بِعِتْقِهَا وَيَرِقُّونَ بِرِقِّهَا قَالَ مَالِك فِي مُدَبَّرَةٍ دُبِّرَتْ وَهِيَ حَامِلٌ وَلَمْ يَعْلَمْ سَيِّدُهَا بِحَمْلِهَا إِنَّ وَلَدَهَا بِمَنْزِلَتِهَا وَإِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ رَجُلٍ أَعْتَقَ جَارِيَةً لَهُ وَهِيَ حَامِلٌ وَلَمْ يَعْلَمْ بِحَمْلِهَا قَالَ مَالِك فَالسُّنَّةُ فِيهَا أَنَّ وَلَدَهَا يَتْبَعُهَا وَيَعْتِقُ بِعِتْقِهَا قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا ابْتَاعَ جَارِيَةً وَهِيَ حَامِلٌ فَالْوَلِيدَةُ وَمَا فِي بَطْنِهَا لِمَنْ ابْتَاعَهَا اشْتَرَطَ ذَلِكَ الْمُبْتَاعُ أَوْ لَمْ يَشْتَرِطْهُ قَالَ مَالِك وَلَا يَحِلُّ لِلْبَائِعِ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مَا فِي بَطْنِهَا لِأَنَّ ذَلِكَ غَرَرٌ يَضَعُ مِنْ ثَمَنِهَا وَلَا يَدْرِي أَيَصِلُ ذَلِكَ إِلَيْهِ أَمْ لَا وَإِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ مَا لَوْ بَاعَ جَنِينًا فِي بَطْنِ أُمِّهِ وَذَلِكَ لَا يَحِلُّ لَهُ لِأَنَّهُ غَرَرٌ قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ أَوْ مُدَبَّرٍ ابْتَاعَ أَحَدُهُمَا جَارِيَةً فَوَطِئَهَا فَحَمَلَتْ مِنْهُ وَوَلَدَتْ قَالَ وَلَدُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ جَارِيَتِهِ بِمَنْزِلَتِهِ يَعْتِقُونَ بِعِتْقِهِ وَيَرِقُّونَ بِرِقِّهِ قَالَ مَالِك فَإِذَا أُعْتِقَ هُوَ فَإِنَّمَا أُمُّ وَلَدِهِ مَالٌ مِنْ مَالِهِ يُسَلَّمُ إِلَيْهِ إِذَا أُعْتِقَ

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

আমাদের নিকট সেই ব্যক্তি সম্পর্কে মাসআলা এই, যে ব্যক্তি তার ক্রীতদাসীকে “মুদাব্বারা” করেছে এবং কর্তা কর্তৃক উহাকে মুদাব্বারা করার পর সে সন্তান জন্মাইয়াছে। অতঃপর সে (কর্তা) যে উহাকে মুদাব্বারা করেছে তার পূর্বে ক্রীতদাসীর মৃত্যু হয়েছে, তবে উহার সন্তানদের ব্যাপারে উহার মতোই হবে, অর্থাৎ যেই শর্ত উহার (মুদাব্বারা ক্রীতদাসীর) জন্য ছিল সেই শর্ত এ সন্তানদের জন্যও প্রযোজ্য হবে। এবং এদের মাতার মৃত্যুর কারণে এদের কোন ক্ষতি হবে না, অতঃপর যে (কর্তা) মুদাব্বার করেছে তার মৃত্যু হলে তবে তার এক-তৃতীয়াংশ (সম্পত্তিতে) সংকুলান হলে এরা আযাদ হয়ে যাবে। [১]
মালিক (র) বলেন প্রত্যেক জননীর আওলাদ শর্ত ইত্যাদি ব্যাপারে উহাদের মাতার সমতুল্য হবে। জননী যদি আযাদী লাভ করে এবং আযাদী লাভের পর সন্তান জন্মায়, তবে উহার সন্তানরা আযাদ (গণ্য) হবে। আর জননী যদি মুদাব্বারা অথবা মুকাতাবা হয় কিংবা কয়েক বৎসরের খেদমতের শর্তে আযাদী প্রাপ্ত হয় অথবা উহার অংশবিশেষ আযাদ করা হয়, অথবা তাকে বন্ধক দেয়া হয়েছে এমন হয় অথবা সে উম্মে-ওয়ালাদ হয়, তবে উহাদের প্রত্যেকের সন্তান মাতার মতো মর্যাদা লাভ করবে। মাতা আযাদ হলে এরাও আযাদ (গণ্য) হবে। মাতা ক্রীতদাসী হলে এরাও ক্রীতদাস হবে।
মালিক (র) বলেন যে ক্রীতদাসীকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘মুদাব্বারা’ করা হয়েছে, কিন্তু উহার অন্তসত্ত্বা হওয়ার খবর রাখে না। তার সন্তান তারই মতো (গণ্য করা) হবে। ইহা যেন এইরূপ- যেমন কোন ব্যক্তি আপন ক্রীতদাসীকে আযাদ করেছে সে তখন অন্তঃসত্ত্বা, কর্তা উহার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর রাখে না। মালিক (র) বলেন, এই ব্যাপারে সুন্নত (রীতি) এই, উহার সন্তান উহাকে অনুসরণ করবে এবং উহার আযাদী লাভে সেও আযাদী লাভ করবে।
মালিক (র) বলেন তদ্রুপ যদি কোন ব্যক্তি অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীকে খরিদ করে, তবে ক্রীতদাসী এবং উহার গর্ভে যা রয়েছে, তা ক্রেতারই হবে। ক্রেতা উহাকে শর্ত করুক কিম্বা না করুক।
মালিক (র) বলেন বিক্রেতার পক্ষে ক্রীতদাসীর গর্ভে সন্তানকে (বিক্রয় হতে) বাদ রাখা হালাল নয় ইহা প্রতারণা বটে। কারণ, সে ক্রীতদাসীর মূল্য হতে মূল্য কমাবার উদ্দেশ্যে ইহা করতে চায়, অথচ সে নিজেও জানে না এই সন্তান সে লাভ করবে কি, না? ইহা এইরূপ যেমন কেউ মাতার গর্ভস্থ সন্তান বিক্রয় করল, ইহা তার জন্য হালাল নয় কারণ ইহা প্রতারণা।
মালিক (র) বলেন যেই মুকাতাব অথবা মুদাব্বারা তাদের একজন একটি ক্রীতদাসী খরিদ করেছে। অতঃপর উহার সহিত সঙ্গম করেছে, ফলে দাসীটি অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং সন্তান জন্মায়। মালিক (র) বলেন, এমতাবস্থায় এই ক্রীতদাসীর গর্ভের সন্তান তার মতোই হবে [অর্থাৎ উহার মতো মর্যাদা লাভ করবে]। সে আযাদ হলে সন্তানেরাও আযাদ হবে। আর সে ক্রীতদাস হলে সন্তানেরাও ক্রীতদাস হবে। মালিক (র) বলেন, সে আযাদ হলে তার “উম্মে-ওয়ালাদ” তারই সম্পদ হবে। তার আযাদীর পর উহাকে তার নিকট সোপর্দ করা হবে।
[১] যে ক্রীতদাসীকে উহার কর্তা বলে, “আমার মৃত্যু হলে পর তুমি আযাদ হয়ে যাবে” এই অবস্থায় ক্রীতদাসী হলে “মুদাব্বার” এবং ক্রীতদাস হলে “মুদাব্বির” বলা হয়। কর্তাকে বলা হয় “মুদাব্বির”। উক্ত কার্যকে বলা হয় তাদবীর।
৪০/ পরিচ্ছেদঃ মুদাব্বার করণের বিবিধ প্রসঙ্গ

১৫০১

নির্ণীত নয়
قَالَ مَالِك فِي مُدَبَّرٍ قَالَ لِسَيِّدِهِ عَجِّلْ لِي الْعِتْقَ وَأُعْطِيكَ خَمْسِينَ مِنْهَا مُنَجَّمَةً عَلَيَّ فَقَالَ سَيِّدُهُ نَعَمْ أَنْتَ حُرٌّ وَعَلَيْكَ خَمْسُونَ دِينَارًا تُؤَدِّي إِلَيَّ كُلَّ عَامٍ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ فَرَضِيَ بِذَلِكَ الْعَبْدُ ثُمَّ هَلَكَ السَّيِّدُ بَعْدَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ قَالَ مَالِك يَثْبُتُ لَهُ الْعِتْقُ وَصَارَتْ الْخَمْسُونَ دِينَارًا دَيْنًا عَلَيْهِ وَجَازَتْ شَهَادَتُهُ وَثَبَتَتْ حُرْمَتُهُ وَمِيرَاثُهُ وَحُدُودُهُ وَلَا يَضَعُ عَنْهُ مَوْتُ سَيِّدِهِ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ الدَّيْنِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَبَّرَ عَبْدًا لَهُ فَمَاتَ السَّيِّدُ وَلَهُ مَالٌ حَاضِرٌ وَمَالٌ غَائِبٌ فَلَمْ يَكُنْ فِي مَالِهِ الْحَاضِرِ مَا يَخْرُجُ فِيهِ الْمُدَبَّرُ قَالَ يُوقَفُ الْمُدَبَّرُ بِمَالِهِ وَيُجْمَعُ خَرَاجُهُ حَتَّى يَتَبَيَّنَ مِنْ الْمَالِ الْغَائِبِ فَإِنْ كَانَ فِيمَا تَرَكَ سَيِّدُهُ مِمَّا يَحْمِلُهُ الثُّلُثُ عَتَقَ بِمَالِهِ وَبِمَا جُمِعَ مِنْ خَرَاجِهِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيمَا تَرَكَ سَيِّدُهُ مَا يَحْمِلُهُ عَتَقَ مِنْهُ قَدْرُ الثُّلُثِ وَتُرِكَ مَالُهُ فِي يَدَيْهِ

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

একজন মুদাব্বার তার কর্তাকে বলল, আমার আযাদী ত্বরান্বিত করুন। আমি (এর জন্য) আপনাকে কিস্তি কিস্তি করে পঞ্চাশ দীনার আদায় করব। তার কর্তা বলল, হ্যাঁ, তুমি আযাদ এবং তোমার উপর পঞ্চাশ দীনার আদায় করা জরুরী হল, প্রতি বৎসর দশ দীনার করে (কিস্তি আদায় করবে) ক্রীতদাস এতে সম্মত হল। অতঃপর এর এক অথবা দুই কিম্বা তিন দিন পর কর্তার মৃত্যু হল।
মালিক (র) বলেন সে আযাদ হয়ে গিয়েছে এবং ঐ পঞ্চাশ দীনার তার জিম্মায় ঋণ রয়েছে এবং তার সাক্ষ্যদান গ্রহণযোগ্য হবে, তার ব্যক্তিমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হল। সে উত্তরাধিকার লাভ করবে এবং তার উপর শরীয়তের বিধান জারি হবে। আর কর্তার মৃত্যুর কারণে তার জিম্মায় যে ঋণ রয়েছে উহার কিছুই কমান হবে না।
মালিক (র) বলেন এক ব্যক্তি তার জনৈক গোলামকে মুদাব্বার করল। তারপর কর্তার মৃত্যু হল। আর তার সম্পদও রয়েছে নিকট ও দূরে। কিন্তু কর্তার নিকট যে মাল আছে উহা মুদাব্বার আযাদ হবার মতো যথেষ্ট নয়। তবে মুদাব্বারের আযাদী স্থগিত রাখা হবে। তার সম্পদও আটক থাকবে এবং ঐ সম্পদের খাজনা সঞ্চয় করা হবে। আর ইহা চালু থাকবে দূরবর্তী সম্পদ হস্তগত না হওয়া পর্যন্ত। (এর পর বিবেচনা করা হবে) কর্তা যে মাল রেখে গিয়েছে যদি উহার এক-তৃতীয়াংশে (মুদাব্বারের মূল্যের) অর্থ যোগাড় হয় তবে সে তার সম্পদ ও সঞ্চিত খাজনাসহ আযাদ হয়ে যাবে। আর যদি কর্তার রেখে যাওয়া সম্পদের এক তৃতীয়াংশে এর যোগাড় না হয় তবে কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ দ্বারা মুদাব্বার হতে যতটুকু আযাদ হওয়া যায় ততটুকু তার আযাদ হয়ে যাবে এবং তার সম্পদ ছেড়ে তারই হাতে দেয়া হবে।
৪০/ পরিচ্ছেদঃ তদবীর সম্পর্কে ওসীয়্যত

১৫০২

নির্ণীত নয়
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ كُلَّ عَتَاقَةٍ أَعْتَقَهَا رَجُلٌ فِي وَصِيَّةٍ أَوْصَى بِهَا فِي صِحَّةٍ أَوْ مَرَضٍ أَنَّهُ يَرُدُّهَا مَتَى شَاءَ وَيُغَيِّرُهَا مَتَى شَاءَ مَا لَمْ يَكُنْ تَدْبِيرًا فَإِذَا دَبَّرَ فَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَى رَدِّ مَا دَبَّرَ قَالَ مَالِك وَكُلُّ وَلَدٍ وَلَدَتْهُ أَمَةٌ أَوْصَى بِعِتْقِهَا وَلَمْ تُدَبَّرْ فَإِنَّ وَلَدَهَا لَا يَعْتِقُونَ مَعَهَا إِذَا عَتَقَتْ وَذَلِكَ أَنَّ سَيِّدَهَا يُغَيِّرُ وَصِيَّتَهُ إِنْ شَاءَ وَيَرُدُّهَا مَتَى شَاءَ وَلَمْ يَثْبُتْ لَهَا عَتَاقَةٌ وَإِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ رَجُلٍ قَالَ لِجَارِيَتِهِ إِنْ بَقِيَتْ عِنْدِي فُلَانَةُ حَتَّى أَمُوتَ فَهِيَ حُرَّةٌ قَالَ مَالِك فَإِنْ أَدْرَكَتْ ذَلِكَ كَانَ لَهَا ذَلِكَ وَإِنْ شَاءَ قَبْلَ ذَلِكَ بَاعَهَا وَوَلَدَهَا لِأَنَّهُ لَمْ يُدْخِلْ وَلَدَهَا فِي شَيْءٍ مِمَّا جَعَلَ لَهَا قَالَ وَالْوَصِيَّةُ فِي الْعَتَاقَةِ مُخَالِفَةٌ لِلتَّدْبِيرِ فَرَقَ بَيْنَ ذَلِكَ مَا مَضَى مِنْ السُّنَّةِ قَالَ وَلَوْ كَانَتْ الْوَصِيَّةُ بِمَنْزِلَةِ التَّدْبِيرِ كَانَ كُلُّ مُوصٍ لَا يَقْدِرُ عَلَى تَغْيِيرِ وَصِيَّتِهِ وَمَا ذُكِرَ فِيهَا مِنْ الْعَتَاقَةِ وَكَانَ قَدْ حَبَسَ عَلَيْهِ مِنْ مَالِهِ مَا لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَنْتَفِعَ بِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَبَّرَ رَقِيقًا لَهُ جَمِيعًا فِي صِحَّتِهِ وَلَيْسَ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ إِنْ كَانَ دَبَّرَ بَعْضَهُمْ قَبْلَ بَعْضٍ بُدِئَ بِالْأَوَّلِ فَالْأَوَّلِ حَتَّى يَبْلُغَ الثُّلُثَ وَإِنْ كَانَ دَبَّرَهُمْ جَمِيعًا فِي مَرَضِهِ فَقَالَ فُلَانٌ حُرٌّ وَفُلَانٌ حُرٌّ وَفُلَانٌ حُرٌّ فِي كَلَامٍ وَاحِدٍ إِنْ حَدَثَ بِي فِي مَرَضِي هَذَا حَدَثُ مَوْتٍ أَوْ دَبَّرَهُمْ جَمِيعًا فِي كَلِمَةٍ وَاحِدَةٍ تَحَاصَّوْا فِي الثُّلُثِ وَلَمْ يُبَدَّأْ أَحَدٌ مِنْهُمْ قَبْلَ صَاحِبِهِ وَإِنَّمَا هِيَ وَصِيَّةٌ وَإِنَّمَا لَهُمْ الثُّلُثُ يُقْسَمُ بَيْنَهُمْ بِالْحِصَصِ ثُمَّ يَعْتِقُ مِنْهُمْ الثُّلُثُ بَالِغًا مَا بَلَغَ قَالَ وَلَا يُبَدَّأُ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِذَا كَانَ ذَلِكَ كُلُّهُ فِي مَرَضِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَبَّرَ غُلَامًا لَهُ فَهَلَكَ السَّيِّدُ وَلَا مَالَ لَهُ إِلَّا الْعَبْدُ الْمُدَبَّرُ وَلِلْعَبْدِ مَالٌ قَالَ يُعْتَقُ ثُلُثُ الْمُدَبَّرِ وَيُوقَفُ مَالُهُ بِيَدَيْهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَعْتَقَ نِصْفَ عَبْدٍ لَهُ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَتَّ عِتْقَ نِصْفِهِ أَوْ بَتَّ عِتْقَهُ كُلَّهُ وَقَدْ كَانَ دَبَّرَ عَبْدًا لَهُ آخَرَ قَبْلَ ذَلِكَ قَالَ يُبَدَّأُ بِالْمُدَبَّرِ قَبْلَ الَّذِي أَعْتَقَهُ وَهُوَ مَرِيضٌ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ لِلرَّجُلِ أَنْ يَرُدَّ مَا دَبَّرَ وَلَا أَنْ يَتَعَقَّبَهُ بِأَمْرٍ يَرُدُّهُ بِهِ فَإِذَا عَتَقَ الْمُدَبَّرُ فَلْيَكُنْ مَا بَقِيَ مِنْ الثُّلُثِ فِي الَّذِي أَعْتَقَ شَطْرَهُ حَتَّى يَسْتَتِمَّ عِتْقُهُ كُلُّهُ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ فَإِنْ لَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ فَضْلَ الثُّلُثِ عَتَقَ مِنْهُ مَا بَلَغَ فَضْلَ الثُّلُثِ بَعْدَ عِتْقِ الْمُدَبَّرِ الْأَوَّلِ

ইয়াহ্ইয়া (র) থেকে বর্ণিতঃ

মালিক (র) বলেছেন, সর্বপ্রকার আযাদী প্রদান সম্বন্ধে আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, যে ব্যক্তি গোলামকে ওসীয়্যত দ্বারা আযাদ করেছে, সেই ওসীয়্যত সুস্থাবস্থায় কিংবা পীড়িতাবস্থায় করে থাকুক, যদি সেই ওসীয়্যত মুদাব্বার করার ওসীয়্যত না হয় তবে সে যখন ইচ্ছা উহাকে রদ করতে পারে এবং যখন ইচ্ছা উহাকে পরিবর্তন করতে পারে। আর যদি মুদাব্বার করে থাকে, তবে উহা রদ করার ইখতিয়ার থাকবে না।
মালিক (র) বলেন এক ক্রীতদাসীকে আযাদ করার ওসীয়্যত করা হয়েছে কিন্তু মুদাব্বারা করা হয়নি, সেই দাসী যে সন্তান জন্মাবে, ক্রীতদাসী যখন আযাদ হবে উহারা (সন্তানগণ) তার সাথে আযাদ হবে না। কারণ তার কর্তা ইচ্ছা করলে ওসীয়্যত পরিবর্তন করতে পারে, আর যখন ইচ্ছা উহাকে রদও করে দিতে পারে। আর দাসী (এখন পর্যন্ত) আযাদও হয়নি। (সন্তানেরা কিরূপে আযাদ হবে?) ইহা এইরূপ যেমন কোন লোক নিজের এক দাসীকে বলল, এই দাসী যদি আমার মৃত্যু পর্যন্ত আমার নিকট থাকে তবে সে আযাদ।
মালিক (র) বলেন অতঃপর সে যদি মৃত্যু পর্যন্ত উহার নিকট থাকে তবে সে আযাদ হয়ে যাবে, আর কর্তা যদি ইচ্ছা করে তবে মৃত্যুর পূর্বে দাসী এবং উহার সন্তানকে বিক্রয় করতে পারবে। কারণ দাসীর জন্য যা করা হয়েছে সন্তান উহার কোন কিছুরই অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে, (দাসীকে) আযাদী দানের ওসীয়্যত এবং উহাকে মুদাব্বারা করা এই দুইটি ভিন্ন ব্যাপার। উভয়ের মধ্যে পার্থক্য ও নীতিমালা ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে। মালিক (র) বলেন, ওসীয়্যত যদি তদবীরের মতো হত তবে কোন ওসীয়্যতকারী ওসীয়্যত পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখত না এবং আযাদী প্রদানের ওসীয়্যত যা উল্লেখিত হয়েছে উহাতেও পরিবর্তন করার ক্ষমতা থাকত না। (অথচ মাসআলা এইরূপ নয় বরং ওসীয়্যত পরিবর্তন করার ক্ষমতা থাকে) ইহা এইরূপ যেমন- কোন কারণে কারো মাল আটক রাখা হয়েছে, অথচ উহা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় না।
মালিক (র) বলেন যে ব্যক্তি সুস্থাবস্থায় তার সকল ক্রীতদাসীকে মুদাব্বার করেছে, (অন্যদিকে) তার নিকট ঐ সব ক্রীতদাস ব্যতীত অন্য কোন সম্পদ নেই, সে যদি কতককে কতকের পূর্বে মুদাব্বার করে থাকে, তবে সর্বপ্রথম যাকে মুদাব্বার করা হয়েছে উহা হতে আযাদী আরম্ভ করা হবে। তারপর তার এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ যতজনের আযাদীর জন্য পর্যাপ্ত ততজন আযাদী পাবে। শর্ত এই, যাকে বা যাদেরকে প্রথম মুদাব্বার করা হয়েছে সে বা তারা প্রথমে আযাদী পাবে।
আর যদি সকলকে কর্তার পীড়িতাবস্থায় মুদাব্বার করেছে এবং বলেছে যদি এই রোগে আমার মৃত্যু হয়, তবে অমুক আযাদ, অমুক আযাদ, এই উক্তিতে সকলকে মুদাব্বার করেছে তবে তার সম্পর্কে এক-তৃতীয়াংশে উহারা সকলে শরীক হবে, কেউ কারো আগে আযাদ হবে না। ইহা (মুদাব্বার হিসেবে আযাদ করবে) ওসীয়্যত বটে, উহাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ নির্ধারিত হবে যা হিস্সা অনুযায়ী উহাদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে। অতঃপর উহাদের মধ্য হতে এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হবে, যেই পর্যন্ত এ সম্পদ পর্যাপ্ত হয়। তাদের মধ্যে কাউকেও পূর্বে আযাদ করা হবে না। ইহা হল যদি সকলকে পীড়িতাবস্থায় মুদাব্বার করে থাকে।
মালিক (র) বলেন এক ব্যক্তি তার গোলামকে মুদাব্বার করেছে, অতঃপর তার মৃত্যু হয়েছে। আর এই মুদাব্বার গোলাম ব্যতীত তার অন্য কোন মাল নেই, কিন্তু গোলামের নিকট সম্পদ রয়েছে। মালিক (র) বলেন মুদাব্বারের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হবে এবং তার মাল তার অধিকারে রাখা হবে।
মালিক (র) বলেন যে মুদাব্বারের সাথে তার কর্তা কিতাবাত করেছে, অতঃপর কর্তার মৃত্যু হয়েছে এবং সে এই ক্রীতদাস ছাড়া অন্য কোন মাল রেখে যায়নি। মালিক (র) বলেন, গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হবে এবং কিতাবাতের অর্থের এক-তৃতীয়াংশ উহা হতে মাফ করা হবে, (অবশিষ্ট) দুই-তৃতীয়াংশ উহার জিম্মায় থাকবে।
মালিক (র) বলেন এক ব্যক্তি রোগশয্যায় আপন ক্রীতদাসের অর্ধেক অথবা পূর্ণ আযাদ করেছে। সে ইতিপূর্বে তার অন্য এক ক্রীতদাসকে মুদাব্বার করেছিল। মালিক (র) বলেছেন, রোগশয্যায় যাকে আযাদ করেছে, উহার পূর্বে মুদাব্বারকে আযাদ করা হবে। ইহা এইজন্য যে, মুদাব্বার করার পর কোন ব্যক্তির পক্ষে উহাকে রদ করার ইখতিয়ার থাকে না এবং উহাকে কোন কারণে পিছিয়েও দেয়া যায় না, যদ্দরুন উহা বাতিল হয়ে যায়। অতঃপর মুদাব্বার আযাদ হয়ে গেলে এক-তৃতীয়াংশ হতে যা অবশিষ্ট থাকে উহা যার অর্ধেক আযাদ করা হয়েছে উহার জন্য ব্যয় করা হবে, যেন এক-তৃতীয়াংশ দ্বারা উহার পূর্ণ আযাদীর ব্যবস্থা করতে পারে। আর যদি এক-তৃতীয়াংশ পূর্ণ আযাদী লাভের জন্য পর্যাপ্ত না হয় তবে প্রথম মুদাব্বারের আযাদীর পর (দ্বিতীয় ক্রীতদাস হতে) এক-তৃতীয়াংশের অবশিষ্ট দ্বারা যতটুকু কুলায় ততটুকু আযাদ হয়ে যাবে।
৪০/ পরিচ্ছেদঃ মুদাব্বার করার পর স্বীয় ক্রীতদাসীর সহিত সঙ্গম করা প্রসঙ্গে

১৫০৪

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَانَ يَقُولُ إِذَا دَبَّرَ الرَّجُلُ جَارِيَتَهُ فَإِنَّ لَهُ أَنْ يَطَأَهَا وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَبِيعَهَا وَلَا يَهَبَهَا وَوَلَدُهَا بِمَنْزِلَتِهَا

সাঈদ ইব্নু মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

কোন ব্যক্তি নিজ ক্রীতদাসীকে মুদাব্বারা করলে তার জন্য এর সাথে সঙ্গম করা জায়েয আছে। কিন্তু উহাকে বিক্রয় করতে পারবে না এবং হেবাও (দান) করতে পারবে না; আর মুদাব্বারার সন্তান মুদাব্বারার মতো হবে (উহার বিক্রয় এবং দান জায়েয হবে না)। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৫০৩

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ دَبَّرَ جَارِيَتَيْنِ لَهُ فَكَانَ يَطَؤُهُمَا وَهُمَا مُدَبَّرَتَانِ

নাফি‘ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা) তাঁর দুইজন ক্রীতদাসীকে মুদাব্বারা করেছিলেন, অতঃপর তিনি উভয়ের সাথে মিলিত হতেন অথচ তারা উভয়ে ছিল মুদাব্বারা। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন