hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুয়াত্তা ইমাম মালিক

৩২. শরীকী কারবার করা অধ্যায়

موطأ مالك

৩২/ পরিচ্ছেদঃ কিরায [১] সম্পর্কে রেওয়ায়ত

[১] কিরায ও মুযারাবা একই অর্থে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ শরীকী কারবার করা। একজনের শ্রম অন্যজনের টাকা। মুনাফা উভয়ে ভাগ করে নিবে।

১৩৭০

নির্ণীত নয়
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أَعْطَاهُ مَالًا قِرَاضًا يَعْمَلُ فِيهِ عَلَى أَنَّ الرِّبْحَ بَيْنَهُمَا.

আলা ইবন আবদির রহমান তার পিতার মধ্যস্থতায় তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ

উসমান ইবন আফফান (রা) তাকে কিয়ায বা মুযারাবার উপর মাল দিয়েছিলেন যে, সে পরিশ্রম করবে আর মুনাফা উভয়ে ভাগ করে নিবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৩৬৯

নির্ণীত নয়
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ خَرَجَ عَبْدُ اللهِ وَعُبَيْدُ اللهِ ابْنَا عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي جَيْشٍ إِلَى الْعِرَاقِ فَلَمَّا قَفَلَا مَرَّا عَلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ وَهُوَ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ فَرَحَّبَ بِهِمَا وَسَهَّلَ ثُمَّ قَالَ لَوْ أَقْدِرُ لَكُمَا عَلَى أَمْرٍ أَنْفَعُكُمَا بِهِ لَفَعَلْتُ ثُمَّ قَالَ بَلَى هَاهُنَا مَالٌ مِنْ مَالِ اللهِ أُرِيدُ أَنْ أَبْعَثَ بِهِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَأُسْلِفُكُمَاهُ فَتَبْتَاعَانِ بِهِ مَتَاعًا مِنْ مَتَاعِ الْعِرَاقِ ثُمَّ تَبِيعَانِهِ بِالْمَدِينَةِ فَتُؤَدِّيَانِ رَأْسَ الْمَالِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَيَكُونُ الرِّبْحُ لَكُمَا فَقَالَا وَدِدْنَا ذَلِكَ فَفَعَلَ وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُمَا الْمَالَ فَلَمَّا قَدِمَا بَاعَا فَأُرْبِحَا فَلَمَّا دَفَعَا ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ قَالَ أَكُلُّ الْجَيْشِ أَسْلَفَهُ مِثْلَ مَا أَسْلَفَكُمَا قَالَا لَا فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ابْنَا أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَأَسْلَفَكُمَا أَدِّيَا الْمَالَ وَرِبْحَهُ فَأَمَّا عَبْدُ اللهِ فَسَكَتَ وَأَمَّا عُبَيْدُ اللهِ فَقَالَ مَا يَنْبَغِي لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَذَا لَوْ نَقَصَ هَذَا الْمَالُ أَوْ هَلَكَ لَضَمِنَّاهُ فَقَالَ عُمَرُ أَدِّيَاهُ فَسَكَتَ عَبْدُ اللهِ وَرَاجَعَهُ عُبَيْدُ اللهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ جُلَسَاءِ عُمَرَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ جَعَلْتَهُ قِرَاضًا فَقَالَ عُمَرُ قَدْ جَعَلْتُهُ قِرَاضًا فَأَخَذَ عُمَرُ رَأْسَ الْمَالِ وَنِصْفَ رِبْحِهِ وَأَخَذَ عَبْدُ اللهِ وَعُبَيْدُ اللهِ ابْنَا عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ نِصْفَ رِبْحِ الْمَالِ.

যায়দ ইবন আসলাম (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবন খাত্তাব (রা)-এর দুই পুত্র আবদুল্লাহ্ ও উবায়দুল্লাহ্ জিহাদের উদ্দেশ্যে এক কাফেলার সাথে ইরাক যাত্রা করলেন। ফিরবার সময় তাঁরা আবূ মূসা আশ’আরী (রা)-এর নিকট গেলেন। তিনি তখন বসরার আমীর ছিলেন। তিনি তাঁদের স্বাগতম জানিয়ে বললেন, যদি আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারতাম তা হলে নিশ্চয়ই তা করতাম। ঠিক আছে আমার নিকট আল্লাহর কিছু সম্পদ রয়েছে, আমি তা আমীরুল মু’মিনীনের নিকট পাঠাতে ইচ্ছা করেছি। আমি উহা তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি। তোমরা উহা দ্বারা ইরাক হতে কিছু বস্তু খরিদ করে নাও, পরে উহা মদীনায় বিক্রয় করে কিছু মুনাফা অর্জন করতে পার। তারা বললেন, আমরাও তাই চাচ্ছি। পরে আবূ মূসা তাই করলেন এবং উমার ইবন খাত্তাব (রা)-কে লিখে পাঠালেন যে, তাঁদের নিকট হতে মূলধন নিয়ে নিবেন। তাঁরা মদীনায় পৌঁছে ঐ বস্তু বিক্রয় করে অনেক মুনাফা অর্জন করলেন। মূল অর্থ নিয়ে উমার ইবন খাত্তাব (রা)-এর নিকট উপস্থিত হলেন। উমার ইবন খাত্তাব (রা) জিজ্ঞেস করলেন, আবূ মূসা কি প্রত্যেক সৈনিককে এত অর্থ ঋণ দিয়েছেন? তাঁরা বললেন, না। উমার ইবন খাত্তার (রাঃ) বললেন, তিনি তোমাদেরকে আমীরুল মু’মিনীনের পুত্র হিসেবে এই অর্থ দিয়েছেন। তোমরা মূল অর্থ এবং মুনাফা উভয়টাই আদায় কর। শুনে আবদুল্লাহ্ তো চুপ করে রইলেন। কিন্তু উবায়দুল্লাহ্ বললেন, আমীরুল মু’মিনীন, আপনার এইরূপ করা উচিত হবে না। কারণ যদি এই অর্থ নষ্ট হয়ে যেত বা ক্ষতি হত, তবে আমরা উহার জন্য জিম্মাদার হতাম। উমার (রা) বললেন, না তোমরা সমস্তই দিয়ে দাও। আবদুল্লাহ্ চুপই রইলেন কিন্তু উবায়দুল্লাহ্ তার উক্তির পুনরাবৃত্তি করলেন। তখন উমার (রা)-এর উপদেষ্টা (আবদুর রহমান ইবন আউফ রা) বললেন, আমীরুল মু’মিনীন! এই ব্যাপারকে বা’য়ই-মুযারাবা সাব্যস্ত করতে পারেন, এটাই উত্তম হবে। উমার (রা) বললেন, উহাই সাব্যস্ত করলাম। পরে তিনি মূলধন এবং অর্ধেক মুনাফা গ্রহণ করলেন আর অর্ধেক মুনাফা গ্রহণ করলেন আবদুল্লাহ্ ও উবায়দুল্লাহ্। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩২/ পরিচ্ছেদঃ কোন্ কোন্ মুযারাবা বৈধ

১৩৭১

নির্ণীত নয়
قَالَ مَالِك وَجْهُ الْقِرَاضِ الْمَعْرُوفِ الْجَائِزِ أَنْ يَأْخُذَ الرَّجُلُ الْمَالَ مِنْ صَاحِبِهِ عَلَى أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ وَلَا ضَمَانَ عَلَيْهِ وَنَفَقَةُ الْعَامِلِ فِي الْمَالِ فِي سَفَرِهِ مِنْ طَعَامِهِ وَكِسْوَتِهِ وَمَا يُصْلِحُهُ بِالْمَعْرُوفِ بِقَدْرِ الْمَالِ إِذَا شَخَصَ فِي الْمَالِ إِذَا كَانَ الْمَالُ يَحْمِلُ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ مُقِيمًا فِي أَهْلِهِ فَلَا نَفَقَةَ لَهُ مِنْ الْمَالِ وَلَا كِسْوَةَ. قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُعِينَ الْمُتَقَارِضَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ إِذَا صَحَّ ذَلِكَ مِنْهُمَا. قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَشْتَرِيَ رَبُّ الْمَالِ مِمَّنْ قَارَضَهُ بَعْضَ مَا يَشْتَرِي مِنْ السِّلَعِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ صَحِيحًا عَلَى غَيْرِ شَرْطٍ. قَالَ مَالِك فِيمَنْ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ وَإِلَى غُلَامٍ لَهُ مَالًا قِرَاضًا يَعْمَلَانِ فِيهِ جَمِيعًا إِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ لِأَنَّ الرِّبْحَ مَالٌ لِغُلَامِهِ لَا يَكُونُ الرِّبْحُ لِلسَّيِّدِ حَتَّى يَنْتَزِعَهُ مِنْهُ وَهُوَ بِمَنْزِلَةِ غَيْرِهِ مِنْ كَسْبِهِ

মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুযারাবাত বা শরীকী কারবার এইভাবে বৈধ যে, কেউ কারো নিকট হতে এই শর্তে টাকা নেয় যে, সে শ্রম ও মেহনত করবে। ক্ষতি হলে সে দায়ী থাকবে না। সফরে খাওয়া-দাওয়া এবং বহন খরচ ও অন্যান্য বৈধ খরচ ঐ মাল হতে নিয়ম মাফিক ব্যয় করা হবে মূলধন অনুযায়ী। অবশ্য অর্থ গ্রহণকারী আবাসে থাকলে মূলধন হতে ব্যয় করতে পারবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি অর্থ গ্রহণকারী অর্থদাতাকে, অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারীকে তার শ্রমের পরিমাণ মতো কোন শর্ত ব্যতীত সাহায্য করে তবে তাতে কোন ক্ষতি নেই। যদি অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারী হতে শর্ত ব্যতীত কোন বস্তু খরিদ করে তবে এতেও কোন ক্ষতি নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে এবং স্বীয় দাসকে শরীকী কারবারের জন্য অর্থ দেয় এবং এই শর্ত করে যে, উভয়ই ইহাতে কাজ করবে, তবে তা জায়েয আছে। কারণ নির্ধারিত লভ্যাংশের মালিক ক্রীতদাস হবে, তার প্রভু উহা ছিনিয়ে নিতে পারবে না, এই মালের স্বত্বাধিকারী ক্রীতদাসই থাকবে।
৩২/ পরিচ্ছেদঃ অবৈধ মুযারাবা

১৩৭২

নির্ণীত নয়
قَالَ مَالِك إِذَا كَانَ لِرَجُلٍ عَلَى رَجُلٍ دَيْنٌ فَسَأَلَهُ أَنْ يُقِرَّهُ عِنْدَهُ قِرَاضًا إِنَّ ذَلِكَ يُكْرَهُ حَتَّى يَقْبِضَ مَالَهُ ثُمَّ يُقَارِضُهُ بَعْدُ أَوْ يُمْسِكُ وَإِنَّمَا ذَلِكَ مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ أَعْسَرَ بِمَالِهِ فَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُؤَخِّرَ ذَلِكَ عَلَى أَنْ يَزِيدَهُ فِيْهِ ২৫৪৩-قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَهَلَكَ بَعْضُهُ قَبْلَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ ثُمَّ عَمِلَ فِيهِ فَرَبِحَ فَأَرَادَ أَنْ يَجْعَلَ رَأْسَ الْمَالِ بَقِيَّةَ الْمَالِ بَعْدَ الَّذِي هَلَكَ مِنْهُ قَبْلَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ قَالَ مَالِك لَا يُقْبَلُ قَوْلُهُ وَيُجْبَرُ رَأْسُ الْمَالِ مِنْ رِبْحِهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ مَا بَقِيَ بَعْدَ رَأْسِ الْمَالِ عَلَى شَرْطِهِمَا مِنْ الْقِرَاضِ. قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ الْقِرَاضُ إِلَّا فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ وَلَا يَكُونُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْعُرُوضِ وَالسِّلَعِ وَمِنْ الْبُيُوعِ مَا يَجُوزُ إِذَا تَفَاوَتَ أَمْرُهُ وَتَفَاحَشَ رَدُّهُ فَأَمَّا الرِّبَا فَإِنَّهُ لَا يَكُونُ فِيهِ إِلَّا الرَّدُّ أَبَدًا وَلَا يَجُوزُ مِنْهُ قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ وَلَا يَجُوزُ فِيهِ مَا يَجُوزُ فِي غَيْرِهِ لِأَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ { وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ }.

মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যদি কেউ কারো নিকট করযের টাকা পাওনা থাকে আর যার নিকট টাকা পাওনা রয়েছে সে বলল, তোমার যে টাকা আমার নিকট রয়েছে, তা আমার নিকট শরীকী কারবারে থাকতে দাও ইহা অবৈধ বরং প্রথমে টাকা উশুল করে নেয়া উচিত, পরে তার ইচ্ছা হলে শরীকী কারবারে ঐ টাকা দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। কেননা টাকা উশুল করার পূর্বে উহাকে শরীকী কারবারে দিলে উহাতে সুদ হওয়ার আশংকা রয়েছে, যেমন দাতা তাকে সময় দেয়ার পরিবর্তে ঋণ বাড়িয়ে দিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেউ কাউকেও শরীকী কারবারের জন্য টাকা দেয় এবং ব্যবসা আরম্ভ করবার পূর্বেই কিছু টাকা নষ্ট হয়ে যায়, অতঃপর বাকী টাকা দ্বারা ব্যবসা করে ঐ অবশিষ্ট টাকাকেই মূলধন ধরে লভ্যাংশের আধা-আধি ভাগ করে নেয়, তবে ইহা অবৈধ বরং প্রথমে সম্পূর্ণ মূলধন তার পরিশোধ করতে হবে, পরে যদি কিছু টাকা অবশিষ্ট থাকে উহাকে মুনাফা ধরে ভাগ করে নিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ শরীকী কারবার স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদিতে জায়েয, অন্য আসবাব বৈধ নয়, কিন্তু যদি কারবারে বা ক্রয়-বিক্রয়ে কিছু অসুবিধা দেখা দেয় যা শোধরান কষ্টকর হয়, তবে বৈধ হবে, কিন্তু সুদ এর ব্যতিক্রম, কেননা উহার কম-বেশি সবই হারাম, কোন প্রকারেই জায়েয নয় আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ
অর্থাৎ যদি তোমরা সুদের কারবার হতে তওবা কর, তবে তোমাদের জন্য মূলধন রয়েছে। না তোমরা কারো উপর জুলুম করবে, আর না কেউ তোমাদের উপর জুলুম করবে।
৩২/ পরিচ্ছেদঃ শরীকী কারবারের বৈধ শর্তসমূহ

১৩৭৩

নির্ণীত নয়
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا وَشَرَطَ عَلَيْهِ أَنْ لَا تَشْتَرِيَ بِمَالِي إِلَّا سِلْعَةَ كَذَا وَكَذَا أَوْ يَنْهَاهُ أَنْ يَشْتَرِيَ سِلْعَةً بِاسْمِهَا قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَطَ عَلَى مَنْ قَارَضَ أَنْ لَا يَشْتَرِيَ حَيَوَانًا أَوْ سِلْعَةً بِاسْمِهَا فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ وَمَنْ اشْتَرَطَ عَلَى مَنْ قَارَضَ أَنْ لَا يَشْتَرِيَ إِلَّا سِلْعَةَ كَذَا وَكَذَا فَإِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ إِلَّا أَنْ تَكُونَ السِّلْعَةُ الَّتِي أَمَرَهُ أَنْ لَا يَشْتَرِيَ غَيْرَهَا كَثِيرَةً مَوْجُودَةً لَا تُخْلِفُ فِي شِتَاءٍ وَلَا صَيْفٍ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ. قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ فِيهِ شَيْئًا مِنْ الرِّبْحِ خَالِصًا دُونَ صَاحِبِهِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ وَإِنْ كَانَ دِرْهَمًا وَاحِدًا إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ نِصْفَ الرِّبْحِ لَهُ وَنِصْفَهُ لِصَاحِبِهِ أَوْ ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرَ فَإِذَا سَمَّى شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ قَلِيلًا أَوْ كَثِيرًا فَإِنَّ كُلَّ شَيْءٍ سَمَّى مِنْ ذَلِكَ حَلَالٌ وَهُوَ قِرَاضُ الْمُسْلِمِينَ قَالَ وَلَكِنْ إِنْ اشْتَرَطَ أَنَّ لَهُ مِنْ الرِّبْحِ دِرْهَمًا وَاحِدًا فَمَا فَوْقَهُ خَالِصًا لَهُ دُونَ صَاحِبِهِ وَمَا بَقِيَ مِنْ الرِّبْحِ فَهُوَ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ وَلَيْسَ عَلَى ذَلِكَ قِرَاضُ الْمُسْلِمِيْنَ.

মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যদি এই শর্ত আরোপ করে যে, এই প্রকার মালেরই ব্যবসায় করবে তবে উহা মাকরূহ্। হ্যাঁ, যদি সেই মাল প্রত্যেক মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত পাওয়া যায় তবে তা মাকরূহ নয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি মূলধন বিনিয়োগকারী নিজের জন্য শরীকী কারবারে কোন নির্দিষ্ট অঙ্ক নির্ধারিত করে, যাতে অপর শরীকের কোন অধিকার থাকবে না তা এক দিরহামই হোক না কেন তবুও ইহা জায়েয নয়। কেননা এতে পারে উহার ঊর্ধ্বে লাভ হবে না। হ্যাঁ, যদি ব্যবসায়ীর জন্য লাভের অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশ বা চতুর্থাংশ বা ইহা হতে কম-বেশি নির্দিষ্ট করে অবশিষ্ট নিজের জন্য তবে তা জায়েয। ইহা হচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত কিরায পদ্ধতি।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি লভ্যাংশের এক দিরহাম পুঁজি বিনিয়োগকারী নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে যাতে অপর শরীকের কোন অধিকার থাকবে না, অবশিষ্ট লাভ উভয়ের মধ্যে অর্ধেক হারে ভাগ হবে। তবে শরীকী কারবার অবৈধ হবে। ইহা মুসলমানদের কিরায-নীতি নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন