hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

১৫. কুরআন

موطأ مالك

১৫/ পরিচ্ছেদঃ কুরআন স্পর্শ করার জন্য ওযূর নির্দেশ

৪৫৫

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ ৬৮১-قَالَ مَالِك وَلَا يَحْمِلُ أَحَدٌ الْمُصْحَفَ بِعِلَاقَتِهِ وَلَا عَلَى وِسَادَةٍ إِلَّا وَهُوَ طَاهِرٌ وَلَوْ جَازَ ذَلِكَ لَحُمِلَ فِي خَبِيئَتِهِ وَلَمْ يُكْرَهْ ذَلِكَ لِأَنْ يَكُونَ فِي يَدَيْ الَّذِي يَحْمِلُهُ شَيْءٌ يُدَنِّسُ بِهِ الْمُصْحَفَ وَلَكِنْ إِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِمَنْ يَحْمِلُهُ وَهُوَ غَيْرُ طَاهِرٍ إِكْرَامًا لِلْقُرْآنِ وَتَعْظِيمًا لَهُ ৬৮২قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ { لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ } إِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ هَذِهِ الْآيَةِ الَّتِي فِي عَبَسَ وَتَوَلَّى قَوْلُ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى { كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ فَمَنْ شَاءَ ذَكَرَهُ فِي صُحُفٍ مُكَرَّمَةٍ مَرْفُوعَةٍ مُطَهَّرَةٍ بِأَيْدِي سَفَرَةٍ كِرَامٍ بَرَرَةٍ }.

আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বাকর ইবনু হাযম (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আমর ইবনু হাযমের কাছে যে পত্র লিখেছিলেন তাতে এটাও লিখিত ছিল যে, পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কুরআনকে যেন কেউ স্পর্শ না করে। (‘আমর বিন হাযেম (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি ইমাম হাকেম বর্ণনা করেছেন। ১/৫৫২, বাইহাকী, কুবরা ১/৮৭, হাদীসটি আল্লামা আলবানী সহীহ বলেছেন [ইরওয়া ১২২])
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, কুরআন শরীফকে জুয্বদান-এর ফিতা ধরে অথবা বালিশের উপর রেখে যেন উত্তোলন না করে, তবে পবিত্রতাবস্থায়।
যদি তা (ফিতা ধরে এবং বালিশের উপর কুরআন রেখে ওযূ ছাড়া স্পর্শ করা) যায়েজ হত, তবে জিলদকেও পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ করা যেত। আর এটা এই কারণে মাকরূহ করা হয়নি যে, যে ব্যক্তি কুরআন উঠাচ্ছে তার হাতে এমন কোন জিনিস আছে যাদ্বারা’ এটা অপরিষ্কার হয়ে যাবে। অপবিত্র অবস্থায় উহা উঠান মাকরূহ, এই হুকুম করা হয়েছে কুরআন শরীফের তাযীম ও সম্মানার্থে।
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন [১] , لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ এই আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে সর্বোত্তম যা আমি শুনেছি তা হল যেরূপ সূরা ‘আবাসা’তে ইরশাদ করা হয়েছে
كَلاَّ اِنَّهَا تَذْكِرَةٌ فَمَنْ شَاءِ ذَكَرَهُ فِى صُحُفٍ مُكَرَّمَةٍ مَرْفُوعَةٍ مُطَهَّرَةٍ .
এই প্রকার আচরণ অনুচিত, ইহা উপদেশবাণী; যে ইচ্ছা করবে সে ইহা স্মরণ রাখিবে। উহা আছে মহান উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন পবিত্র গ্রন্থে, মহান, পুতচরিত্র লিপিকারদের হস্তে। (৮০/১১-১৫)
[১] যারা পুত-পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেহ তা স্পর্শ করে না। (সূরা: ওযাক্বি‘য়াহ, ৭৯)
১৫/ পরিচ্ছেদঃ ওযূ ব্যতীত কুরআন পাঠে অনুমতি

৪৫৬

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ السَّخْتِيَانِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ فِي قَوْمٍ وَهُمْ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ فَذَهَبَ لِحَاجَتِهِ ثُمَّ رَجَعَ وَهُوَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَلَسْتَ عَلَى وُضُوءٍ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ مَنْ أَفْتَاكَ بِهَذَا أَمُسَيْلِمَةُ.

এক সময় উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

এমন এক সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিলেন, যারা কুরআন পাঠ করতেছিলেন, (ইতিমধ্যে) তিনি প্রস্রাব-পায়খানার আবশ্যকে গমন করলেন, পুনরায় প্রত্যাবর্তন করলেন এবং কুরআন পাঠ করতে শুরু করলেন। (এটা দেখে) এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, হে আমিরুল মু’মিনীন! আপনি (কুরআন) পাঠ করতেছেন অথচ আপনি বে-ওযূ। তখন উমার (রা) বললেন এইরূপ ফত্ওয়া কে দিয়েছে? মুসায়লামা কি? (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৫/ পরিচ্ছেদঃ তাহযিবুল কুরআন

৪৫৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ، مَنْ فَاتَهُ حِزْبُهُ مِنْ اللَّيْلِ فَقَرَأَهُ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ إِلَى صَلَاةِ الظُّهْرِ فَإِنَّهُ لَمْ يَفُتْهُ أَوْ كَأَنَّهُ أَدْرَكَهُ.

আবদুর রহমান ইবনু আবদিল কারী (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, উমার ইবনু খাত্তাব (রা) বলেন, যার রাত্রের (নির্দিষ্ট তিলাওয়াতের) অংশ ছুটে যায়, সে উহা যোহরের নামাযের পূর্ব পর্যন্ত (সময়ে) পড়ে নিবে; তবে তার সে ওযীফা যেন ছুটেনি (রাবী বলেন) অথবা তিনি বলেছেন, যেন তা পূর্ণ করেছে। (সহীহ, মুসলিম ৭৪৭)

৪৫৮

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ أَنَا وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ جَالِسَيْنِ فَدَعَا مُحَمَّدٌ رَجُلًا فَقَالَ أَخْبِرْنِي بِالَّذِي سَمِعْتَ مِنْ أَبِيكَ فَقَالَ الرَّجُلُ أَخْبَرَنِي أَبِي أَنَّهُ أَتَى زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَقَالَ لَهُ كَيْفَ تَرَى فِي قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي سَبْعٍ فَقَالَ زَيْدٌ حَسَنٌ وَلَأَنْ أَقْرَأَهُ فِي نِصْفٍ أَوْ عَشْرٍ أَحَبُّ إِلَيَّ وَسَلْنِي لِمَ ذَاكَ قَالَ فَإِنِّي أَسْأَلُكَ قَالَ زَيْدٌ لِكَيْ أَتَدَبَّرَهُ وَأَقِفَ عَلَيْهِ.

ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ও মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু হাব্বান (র) (এক জায়গায়) বসা ছিলাম। তারপর মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়া এক ব্যক্তিকে ডাকলেন এবং বললেন, আপনার পিতা হতে যা শুনেছেন তা আমার কাছে বলুন। সে ব্যক্তি বললেন, আমাকে আমার পিতা বলেছেন তিনি একবার যায়দ ইবনু সাবিত (রা)-এর কাছে গেলেন; তারপর তাঁকে বললেন, সাত দিনে কুরআন পাঠ (খতম) করা সম্বন্ধে আপনি কি মনে করেন? (উত্তরে) যায়দ (রা) বললেন, ভাল। কিন্তু পনর অথবা বিশ দিনে পাঠ (শেষ) করা আমার কাছে অতি পছন্দনীয়। আর তুমি এর কারণ কি জানতে চাইলে শোন (তিনি বললেন), এটা এজন্য যে, (কুরআনকে) থেমে থেমে পড়লে আমি কুরআনের মর্ম বোঝার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে পারব। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৫/ পরিচ্ছেদঃ কুরআন সম্পর্কীয় বর্ণনা

৪৬০

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّمَا مَثَلُ صَاحِبِ الْقُرْآنِ كَمَثَلِ صَاحِبِ الْإِبِلِ الْمُعَقَّلَةِ إِنْ عَاهَدَ عَلَيْهَا أَمْسَكَهَا وَإِنْ أَطْلَقَهَا ذَهَبَتْ.

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরআনওয়ালা রশিতে বাঁধা উটওয়ালার মত; যদি উহাকে তদারক করে, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে; আর যদি উহাকে ছেড়ে দেয়, তবে উহা চেপে যাবে। (বুখারী ৫০৩১, মুসলিম ৭৮৯)

৪৬২

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ أُنْزِلَتْ عَبَسَ وَتَوَلَّى فِي عَبْدِ اللهِ بْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ يَقُولُ يَا مُحَمَّدُ اسْتَدْنِينِي وَعِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ مِنْ عُظَمَاءِ الْمُشْرِكِينَ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرِضُ عَنْهُ وَيُقْبِلُ عَلَى الْآخَرِ وَيَقُولُ يَا أَبَا فُلَانٍ هَلْ تَرَى بِمَا أَقُولُ بَأْسًا فَيَقُولُ لَا وَالدِّمَاءِ مَا أَرَى بِمَا تَقُولُ بَأْسًا فَأُنْزِلَتْ عَبَسَ وَتَوَلَّى أَنْ جَاءَهُ الْأَعْمَى.

হিশাম ইবনু উরওয়াহ (র) তার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, عَبَسَ وَتَوَلَّى অবতীর্ণ করা হয়েছে আবদুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতুম (রা)-এর শানে। তিনি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলতে লাগলেনঃ হে মুহাম্মদ! আমাকে আপনার কাছে বসতে দিন, সে সময় নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে মুশরিকগণের নেতাদের একজন বড় নেতা উপস্থিত ছিল। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা হতে মনোযোগ ফিরিয়ে সে নেতা ব্যক্তির দিকে মনোনিবেশ করলেন এবং বলছিলেন হে আবূ ফুলান (অমুকের পিতা), আমি যা বলি তাতে কোন ত্রুটি দেখেছ কি? (উত্তরে) সে বলছিলঃ মূর্তির কসম, না, আপনি যা বলেন তাতে কোন প্রকার ত্রুটি দেখছি না। অতঃপর এই সূরা [১] عَبَسَ وَتَوَلَّى أَنْ جَاءَهُ الْأَعْمَى অবতীর্ণ হয়। (সহীহ, মুত্তাসিল, ইমাম তিরমিযী আয়েশা (রা) কর্তৃক হাদীসটি মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেছেন [তিরমিযী ৩৩৩১] আলবানী (রহ) হাদীসটি সহীহ বলেছেন)
[১] সে ভ্রুকুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল; কারণ তার কাছে এক অন্ধ এল। (সূরা: আবাসা, ১-২)
[২] আমরা তোমাদের জন্য অবধারিত করলাম প্রকাশ্য বিজয়। (ফাতহ, ১)

৪৫৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَؤُهَا وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْرَأَنِيهَا فَكِدْتُ أَنْ أَعْجَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَمْهَلْتُهُ حَتَّى انْصَرَفَ ثُمَّ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ فَجِئْتُ بِهِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَأْتَنِيهَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسِلْهُ ثُمَّ قَالَ اقْرَأْ يَا هِشَامُ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَكَذَا أُنْزِلَتْ ثُمَّ قَالَ لِي اقْرَأْ فَقَرَأْتُهَا فَقَالَ هَكَذَا أُنْزِلَتْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ.

আবদুর রহমান ইবনু আবদিল কারী (র) থেকে বর্ণিতঃ

আমি উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-কে বলতে শুনেছি হিশাম ইবনু হাকিম ইবনু হিযামকে সূরা আল-ফুরকান আমি যেভাবে পড়ে থাকি উহার ভিন্নরূপ পড়তে শুনলাম। অথচ রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সে সূরাটি পড়ায়েছেন। (আমি ক্রোধে) তাঁকে ধরবার উপক্রম করেছিলাম। কিন্তু নামায সমাপ্ত করা পর্যন্ত তাঁকে আমি সময় দিলাম। অতঃপর তাঁর চাদর দ্বারা আমি তাঁকে পেঁচিয়ে নিলাম। পরে তাঁকে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে নিয়ে এলাম এবং আরজ করলাম ইয়া রসূলাল্লাহ! সূরায়ে আল-ফুরকান আপনি আমাকে যেরূপ পড়ায়েছেন, আমি ইহাকে উহার ভিন্নরূপ পড়িতে শুনেছি। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তাঁকে ছেড়ে দাও। অতঃপর তাঁকে বললেন, তুমি পাঠ কর। তারপর আমি যেরূপ কিরাআত পড়িতে তাঁকে শুনেছি সে কিরাআতই তিনি পড়লেন। (এই কিরাআত শুনে) রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এইরূপ অবতীর্ণ করা হয়েছে। অতঃপর আমাকে (উদ্দেশ্য করে) বললেন, তুমি পড়। আমি তা (ফুরকান) পাঠ করলাম। তিনি বললেন, এইরূপ অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং কুরআন সাত অক্ষরের উপর নাযিল হয়েছে, ফলে তোমরা তা হতে যেটি সহজ হয় সেটি পাঠ কর। (বুখারী ২৪১৯, মুসলিম ৮১৮)

৪৬১

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ سَأَلَ رَسُولَ اللهِ كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْيُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْيَانًا يَأْتِينِي فِي مِثْلِ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَيَّ فَيَفْصِمُ عَنِّي وَقَدْ وَعَيْتُ مَا قَالَ وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِي الْمَلَكُ رَجُلًا فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ قَالَتْ عَائِشَةُ وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَنْزِلُ عَلَيْهِ فِي الْيَوْمِ الشَّدِيدِ الْبَرْدِ فَيَفْصِمُ عَنْهُ وَإِنَّ جَبِينَهُ لَيَتَفَصَّدُ عَرَقًا.

আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

(একবার) হারিস ইবনু হিশাম (রা) নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে প্রশ্ন করলেন আপনার কাছে ওহী কিরূপে আসে? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উত্তরে) বললেন, কখনও কখনও আমার কাছে (ওহী) আসে ঘণ্টাধ্বনির মত, এই (প্রকারের অবতীর্ণ) ওহী আমার উপর অতি কঠিন হয়। তারপর আমা হতে (এই অবস্থার) অবসান হয়, (এই দিকে) তিনি যা বলেছেন আমি তা হিফাযত করেছি। আর কোন কোন সময় ফেরেশতা কোন ব্যক্তির রূপ ধারণ করে আমার কাছে আসেন এবং আমার সাথে কথা বলেন, তিনি যা বলেন আমি তা হিফাযত করি।
আয়েশা (রা) বলেন, আমি অবশ্য রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি প্রচণ্ড শীতের দিনে তাঁর প্রতি ওহী অবতীর্ণ হচ্ছে। অতঃপর সেই অবস্থার অবসান হয়েছে, তখন তাঁর ললাট হতে ঘাম টপকাচ্ছে। (বুখারী ২, মুসলিম ২৩৩৩)

৪৬৩

সহিহ হাদিস
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلًا فَسَأَلَهُ عُمَرُ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ فَقَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ عُمَرُ نَزَرْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لَا يُجِيبُكَ قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي حَتَّى إِذَا كُنْتُ أَمَامَ النَّاسِ وَخَشِيتُ أَنْ يُنْزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي قَالَ فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ قَالَ فَجِئْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ هَذِهِ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ثُمَّ قَرَأَ إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا.

যায়দ ইবনু আসলাম (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সফরসমূহের কোন এক সফরে পথ চলছিলেন। রাত্রে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-ও তাঁর সাথে চলছিলেন। তখন উমার (রা) কোন বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলেন। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কোন উত্তর দিলেন না। উমার (রা) পুনরায় সওয়াল করলেন। কিন্তু তিনি তার জবাব দিলেন না। অতঃপর তাঁর কাছে (উমার) আবার সওয়াল করলেন, কিন্তু (এইবারও) তিনি তার জবাব দিলেন না। তখন উমার (রা) (মনে মনে) বললেন, উমার, তোমার মাতা তোমাকে হারিয়ে ফেলুন (এবং কাঁদতে থাকুন অর্থাৎ তোমার সর্বনাশ)। তুমি বিনয় সহকারে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে সওয়াল করলে, আর তিনি তোমাকে কোন জবাব দিলেন না।
উমার (রা) বলেন, তারপর আমার উটকে আমি চালিত করলাম, এমন কি আমি লোকের আগে আগে চলে গেলাম। আমি আশংকা করলাম আমার বিষয়ে কুরআন আবতীর্ণ হতে পারে। তারপর আমি (বেশিক্ষণ) অবস্থান করিনি, (হঠাৎ) এর উচ্চৈঃস্বরে আহ্বানকারী আমাকে ডাকছিল। তিনি (উমার) বলেন, আমি আশংকা করছিলাম আমার বিষয়ে হয় তো কুরআন নাযিল হয়েছে। (উমার) বলেন, অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলাম এবং সালাম করলাম। অতঃপর তিনি বললেন, অবশ্য এই রাত্রে আমার উপর একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে। নিঃসন্দেহে সে সূরাটি আমার কাছে অধিক প্রিয়, সে সব বস্তু অপেক্ষা যার উপর সূর্য উদিত হয়েছে। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا এই সূরাটি। (সহীহ, বুখারী ৪১৭৭)

৪৬৫

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ مَكَثَ عَلَى سُورَةِ الْبَقَرَةِ ثَمَانِيَ سِنِينَ يَتَعَلَّمُهَا.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) সূরা বাকারা শিক্ষা করতে আট বৎসর অতিবাহিত করেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

৪৬৪

সহিহ হাদিস
- و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَخْرُجُ فِيكُمْ قَوْمٌ تَحْقِرُونَ صَلَاتَكُمْ مَعَ صَلَاتِهِمْ وَصِيَامَكُمْ مَعَ صِيَامِهِمْ وَأَعْمَالَكُمْ مَعَ أَعْمَالِهِمْ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَلَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنْ الرَّمِيَّةِ تَنْظُرُ فِي النَّصْلِ فَلَا تَرَى شَيْئًا وَتَنْظُرُ فِي الْقِدْحِ فَلَا تَرَى شَيْئًا وَتَنْظُرُ فِي الرِّيشِ فَلَا تَرَى شَيْئًا وَتَتَمَارَى فِي الْفُوقِ.

আবূ সাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তোমাদের মধ্যে এক সম্প্রদায় বের হবে যারা তুচ্ছ মনে করবে তোমাদের নামাযকে তাদের নামাযের মুকাবেলায় এবং তোমাদের রোযাসমূহকে তাদের রোযার মুকাবেলায় এবং তোমাদের আমলসমূহকে তাদের আমলসমূহের মুকাবেলায়। তারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের গলদেশের নিচে যাবে না। তারা ধর্ম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকারকে ভেদ করে বের হয়ে যায়। তীরের ফলা দেখবে, তাতেও কোন কিছু দেখবে না, তীরের লাকড়ি দেখবে, সেখানেও কিছু দেখতে পাবে না, পালকের প্রতি লক্ষ করবে, পালকেও কিছু দেখবে না, ধনুকের ছিলার দিকে দেখবে, সেখানে কিছু রক্ত লেগেছে কিনা সন্দেহ করবে। (বুখারী ৫০৫৮, মুসলিম ১০৬৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন