hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

২৯. তালাক অধ্যায়

موطأ مالك

২৯/ পরিচ্ছেদঃ আল-বাত্তা [১] তালাকের বর্ণনা

[১] স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে এমন তালাক দেয়াকে তালাক-ই-আল-বাত্তা বলা হয়।

১১৪২

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ لَهُ الْبَتَّةُ مَا يَقُولُ النَّاسُ فِيهَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَقُلْتُ لَهُ كَانَ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ يَجْعَلُهَا وَاحِدَةً فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَوْ كَانَ الطَّلَاقُ أَلْفًا مَا أَبْقَتْ الْبَتَّةُ مِنْهَا شَيْئًا مَنْ قَالَ الْبَتَّةَ فَقَدْ رَمَى الْغَايَةَ الْقُصْوَى.

আবূ বাকর ইবউ হাযম (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু আবদুল ‘আযীয (র) তালাক-ই আল-বাত্তা সম্পর্কে লোকে কি বলে। [অর্থাৎ সাহাবা ও তাঁদের পরবর্তী উলামাগণের এ বিষয়ে কি অভিমত?] ইহা আবূ বাকর ইবন হাযমের কাছে জানতে চাইলে আবূ বাকর বললেন : আবান ইবউ উসমান উহাকে এক তালাক গণ্য করতেন। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয বললেন : তিনের পরিবর্তে তালাক এক হাজার হলেও তালাক-ই আল-বাত্তা উহার একটিও অবশিষ্ট রাখবে না। যে ব্যক্তি আল-বাত্তা বলল, সে শেষ সীমানায় তীর নিক্ষেপ করল। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১১৪০

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ إِنِّي طَلَّقْتُ امْرَأَتِي مِائَةَ تَطْلِيقَةٍ فَمَاذَا تَرَى عَلَيَّ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ طَلُقَتْ مِنْكَ لِثَلَاثٍ وَسَبْعٌ وَتِسْعُونَ اتَّخَذْتَ بِهَا آيَاتِ اللهِ هُزُوًا.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, এক ব্যক্তি ইবন আব্বাস (রা)-এর নিকট বলল : আমি আমার স্ত্রীকে একশত তালাক দিয়েছি। আমার সম্পর্কে এ বিষয়ে আপনার কি অভিমত ? ইবনু আব্বাস (রা) তাকে বললেন : তিন তালাক দ্বারা তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছ। অবশিষ্ট সাতান্নব্বই তালাক দ্বারা তুমি আল্লাহর আয়াত বিদ্রপ করেছ। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১১৪১

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ إِنِّي طَلَّقْتُ امْرَأَتِي ثَمَانِيَ تَطْلِيقَاتٍ فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَمَاذَا قِيلَ لَكَ قَالَ قِيلَ لِي إِنَّهَا قَدْ بَانَتْ مِنِّي فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ صَدَقُوا مَنْ طَلَّقَ كَمَا أَمَرَهُ اللهُ فَقَدْ بَيَّنَ اللهُ لَهُ وَمَنْ لَبَسَ عَلَى نَفْسِهِ لَبْسًا جَعَلْنَا لَبْسَهُ مُلْصَقًا بِهِ لَا تَلْبِسُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَنَتَحَمَّلُهُ عَنْكُمْ هُوَ كَمَا يَقُولُوْنَ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসঊদ (রা)-এর নিকট এসে বলল : আমি আমার স্ত্রীকে দুইশত তালাক দিয়েছি। ইবনু মাসঊদ (রা) বললেন : তোমাকে কি বলা হয়েছে? সে বলল : আমাকে জানান হয়েছে যে, আমার স্ত্রী আমার নিকট হতে পৃথক হয়ে গিয়েছে। ইবনু মাসঊদ (রা) বললেন : মুফতীগণ ঠিকই বলেছেন। যে আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক তালাক প্রদান করে তার হুকুম আল্লাহ বর্ণনা করেছেন। আর যে ব্যক্তি নিজের প্রতি কোন প্রকার সন্দেহজনক আচরণ করে আমরা তার সন্দেহ তার উপরই আরোপ করব। তোমরা নিজেদের প্রতি সন্দেহজনক আচরণ করো না, যাতে তোমাদের জন্য আমাদের বিপদে পড়তে হয়। মুফতীগণ যা বলেছেন তাই ফতওয়া (সিদ্ধান্ত)। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১১৪৩

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ كَانَ يَقْضِي فِي الَّذِي يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ أَنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ.

ইবনু শিহাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

কেউ নিজের স্ত্রীকে তালাক-ই আল-বাত্তা দিলে মারওয়ান ইবনু হাকাম (র) উহাতে তিন তালাক হয়েছে বলে ফতওয়া দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন : এই বিষয়ে যা আমি শুনেছি তন্মধ্যে এটাই আমার কাছে পছন্দীয়।
২৯/ পরিচ্ছেদঃ খালিয়্যা, বারিয়্যা এবং অনুরূপ অন্যান্য কিনায়া তালাকের জন্য প্রযোজ্য শব্দসমূহের বর্ণনা

১১৪৬

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ فِي الْخَلِيَّةِ وَالْبَرِيَّةِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا.

নাফি’ থেকে বর্ণিতঃ

বারিয়্যা এবং খালিয়্যা উভয় শব্দের প্রত্যেকটির দ্বারা তিন তালাক প্রযোজ্য হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১১৪৭

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّ رَجُلًا كَانَتْ تَحْتَهُ وَلِيدَةٌ لِقَوْمٍ فَقَالَ لِأَهْلِهَا شَأْنَكُمْ بِهَا فَرَأَى النَّاسُ أَنَّهَا تَطْلِيقَةٌ وَاحِدَةٌ.

কাসিম ইবনু মুহাম্মদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক গোত্রের দাসী এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিল। সে ব্যক্তি উক্ত দাসীর অভিভাবকদের বলল : আপনারা তার দায়িত্বভার গ্রহণ করুন। এটা দ্বারা লোকেরা এক তালাক প্রদান করেছে বলে অনুমান করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১১৪৫

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ كَانَ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ عَلَيَّ حَرَامٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে “তুমি আমার জন্য হারাম” এরূপ বলেছে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আলী ইবনু আবি তালিব (রা) বলেছেন যে, উহা তিন তালাক গণ্য হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন : এ বিষয়ে আমি যা শুনেছি তন্মধ্যে এটাই উত্তম।

১১৪৮

অন্যান্য
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ. قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবন শিহাব (র)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল : “আমি তোমার হতে দায়িত্বমুক্ত হয়েছি। তুমিও আমার হতে দায়িত্বমুক্ত।” এটা দ্বারা তালাক-ই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলল : “তুমি দায়িত্বমুক্ত” “তুমি আমা হতে পৃথক”। মালিক (র) বলেন : সে স্ত্রী যার সাথে সহবাস করা হয়েছে এরূপ হলে তবে তার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলোর দ্বারা তার উপর তিন তালাক বর্তাবে। আর যদি স্ত্রী এমন হয় যার সাথে সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হবে এবং তার কাছে জিজ্ঞেস করা হবে সে উপরিউক্ত বাক্যগুলো দ্বার এক তালাক উদ্দেশ্য করেছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করেছে বলে প্রকাশ করে তা হলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেয়া হবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হয়েছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসেবে অন্য লোকদের মতো একজন বলে গণ্য হবে। এর কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করা হয়েছে সে স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হতে পৃথক হবে না। আর যার সাথে সঙ্গম হয়নি সে স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হয়ে যায়।
মালিক (র) বলেছেন : এ বিষয়ে যা আমি শুনেছি তন্মধ্যে এটাই আমার কাছে উত্তম।

১১৪৪

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّهُ كُتِبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ مِنْ الْعِرَاقِ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِامْرَأَتِهِ حَبْلُكِ عَلَى غَارِبِكِ فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى عَامِلِهِ أَنْ مُرْهُ يُوَافِينِي بِمَكَّةَ فِي الْمَوْسِمِ فَبَيْنَمَا عُمَرُ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ إِذْ لَقِيَهُ الرَّجُلُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ عُمَرُ مَنْ أَنْتَ فَقَالَ أَنَا الَّذِي أَمَرْتَ أَنْ أُجْلَبَ عَلَيْكَ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ أَسْأَلُكَ بِرَبِّ هَذِهِ الْبَنِيَّةِ مَا أَرَدْتَ بِقَوْلِكَ حَبْلُكِ عَلَى غَارِبِكِ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ لَوْ اسْتَحْلَفْتَنِي فِي غَيْرِ هَذَا الْمَكَانِ مَا صَدَقْتُكَ أَرَدْتُ بِذَلِكَ الْفِرَاقَ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ هُوَ مَا أَرَدْتَ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

ইরাক হতে ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-এর নিকট লেখা হল যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলেছে حَبْلُكِ عَلَى غَارِبِكِ [তোমার রজ্জু তোমার ঘাড়ে] ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রা) তার নিযুক্ত ইরাকের প্রশাসকের নিকট পত্র লিখলেন হজ্জ মওসুমে সে ব্যক্তিকে আমার সাথে মিলিত হতে নির্দেশ দাও। উমার যখন বায়তুল্লাহর তওয়াফ করেছিলেন তখন এক ব্যক্তি তাঁর সম্মুখে এসে সালাম করল। ‘উমার বললেন, তুমি কে? সে ব্যক্তি বলল, আমি সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তিকে আপনার নিকট (হজ্জ মওসুমে) উপস্থিত হতে নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। তারপর ‘উমার (রা) বললেন, এই (পবিত্র কাবা) গৃহের মালিকের কসম দিয়ে তোমাকে আমি প্রশ্ন করছি যে, তুমি তোমার সেই বক্তব্য حَبْلُكِ عَلَى غَارِبِكِ হবে এর দ্বারা কি উদ্দেশ্য করেছ? সেই ব্যক্তি বলল, এই স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও আপনি আমাকে হলফ করালে আমি সত্য কথা বলতাম না। আমি (এই বক্তব্য দ্বারা স্ত্রীকে) বিদায় (দেয়া)-এর নিয়্যত করেছি। ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রা) বললেন, তুমি যা নিয়্যত করেছ তাই। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
২৯/ পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদানের বর্ণনা

১১৪৯

অন্যান্য
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي جَعَلْتُ أَمْرَ امْرَأَتِي فِي يَدِهَا فَطَلَّقَتْ نَفْسَهَا فَمَاذَا تَرَى فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ أُرَاهُ كَمَا قَالَتْ، فَقَالَ الرَّجُلُ لَا تَفْعَلْ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ أَنَا أَفْعَلُ أَنْتَ فَعَلْتَهُ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রা)-এর কাছে এসে বলল : হে আবূ আবদুর রহমান! আমি আমার স্ত্রীর হস্তে তার অধিকার ন্যস্ত করেছি। সে নিজকে তালাক প্রদান করেছে : এই বিষয়ে আপনার কি অভিমত? ইবনু ‘উমার (রা) বললেন : আমার মতে যেমন বলেছে তেমন হবে। সে ব্যক্তি বলল : হে আবূ আবদুর রহমান! এরূপ করবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইবনু উমার বললেন : আমি করিতেছি, না তুমি করেছ (অর্থাৎ স্ত্রীর হাতে ক্ষমতা প্রদান করলে কেন)?

১১৫০

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ: إِذَا مَلَّكَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَالْقَضَاءُ مَا قَضَتْ بِهِ إِلَّا أَنْ يُنْكِرَ عَلَيْهَا وَيَقُولُ لَمْ أُرِدْ إِلَّا وَاحِدَةً فَيَحْلِفُ عَلَى ذَلِكَ وَيَكُونُ أَمْلَكَ بِهَا مَا كَانَتْ فِي عِدَّتِهَا.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আব্দুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বলতেন : যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে (তালাকের) ক্ষমতা প্রদান করে তবে (এক বা একাধিক তালাকের ব্যাপারে) স্ত্রীর ফয়সালাই ফয়সালা। হ্যাঁ, সে যদি উহা অস্বীকার করে এবং বলে, আমি এক তালাক ছাড়া অন্য কিছু উদ্দেশ্য করিনি এবং সেই মতে সে হলফ করেও বলে, তবে ইদ্দতের সময়ের মধ্যে স্ত্রীর অধিকার বিবেচিত হবে স্বামী (অর্থাৎ ইচ্ছা করলে স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে)। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
২৯/ পরিচ্ছেদঃ যে অধিকার প্রদানে এক তালাক ওয়াজিব হয়

১১৫১

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ سَعِيدِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فَأَتَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَتِيقٍ وَعَيْنَاهُ تَدْمَعَانِ فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ مَا شَأْنُكَ فَقَالَ مَلَّكْتُ امْرَأَتِي أَمْرَهَا فَفَارَقَتْنِي فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ مَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ قَالَ الْقَدَرُ فَقَالَ زَيْدٌ ارْتَجِعْهَا إِنْ شِئْتَ فَإِنَّمَا هِيَ وَاحِدَةٌ وَأَنْتَ أَمْلَكُ بِهَا.

খারিজা ইবনু যায়দ ইবনু সাবিত (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি যায়দ ইবনু সাবিত (রা)-এর কাছে বসা ছিলেন। এই সময় তার কাছে মুহাম্মাদ ইবনু আবী আতীক এলেন। তার চক্ষুদ্বয় অশ্র“সিক্ত ছিল, যায়দ তাঁর উদ্দেশ্যে বললেন : তোমার ব্যাপার কি? তিনি বললেন : আমার স্ত্রীকে আমি ক্ষমতা প্রদান করেছিলাম। সে আমাকে পরিত্যাগ করেছে। যায়দ বললেন : এইরূপ ক্ষমতা কি জন্য প্রদান করলে? তিনি বললেন : তকদীর। যায়দ বললেন : তুমি স্ত্রীর দিকে প্রত্যাবর্তন কর যদি তোমার ইচ্ছা হয়, কারণ উহা এক তালাক মাত্র। তুমি সেই স্ত্রীর অধিক হকদার। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১১৫২

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ رَجُلًا مِنْ ثَقِيفٍ مَلَّكَ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَقَالَتْ أَنْتَ الطَّلَاقُ فَسَكَتَ ثُمَّ قَالَتْ أَنْتَ الطَّلَاقُ فَقَالَ بِفِيكِ الْحَجَرُ ثُمَّ قَالَتْ أَنْتَ الطَّلَاقُ فَقَالَ بِفَاكِ الْحَجَرُ فَاخْتَصَمَا إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَاسْتَحْلَفَهُ مَا مَلَّكَهَا إِلَّا وَاحِدَةً وَرَدَّهَا إِلَيْهِ قَالَ مَالِك قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَكَانَ الْقَاسِمُ يُعْجِبُهُ هَذَا الْقَضَاءُ وَيَرَاهُ أَحْسَنَ مَا سَمِعَ فِي ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ وَأَحَبُّهُ إِلَيَّ.

কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ ইবন আবী বাকর (র) থেকে বর্ণিতঃ

সাকীফ গোত্রের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে (তালাকের) ক্ষমতা প্রদান করল। সেই স্ত্রী বলল : তোমাকে তালাক। স্বামী চুপ রইল। স্ত্রী পুনরায় বলল : তোমাকে তালাক। সে ব্যক্তি বলল : তোমার মুখে প্রস্তর (পতিত হোক)। স্ত্রী পুনরায় বলল : তোমাকে তালাক। সে বলল : তোমার মুখে পাথর। উভয়ে বিচার প্রার্থী হয়ে মারওয়ান ইবন হাকামের কাছে উপস্থিত হল। মারওয়ান স্বামীর নিকট হতে এই বিষয়ে হলফ তলব করল যে, সে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রয়োগের দ্বারা এক তালাক ব্যতীত অন্য কিছু উদ্দেশ্য করেনি। অতঃপর স্ত্রীকে তার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন : ‘আবদুর রহমান (র) বলেছেন : কাসিম (র) এই ফয়সালা খুব পছন্দ করতেন এবং এই বিষয়ে যা শুনেছেন তন্মধ্যে এটাকে উত্তম বলে গণ্য করতেন।
মালিক (র) বলেন : আমি এই বিষয়ে যা শুনেছি তন্মধ্যে এটাই সর্বোত্তম এবং আমার নিকট সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন