hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

৩৮. গোলাম আযাদ করা এবং স্বত্বাধিকার

موطأ مالك

৩৮/ পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি গোলাম বা বাঁদীর মধ্যে তার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে তার মাসআলা

১৪৬০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْعَبْدِ يُعْتِقُ سَيِّدُهُ مِنْهُ شِقْصًا ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ نِصْفَهُ أَوْ سَهْمًا مِنْ الْأَسْهُمِ بَعْدَ مَوْتِهِ أَنَّهُ لَا يَعْتِقُ مِنْهُ إِلَّا مَا أَعْتَقَ سَيِّدُهُ وَسَمَّى مِنْ ذَلِكَ الشِّقْصِ وَذَلِكَ أَنَّ عَتَاقَةَ ذَلِكَ الشِّقْصِ إِنَّمَا وَجَبَتْ وَكَانَتْ بَعْدَ وَفَاةِ الْمَيِّتِ وَأَنَّ سَيِّدَهُ كَانَ مُخَيَّرًا فِي ذَلِكَ مَا عَاشَ فَلَمَّا وَقَعَ الْعِتْقُ لِلْعَبْدِ عَلَى سَيِّدِهِ الْمُوصِي لَمْ يَكُنْ لِلْمُوصِي إِلَّا مَا أَخَذَ مِنْ مَالِهِ وَلَمْ يَعْتِقْ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ لِأَنَّ مَالَهُ قَدْ صَارَ لِغَيْرِهِ فَكَيْفَ يَعْتِقُ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ عَلَى قَوْمٍ آخَرِينَ لَيْسُوا هُمْ ابْتَدَءُوا الْعَتَاقَةَ وَلَا أَثْبَتُوهَا وَلَا لَهُمْ الْوَلَاءُ وَلَا يَثْبُتُ لَهُمْ وَإِنَّمَا صَنَعَ ذَلِكَ الْمَيِّتُ هُوَ الَّذِي أَعْتَقَ وَأُثْبِتَ لَهُ الْوَلَاءُ فَلَا يُحْمَلُ ذَلِكَ فِي مَالِ غَيْرِهِ إِلَّا أَنْ يُوصِيَ بِأَنْ يَعْتِقَ مَا بَقِيَ مِنْهُ فِي مَالِهِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَازِمٌ لِشُرَكَائِهِ وَوَرَثَتِهِ وَلَيْسَ لِشُرَكَائِهِ أَنْ يَأْبَوْا ذَلِكَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ لِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى وَرَثَتِهِ فِي ذَلِكَ ضَرَرٌ. قَالَ مَالِك وَلَوْ أَعْتَقَ رَجُلٌ ثُلُثَ عَبْدِهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَتَّ عِتْقَهُ عَتَقَ عَلَيْهِ كُلُّهُ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لِأَنَّ الَّذِي يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لَوْ عَاشَ رَجَعَ فِيهِ وَلَمْ يَنْفُذْ عِتْقُهُ وَأَنَّ الْعَبْدَ الَّذِي يَبِتُّ سَيِّدُهُ عِتْقَ ثُلُثِهِ فِي مَرَضِهِ يَعْتِقُ عَلَيْهِ كُلُّهُ إِنْ عَاشَ وَإِنْ مَاتَ عَتَقَ عَلَيْهِ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّ أَمْرَ الْمَيِّتِ جَائِزٌ فِي ثُلُثِهِ كَمَا أَنَّ أَمْرَ الصَّحِيحِ جَائِزٌ فِي مَالِهِ كُلِّهِ.

আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি গোলামের মধ্যে তার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে দেয় এবং তার রয়েছে মাল (সঙ্গতি) যা গোলামের মূল্য পরিমাণ হবে, তবে তার উদ্দেশ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মূল্য নিরুপণ করা হবে, অতঃপর শরীকদেরকে তাদের স্ব-স্ব অংশ দেয়া হবে এবং তার পক্ষ হতে গোলাম আযাদ হয়ে যাবে। নতুবা [অর্থাৎ গোলামের মূল্য পরিমাণ অর্থ আযাদকারীর নিকট না থাকলে] যতটুকুর সে স্বত্বাধিকারী তার সেই অংশ আযাদ হয়েছে। (বুখারী ২৫২২, মুসলিম ১০৫১)
মালিক (র) বলেন গোলামের ব্যাপারে আমাদের নিকট যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত মত তা হচ্ছে এই যে, গোলামের কর্তা তার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা অর্ধেক অংশ হতে যে কোন অংশ আযাদ করেছে তার মৃত্যুর পর [অর্থাৎ জীবিতাবস্থায় বলেছে যে তার মৃত্যুর পর গোলামের সেই অংশ আযাদ হবে] তবে কর্তা যতটুকু আযাদ করেছে এবং যেই পরিমাণ অংশ নির্দিষ্ট করেছে গোলাম-এর সেই পরিমাণ অংশই আযাদ হবে। কারণ এই নির্ধারিত পরিমাণ বা অংশের আযাদী ওয়াজিব হয়েছে কর্তার মৃত্যুর পর। পক্ষান্তরে তার কর্তা জীবিত থাকতে এই ব্যাপারে তার ইখতিয়ার ছিল। [অর্থ দ্বারা ক্রয় করে অবশিষ্ট অংশ আযাদ করার ইখতিয়ারও তার ছিল।] যখন ওসীয়্যতকারী কর্তার ওসীয়্যত অনুসারে গোলাম মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছে, তবে ওসীয়্যতকারীর অধিকার শুধু সেই অংশে, যেই অংশ তিনি আযাদ করার জন্য নির্দিষ্ট করেছেন, কারণ এ নির্ধারিত অংশ তাঁর নিজস্ব সম্পদ। কাজেই গোলামের অবশিষ্ট অংশ আযাদ হয়নি। কারণ তার মালে এখন অন্যের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য লোকের পক্ষ হতে কিরূপে আযাদ করা হবে? যারা প্রথম আযাদ করেনি, যারা তাকে স্বীকৃতি প্রদান করেনি, আর যারা স্বত্বেরও অধিকারী নয় ও স্বত্ব তাদের জন্য প্রমাণিতও হয়নি। এটা করেছেন মৃত ব্যক্তি- সেই আযাদ করেছে এবং স্বত্বাধিকার ও তার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। কাজেই অন্য কারো মালের উপর এই (গোলামের বাকী অংশ আযাদ করার) বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না। অবশ্য সে যদি গোলামের অবশিষ্ট অংশ তার মাল হতে আযাদ করার জন্য ওসীয়্যত করে থাকে, তবে তার শরীক ও ওয়ারীসানদের উপর উহা জরুরী হবে। শরীকগণ এটা অস্বীকার করতে পারবে না। ইহা প্রযোজ্য হবে মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ মাল হতে। কারণ এতে ওয়ারিসানদের কোন ক্ষতি নেই।
মালিক (র) বলেন যদি কোন ব্যক্তি পীড়িত অবস্থায় তার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করে এবং সে আযাদ করেছে পরিষ্কারভাবে। তবে সে ক্রীতদাসের সম্পূর্ণ আযাদ হবে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হতে। কারণ এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তির মতো নয়, যে তার মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করেছে, কারণ সে ব্যক্তি মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিতেছে, সে জীবিত থাকলে উহা হতে ফিরে যেতে পারে, আযাদী কার্যকর নাও করতে পারে। [এটা হচ্ছে ওসীয়্যত, ওসীয়্যতে রুজু করার ইখতিয়ার থাকে অর্থাৎ ওসীয়্যত হতে প্রত্যাবর্তনের স্বাধীনতা থাকে।]
আর যে ক্রীতদাসের কর্তা পীড়িতাবস্থায় উহার এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করেছে পরিষ্কাররূপে, সে জীবিত থাকলে গোলাম পূর্ণ আযাদী লাভ করবে, আর মৃত্যু হলে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হতে তাকে আযাদ করা হবে। এর কারণ এই যে, মৃত ব্যক্তির নির্দেশ কার্যকর হয় তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে, যেমন সুস্থ ব্যক্তির নির্দেশ কার্যকর হবে তার সম্পূর্ণ সম্পদের মধ্যে।
৩৮/ পরিচ্ছেদঃ আযাদীপ্রদানে শর্তারোপ

১৪৬১

নির্ণীত নয়
قَالَ مَالِك مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا لَهُ فَبَتَّ عِتْقَهُ حَتَّى تَجُوزَ شَهَادَتُهُ وَتَتِمَّ حُرِّيَّتُهُ وَيَثْبُتَ مِيرَاثُهُ فَلَيْسَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا يَشْتَرِطُ عَلَى عَبْدِهِ مِنْ مَالٍ أَوْ خِدْمَةٍ وَلَا يَحْمِلَ عَلَيْهِ شَيْئًا مِنْ الرِّقِّ لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ. قَالَ مَالِك فَهُوَ إِذَا كَانَ لَهُ الْعَبْدُ خَالِصًا أَحَقُّ بِاسْتِكْمَالِ عَتَاقَتِهِ وَلَا يَخْلِطُهَا بِشَيْءٍ مِنْ الرِّقِّ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি তার দাসকে আযাদ করেছে এবং পরিষ্কারভাবে আযাদ করেছে। যেমন সে ক্রীতদাসের সাক্ষ্য বৈধ হয়, তার স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তার আযাদী পূর্ণতা লাভ করে, তবে গোলামের উপর যেরূপ শর্তারোপ করা হয় তার কর্তা তার উপর অনুরূপ কোন শর্তারোপ করতে পারবে না এবং উহার উপর গোলামির কোন কিছু চাপাতেও পারবে না। কারণ রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি গোলাম হতে তার অংশ আযাদ করেছে তার উপর সেই গোলামের (অবশিষ্ট অংশের) মূল্য ধার্য করা হবে। তারপর শরীকদেরকে তাদের অংশ প্রদান করা হবে, এবং তার পক্ষ হতে গোলাম পূর্ণরূপে আযাদ হয়ে যাবে।
মালিক (র) বলেন যদি গোলামে অন্য কারো অংশ না থাকে, তবে আযাদী পূর্ণ করার জন্য তিনি অধিক হকদার হবে এবং সেই আযাদীতে কোন প্রকার দাসত্ব মিশ্রিত থাকবে না।
৩৮/ পরিচ্ছেদঃ যে লোক ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী আযাদ করেছে, উহা ব্যতীত তার অন্য কোন মাল নেই তার বিবরণ

১৪৬২

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ رَجُلًا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَ عَبِيدًا لَهُ سِتَّةً عِنْدَ مَوْتِهِ فَأَسْهَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمْ فَأَعْتَقَ ثُلُثَ تِلْكَ الْعَبِيدِ قَالَ مَالِك وَبَلَغَنِي أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِذَلِكَ الرَّجُلِ مَالٌ غَيْرُهُمْ.

হাসান ইব্নু আবিল-হাসান বাসরী ও মুহাম্মাদ ইব্নু সীরীন (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক ব্যক্তি মৃত্যুর সময় তার ছয়জন ক্রীতদাসকে আযাদ করল। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্যে (নির্বাচনের উদ্দেশ্যে) লটারির ব্যবস্থা করলেন এবং (লটারির মাধ্যমে) সেই ক্রীতদাসদের মধ্য হতে এক-তৃতীয়াংশ (অর্থাৎ দুইজন) আযাদ করে দিলেন। (সহীহ, ইমাম মুসলিম ১৬৬৮, ইমরান বিন হুসাইন (রা) থেকে বর্ণনা করেন তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)

১৪৬৩

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَجُلًا فِي إِمَارَةِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ أَعْتَقَ رَقِيقًا لَهُ كُلَّهُمْ جَمِيعًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ فَأَمَرَ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ بِتِلْكَ الرَّقِيقِ فَقُسِمَتْ أَثْلَاثًا ثُمَّ أَسْهَمَ عَلَى أَيِّهِمْ يَخْرُجُ سَهْمُ الْمَيِّتِ فَيَعْتِقُونَ فَوَقَعَ السَّهْمُ عَلَى أَحَدِ الْأَثْلَاثِ فَعَتَقَ الثُّلُثُ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهِ السَّهْمُ.

রবিয়া ইব্নু আবদির রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবান ইব্নু উসমান (র)-এর শাসনকালে এক ব্যক্তি তার সব কয়টি গোলামকে আযাদ করে দিল, তার আর কোন মাল ছিল না সেই ক্রীতদাসগুলো ছাড়া। আবান ইব্নু উসমানের নির্দেশে সব ক্রীতদাসকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হল। তারপর লটারি দেয়া হল মৃত ব্যক্তির অংশ যেই ভাগে বাহির হবে সেই ভাগের ক্রীতদাসদেরকে আযাদ করা হবে। তিন অংশের মধ্য হতে এক অংশের উপর লটারি উঠল, ফলে যেই এক-তৃতীয়াংশের উপর লটারি উঠল সে অংশ আযাদ হল। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৮/ পরিচ্ছেদঃ ক্রীতদাস আযাদ হলে তার মাল কার প্রাপ্য হবে তার মাসআলা

১৪৬৪

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ مَضَتْ السُّنَّةُ أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا أُعْتِقَ تَبِعَهُ مَالُهُ قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا أُعْتِقَ تَبِعَهُ مَالُهُ أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا كُوتِبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَإِنْ لَمْ يَشْتَرِطْهُ الْمُكَاتِبُ وَذَلِكَ أَنَّ عَقْدَ الْكِتَابَةِ هُوَ عَقْدُ الْوَلَاءِ إِذَا تَمَّ ذَلِكَ وَلَيْسَ مَالُ الْعَبْدِ وَالْمُكَاتَبِ بِمَنْزِلَةِ مَا كَانَ لَهُمَا مِنْ وَلَدٍ إِنَّمَا أَوْلَادُهُمَا بِمَنْزِلَةِ رِقَابِهِمَا لَيْسُوا بِمَنْزِلَةِ أَمْوَالِهِمَا لِأَنَّ السُّنَّةَ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا عَتَقَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَلَمْ يَتْبَعْهُ وَلَدُهُ وَأَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا كُوتِبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَلَمْ يَتْبَعْهُ وَلَدُهُ. قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ وَالْمُكَاتَبَ إِذَا أَفْلَسَا أُخِذَتْ أَمْوَالُهُمَا وَأُمَّهَاتُ أَوْلَادِهِمَا وَلَمْ تُؤْخَذْ أَوْلَادُهُمَا لِأَنَّهُمْ لَيْسُوا بِأَمْوَالٍ لَهُمَا. قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا بِيعَ وَاشْتَرَطَ الَّذِي ابْتَاعَهُ مَالَهُ لَمْ يَدْخُلْ وَلَدُهُ فِي مَالِهِ. قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا جَرَحَ أُخِذَ هُوَ وَمَالُهُ وَلَمْ يُؤْخَذْ وَلَدُهُ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

শিহাব (র)-কে বলতে শুনেছেন, এটা প্রচলিত সুন্নাত (নিয়ম) যে, ক্রীতদাস আযাদ হলে মাল তার পশ্চাদগামী হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন আরও স্পষ্ট করে এই দৃষ্টান্তটি বলা যায় যে, ক্রীতদাস আযাদ হলে তার মালও তার সাথে থাকবে, কারণ মুকাতাব (যাকে মালের বিনিময়ে আযাদী প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে)-কে (মালের বিনিময়ে) আযাদীর প্রতিশ্রুতি দেয়া হলে তবে শর্ত না করলেও মাল তারই থাকবে। এটা এই জন্য যে, কিতাবতের কার্য পূর্ণতা লাভ করলে (অর্থাৎ অর্থ আদায় করলে) উহা হুবহু স্বত্বাধিকার-এর চুক্তির মতো গণ্য হবে, যেমন ক্রীতদাসকে আযাদ করে দিলে সে স্বত্বাধিকার লাভ করে তদ্রুপ বদলে কিতাবত (আযাদীর জন্য নির্ধারিত অর্থ) আদায় করলে ক্রীতদাস আযাদ হয়ে যায় এবং তার সম্পদের স্বত্বাধিকারী সে নিজেই হবে। আর ক্রীতদাস ও মুকাতাব-এর সম্পদ তাদের সন্তান-সন্ততির মতো নয়, কারণ তাদের সন্তানগণ তাদেরই মতো (কর্তাগণ তাদের মালিক বটে) তারা তাদের সম্পদের মতো নয় অর্থাৎ সম্পদের মতো ক্রীতদাস ও মুকাতাব দাস সন্তানদের মালিক হবে না। কারণ নিয়ম এই, যেই নিয়মে কোন দ্বিমত নেই অর্থাৎ ক্রীতদাস আযাদ হলে তার মাল তার পশ্চাদানুসরণ করবে, কিন্তু সন্তান তার পশ্চাদগামী হবে না। আর মুকাতাব-এর সাথে যখন কিতাবত করা হয়, তখন তার মালও তার পশ্চাদানুসরণ করবে, কিন্তু তার সন্তান তার পশ্চাদগামী হবে না।
মালিক (র) বলেন যা একে আরও স্পষ্ট করে তা হল, ক্রীতদাস ও মুকাতাব তারা উভয়ে দেউলিয়া হলে তাদের সম্পদ ও তাদের উম্মে ওয়ালাদগণকে গ্রহণ করা হবে কিন্তু তাদের সন্তানগণকে বিনিময়ে গ্রহণ করা হবে না। কারণ সন্তান তাদের মাল নয়।
মালিক (র) বলেন আর একটি দৃষ্টান্ত একে স্পষ্ট করে তোলে। তা হল, যদি ক্রীতদাসকে এই শর্তে বিক্রয় করা হয় যে তার মাল ক্রেতা পাবে, তবে ক্রীতদাসের সন্তান মালের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
মালিক (র) বলেন আরও যে দৃষ্টান্ত একে স্পষ্ট করে তা হল এই যে, ক্রীতদাস কাউকেও জখম করলে, ক্রীতদাস ও উহার মাল বিনিময়ে নেয়া হবে, কিন্তু (বিনিময়ে) সন্তানকে গ্রহণ করা হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন