hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

. জুম’আ

موطأ مالك

/ পরিচ্ছেদঃ জুম’আ দিবসের গোসল

২২০

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ كَغُسْلِ الْجَنَابَةِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলতেন, জুম’আর দিনের গোসল জানাবত (ফরয) গোসলের মত, প্রত্যেক বয়স্ক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২২২

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ.

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুম’আর দিনের গোসল প্রত্যেক সাবালক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব। (বুখারী ৮৭৯, মুসলিম ৮৪৬)

২১৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الْأُولَى فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَقَرَةً و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ فَقَالَ إِنِّي أَهِمُ فِي صَلَاتِي فَيَكْثُرُ ذَلِكَ عَلَيَّ فَقَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ امْضِ فِي صَلَاتِكَ فَإِنَّهُ لَنْ يَذْهَبَ عَنْكَ حَتَّى تَنْصَرِفَ وَأَنْتَ تَقُولُ مَا أَتْمَمْتُ صَلَاتِي و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ فَقَالَ إِنِّي أَهِمُ فِي صَلَاتِي فَيَكْثُرُ ذَلِكَ عَلَيَّ فَقَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ امْضِ فِي صَلَاتِكَ فَإِنَّهُ لَنْ يَذْهَبَ عَنْكَ حَتَّى تَنْصَرِفَ وَأَنْتَ تَقُولُ مَا أَتْمَمْتُ صَلَاتِي.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম’আর দিন জানাবতের (ফরয) গোসলের মত গোসল করেছে, অতঃপর সূর্য ঢলার পর প্রথম মুহূর্তে (মসজিদের দিকে) চলেছে, সে যেন একটি উট আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে খয়রাত করেছে; আর যে দ্বিতীয় মুহূর্তে একটু পরে চলেছে, সে যেন একটি গাভী খয়রাত করেছে; আর যে তৃতীয় মুহূর্তে আরও পরে চলেছে, সে যেন শিংযুক্ত মেষ খয়রাত করেছে; আর যে চতুর্থ মুহুর্তে অর্থাৎ আরও পরে চলেছে, সে যেন একটি মুরগী খয়রাত করেছে; আর যে পঞ্চম মুহূর্তে চলিয়াছে, সে যেন ডিম খয়রাত করিয়াছে। যখন ইমাম বের হন তখন ফেরেশতাগণ হাজির হন, যিকর (খুতবা) শোনার জন্য। (বুখারী ৮৮১, মুসলিম ৮৫০)

২২১

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ قَالَ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَخْطُبُ فَقَالَ عُمَرُ أَيَّةُ سَاعَةٍ هَذِهِ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ انْقَلَبْتُ مِنْ السُّوقِ فَسَمِعْتُ النِّدَاءَ فَمَا زِدْتُ عَلَى أَنْ تَوَضَّأْتُ فَقَالَ عُمَرُ وَالْوُضُوءَ أَيْضًا وَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ بِالْغُسْلِ.

সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের একজন (সাহাবী) জুম’আর দিন মসজিদে প্রবেশ করলেন, উমার (রা:) খুতবা প্রদান করছিলেন। তিনি [উমার (রাঃ)] বললেন, এটা কোন সময়? উত্তরে তিনি (প্রবেশকারী সাহাবী) বললেন, হে আমিরুল মু’মিনীন, আমি বাজার হতে ফিরেছি, (ফেরার পূর্বেই) আযান শুনলাম। অতঃপর কেবল ওযূ করেছি। (এটা শুনে) উমার (রাঃ) বললেন, আপনি শুধু ওযূ করেন? অথচ অবগত আছেন যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসলের হুকুম করতেন! (বুখারী ৮৭৮, মুসলিম ৮৪৫)

২২৩

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ ৩৩৯قَالَ مَالِك مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوَّلَ نَهَارِهِ وَهُوَ يُرِيدُ بِذَلِكَ غُسْلَ الْجُمُعَةِ فَإِنَّ ذَلِكَ الْغُسْلَ لَا يَجْزِي عَنْهُ حَتَّى يَغْتَسِلَ لِرَوَاحِهِ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ ৩৪-قَالَ مَالِك وَمَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مُعَجِّلًا أَوْ مُؤَخِّرًا وَهُوَ يَنْوِي بِذَلِكَ غُسْلَ الْجُمُعَةِ فَأَصَابَهُ مَا يَنْقُضُ وُضُوءَهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ إِلَّا الْوُضُوءُ وَغُسْلُهُ ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُ.

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ জুম’আর নামাযে আসতে ইচ্ছা করলে সে অবশ্য গোসল করবে। (বুখারী ৮৭৭, মুসলিম ৮৪৪)
মালিক (র) বলেছেন, জুম’আর দিন যে ব্যক্তি দিনের প্রারম্ভে গোসল করেছে, সে ঐ গোসলে জুম’আর গোসলের নিয়ত করেছে, তাঁর জন্য সেই গোসল জুম’আর জন্য যথেষ্ট হবে না যদি না সে জুম’আয় যাওয়ার জন্য পুনরায় গোসল করে; কারণ ইবনু উমার (রা)-এর হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ জুম’আয় আসার ইচ্ছা করলে সে অবশ্যই গোসল করবে।
/ পরিচ্ছেদঃ জুম’আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যা বর্ণিত হয়েছে

২২৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَدْ لَغَوْتَ.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন জুম’আর দিন ইমাম যখন খুতবা প্রদান করেন, তুমি তোমার সাথীকে (পার্শ্ববর্তী লোক) যদি বল, ‘চুপ থাকুন!’ তবে তুমি অলাভজনক কথা বললে। (বুখারী ৯৩৪, মুসলিম ৮৫১)

২২৭

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَأَى رَجُلَيْنِ يَتَحَدَّثَانِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَحَصَبَهُمَا أَنْ اصْمُتَا.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) দুই ব্যক্তিকে আলাপরত দেখলেন, তখন জুম’আর দিন এবং ইমাম খুতবা প্রদান করতেছিলেন। এটা দেখে তিনি দু’জনের দিকে কাঁকর নিক্ষেপ করলেন, এই মর্মে তোমরা চুপ হয়ে যাও। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২২৫

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ الْقُرَظِيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُمْ كَانُوا فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يُصَلُّونَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ حَتَّى يَخْرُجَ عُمَرُ فَإِذَا خَرَجَ عُمَرُ وَجَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنُونَ قَالَ ثَعْلَبَةُ جَلَسْنَا نَتَحَدَّثُ فَإِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُونَ وَقَامَ عُمَرُ يَخْطُبُ أَنْصَتْنَا فَلَمْ يَتَكَلَّمْ مِنَّا أَحَدٌ ৩৪৪-قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَخُرُوجُ الْإِمَامِ يَقْطَعُ الصَّلَاةَ وَكَلَامُهُ يَقْطَعُ الْكَلَامَ.

ইবনু শিহাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (সা’লাবা) তাঁর নিকট বর্ণনা করেন যে, উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফতকালে জুম’আর দিন তাঁরা উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আগমন করা পর্যন্ত নামায আদায় করতেন। উমার (রাঃ) আগমন করতেন এবং মিম্বরে বসতেন এবং মুয়াযযিনগণ আযান দিতেন। সা’লাবা (র) বলেছেন, আমরা তখনও পরস্পর কথাবার্তা বলতাম, মুয়াযযিনগণ যখন আযান শেষ করতেন এবং উমার (রাঃ) খুতবা পাঠ করার জন্য দাঁড়াতেন, তখন আমরা চুপ হয়ে যেতাম। অতঃপর পরে কেউ কোন কথা বলত না। ইবনু শিহাব (র) বলেছেন, (এতে বোঝা গেল) ইমামের আগমন নামাযকে নিষিদ্ধ করে দেয় এবং তাঁর কালাম (খুতবা) কথাবার্তাকে নিষিদ্ধ করে দেয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২২৬

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ قَلَّ مَا يَدَعُ ذَلِكَ إِذَا خَطَبَ إِذَا قَامَ الْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَاسْتَمِعُوا وَأَنْصِتُوا فَإِنَّ لِلْمُنْصِتِ الَّذِي لَا يَسْمَعُ مِنْ الْحَظِّ مِثْلَ مَا لِلْمُنْصِتِ السَّامِعِ فَإِذَا قَامَتْ الصَّلَاةُ فَاعْدِلُوا الصُّفُوفَ وَحَاذُوا بِالْمَنَاكِبِ فَإِنَّ اعْتِدَالَ الصُّفُوفِ مِنْ تَمَامِ الصَّلَاةِ ثُمَّ لَا يُكَبِّرُ حَتَّى يَأْتِيَهُ رِجَالٌ قَدْ وَكَّلَهُمْ بِتَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ فَيُخْبِرُونَهُ أَنْ قَدْ اسْتَوَتْ فَيُكَبِّرُ.

মালিক ইবনু আবি ‘আমীর (র) থেকে বর্ণিতঃ

উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) তাঁর খুতবায় বলতেন এবং তিনি যখনই খুতবা দিতেন, তখন প্রায় এটা বলতেন, জুম’আর দিন ইমাম খুতবার উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়ান, তখন তোমরা মনোযোগী হয়ে শুনবে এবং নীরব থাকবে। কেননা খুতবা শুনতে না পেয়েও যিনি নীরব রয়েছেন তাঁর জন্য সওয়াব হবে শুনতে পেয়ে নীরবতা অবলম্বনকারীর সমান।’ অতঃপর যখন নামাযের ইকামত বলা হয়, কাতার বরাবর করে নাও এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নাও। কেননা কাতার বরাবর করা নামাযের পূর্ণতার অংশবিশেষ। তারপর যতক্ষণ কাতার সোজা করার জন্য নিযুক্ত লোকজন এসে ‘সফ’ সোজা হয়েছে বলে সংবাদ না দিতেন, ততক্ষণ তিনি (নামাযের) তাকবীর বলতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

২২৮

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا عَطَسَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَشَمَّتَهُ إِنْسَانٌ إِلَى جَنْبِهِ فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ وَقَالَ لَا تَعُدْ ১১و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ الْكَلَامِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذَا نَزَلَ الْإِمَامُ عَنْ الْمِنْبَرِ قَبْلَ أَنْ يُكَبِّرَ فَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ.

মালিক (র)- থেকে বর্ণিতঃ

একবার) জুম’আর দিন এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়েছে, তখন ইমাম খুতবা পড়ছিলেন, তাঁর পাশ্ববর্তী এক ব্যক্তি হাঁচির উত্তরে ‘ইয়ারহামুকুল্লাহ’ বলল, তখন সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। অতঃপর তাকে নিষেধ করলেন এবং ভবিষ্যতে এইরূপ না করার জন্য বলে দিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (র) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন, জুম’আর দিন (তাকবীর বলার পূর্বে) যখন ইমাম মিম্বর হতে অবতরণ করেন, তখন কথা বলা সম্পর্কে তিনি ইবনু শিহাব (র)-কে প্রশ্ন করলেন, (উত্তরে) ইবনু শিহাব (র) বললেন, এতে কোন দোষ নেই। (হাদীসটি ইমাম মালিক (র) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
/ পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে এক রাক’আত পায় তার কি করা কর্তব্য

২২৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ أَدْرَكَ مِنْ صَلَاةِ الْجُمُعَةِ رَكْعَةً فَلْيُصَلِّ إِلَيْهَا أُخْرَى قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَهِيَ السُّنَّةُ قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ أَدْرَكْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَدْرَكَ مِنْ الصَّلَاةِ رَكْعَةً فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ ৩৫১قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يُصِيبُهُ زِحَامٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَيَرْكَعُ وَلَا يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يَسْجُدَ حَتَّى يَقُومَ الْإِمَامُ أَوْ يَفْرُغَ الْإِمَامُ مِنْ صَلَاتِهِ أَنَّهُ إِنْ قَدَرَ عَلَى أَنْ يَسْجُدَ إِنْ كَانَ قَدْ رَكَعَ فَلْيَسْجُدْ إِذَا قَامَ النَّاسُ وَإِنْ لَمْ يَقْدِرْ عَلَى أَنْ يَسْجُدَ حَتَّى يَفْرُغَ الْإِمَامُ مِنْ صَلَاتِهِ فَإِنَّهُ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَبْتَدِئَ صَلَاتَهُ ظُهْرًا أَرْبَعًا.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু শিহাব (র) বললেন, যে ব্যক্তি জুম’আর নামায এক রাক’আত পেল, সে উক্ত রাক’আতের সাথে আর এক রাক’আত মিলিয়ে নিবে। মালিক (র) বলেন, ইবনু শিহাব (র) বলেছেন, এইরূপ করাই সুন্নত। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন, তবে ======= অংশ ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন ৫৮০, মুসলিম ৬০৭)
ইয়াহইয়া (র) বলেন মালিক (র) বলেছেন আমি আমাদের শহরের (অর্থাৎ মদীনা মুনাওয়ারাহ্) উলামাদের অভিমতও অনুরূপ পেয়েছি; তা এই রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি নামাযের এক রাক‘আত পেয়েছে, সে (পূর্ণ) নামায পেয়েছে।
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম’আর দিন অত্যাধিক ভিড়ের সম্মুখীন হয় এবং রুকূ করে, অতঃপর ইমাম (সিজদা হতে) দাঁড়ানোর পর অথবা নামায সমাপ্ত করার পর সিজদা করতে সক্ষম হয়, তার হুকুম হল সে যদি সিজদা করতে সক্ষম হয় তবে সিজদা করার পর মুসল্লিগণ দাঁড়িয়ে গেলে তখন সে সিজদা করবে, আর যদি ইমাম কর্তৃক নামায শেষ করার পূর্বে সে সিজদা করতে না পারে, তবে আমার মতে যোহরের চার রাক’আত আরম্ভ করাই তার পক্ষে শ্রেয়।
/ পরিচ্ছেদঃ জুম’আর দিনে যার নকসীর হয় তার সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

২৩০

নির্ণীত নয়
قَالَ مَالِك مَنْ رَعَفَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَخَرَجَ فَلَمْ يَرْجِعْ حَتَّى فَرَغَ الْإِمَامُ مِنْ صَلَاتِهِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي أَرْبَعًا ৩৫৪قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَرْكَعُ رَكْعَةً مَعَ الْإِمَامِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ يَرْعُفُ فَيَخْرُجُ فَيَأْتِي وَقَدْ صَلَّى الْإِمَامُ الرَّكْعَتَيْنِ كِلْتَيْهِمَا أَنَّهُ يَبْنِي بِرَكْعَةٍ أُخْرَى مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ ৩৫৫قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى مَنْ رَعَفَ أَوْ أَصَابَهُ أَمْرٌ لَا بُدَّ لَهُ مِنْ الْخُرُوجِ أَنْ يَسْتَأْذِنَ الْإِمَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ.

ইয়াহইয়া (র) থেকে বর্ণিতঃ

জুম’আর দিন ইমামের খুতবা প্রদানের সময় যার ‘নকসীর’ [১] হয়েছে, তারপর সে (মসজিদ হতে) বের হয়ে গিয়েছে এবং সে ফিরে এসেছে এমন সময় যখন ইমাম নামায সমাপ্ত করেন, তবে সে চার রাক’আত আদায় করবে।
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম’আর দিন ইমামের সাথে এক রাক’আত আদায় করে, তারপর তার নকসীর হয়, (সে কারণে) সে বের হয়ে যায়, অতঃপর ইমাম কর্তৃক দু’ রাক’আত সমাপ্ত করার পর সে ফিরে আসে তবে সে ব্যক্তি আর এক রাক’আত আদায় করে নেবে, যদি কোন কথা না বলে থাকে।
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, যার নকসীর হয়েছে অথবা মসজিদ হতে বের হওয়ার জন্য কোন কারণ উপস্থিত হয়েছে, তবে তাকে বের হওয়ার জন্য ইমামের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে না।
[১] গরমের প্রকোপ বা অন্য কোন কারণে নাক দিয়ে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তাকে নকসীর বলা হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন